Tuesday, December 29, 2015

জামিলের গল্প

জামিল খুব দুষ্টু ছেলে। তার বয়স তিন বছর। মা একদিন তাকে র্মাকেটে নিয়ে গেল। জামিল একটা ব্যাগের দোকানের পিছনে লুকালো। মা তখন বাবাকে বলল," এই ! জামিলের ব্যাগটা কই? বাবা বলল, সে তো জামিলের কাছে। তোমার পাশেই তো জামিল আছে। তুমি তার কাছ থেকে নাও। মা বলল, জামিল তো আমার পাশে নেই। মা কাঁদতে ,আহ, আহ, আহ, এহ, এহ, এহ, ওহ, ওহ, ওহ। আহ! কেঁদো নাতো। তুমি ওদিকে খোঁজো। আমি এদিকে খুঁজছি। কেউ জামিলকে খুঁজে পেল না। তখন মা বাবাকে বলল, "হানি কম কেক যদি আন তবে ও গোসল থেকে উঠে আসে। তবে তুমি এক কাজ কর হানি কম কেক কিনে আন। তারপর যা বলব তাই করবে।" বাবা তখন হানি কম কেক কিনে আনলো। মা বলল, একটা কথা তুমি জোরে করে বলতে পারবে? বল যে, এই হানি কম কেক খেয়ে আমরা শক্তি বাড়াই। তার পর খোঁজা যাবে। এই কথাটা বলও। তখন বাবা এই কথাটা বলল।" তখনই জামিল দোকানের পিছন থেকে বের হয়ে আসলো। জামিল বের হয়ে এসেই বলল," আমি হানি কম কেক খাব।" মা বাবা হাঁসলো, হাঃ, হাঃ, হাঃ । এসেই খাব খাব করে পাগল হয়ে যাচ্ছে।

Monday, December 28, 2015

মানিকের গল্প

এক ছিল এক দেশ। সেই দেশে ছিল এক ছেলে। তার নাম মানিক। তার বয়স আঠারো। সেই দেশের নিয়ম ছিল দুপুর একটার পর থেকে ৫ হাজারের বেশি টাকা নিয়ে রাস্তায় ঘুরলে ডাকাতরা টাকা নিয়ে নিবে আর মানুষটাকেও মারবে। মানিকের ছিল এক বন্ধু। তার নাম রফি। রফির ৫ হাজার টাকার খুব প্রয়োজন ছিল। মানিক ফোনে শুনেছিল দশ হাজার টাকা।  মানিক নিয়মটা জানতো। তাই সে সকাল ৮ টার দিকে বের হলো। দুই ঘন্টা লাগলো যেতে। রফি তখন চা খাচ্ছিল । রফির বাসায় সে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে বলল "রফি, খাচ্ছে চায়ের কফি।" মানিক ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে রফিও বলল, "টাকা দাও, টাকা দাও। দিয়ে তুমি বাড়ি যাও। হাঃ হাঃ হাঃ কেমন আছ? তুমি আমার সাথে মজা করেছো তাই আমিও করলাম। আমি রফি ভুলে গেছো? অনেক দিন পরে তোমার সাথে দেখা হলো।" মানিক বলল এই নাও টাকা। তখন রফি বলল আমি তো ৫ হাজার চেয়েছি তুমি ১০ হাজার নিয়ে এলে যে, আমি তো ভাল মোবাইল দিয়ে বলেছি তুমি তাও শুনলে না। ৫ হাজার নিজের কাছে রাখ।" কিন্তু নিয়মটাতো এখন মানবে কি করে? এখন তো ১ টা পার হয়ে গেছে। রফির বাসার পাশেই তো এয়ারর্পোট ছিল। তখন সে ৫ হাজার টাকা দিয়ে প্লেনে করে বিদেশে (অস্টেলিয়া) চলে গেল।সেখানে গিয়ে মানিক আরও ৫ হাজার টাকা জোগার করল। ওদিকে মানিকের মা বাবা চিন্তায় পরে গেল। বাবা সারাক্ষণ বলতে থাকল আমার মানিক কৈ? আর মা সারাক্ষণ বলতে থাকল মানিক এমন করছে কেন? দাদা ,দাদী সারাক্ষণ বলতে থাকল মানিকের কোন বিপদ হয়নি তো! নানা নানী সারাক্ষণ বলতে থাকল ও কোন দুষ্টুমী করল না তো। খালা খালু ,মামা মামী, চাচা চাচী, ফুফা ফুপি, ভাই বোন সারাক্ষন বলতে থাকল মানিকের কি হলো? আর ওদিকে মানিক ঘোড়ার পিঠে ও হাতীর পিঠে উঠল। আর যখন মানিকের ১৯ বছর হয়ে গেল  তখন তার আত্নীয়রা ভাবল, "মানিক যদি থাকত তাহলে জন্ম দিন পালন করতাম।" তার  এক সপ্তাহ পর মানিক প্লেনে করে আবার রফির বাসার পাশের এয়ারর্পোটে নামল। তার কাছে মাত্র ত্রিশ টাকা ছিল। বিশ টাকা সে বাড়ি যেতে কাজে লাগাল। এখন সে ১০ টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরল। তারপরে রফি, মানিক ও তার আত্নীয়রা গল্পের ঝুড়ি থেকে চলে গেল। আর গপ্লের ঝুড়ির গল্প শেষ হয়ে গেল।

