Tuesday, September 30, 2014

রাজা

একদিন একটা রাজপ্রাসাদে থাকত এক রাজা। তার ছিল দুই রাণী, দুই মন্ত্রী, দুই রাজকন্যা এবং দুই রাজপুত্র এবং রাজা একজন। একদিন এক রাণী বলে ওঠে, "আমি রাজাকে ভালবাসি না।" এ শুনে রাজা রাণীর সঙ্গে মারামারি করছিল আর আরেকটা রাণী বসে বসে কাঁদছিল যে, আমার বন্ধুটাকে রাজা মশাই মারছে। ভেবে সে অন্য মন্ত্রী, রাজকন্যা, রাজপুত্র এদেরকে নিয়ে কথাবার্তা বলছে যে, রাজা আমার বন্ধুটাকে মারতেছে, এহে এহে ...........। তোমরা কিছু কর। তখন বলল, "কোন চিন্তা নেই। আমি শুনেছি, এখন হাসপাতালে যেতে হলে টাকা একটু কম লাগবে। কোন চিন্তা করো না। রাজার মারামারি থামুক, তবে গা নিয়ে যাব।" তখন তারা মারামারি করতে করতে দুজনেই ব্যথা পেয়ে গেল। রাণীকে ঐ রাণী সবাই মিলে রাণীকে নিয়ে গেল, কিন্তু রাজাকে একা রেখে গেল এবং রাজার পায়ে ব্যথা, তবুও তাকে হাসপাতালে নিল না। কারণ, সে তার বন্ধুকে মেরেছে তাই তাকে নেবে না। রাজাকে এবং একজন রাজপুত্রকে বাসায় রেখে গেল। এদিকে আবার সেই রাজপুত্রটা রাজাকে অনেক বেশি ভালবাসত। সে রাজাকে বলল, "আমরা অন্য গাড়িতে চড়ে অন্য হাসপাতালে যাব। গিয়ে তোমাকে ডাক্তার দেখিয়ে চলে আসব।" তারপর ডাক্তার যেই ওষুধগুলো দেবে সেগুলো খাবে, তাহলে ঠিক হয়ে যাবে। রাণীমা এসে দেখবে, একি, কি হয়ে গেল। এগুলো এসে দেখবে, আর আমরা হাসতে থাকব। ঠিক আছে, এখন না হয় চল।" তারা গাড়িতে করে ওখানে গেল। গিয়ে ডাক্তার দেখিয়ে চলে এল। ওষুধ খাওয়াল। তারপর সুস্থ হল। তারপর বসে পানি খেয়ে বিছানায় বসে গেল। কিছুক্ষণ পর রাণী এসে গেল। এসে দেখল, রাজা সুস্থ, চুপচাপ বসে আছে। রাজার যে কথা ছিল যে, ওদেরকে অনেক সুন্দর সুন্দর কাপড় কিনে দেবে, সেটা দিচ্ছে না, চুপটি করে বোকার মত বসে আছে। তাই দেখে ওরা বলল, "একি হল গো। ওকে তো আমরা হসপিটালে নেইনি গো। ও কেমনে সুস্থ হল।" এ বলে তারা অবাক হয়ে গেল। এটা দেখে রাজা এবং রাজপুত্র একেবারে হাসতে হাসতে পাগল হয়ে গেল। হাসছে আর হাসছে। তাই দেখে রাণী মনে করছিল যে, ওরা মনে হয় কি যেন একটা আপেল খেল, আর বোধহয় ঠিক হয়ে গেল।  এ ভেবে তারাও হেসে বলল, "আরে বোকা! তুমি তো আপেল খেয়ে অসুখ সারিয়েছ। তাই বলে আমরা অবাক হয়েছি এটা দেখে তুমি হাসছ? আমি জানি তুমি আপেল খেয়ে অসুখটা সারিয়েছ। এটা দেখে আমার খুব হাসি পাচ্ছে। যাদুর আপেল থাকে না। যাদুর আপেলে অনেক কিছু থাকে। ওটা খেলে সারাজীবন শুধু ঘুমাবে আর ঘুমাবে। আমি কোনদিনও দেখিনি যে, এই আপেল খেলে বুঝি অসুখ সারে। হা-হা-হা-হা, হা-হা-হা। তখন রাজাও একটু হেসে হেসে বলে, না না তা নয় তা নয়। এটা বললে আমি এই কথাটা আবার কাজটা করে তারপর তোমাদের আবার অবাক হওয়াব। আসলে তুমি যা বলছ তা সত্য নয়। রাণী বলল, "না, না, একটু বল না। কি করে তুমি করেছিলে? একটু বল, একটু বল। বলতে তোমার কি হয়?" রাজা বলল, "না, না, তা কি করে হয়? আমি এই জিনিসটা রাজপুত্রের সাথে বুদ্ধি করে পেরেছি। এটা রাজপুত্রের সামনেও বলা যাবে না, রাজপুত্র না থাকলেও বলা যাবে না। তুমি বস, একটা কথা শুনবে? এই যে আমি কি করেছিলাম তুমি বলতে পার নাকি দেখ। তারপর ও চ্তিা করে ঠিক যেমন কাজ করেছিল ঠিক তেমনটা কথাই বলেছে। বলেছে, "তুমি অন্য গাড়িতে চড়ে হাসপাতালে কি সব করে চলে এসেছ। তাই তো বুঝি তোমার অসুখ সেরেছে। তবু তুমি কার সঙ্গে গেলে গো? আমার একটা সোনার গয়না ছিল। গয়নাটা যে কোথায় গেল? তুমি একটু খুজে দেবে?" তখন সে বলে, "নিা না আমি খুজে দেব না। তুমি আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওনি। আমি খুজে দেব না, তুমি খোজ।" আর সেই রাজপুত্রই সবকিছু ভাল খুজে বের করতে পারে। সেই রাজপুত্রের জন্যই রানীমা সবকিছু খুজে পেত। তারপরে সেই রাজপুত্রও করে দেবে না। এখন রাণীরই নিজের খুঁজতে হল। আসলে ঘটানটা হল, ওরা যে বাড়ি ছেড়েগিয়েচিল, তখন একটা শয়তান একেবারে রাক্ষসের অনেক শয়তান। সে ছিল আবার চোর। যে বাড়ি দেখে কোন মানুষ নেই, সেই বাড়িতে ঢুকেই গয়না চুরি করে। এবং গয়না একটা বড় বক্কের তধ্যে ভরে মনে করে যে, যখন কোন বিয়ে হবে তখন সেই বিয়েতে এই গিফটটা আমি দেব। এ বলে সে রানীর গয়না নিয়ে গেল। এ হল গিয়ে ঘটনা। আর রানীর হচ্ছে গিয়ে কষ্ট না। এবার তারা খুজে খুজে একসময় একটা বাড়ি পেল। বাড়িতে লেখা, এ ঘরে কেউ আসবেন না। এ ঘরে বাঘ থাকে। আপনারা আসলে আপনাদেরকে বাঘে খেয়ে ফেলবে। তারা একটু চুপ চুপ করে একটা জানালা দিয়ে দেখল, আসলে একটা চোর বসে বসে গয়নায় কোন ময়লা আছে কিনা সেগুলে াপরিসাকররন করছে। তার মধ্যে তার সেই গয়নাটা আছে। এবং তার ফুপাতো বোনের গয়নাটা আছি। এ দেখে সে ভাবল, তাহলে এখানে এরই বাঘের কথা লেখা এল কেন? তাহলে ািসে নিশ্চয়ই মিথ্যা কথা কাগজেলিখে দরজায় টানিয়ে রেখেছে। পেন্সিল দিয়ে লেখেছে। আমি রবার দিয়ে মুচে লেখব যে, এটা চোরের বাড়ি। এখানে আপনারা কোন গয়না না খুজে পেলে এখানে আসবেন। এটা লিখে দিল তারা। আর দরজার ভিতরে ঢুকে বলল যে, এই চোর! আমার গয়না কই? তুমি দেখেছ? আর তোমার হাত এতগুলি গয়না এল কি করে, অ্যাঁ? আর তোমার হাতেই দো কেধছিআমার গয়নাটা আছে। "না ্না আমি তো চু করিনি।" আ মিথ্য াকথা, যা করার কর। আমার পুপাতো বোনের গয়না আর আমার গয়নাটা ফিরিয়ে দাও। আর নাও নাও। ক্নিতু আমাদেরটা ফিরিয়ে দাও, নাহলে আমার কাছে বন্দুক আছে, বন্দুক দয়ে গুলি করে দাব। দাও, দিতে বলছি দাও, এ বলে ধমক দিল। চোর বলে< না বাই, তা কি হতে পাারে/ আমি তো চোর না। তাহলে আমি নিজে চোখে চুপিট করে যখন কোন মানুষ চিল না তখনব আমরা একটু ঘাসপাতা দেয়ে দেখে চুপিট করে দেখছিলাম তোমার মতই একট লোক যাচ্চিল। আর তোমার নাম মুক্তআ। আর সেই লোকরে মাথঅতেও লেখা চিল আমার নাম মুক্তা। তবু তার মানে সে তোমার মতই দেখতে। ক্নিসতু সেই লোক যেই জামা পছিল তোমার ও সেই জামা গা।