এক ছিল গরীব লোক। গরীব লোকটার কোন জামার
অভাব ছিল না। কিন্তু খাবারের অভাব অনেক বেশি ছিল। আর টাকা-পয়সাও ছিল না। সে একদিন
একটা মাঠ দেখতে পেল। মাঠের ভিতর একটি ঘর ছিল। সেই ঘরে অনেক হ্যাঙ্গার ছিল। আর ছিল
কাপড় রাখার জায়গা, আর চেয়ার-টেবিল। সেটা দেখতে পেয়ে সেখানে তার কাপড়ের দোকান দিল। আরেক
ছিল ধনী লোক। তার কোন কাপড় ছিল না। ছিল শুধু একটা মাত্র লুঙ্গি, আর একটা মাত্র
গেঞ্জি। সে আগে মিথ্যেবাদী ছিল। তাই তার সব জামা মানুষে নিয়ে গেছে। কেউ তার কাছে
জামা বিক্রিও করে না, কারণ ভাবে সে আমাদের আসল পয়সা বলে নকল পয়সা দেবে। সে ঐ গরীব
লোকটার দোকানে গেল। সেখান থেকে একটি কাপড় কিনল। গরীব লোকটি চেয়েছিল ৫০ টাকা।
কিন্তু ধনী লোকটা তো এখন ভাল হয়ে গেছে। তাই সে বলল, "না, ভাই। আমি আপনাকে ৯০
টাকাই দেব। কারণ, আপনি আমার এতবড় একটা উপকার করলেন। আমি তো জামাই পেতাম না, যদি
আপনি আমার কাছে বিক্রি করতে রাজি না হতেন।" গরীব লোকটি বলল, "না, না। এত
বেশি দেয়ার দরকার নেই। শুধু কমই দেন, আপনিও তো খুব ভাল।" "না, না ভাই।
এই নেন ৯০ টাকা।"- বলে লোকটা ৯০ টাকা দিয়ে জামাটা নিয়ে চলে গেল। যাবার আগে
বলে গেল, "এখন থেকে আমরা বন্ধু।" তারপর আরো এক সপ্তাহ কেটে যায়। গরীব
লোকটা একদিন পুকুরে গোসল করতে নামে। তখনই কে যেন পিরানহা মাছ পুকুরে ছেড়ে দেয়,
যেখানে ঐ গরীব লোকটি গোসল করছিল। ধনী লোকটি তা দেখে পুকুরের অপর পাড়ে পিরানহা
মাছের খাবার দিল, যাতে পিরানহা মাছগুলো গরীব লোকটিকে না খেয়ে ঐ খাবারের দিকে যায়। ধনী
লোকটি একদিন পতাকার ছবি আঁকছিল। ঐ সময় একজন লোক খাবারে বিষ মিশিয়ে তাকে দিল। গরীব
লোকটি তা দেখে ফেলল এবং তাকে গিয়ে বলল, "এটা খেও না, এখানে বিষ মিশানো
আছে।" এরপর ঐ গরীব লোকটির দোকানে অনেক মানুষ কিনতে আসে, আর সে ভাল থাকে; আর ঐ
ধনী লোকটিকে কাজে সাহায্য করে। আর ধনী লোকটিও তাকে সাহায্য করে।
এখন বলতো তোমরা, এ গল্পে কি কি শিক্ষণীয়
বিষয় আছে?
শিক্ষাঃ মোট তিনটি শিক্ষা আছে; যথা-
(১) মিথ্যে বললে সাজা পাবে।
(২) ভাল কাজে সওয়াব পাবে। [যেহেতু গরীব লোকটি কম দাম
চেয়েছিল, আর ধনী লোকটি বেশি দাম দিয়েছিল।]
(৩) বিপদের বন্ধুই আসল বন্ধু।
No comments:
Post a Comment