Sunday, December 27, 2015

অমিতার গল্প

অমিতা একদিন স্কুলে যেতে চাচ্ছিল না। মা এতো করে বলল, " স্কুলে না গেলে শিখবে কেমন করে?" অমিতা বলল, "প্রতিদিনই তো যাই। আজ একটু বাসায় থাকি না।" মা বলল, " আমার সোনা, আজ পরীক্ষা আছে। আজ না গেলে তো রোল পিছিয়ে যাবে।"  "বাবা এসে বলল, আহ! ঝগড়া করো না। এই অমিতার মা, একটু বুঝিয়ে বল যে, কাল না হয় য্ওে না। আজ যা্ও। আজ তো অংক পরীক্ষা। আজ না গেলে কিন্তু ফেল করে ফেলবে। তুমি ফেল করলে তো সবাই খরাপ বলবে।এই বলে বুঝালে তো সে স্কুলে যাবে।" মা এসব বুঝিয়ে বলল। তারপর অমিতা স্কুলে গেল। তারপর স্কুলে দেখা গেল এক টিচার পাগল হয়ে গেল। অন্য টিচার পরীক্ষা নেয়া বাদ দিয়ে সেই কান্ড দেখতে গেল। অতএব পরীক্ষা আর হল না। পাগল টিচারটি রাস্তার মানুষদের সামনে আবোল তাবোল এই সেই যা পায় তাই নিয়ে পাগলামী শুরু করল। আর ওদিকে পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল দুই ঘন্টা। কিন্তু দশ মিনিটেই তো এই ঘটনা ঘটে গেল। কারও মা বাবাই আসেনি। মা বাবারা তো কিছুই জানে না। সব ক্লাসের বাচ্চারা এক এক করে অফিসের স্যারের কাছে গেল। স্যারের কাছে মা বাবার ফোন নম্বর বলে দিল। তারপর স্যার সবার মা বাবা কাছ ফোন দিল। তারপর মা বাবারা এসে সবাইকে নিয়ে গেল। অমিতার মা বাবা অমিতাকে নিয়ে গেলো। মা বাবা জিজ্ঞাসা করল, তুমি পরীক্ষা ভাল দিয়েছ। এটা কি তাড়াতাড়ি লেখার পরীক্ষা? স্যার আমাকে তাড়াতড়ি আসার জন্য ফোন দিল কেন? অমিতা বলল, "তোমরা এতো বোকা কেন? তাড়াতাড়ি লেখার পরীক্ষা হলে তো আগেই জানাত।" তারপর অমিতা বাবা মাকে সব খুলে বলল। তখন থেকে অমিতা প্রতিদিনই মা বাবার সাথে দুষ্টুমি করে বলত, "আমার কথাই ঠিক। আমি সেদিন তো স্কুলে যেতে চাইনি। তোমরাই তো স্কুলে পাঠিয়ে ছিলে। নাহলে তো  ফাও-ঘুল্লা (বৃথা চক্কর) দিতে হতো না।" এখন সবাই গল্পের ঝুড়ি থেকে চলে গেল। গল্পের ঝুড়ির গল্পও শেষ হয়ে গেল।