ে আর সেই লোকের হাতে যেই ঘড়িটা ছিল েই ঘড়িটাতেও লেখা আছে আমার নাম মুনিবা। তাহলে ুমমি মুনিবার ঘর থেকে সেই ঘড়িটা চুরি করে নেয়ছ। আর সবাই একজনের একট াএকটা গয়না খুজছে। আমি দেখতে পাচ্চে< আর তোমার হাতে যে গয়না গুলি আচে সেগুলোই ওরা ড়ে। তইতো বোজ দেগল তুমিই সেই চোর । তমিই সব চুরি কর। তাই তুমি যদি সব গয়না আজ ্মাার হাতে না দাও তাহরে আমি আর তোমাকে গাহ্হ্ গুগি গরিগ করে দেব। চোর আমার টা দাও। চোর দিল না, চোর বলল, ঠিক্ াছে ঠিক্ াচে গলি করে মেের ফেল। সে একটা প্লেট নিয়ে মুখের সামনে ধরল। এবং সে প্লেটের নিচে আকে বালতি পানি এনে রাকল। তখন সে গুরিটা মারল। সেই প্লেটে লেগে গুরিটা পানির মধ্যে পড়ে গুলিটা নষ্ট হয়ে গেল। তখন সে জিহবা দিয়ে ভ্যাঙ্গালো তাকে। ভেঙ্গিয়ে সব গয়ণা তাকে দিয়ে দিল। এবং সে একজনের কাছে নয় দুজনের কাছ থেকে একটু ভিক্ষা চাচ্ছিল। তারপর অনেক মানুষই টাকা দেওয়া শুরু করল। টাকা দিয়ে তখন সেই চোরটা সেই টাকা দিয়েই সব কিছু কিনল। চু রকরে না। চুরি করলে আবার ঐ লোক্ এসে তাকে গুলি করবার চেষ্‌টা করবে। অথচ আমার সেই প্লেটটিও সে নিয়ে গেছে, আমার সেই বালতিটাও সে নিয়ে গেছে। এবং আমার বিছানার কাঠগুলো ভেঙ্গেই চুরে চলে গেছে। আর সেই কাঠগুলোও নিয়ে চলে গেছে। সেই গয়ণাগুলোও তার ানিয়ে নিয়ে বলল, "আপনাদের মধ্যে থেকে যেই গয়নাগুলো হরিয়েছিল তারা তারা এসে আমার কাছে থেকে কোনটা আপনাদের এগুলো খুঁজে গয়ণা বের করে নিয়ে যান। এটা একটা চোরের হাত থেকে ্বামি পেয়েছি। সব ঘটনা চিঠিতে লিখে দেব। আর আমার খাম বানানোর সহচজই আমি খুব তাড়াতাড়ি বানাতে পারি। অনেক গুলো খাম এক মিনিটের মধ্যেই বানিয়ে ফেলতে পারি। সেই খাম বানিয়ে যেই ঘটনা ঘটেছিল সেগুলো আমি চিঠিতে লিকে সেগুলো সই করে স্ক্যান করে এখানেযতগুলো সেট গয়না ততগুলো কাগজ করে আমি স্ক্যান করব। করে সেগুলো নেব। তারপর সেগুলে ানিয়ে একটা খামে একটা ভরব আরেকটা খামে ারেকটা ভরব এরকম ্করে একটা একটা চিঠি লিখব। তারপর আপনাদের কাছে পাঠাব। আপনারা নিবেন, পড়ে দেখবেন  ঘটনাগুলো কি? আমি আগে গয়নার সেটগুলো গুনে ততগুলো কাগজ কিনব। কাগজ কিনে তারপর বলল, "এবার আপনার ানিয়ে যান।" তারপর তারা গয়নাগুলো নিয়ে গেল এবং সে চিঠি লিখে খামে ভরে তাদের পাাঠাল। তার াপড়ে দেখল যে, তাহলে আমরা আর বাড়ি থেকে বের হলেও ঐ বাড়িতে যাব। গিয়ে চোরটাকে মেররে ফেলল। যদি এসে দেখি যে, কোন গয়না হারিয়েছে। এবং আমাদের কাছে কামান আছে। কামান দিয়ে মারব। এবং তাদের ঘরবাড়িও ভেঙ্গেয াবে। এবং তার খুব কষ্ট হবে। এবং তার মৃত্যু হবে। যদি দেখি। এরপর সই রাজা যে ব্যথাতে পড়েছিল না, ব্যথা যে ভাল হয়েছিল, সেই রাজা বআবার ভ্যাঙ্গালো। বলল যে, "তুমি আমাকে রেখে গেছ। তুমি এবারের যেই কথাটা বলেছিলে যে, আমি হাসপাতালে গিয়েছিলাম। এটাই আসলে হয়েছলি। আমিও তোমাদের নিব না। যদি তুমি আমার কাছে মাফ না চাও এবং সরি না বল। তবু আমি সরি বলার সময় দিতে পারব না। আমি সবসময়  ব্যস্ত থাকব। ব্যষ্ত থাকার মধ্যেই যদি বলতে পার, আমার কানের কাছে এসে বলতে পার। আমার কানেরমধ্যে ডদি কথাটা না যায়, তাহলে কিন্তু আমি বলব না। ঠিক আছে?" এই বলল রাজা। তারপর সবার সংসার ঠিখমত থাকে। সবাই একসঙ্গে খাবারদাবার খেল এবং ভাল ভাল ঘর বানাল। সুন্দর সুন্দর ঘর বানালো এবং লিখে রাখল যে, গরীবরা যদি ঘর থেকে চলে যায় তাহলে যদি কোন প্লেন এসে ঘরে রমধ্যে ধ্বংস করে দেয় কিছু, তাহলে তারা সেগুলো পাবেন  না। তারই তারা এই ঘরে থাকবে। তা লিখে এগুলো স্ক্যান করল। ঘরে টানিয়ে রাকল। তারপর যে গরীবের ঘর নাই ঘর ধ্বংষ হয়ে গেছে তারা এসে সেই ঘরে বাস করল। এবং সেখানে অনেক নদী-নালা করল। গোসল করতে হলে সেই পুকের নামে। সেই নদীতে নামে। আর সেখানে লজ্জাবতী গাছও তারা লাগিয়ে দিয়েছিল। আর সেই লজ্জাবতী ফুলেই মজা করবে গরীবরা। তাই লজ্জাবতী গাছ লাগিয়েছিল। লজ্জাবতী ফুলের গাছে নাড়া দিলেই পাতা বুজে যায়। কিছুক্ষণ পর আবার ফোটে। আর এখন রাজা তো সুখে শান্তিতে একবাপরে নাচতে লাগল আর রানী একবার কানের কাছে এসে বলল, সরি, মাফ কর, ইামি যাই। বলে একেবারে চলে গেছে। তাই সবাই আকসঙ্গে মিলে রিঙ্গা রিঙ্গা রোজেকস খেললণ। নরম মাটির উপরে এ স খেলতে হয়। যাতে পড়লেও ব্যথা হয় না। একজন আরেকজনের সাথে হাত মিলিয়ে বলবে, "Ringa Ringa Roses/Pocket Khola Roses/Wish a Wish a/Be Ol Foll Down.

