Thursday, April 24, 2014

গাজর ঘষা

একদিন মসুরী বড়ুয়া জাঙ্গিলামেদকে বলে, "তুমি গাজর কুচে কুচে করিচ্চ করবে।" করিচ্চ-এর অর্থ তুলবে। কিন্তু সে করিচ্চ করল না। সে করিচ্চ করল না কেন জান? জাঙ্গিলামেদ ভাবল, যে বাগান থেকে আমাকে গাজর তুলতে বলেছে, সে বাগানটি তো ছিল আমারই বাগান। কিন্তু কেবল একটি গাজর হয়েছে। এখন থেকে তো পানি দেয়া শুরু কেবল। এ গাছ থেকে এখন গাজর পাড়লে গাছটি তো নাড়ু হয়ে যাবে, কেবল মাত্র একটা মাত্র গাজর হয়েছে। আমি বরং আর দশবার পানি দেই, তাহলেই পাঁচটি গাজর হবে। তখন একটি গাজর তোলা যাবে। তখন আর গাছটি নাড়ু হবে না। তখন সে তিনবার পানি দিল এবং আরো দুই বার পানি দিল। তারপর দশবার পানি দেয়া হয়ে গেল। দুই দিন পর পাঁচটি গাজর ধরল। যখন গাজর হয়েছে তখন কয়টা বাজছিল জান? সকাল ৯টা ২০ মিনিটে গাজরটি হল। গাজর হওয়ার পর একটি গাজর ঝুড়িতে করে মসুরী বড়ুয়াকে দিল, এই যে গাজর পেড়েছি। মসুরী বড়ুয়া বলল, এবার এ গাজরটি ধুয়ে ঘষে সালাদের মত করে বিট লবণ দিয়ে মাখিয়ে একটু এক গ্লাস শরবত ও এক গ্লাস পানি একটি ট্রেতে করে খাবার রেডি করে রাখ। মকিম আহমেদ আসছে। এ কাজটি করার পর তুমি মাল্টা কোটার জন্য মিহমিতাকে বল মাল্টা কুটে দিতে। তখন (জাঙ্গিলামেদ) বলল, আগে তো সেই কাজগুলো তো করি। তখন জাঙ্গিলামেদ গাজরটি ঘষল। ঘষে বিট লবণ দিয়ে মাখালো। মাখিয়ে এক বোতল/এক গ্লাস শরবত যোগাড় করল ও এক গ্লাসে পানি ভরে একটি ট্রেতে করে রাখল। রেখে একটি থালাতে মাল্টা রাখল। রেখে মসুরী বড়ুয়াকে বলল, এই নাও নাস্তা যোগাড় করেছি। মসুরী বড়ুয়া বলল, এবার সামনের রুমে গিয়ে একটি বড় টুলে সেটি রাখ। রেখে সোফার কাছে দাও। দিয়ে তোমার মেয়েকে বলবে জানালা দিয়ে তাকিয়ে থাকতে। মকিম আহমেদ আসলেই মেয়েকে বলতে বলবে যে, এসেছে। তখনই তুমি গিয়ে দরজা খুলবে আর মকিম আহমেদ এসে পড়বে। তখনই মকিম আহমেদের সাথে কথা বলে নাস্তা খেতে দেবে। তখন জাঙ্গিলামেদ বড় টুলটা সোফার কাছে এনে সেখানে ট্রেটি রাখল এবং রেখে নাস্তা-টাস্তা সেই ট্রের উপরে রাখল। রেখে তার মেয়ের নাম ছিল মিনা- মিনাকে গিয়ে বলল জানালা দিয়ে তাকিয়ে থাকতে। সে জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখল মকিম আহমেদ আসছে। বলল, বাবা, বাবা, মকিম আহমেদ আসছে। তক্ষণি মিনার বাবা গিয়ে দরজা খুলল। মকিম আহমেদ এসে পড়ল। মকিম আহমেদের সাথে কথা বলল। কথা বলে নাস্তা খেতে দিল। আর মকিম আহমেদের সাথে তার মেয়েও আসল। তার মেয়ে মাল্টা পছন্দ করত। সেই মেয়েটির নাম ছিল গোলাপী। গোলাপী মাল্টা খেল। মকিম আহমেদ ঘষা গাজর খেল। ঘষা গাজর খেয়ে গোলাপী চকলেট খেল। তার বাসায় চকো চকো নিয়ে গেল।