Monday, December 21, 2015

আয়েশার টুথপেস্ট

আয়েশা ভারি দুষ্টু মেয়ে। ওর বয়স ২০১৬ সালে পাঁচ হবে। এখন সাড়ে চার বছর প্রায় শেষ হয়ে গেছে। আর পরে তো পাঁচ বছর হবেই। সে কিন্তু খুব ভারি দুষ্টু মেয়ে। সে ভাত খেয়ে দাঁত ব্রাশ করতে চাইতই না। তার বাবা তার জন্য একটি পেস্ট কিনল। সেটা দিয়ে কোন দাঁত ভাল পরিস্কার হয়ে যায়। সেটা খুব মিষ্টি পেস্ট। এখন একদিন সকালে পেস্ট দিয়ে জোর করে দাঁত ব্রাশ করালো। ঐ মিষ্টি পেস্টটা দিয়ে। তারপর বাবু আগে তো পেস্ট দিয়ে ব্রাশ করতে চাইতই না, এখন আবার মিষ্টি দেখে তার নেশা হয়ে গেছে। এখন সে প্রতিদিন দাঁত ব্রাশ করে। ২০১৬ সালে তার পাঁচ বছর হয়ে যাওয়ার পর কি হল জান? তখন তো পেস্টটা শেষ হয়ে গিয়েছিল। এখন বাবা আরেকটা পেস্ট কিনে আনল। তখন বাবুটা দুষ্টুমি করে পেস্টের অর্ধেক সে দাঁত ব্রাশ করে শেষ করল, আর বাকি অর্ধেক মা-বাবারা যখন ঘুমায় তখন উঠে জুসের মত চুমুক দিয়ে সমানে খেয়ে ফেলতে থাকে। তারপর বাবা দেখল যে, দুইদিনে পেস্ট কি করে শেষ হল। সে আবার সে কয়দিন দাঁত মুখ ভাল করে ধুয়েছিল না ভাত খেয়ে। পেস্টের মুখে আবার বাবুর মুখের ভাত লেগেছিল। তাই দেখে মা বুঝল যে, সে পেস্টটাকে খেয়েছে। সে বাবাকে বলল, এই জান তোমার মেয়ের কাণ্ড, কত দুষ্টু? এইজন্যই মানুষ তাকে ভারি দুষ্টু বলে। আমি তো জানতামই না, তোমার মেয়ে যে এত দুষ্টু। তখন বাবা বলল, আরে কি হয়েছে সেটা শুনি। মা বলল, "আরে, তোমার মেয়ের কাণ্ড শোন। তোমার মেয়ে পেস্ট চুমুক দিয়েই খেয়ে ফেলেছে। তাই তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেছে। আর তুমি কত আহলাদ কর! ভিডিও দেখতে চাইলেই ভিডিও এনে দাও। তারপর বাচ্চা চকলেট কিনতে বললেই কিনে দাও। আর তোমার মেয়ে পেস্টটাকে চুমুক দিয়ে ভট্টাত করে খেয়ে নিল। আর তোমাকে বললাম, রাতে উঠে একটু মেয়েটাকে দেখে রাখতে, যেন উঠে না যায়। আর তুমি সেকথা মনে না রেখে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়লে। এখন কি করবে? এই পাশের শহর আর এই গ্রামটিতে একটাও দোকান নেই। শুধু আছে একটু কাপড়ের দোকান। পরে তো আবার মুন্সীগঞ্জ গিয়ে পেস্ট এনেছিলে আগে। এখন আবার বাসে করে মুন্সীগঞ্জ যাও, টিকেট কাট।" পরে বাবুটিকে বাবা পেস্ট কিনে দিল। আবারও এমন ঘটনা করেছে। কিন্তু সেইবার পেস্টটা বেশি বড় ছিল, তাই তিনদিন লেগেছে।