Thursday, September 25, 2014

লক্ষ্মী বাবু

একটা বাড়িতে থাকত একটা সুন্দর বাবু। বাবুটা খুব লক্ষ্মী। বাবুটার নাম মুনিবা। মুনিবা উদয়ন স্কুলে পড়ত। ও কেজি শ্রেণিতে পড়ে। ও ইংলিশ ভার্সনে টিউলিপে পড়ে। তার বন্ধু সুবাহ। এটা হল আরবী নাম। সেই সুবাহ পরীক্ষায় ফার্স্ট হয়েছিল। আজকাল অংকের পরীক্ষা নিচ্ছে। সামনে বার্ষিক পরীক্ষা দেখে। তারা খুব ভাল পড়াশুনা করছে। একদিন পড়াশুনা করতে গিয়ে ওদের কঠিন একটা জিনিস লিখতে দিল। স্কুল বানান লিখতে দিল। তারপর স্কুল বানান খুব কঠিন তো, বাবুরা লিখতে পারল না। কিন্তু সুবাহ ও মুনিবা বাসায় বেশি পড়ালেখা করত দেখে তারা লিখতে পারল। কিন্তু যখন জঘৈষ্ঠ লিখতে দিল, কিন্তু এটা কেউ পারল না। মুনিবাও পারল না। কিন্তু সুবাহ পারল। আর হল গিয়ে সোহানা পারল। মুনিবার রোল হল ৪০। আর সুবাহর রোল হল ২৭। আর সোহানার রোল ২০। সুবাহ পেরেছিল শুধু। জঘৈষ্ঠ বানানটা সুবাহই খুব ভাল করে লিখতে পেরেছে। হাতের লেখাও খুব সুন্দর হয়েছে। তারপর আরেকটা জিনিস মিস বলল যে, মুনমতশিষ। তবে এটা সবাই লিখতে পারল। এই শব্দটা সবাই লিখতে পারল যখন, তখন মিস বুঝল, এই শব্দটা লিখলে সবাই পরীক্ষায় ফার্স্ট হবে। তখন মিস বলল, শোন! পরীক্ষায় তোমাদের এই শব্দগুলো আসবে না। কারণ, আমি জানি, এই শব্দগুলো দিলে তোমাদের খুব কঠিন হবে। এত কঠিন শব্দ তোমরা পারবে না পরীক্ষায়। তাই তোমাদের হ্রস্ব-ইকার, উ-কার এগুলো তোমরা খুব সহজে পারবে। তাই পরীক্ষায় এগুলো আসবে। আমরা চাই যে, তোমরা যেন ২০ তে ২০ পাও। কিন্তু তোমাদের মধ্য থেকে আমি শুধু একটা কঠিন শব্দ দিব। তখন বাবুরা বলে, কি কঠিন শব্দ? বলে, "সেটা এখন বললে তোমরা ভাল করে শিখে আসবে। বলব না। পরীক্ষায় তোমরা লিখবে। আর যদি আমি দেখি যে, ২০ তে ০ (শূন্য) পাও, তাহলে আমি পরীক্ষার দু'দিন পর তো অনুষ্ঠান হবে যখন, তখন আমি তোমাদেরকে অনুষ্ঠানে গান করতে দেন না, যদি তোমরা শূন্য পাও। অতএব, শূন্য পাওয়া যাবে না। আমি চাই তোমরা সবাই মিলে যাতে অনুষ্ঠানে গান গাইতে পার।" একথা শুনে বাবুরা খুব ভাল করে বাসা থেকে শিখে আসল। তবে মিস তার আগে অনেক অনেক কাজ করাল। অনেক পিটি করালো, টিফিন খাওয়ালো, অনেক কিছু লিখতে দিল, তারপর পরীক্ষা নিল। এতকিছু লেখার পর বাবুরা একটু একটু ভুলে যাচ্ছিল। তার আগেই মিস কাগজ দিয়ে চলে গেল। গিয়ে মিস মিসের সিটে গেছে, এবার বলল যে, সবাই লিখ, আমি পড়া শিখি। তবে তোমরা আমরা পড়া শিখি লিখবে না, তোমরা শুধু শিখিটা লিখবে। তারপর বাবুরা সবাই এক নম্বর দিয়ে শিখি লিখে ফেলল। এবার বলল, এবার আমি কঠিন শব্দটা লিখতে দেই: হ্রস্বঘটব। তখন বাবুরা একে একে লিখে ফেলল। মুনিবা আর সুবাহ তো সবই একে একে লিখে ফেলল খুব তাড়াতাড়ি করে। তখন মিস বলল, এবার লিখ: আমি। বাবুরা সবাই 'আমি' লিখে ফেলল। তারপর মিস বলল, "এবার আর ৫টা শব্দ লিখলেই তোমাদের এই পরীক্ষাটা শেষ। এবার লিখ: আম। আম লেখার পরে লিখবে কাঁঠাল। বাবুরা সবাই একে একে আম লেখার পর কাঠাল লিখতে গিয়ে মুনিবা কাঁঠাল বানানটা মনে করতে পারছিল না। সে ভাবছিল চন্দ্রবিন্দু দেব কি দেব না। তারপর চুপ চুপ করে আরেকজ পাশের বন্ধু রশ্নির খাতা দেখে লিখে ফেলল। রশ্নিও ভুলে গিয়েছিল চন্দ্রবিন্দু দিতে। তারপর মিস বলল যে, "তবে আমি চাই সবাই যেন ২০ তে ২০ পায়। আমি যাকে যাকে দেখব যে, ২০ পেয়েছে, তাদের তাদের আমি ভাল করে ছড়া শিখিয়ে দেব, ছড়ার পরীক্ষায় তোমরা যাতে ফার্স্ট হও, যদি ২০ পাও।" তারপর এবার হল মুনিবা মিস যখন একটু বাইরে গিয়েছিল তখনই মুনিবা সুবাহকে বলল যে, এই সুবাহ! চন্দ্রবিন্দু কি হবে? সুবাহ বলল, "হবে, হবে। তবে তুমি লিখে ফেল মিস আসার আগেই। আমি তাড়াতাড়ি বসে লিখে ফেলি। তুমিও তাড়াতাড়ি বসে লিখে ফেল।" তারপর সে লিখল। তারপর মিস এসে দেখল যে, সবাই দেখাদেখি করছে। তারপর বলে, "এই সব কি হচ্ছে?" তখন বাবুরা সবাই চুপ করে নিজে নিজে লিখতে লাগল। এবং সোহানা তো খুব ভাল মেয়ে, তাই কারোটা দেখছিল না। সোহানা নিজে নিজে লিখছিল। তারপর মিস এসে বলল যে, কাঠাল লিখেছ তো? এবার লিখ। এবার কিন্তু একটা বাক্য লিখবে তোমরা। লিখ যে, আমি বই পড়তে পারি। সবাই বলল, হ্যাঁ, মিস, আমরা তো বই পড়তে পারি। কিন্তু খাতায় আবার লিখব? বলে হ্যাঁ, লিখতে তো হবেই, যা কর তা লিখতে হবে না? লিখ, লিখ। তখন সবাই লিখে ফেলল। মিস বলল, এবার তোমাদের ছুটি হবে। তোমরা সবাই লাইন করে দাড়াও। লাইন করে দাড়িয়ে সবাই আমার কাছে কাগজগুলো দিয়ে আবার লাইন কর। তারপর সবাই লাইন করে তারপর লাইনটা ভেঙ্গে আবার মিসের কাছে কাগজ দিয়ে লাইন করল। তারপর মিস বলল যে, "মুনিবার লাইন আগে করেছে। তারপরের লাইনটা করেছে সুবাহ। তার পরের লাইনটা করেছে সোহানা। প্রথমে আমি মুনিবার লাইনটাকে আগে যেতে দিব। মুনিবা খুব ভাল লিখেছে। সুবাহও খুব ভাল লিখেছে। সোহানাও খুব ভাল লিখেছে। আস মুনিবা আস। তখন মুনিবা চিল্লিয়ে বলল, "ইয়ে"। তখনই মুনিবাকে বলল, মুনিবা! তুমি সোহানার লাইনে যাও। সোহানার লাইনটা সবার শেষে যাবে না, তুমি সোহানার লাইনে গিয়ে দাড়াও। তারপর সে সোহানার লাইনে গিয়ে দাড়াল। বলল, "হ্যাঁ, এইবারে ঠিক আছে। এইবার মুনিবার পিছে যে ছিলে, তাদের লাইনটাতে আস।" তারপর তাদেরকে ছুটি দিয়ে দিল। তারা চলে গেল। এবার বলল, আরে সুবাহ। আস আস আস। সুবাহ খুব ভাল লিখেছে। ও এত ভাল  লখেছে যে, যেন মনে হয় যে ২০ (twenty) তে ১০০ (hundred) দিয়ে দেই। তারপর মিস ইংলিশে বলল, "Everybody big big clap for Subah." তখন সবাই ওরা সবাই হাততালি দিয়ে বলল, "Very Good Subah." তখন সুবাহকে মিস বলল, "সুবাহ, তোমার লাইনটা পরে যাবে। তুমি আগে আস। তোমাকেই আমি আগে যেতে দেব।" তখন সুবাহ খুব খুশি হয়ে গেল। এবারে সোহানার লাইনের মধ্য থেকে মুনিবা আর সোহানাকে আগে যেতে দিল। তখন মিস বলল, "শোন, এরপর বিগ বিগ ক্লাপ ফর মুনিবা এন্ড সোহানা।" এরপর সোহানা আর মুনিবাকে বলল, "সোহানা, তুমি আগে যাও। মুনিবাকে একটু আগে যেতে দিব। তোমার লাইন থেকে আদিলা কারনা ভাল। আদিলা কারনাকে আগে যেতে দেই। তারপর তুমি যেও, মুনিবা, ও আগে যাক।" তখন মুনিবা বলল, "ঠিক আছে মিস।" তখন মিস বলল, আদিলা করনা, come here। তখন আদিলা কারনা দৌড়ে মিসের কাছে গিয়ে বলল, কি মিস? তখন মিস বলল, "তুমি আগে যাও।" তখন আদিলা কারনা চলে গেল। তারপর এবার সব লাইনকেই যেতে দিল। যারা সবচেয়ে দুষ্টু, তাদেরকে সবার পরে যেতে দিল। তারপর তার পরেরদিন অনুষ্ঠানে সুবাহ, মুনিবা ও সোহানা আর হল গিয়ে নাবিলা নূর শিফা ও মুশফিকা লাবিব প্রিয়ন্তী এদেরকে গান গাইতে দিল। তারপর আমার গল্প শেষ হয়ে গেল। এরপর ওরা রোজদিন ফার্স্ট হয়। এবার আমি যাই।

Thursday, September 18, 2014

বাবুদের বায়না

এক দেশে ছিল এক মা। সেই মায়ের ছিল একটি বাচ্চা। আশেপাশে অনেক বাড়িঘর আছে। বাড়িঘরের মধ্যে অনেক বাড়িতে সেই বাবুর বন্ধু-বান্ধব আছে। সেই বন্ধুদের সাথে তারা মাঠে বসে গল্প করত। আর ভাল ভাল কথা বলত। আর খেলত। আর বসে বসে কথা বলত। এটাই হল তারা তাদের বন্ধুদের সাথে খেলত। বন্ধু বন্ধু হয়ে খেলতে থাকে। একদিন সব বাবুরা মিলে বলতে লাগল যে, এক বান্ধবী বলতে লাগল যে, আচ্ছা, আমরা বৈজ্ঞানিক হব। আরেক বাবু বলল, না, না, বৈজ্ঞানিক হতে তো অনেক অংক শিখতে হবে, তোমার তো পড়ালেখার মনোযোগ নেই, তুমি অংক করবে কিভাবে। আমরা তো সবসময় গল্প করি মাঠে, কোন কোন সময় খেলি, আর বাসায় বসে কার্টুন দেখি। তা আমরা অংক করব কি করে, আর বৈজ্ঞানিক হব কিভাবে? মাঠে বসে গল্প করতে হবে না, খেলতে হবে না, বাবা-মায়ের কাজে একটু সাহায্য করতে হবে না? সেই কাজ করবে কি করে, যা করলে বৈজ্ঞানিক হবে? তারপর আরেক বান্ধবী বলল, না না। বৈজ্ঞানিক হওয়ার জিদ ধরো না। তোমার মা আবার বকা টকা দিবে, বলবে, লেখাপড়া করে না, আবার বৈজ্ঞানিক হবে কি করে? তুমি এগুলো এত লোভ করো না বৈজ্ঞানিক হওয়ার। "না, আমি যখন বলেছি।তখন আমি করবই। আমি যাবই যাব, বৈজ্ঞানিকের কাজগুলো যেখানে শিখায় সেখানে আমি যাবই, একদম যাব। আমি ওখানে গিয়ে বৈজ্ঞানিকের কাজ শিখব। বৈজ্ঞানিকরা কি করে তা জানব। তারপর আমি বৈজ্ঞানিক হবই। বৈজ্ঞানিক না হলে যে আমার মাথাটাই যে পাগল হয়ে যায়। আরেক বান্ধবী বলল, "ঠিক আছে, তুমি জিদ ধরলে তবু তোমার মাকে বলো না। তোমার মা নিয়ে যেতে পারবে না। তোমার খালা-চাচা আছে না? তার মধ্যে তোমার চাচাকে বলবে। তোমার চাচা বৈজ্ঞানিকের কাজ যেখানে শিখায় সেই জায়গাটা ভাল করে চিনে। অথবা, তুমি তোমার বাবাকে বলতে পার, বাবা তোমার চাচাকে বলতে পারে, তখন তুমি তোমার চাচার সাথে যেতে পার।" তখন বাবুটি আন্নদ করে, বৈজ্ঞানিক হতে পারব।। আর দুটি বাবু বলল, বিপদে পড়লে আমি তোমাকে ধরব। তোমার ছোট আপু যখন বলছে, তখন তুমি যাবে না কেন? যাও, কিন্তু সাবধানে যাবে এবং ভালমত কাজ শিখবে এবং বৈজ্ঞঅনিকেতর কাজ করতে গিয়ে যেন কোন ব্যথা-ট্যাথা না পাও। ব্যথা-ট্যাথা পেলে কিন্তু তোমার মায়ের কাছে আবার যেতে হবে, তোমার মা আবার তোমাকে বকা-ঝকা দিবে?তখন আমরা খেলব কি করে তোমার সাথে? এই কথা মনে রেখো। কথা না মানলে হবে না। "ঠিক আছে, কথা মেনেই চলব। আর শোন, আমি যদি ভুলে যেতে লাগি, আমি কিন্তু ভুলে যেতে পারি না, কিন্তু যদি ভুলে যাই তাহলে কি হবে? সেজন্য তুমি চিঠি লিখে দেবে। তারপর চিঠি লিখে আমাদের চিঠির বাস্কের মধ্যে ভরে দেবা। আর আমি নিজে তো একটু বড় হয়েছি , আমার ব্নধু-বান্ধবীরা আছে। আমি নিজে সিড়ি দিয়ে নামতে পার।ি আমি চিঠি বের করে পরে বাবাকে চাচাকে বল। আমি বড় হয়ে ভৈজ্ঞানিক হয়ে অনেক কিছু বানাবো।" "কিন্তু শোন, এত কঠিন কাজ কি পারা যায়?" তখন তারা খেলতে লাগল এবং আনন্দ ফূতি র্করতে লাগল। গান গাইতে লাগল এবং খেলতে লাগল।

এক ছিল এক শিয়াল।

এক জঙ্গলে থাকত এক শিয়াল। শিয়ালের বাবুটা বলত, "আমি তোমাদের মত বড় হব।" তারপর বাবুটা বলল, "ওমা! তুমি কি আমাদের কথা শুনলে গো? তুমি আমাকে একটু বড় করে দাও না। আমি তোমার মত আমার ছোট বন্ধুদেরকে নিয়ে আমি আমার বাঘ মামার সাথে দেখা করব।" তখন শিয়াল বলল, "সে কিভাবে বড় হবে? তোমরা তো বেশি কিছুক্ষণ বসে থাকতে হয়। কারণ আমি অনেক খাবার মুরগী নিয়ে আসতে কষ্ট হয়। অনেক দেরী হবে না? তোমরা খাবার না খেয়ে থাক না? সেজন্যই তো তোমরা এত তাড়াতাড়ি বড় হও না।" তারপর তোমরা আর কত কী খাও না। এত কিছু না খেলে যে তোমরকি করে যে বড় হবে। আর তোমরা যদি মানুষ হতে, তাহলে তোমরা তাড়াতাড়ি বড় হতে পারতে। কেননা, মানুষের না একটা দুইটা জিনিস শিকার করে নিতে হয়, অন্য কিছু শিকার করতে হয় না। কিন্তু তোমরা যদি মানুষ হতে, তাহলেই তো তোমরা পারতে। এই যেমন এই দেখ ডাল, চাল, তারপর আরো কত কি! এগুলো শিকার করে খেতে হবে না। সেগুলো এমনি বন থেকে ধান এনে রান্না করলেই হয়। কিন্তু আমরা রান্না করব কিভাবে? পাতিল নেই, চামচ নেই। আমরা কি মানুষ? সেজন্যই তো তোমরা তাড়াতাড়ি বড় হচ্ছ না। একথা শুনে তো সেই শিয়ালের বাচ্চাটির মন খারপ হয়ে সে শুয়ে থাকল। তারপর সে তার বন্ধুেদর নিয়ে বন্ধুদের একটু কম খাবার খেতে দিল আর নিজে একটু বেশি খাবর খেল। ওরা বসে বসে কিসব কেতে লাগল, আর ওদিকে শিয়াল। "ঠিক আছে আমি তো খাবার এনেছি, তোমি বন্ধুকে না দিয়ে খেত না।"

সুন্দর রাণী

এক দেশে ছিল এক রাণী। রাণীর ছিল দুটি মেয়ে। মেয়েগুলো ছিল খুব দুষ্ট এবং ভাল ভালও আছে। একদিন তারা এক শিশুপার্কে গেল বেড়াতে। শিশুপার্কে গিয়ে না এমন মজা পেল, তার পরই দিন সে বলল, আজ স্কুলের বদলে শিশুপার্কে যাব। ঠিক আছে, তুমি শিশুপার্কে আগে যেমন মজা পেয়েছ এখন তেমন মজা পাবে না। তার মা আবার একথা বলল। "ঠিক আছে, তাহলে শিশুপার্কে যে তুমি স্লিপারে পিছলা খেতে চাও কেন?" "তাহলে এক কাজ করা যায় না? তোমার স্কুলটা শিশুপার্কের কাছে নিয়ে বানালে সেখানে মাঝে মাঝে ক্লাসে যখন বসিয়ে রাখবে, খাতা দেখার সময় বেশি টাইম নেবে, তখন সেখানে মাঝে মাঝে গিয়ে একটু পিছলা খাবে। এই কাজ করা যায় না, মা?" তার মা বলল, "তা কি আর হবে? এমনি স্কুল এখানে বানিয়েছে। ওখানে কিভাবে বানাবে?" তারপর বাবু বলল, "স্কুলটা ওখানে থেকে তুলে নিযে ওখানে রাখবে।" "আরে বোকা, তা কি করা যায়?"

রাজা

এক দেশ খুব পরিস্কার ছিল। কিন্তু রাজা একটু দুষ্টু। সে শুধু খাবার খেতে চাইত। সবাই এত খাবার পাবে কোথা থেকে? নিজেদেরও খেতে হয়, রাজাকে তার থেকেও আরও বেশি খাবার দিতে হয়। এ আবার কেমন কথা! এগুলো রাজার প্রজারা অনেক চিন্তা করত। একদিন তার মন্ত্রী রাজাকে গিয়ে বলল, "রাজা মশাই! আপনি এত খাবার খেতে চান। তাহলে আপনি দুটি মাছ নিয়ে এসে নিজে নিজে খান। আপনিই নিয়ে আসেন। আমরা এত খাবার আনতে পারি না।" তারপর রাজা নিজে বাইরে গিয়ে মনে ভাবল, "ওরা এত খাবার আনতে পারে না। ওদের কি এত টাকা-পয়সা নেই? রাজার প্রজা হয়ে আমার থেকে আমি একটু ওদেরকে একটু টাকা দিয়েছিলাম সবাইকে, একশ টাকার নোট দিয়েছিলাম, সেই টাকাগুলো ওরা কি করে নিল? একটু খাবার আনতে পারে না।" এই কথা রাজার মনে ভেবে সে গাছে উঠে ফল পেড়ে খেতে লাগল। ফল খেয়ে তারপর ও গেল। দেখল যে, ঐখানে এক ঝুড়ি রূপচান্দা মাছ রাখা আছে, আর সাথে একটু খাসির গোশত রাখা আছে। সে মজা করে খেল। আসলে সেই খাবারটা একটা মানুষের বাচ্চা খেতে চাইছিল না। তখন তার মা যখন দেখে সে খাবেই না, তখন সে ঝুড়িতে সেগুলো রেখে মাটিতে ফেলে রেখে চলে গিয়েছিল। সেগুলো সেই রাজা মন ভরে খেল। তবে সেই খাবারটা মজা ছিল, তবুও সেই মেয়েটি খেল না। সেই দেখে রাজা তাই খেল। খেয়ে বলে, আর কত খাবার লাগবে আমার খেতে। এত খাবার আমি পাব কোথা থেকে? এই বলে সে গরুর মত ঘাসপালা খেতে লাগল। তারপর গরু-ছাগল ওরা যখন আসল, এসে দেখল যে, একি! রাজা মশাই এত বোকা? আমাদের ঘাষ খাচ্ছে? গরু বলল, হামবা হামবা, ছাগল বলল, ভ্যঁ ভ্যঁ। তবুও রাজা ঘাস খাওয়া ছেড়ে দিয়ে উঠল। উঠে সে দেখল, একটা জঙ্গল। সেই জঙ্গলে থাকত একটা শিয়াল। শিয়ালকে দেখে রাজা ভয় পেল। আসলে শিয়ালটা কিছু করবে না। রাজা তারপর দেখল, সেইখানে পঞ্চাশটা ভুট্টা আছে। সেটা খেল। সেটা খেয়েই রাজার পেট ভরল। পঞ্চাশটা ভুট্টা খেল খুটে খুটে, মজা মজা করে খেয়ে ফেলল। তাতেই রাজার পেটটা ভরে গেল বটে। তারপর সে পানি পাবে কোথা থেকে? সে গেল। কিন্তু রাজার তো অনেক ধন-সম্পদ। সেখান থেকে একটা সোনার টুকরা নিল। সে নিয়ে দোকানদারের কাছে গেল। বলল, আমার দশটা বড় বড় পানির বোতল লাগবে এবং বোতলে পানি ভরতে হবে। তারপর রাজা মজা মজা করে পেটটা ভরে খেল পানি, আরেকটু পারলে নদী থেকে মিষ্টি পানি এক ফোটা খেয়ে নিল। তারপর দৌওেড় ঘরে গেল। রাজপ্রাসাদে ঢুকে সে বলল, এই যে! আমাকে আজ দুপুরের খাবার দিতে হবে না। আমি মন ভরে অনেক খাবার খেয়ে এসেছি। তোমরা কি মনে কর গো! তখন রাজার প্রজারা বলল, রাস্তার থেকে কিছু খেয়েছিলেন? তখন রাজা বলল, না, না। রাস্তার মধ্যে ঝুড়ি ছিল। সেই ঝুড়ি থেকে ফল-টল খেয়েছি। ঠিক আছে মহারাজ, আপনি যখন খেয়েছেন, তখন আর কি বলা যায় মহারাজ। তাই তো রাজার একটু পরেই চিকেন খেতে ইচ্ছে করল। সে দৌড়ে গিয়ে বাজার থেকে মুরগী কিনে এনে রানীদের মত মুরগীর গোস্ত কুটে সে নিজেই রান্না করতে শুরু করল। রান্না করে নিজেই খেতে শুরু করল। নিজে চিকেন ফ্রাই করল। সেটা কী মজার একটা কথা না! রাজা ছেলে মানুষ। রাজা করল রানীর মত রান্না। আর রানী ওদিকে খাবার রান্না করে হাপিয়ে পড়ল। তারপর রানী শুতে গেল। শুয়ে বিছানায় একটু বিশ্রাম করে নিল। বিশ্রাম করে রানী আবার একটি মাছ ভাজল। এখন রাজাকে তো সে খেতে দেবেই না। শুধু দু টুকরো সবজি খেতে দিল। আর কিছু খেতে দিল না। আর সাথে একটি শসা দিল। এতটুকু খেতে দিল, আর সাথে এক বোতল পানি দিল। বোতলটা ছিল একটু ছোট। তারপর রাজা একটু খেয়ে তো রাজার পেটে কী ক্ষুধা! রাজা গেল। দেখল যে, একটা মৌমাছির গাছ। ও! আমি তো আর এত বেশি খাবার পেলাম না। একটি বড় বাটিতে করে একটু মধু নিয়ে খাই। এ বলে রাজা একদিন ক্ষুধাটা একটু কমার ওষুধ দিল তার মন্ত্রী। ক্ষুধাটা একটু কমল। তখনই তাকে খাবার খেতে সাথে নিল। তারপর তারা সবাই সুখে-শান্তিতে থাকল আর আমার গল্পের এই কথাগুলো খুব মজার হয়ে গেল। তখন রাজা মনের সুখে তাদের সঙ্গে খাবার খেতে লাগল।

বাবুর গোলাপ ফুল

এক দেশে ছিল একটা বাবু। বাবুর নাম মাদিয়ান। বাবুটা একদিন পড়তে গেল। একদিন বাইরে ঘুরতে গিয়ে দেখে, একটি গোলাপ ফুল। খুব সুন্দর। আর সাথে একটি মালিক গাছে পানি দিচ্ছিল গোলাপ ফুলেরই পাশে একটি বেগুন গাছে। সে বলল যে, "বাবা! বাইরে যে আসলাম। তবু ঐ গোলাপ ফুলটা নিবা না রে বাবা?" তার বাবা বলে, "গাছের ফুল তো ছিড়তে হয় না। ফুল সুন্দর দেখার জন্য। গাছ ব্যথা পায়।" সেই বাবু বলে, "তা তো বাবা, কিন্তু গোলাপ ফুলটা যে খুব সুন্দর। এটা দিয়ে আমরা ঘরের ঐ কোণায় বেধে দিতে পারি না? ফুলের সঙ্গে সুতা দিয়ে ঐ তাকের সঙ্গে লাগিয়ে দিতে পারি না? লাগিয়ে দিলেই তো সুন্দর দেখা যেত সেই গোলাপ ফুলটাকে।" বাবা বলে, "তা বল, কিন্তু গাছ যে ব্যথা পাবে। সেটার যে কি হবে! তুমি যে গোলাপ ফুল নেওয়ার জন্য জিদ করতেছ।" তারপরে সে বাসায় এসে তার মাকে বলল, "আমার কথা বাবা শোনে না। আমি গোলাপ ফুল ছিঁড়তে বললাম। গোলাপ ফুল ছিড়তে মানা করল। বললাম যে, গোলাপ ফুলটা ছিড়ে আমার হাতে দাও। তবু আমার বাবা বলল, না, ফুল নেওয়া যাবে না। তাই না মা?" তার মা বলে, "মাদিয়ান! তুমি এত জিদ করছ কেন? এত জিদ ধরা তো উচিত নয়। গোলাপ ফুল গাছে থাকলেই তো সুন্দর দেখা যাবে। তবু ঐ গোলাপ ফুলের গাছটি তো আবার অন্য মানুষেরও তো হতে পারত। তবু ঐ গোলাপ ফুলটা কি একটা বাগানের মধ্যে ছিল?" "না, না। বাগানের মধ্যে ছিল না।" "ও! তাতে তো ছেড়া যেত। তবু গাছ যে ব্যথা পাবে। তবু একটা কাজ করো। এক বালতি পানি নিয়ে গাছের ওখানে ঢেলে দিয়ে তারপর ফুলটি নিও। তাহলে গাছ ব্যথা পেলেও সেই পানিটুকু খেতে পারবে। মনটা আবার ভাল হয়ে যাবে। এরপর তুমি যখন গোলাপ ফুলটা ছিড়তে পারবে, তখন তোমার বাবাকে বলবে, আমার মা বলেছে, এখন ফুলটি তোলা যাবে, আর এই এই কথা বলেছে। এইটা বলবে। তবে কালকে তুমি তোমার বাবার সঙ্গে বাইরে যাবে না, আমার সঙ্গে বাইরে যাবে, তখন আমিই তোমাকে গোলাপ ফুল ছিড়ে দেব। তারপর গোলাপ ফুলটাকে ফুলদানিতে রেখে তারপর একটু পানি দিয়ে দুই দিন রাখব। তারপর সেই তাকে ঝুলিয়ে রোজদিন এক মগ পানি থেকে চার-পাচটা ছিটা দিয়ে রাখব। তাহলে সুন্দর দেখা যাবে।" তারপর মাদিয়ান বলল, "তবু তাকে ঝুলিয়ে রাখলে আমি ঐ তাক থেকে পেড়ে কি আমি দুই মিনিট খেলতে পারব?" বলে, "হ্যাঁ, পার। ঠিক আছে, তবু কালকে তুমি মনে না করে দিলে কিন্তু আমি ফুল আনতে পারব না। আর তুমি যদি কাগজে লিখতে পেরে সেইটা টেবিলে রেখে ঘুমাতে পার, তারপর উঠে যদি কাগজের লেখা পড়ে দেখ যে, গোলাপ ফুল তুলতে হবে, তাহলে সেটাও তুমি করতে পার। তা না হলে কিন্তু আমি গোলাপ ফুল আনতে যেতে পারব না। তবু তোমার দেখতে হবে, সকালে উঠে। আর তুমি না উঠতে পারলে তুমি ভাল করে রাত্রে কি কি করেছ সেগুলো ভাল করে মনে করে নেবে প্রথমে। তারপর মনে আসবে যে, সেই গোলাপ ফুল তোলার কথা। তবেই তুমি গোলাপ ফুল তুলতে পারবে। তবু আমার যদি যেতে না ইচ্ছে করে, তবে কিন্তু তোমায় আমি দুধ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখতে পারি, কিংবা তোমার কাগজটা লুকিয়ে রাখতে পারি। তবে আমি এমন করব না। তোমার জিদ আমি এবার পূরণ করবই। কারণ, তুমি আমার সোনার মেয়ে। তবে আমরা সকাল বেলা যাব। কারণ, বিকাল বেলা তোমার বাবা আবার বলবে যে, আমি নিয়ে যাব তো। ঐ দিকে কোথায় স্লিপার আছে, স্লিপারে পিছলা খায় কোনখানে, সেটা তুমি জান? ও আমার সঙ্গে যাবে, আমার সঙ্গে পিছলা খাবে, সেজন্য আমি যাব।" মাদিয়ান এখন ভাত খেয়ে দেয়ে মাঠে খেলতে গেল। তারপর বাসায় এসে ভাত-টাত খেয়ে ঘুমাতে গেল। তারপর সকাল বেলা ঠিকই সে উঠল। তবুও তার কাগজ দেখা লাগল না, তার এমনই মনে পড়ে গেল, সেই গোলাপ গাছ থেকে গোলাপ ফুল তোলা। সে দৌড়িয়ে মুখ-টুখ ধুয়ে মায়ের কাছে গেল। বলে, "মা, তুমি বলেছিলে গোলাপ ফুল তুলতে, চল।" "না, মা। সকালের নাস্তা আমি তোমার জন্য নুডুলস রান্না করেছি। তুমি তাড়াতাড়ি খেয়ে নাও। খেয়ে তারপর তুমি গোলাপ ফুল তুলতে যাবে।" তারপর বাবু সব খেয়ে নিল। তারপর মাদিয়ান মায়ের সঙ্গে গোলাপ ফুল তুলতে গেল। তারপর গোলাপ ফুল নিয়ে এল। তারপর যা করার সব করল। বাবাকে যা বলার, তাই বলল। তারপর গোলাপ ফুলটা সাজানোর জায়গায় সাজিয়ে নিল। তারপর বাবুটা দাওয়াত দিল। সবাই এসে গোলাপ ফুলটা দেখে হাসাহাসি শুরু করল।

বাঘ ও শিয়াল

এক দেশে ছিল একটি বাঘ। বাঘের ছিল তিনটি বাচ্চা। বাচ্চা দুটো খালি খাবার খেতে চাইত। আর একটি বাচ্চা শুধু বাইরে যেতে চাইত। দুজন বাচ্চা খাওয়ার জন্য কী জেদ ধরল, এখন বাঘ শিয়ালের বাড়িতে গিয়ে বলল, "শিয়াল ভাই, এই জেদগুলো থামানোর কি উপায়?" শিয়াল বলল যে, "তবে একটা চিঠি দিয়ে নেই। এখন তো কথা বলার সময় নেই। আমি এখন অনেক কাজ করব। সেজন্য এখন কি করতে হবে সেগুলো চিঠিতে লিখে কাগজটি তোমার কাছে দিয়ে দেব।" তখন চিঠিতে লিখল কি জান, বাঘ ভাই! আপনার খাবার আনতে তো কষ্ট হয়। আপনি বরং বাচ্চাদের বুঝান। বল (Incomplete)

Friday, September 5, 2014

চৌধুরী বাড়ি

এক ছিল এক লোকলোকটির নাম মহিনাথ চৌধুরীতাকে সবাই চৌধুরী বলে ডাকেসে হল সংসারের সবথেকে ভাল কাজ করে দেয়একদিন তার একটি ছেলে হলতারা ছেলেটাকে খুব আদর করলএবং ছেলেটাকে মধু, দুধ এগুলো খাওয়ালোবাচ্চাটির বয়স দুই দিনছেলেটাকে জন্মের সাথে সাথে দুধ খাওয়ালোদুধ খাওয়ালো এবং বাচ্চাটাকে খুব আদর করল এবং বাচ্চাটাকে নরম খাটে ঘুমাতে দিলছেলেটাকে এত আদর করে সুন্দর চাদর বিছিয়ে কষ্ট করে ঘুম পাড়িয়ে বিছানায় শুইয়ে দিলএরপর বাচ্চা ঘুমালোএবং তার মাও ঘুমালোএকটু পর বাচ্চা নিজেই ঘুম থেকে উঠে "ওয়্যাও" করে কাঁদতে লাগলবাচ্চার "ওয়্যাও" শুনে মা চমকে ঘুম থেকে উঠে গেলউঠে বাচ্চাটাকে কত আদর করে কান্না থামালবাচ্চাটাকে কোলে তুলে নিয়ে ঘুরলএবং সেই চৌধুরীকে ডাকলডেকে বলল যে, ছেলেটার ঘুম ভেঙ্গে "ওয়্যাও" করে কেদে উঠেছেআমি ওকে আর কান্না থামাতে পারছি নাতুমি একটু কোলে নিযে ওকে নাচাও, বাইরে গিয়ে একটু দৌড়াদৌড়ি করতখন সে বাচ্চাকে কোলে তুলে নিয়ে হাটল এবং মাঠে দৌড়ালতারপর বাচ্চার কান্নাটা থামলবাচ্চাকে এমন আদর করতে করতে দিনরাত গেল, তবুও আদর করতে থাকলবাচ্চার কান্নাও থামল নাতারপর বাচ্চাটিকে ওরা এমন আদর করতে করতে রাতের খাবার খাওয়ার সময় হয়ে গেলতারপর বাচ্চার কান্না থামলতখন ওরা দৌড়ে নামাজ-কালাম পড়ে প্লেট ধুয়ে খাবার আনলতারা খেয়ে দেয়ে তার মা বেশি করে পানি খেয়ে বাচ্চার পাশে শুয়ে বাচ্চাকে কত আদর করে দুধ খাওয়ালবাচ্চাটা এত মজা করে দুধ খেল যে, দেখলে মনে হয় যেন সারা জীবনে কিছু খায়নিতারপর সে খেয়ে দেয়ে উঠে ঘুমাতে লাগলঅনেক অনেক দিন পর ছয় মাস হয়ে গেলতখন তার বাচ্চাটি পাতলা খাবার খাওয়া শিখলছয় মাস না হওয়া পর্যন্ত খাওয়া শিখাতে পারছিল নাদুধ ছাড়া অন্য কিছু খাওয়াতে শিখাতে পারেনিশুধু ছয় মাস পর পর বাচ্চা অন্য পাতলা খাবার খাওয়া শিখলতখন গাজর ব্লেন্ড করে জুস বানিয়ে ফিডারে ভরে এনে তারপর একটু গরম করে বাচ্চাকে দিলবাচ্চা খেতে লাগলখেয়েদেয়ে তারা উঠে বাচ্চাকে আবার ঘুম পাড়িয়ে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে গেল তিন বছরের নিচে তার বাবা-মা কথা শিখালোএরপর ছেলেটা আরও অনেকদিন পর বড় হলতার তখন ১২ বছর বয়সতখন সে আস্তে আস্তে একটু করে দুষ্টু হতে লাগলসে শুধু লুকিয়ে থাকেখাবার খায় ভাত নিয়ে এসে লুকানোর জায়গায় বসে বসে খায়কত দুষ্টু! লুকানোর জায়গায় লুকিয়ে সব কাজ করেলুকানোর জায়গায় বসে বসে ফুটবল খেলেআর যখন ইচ্ছা হয় যে, বন্ধুদের সাথে খেলবে, তখন মাঠে গিয়ে গাছের পিছনে গিয়ে লুকিয়ে ফুটবল খেলতঅনেক দিন পর সে খুব ভাল ছেলে হল১২  বছরের আগে সে স্কুলে গিয়েছিল না? স্কুলে অনেক পড়ালেখা শিখেছিলসে লিখতে গিয়ে ২ নম্বর কাটা গিয়েছিলকারণ, তাকে লিখতে দিয়েছিল যে, সকাল থেকে তুমি কি কর? সকাল থেকে কি কি করার মধ্যে সে লিখে ফেলল যে, আমি সব সময় বই-খাতা আউলিয়ে রাখিসেজন্য সে দুই নম্বর কাটা গিয়েছিলএখন সে অনেক লক্ষ্মী এবং ১২ বছরে যেই ক্লাসে ভর্তি হয় সেই ক্লাসে খুব ভাল মানের লেখাপড়া করে এবং বাসায় এসে খুব ভাল করে লেখাপড়া শেখে এবং থাকেএকদিন চৌধুরী বাড়িতে অচেনা কয়েকটি লোকজন এলকলিং বেল দিলদরজা খুলে দেখল যে, কয়েকটা মানুষ,অপরিচিতআত্মীয়-স্বজন নাতার বাসায়ও কখনো যায়নিতারপর দেখল, তারা বলে ওঠে যে, কিছু খাবার দেবেন? কিছু খাবার খেতে এসেছিঅন্য বাড়িতে কেউ খাবার দিচ্ছে নাশুধু এক বাড়িতে একটুখানি এক চিমটি ভাত খেতে দিয়েছেআমরা সেটুক খেয়েই খিদে মিটে আছিআপনারা কি একটু খেতে দেবেন? বলে, "হ্যাঁ, আমাদের বাসায় অনেক খাবার দাবার আছেআমার একটা ছেলে আছেসে রান্না করা শিখে গেছেআমাদের এই বাড়ির সবাই রান্না-বান্না করতে পারেতাই এখানে বেশি বেশি খাবার পাবেনআমাদের খাবার শেষ হবার পর কিছু খাবার রয়ে যায়।" "আসেন আসেন, তবে ভিতরে আসেনআমি পাটি বিছিয়ে দিচ্ছিতবে আপনি যদি বলেন যে, আমাদেরকে খাবার দিয়েছেনএটা কিন্তু বলবেন না কারো কাছেবললে কিন্তু আবার এসে অন্যরাও খাবেআপনারা শুধু আরেকবার খেয়ে যেতে পারবেন।" এই বলে পাটি বিছিয়ে শেষের কতটুকু ভাত এনে পাটিতে বিছিয়ে দিলআর খেতে দিলতারপর মাছ, মুরগী, ডিম, মাংস, ভাত এগুলি খেয়ে ওরা আনন্দ করলওদের পেটটা ভরে গেলএবং ওরা সুখে-শান্তিতে থাকতে লাগলএবং বাড়ি থেকে বের হয়ে যেই বের হতে গেল, অমনি বলল, ভাই যাইয়েন না, একটু থাকবেনবলে, হ্যাঁ, তা তো থাকবোইইচ্ছে করল, অন্য বাড়িতে বেশি বেশি ভাত থাকলে একটু খেয়ে নেই।" বিশ্রাম নিবেন? হ্যা, আমাদের মাঠে একটি পাটি আছে, সেখানে বিশ্রাম করবেন। "না, না। আমি আপনাদেরকে মাঠে যেতে দেব না। আপনারা এখানে এসে বিশ্রাম করেন। কত সুন্দর একটা খাট! আমরা সেই খাটটায় উঠতেই পারছি না। খাটটাতো এখন নোংরা হয়ে আছে। একটু পরিস্কার করে আপনাকে শুতে দেব।" বলে যে, "ঠিক আছে, আপনি যখন অনেক কাড়াকাড়ি করে আপনাদের বিছানায়ই শুতে দিচ্ছেন, তখন কি আর আমি যাব? আপনি আমাদের খাবার-দাবার খাইয়ে যখন অন্য আদর-যত্ন করেছেন, তখন আপনাদের বিছানায়ই শুয়ে পড়ি। আপনারাই মনে হয় বেশি আদর করবেন।" তখন সে বলে ওঠে, "হ্যাঁ, আদর তো করবো। কারণ, আমাদের বাড়িতে যে বেশি বেশি ভাত রান্না হয়, জান? আমরা তো বইয়ের ব্যবসা করি। কত টাকা পেলাম! এই টাকা দিয়ে চাল কিনতে গেলাম। ওরা অনেক বড় একটা বস্তায় অনেক চাল দিল। সেই জন্যই তো আমরা বেশি বেশি খাবার রান্না করি আর শেষেরটুকু রয়ে যায়। সেজন্যই তো তোমাদের খাবার দিলাম। কিন্তু আমরা অনেক ভাল। এর পরে আসলেও খাবার খেতে পারবে। এখন তাহলে শুয়ে পড়।" তারপর তারা বিছানায় গেল। তারপর অনেকক্ষণ হল। তারপর রাত্রে বেলা তারা ঘুমালো। তারপর রাত্রে উঠে তাদেরকে আরো কি সুন্দর খাবার দিল। ভাত, মাংস, মাছ, মুরগী, খাসীর গোশত, শাক, ভাত এগুলো খেতে দিল। তারা খুব মজা দিয়ে খেল। তবু তাদের মনটা খুব ভাল। তারা একেবারে মনের আনন্দে ঐ বাড়িতে ফুলের গাছের কাছ দিয়ে ঘুরল এবং আনন্দ করল এবং তারা বাড়ি থেকে বের হল। বলল যে, "ভাই, তোমরা এত খাবার দাবার দাও। পরে আসলেও কিন্তু খাবার দাবার দিবে।" "হ্যাঁ, অবশ্যই দিব। তুমি তাহলে যাও। তোমার বন্ধুদের নিয়ে।" তখন তারা ঘর থেকে বের হয়ে দৌড় দিয়ে সারা দেশ ঘুরে ঘুরে বেড়াল যে, আর কোথায় যাব, আর কোথায় যাব, আর কোথায় ঘুরব, আর কোথায় বিশ্রাম নিব এরকম করে ওরা কথা বলতে লাগল। ওরা যে তিনজন ছিল, তিনজন মিলে ওদের বাসায় যে গিয়েছিল, এখন ওরা ঘুরতে ঘুরতে আরেক বাড়িতে গেল। সেই বাড়ির নাম গোটা চাচার বাড়ি। সেই বাড়িতে খাবার দাবার কেউ বেশি করে রান্না করতে পারত না। ওরা নিজেরাই খেত। এখন ওরা এসে পড়ল। বলল যে, ভাই, একটু খাবার দেবেন? কিছু খাইনি। শুধু একদিনই আমরা কিছু খাবার খেয়ে আছি। কোনদিনই খাইনি, একদিন শুধু খেয়েছি। আপনারা কি একটু দেবেন? দিলে আমাদের ক্ষুধাটাও মিটে যাবে। তবে আমরা এ খাবার দাবার খেয়ে মাথায় বুদ্ধি এনে কিছু ব্যবসা করে টাকা নিয়ে আমরা নিজেরা চাল কিনে ভাত খেতে পারব। এখন হয়তো একটু খাবার খেতে দেন। বলে যে, "খেতে দিব, কিন্তু আমরা তো তাহলে খেতে পারব না।" "কেন, আপনাদের বাসায় কি ভাত রান্না বেশি হয় না?" "বলে, না। আমাদের বাসায় কিছু রান্না হয়। তবে আমি খাব না, আপনারা খান। আপনাদের সঙ্গে আমি খেতে পারব না। আমরা খাবার খেয়ে আরেকটু রান্না করে রাখি। এখন তো তবে একজনের ভাত রান্না করলাম। একজন খেতে বসুন, ততক্ষণে আরেকজনের ভাত রান্না করি। তখন একজন ...। এরপরে সবার শেষের লোকটিকে খাবার দিল। তখন তাদের মাথায় বুদ্ধি এল। তখন তারা ব্যবসা করে টাকা নিয়ে চাল কিনে তরকারি কিনে ভাত রান্না করে খায়। এবং বড় একটা বিল্ডিং বানিয়ে ছোট্ট একটু ঘর থেকে বের হয়ে বড় বিল্ডিংয়ের ভিতর ঢুকল। যারা একটু খাবার দিয়েছিল সেই দুই বাড়ি চৌধুরী বাড়ি ও গোটা চাচার বাড়ির মানুষদেরকেও বড় বিল্ডিংয়ে এনে ঢুকালো। আর বলল যে, "চৌধুরী বাড়ির মানুষ, গোটা চাচার মানুষ তোমাদের বাড়ির মানুষরা একটুখানি ছোট ঘরের ভিতর থাক। এখন বড় বিল্ডিংয়ের ভিতর এসে থাক।" এবং তারা সুখে-শান্তিতে বাস করল। এবং সেই ছোট্ট কুড়ে ঘরগুলো তাদের এক জায়গায় রয়ে গেল। এবং গরীব লোকেরা ঘর খোঁজে যে, তারা ঐখানে গিয়ে থাকল। তারাই ওই দুই বাড়িতে এসে থাকল। এবং আমার বাবা গল্পটাকে বেশী মজার মনে করেছিল।