Tuesday, December 29, 2015

জামিলের গল্প

জামিল খুব দুষ্টু ছেলে। তার বয়স তিন বছর। মা একদিন তাকে র্মাকেটে নিয়ে গেল। জামিল একটা ব্যাগের দোকানের পিছনে লুকালো। মা তখন বাবাকে বলল," এই ! জামিলের ব্যাগটা কই? বাবা বলল, সে তো জামিলের কাছে। তোমার পাশেই তো জামিল আছে। তুমি তার কাছ থেকে নাও। মা বলল, জামিল তো আমার পাশে নেই। মা কাঁদতে ,আহ, আহ, আহ, এহ, এহ, এহ, ওহ, ওহ, ওহ। আহ! কেঁদো নাতো। তুমি ওদিকে খোঁজো। আমি এদিকে খুঁজছি। কেউ জামিলকে খুঁজে পেল না। তখন মা বাবাকে বলল, "হানি কম কেক যদি আন তবে ও গোসল থেকে উঠে আসে। তবে তুমি এক কাজ কর হানি কম কেক কিনে আন। তারপর যা বলব তাই করবে।" বাবা তখন হানি কম কেক কিনে আনলো। মা বলল, একটা কথা তুমি জোরে করে বলতে পারবে? বল যে, এই হানি কম কেক খেয়ে আমরা শক্তি বাড়াই। তার পর খোঁজা যাবে। এই কথাটা বলও। তখন বাবা এই কথাটা বলল।" তখনই জামিল দোকানের পিছন থেকে বের হয়ে আসলো। জামিল বের হয়ে এসেই বলল," আমি হানি কম কেক খাব।" মা বাবা হাঁসলো, হাঃ, হাঃ, হাঃ । এসেই খাব খাব করে পাগল হয়ে যাচ্ছে।

Monday, December 28, 2015

মানিকের গল্প

এক ছিল এক দেশ। সেই দেশে ছিল এক ছেলে। তার নাম মানিক। তার বয়স আঠারো। সেই দেশের নিয়ম ছিল দুপুর একটার পর থেকে ৫ হাজারের বেশি টাকা নিয়ে রাস্তায় ঘুরলে ডাকাতরা টাকা নিয়ে নিবে আর মানুষটাকেও মারবে। মানিকের ছিল এক বন্ধু। তার নাম রফি। রফির ৫ হাজার টাকার খুব প্রয়োজন ছিল। মানিক ফোনে শুনেছিল দশ হাজার টাকা।  মানিক নিয়মটা জানতো। তাই সে সকাল ৮ টার দিকে বের হলো। দুই ঘন্টা লাগলো যেতে। রফি তখন চা খাচ্ছিল । রফির বাসায় সে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে বলল "রফি, খাচ্ছে চায়ের কফি।" মানিক ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে রফিও বলল, "টাকা দাও, টাকা দাও। দিয়ে তুমি বাড়ি যাও। হাঃ হাঃ হাঃ কেমন আছ? তুমি আমার সাথে মজা করেছো তাই আমিও করলাম। আমি রফি ভুলে গেছো? অনেক দিন পরে তোমার সাথে দেখা হলো।" মানিক বলল এই নাও টাকা। তখন রফি বলল আমি তো ৫ হাজার চেয়েছি তুমি ১০ হাজার নিয়ে এলে যে, আমি তো ভাল মোবাইল দিয়ে বলেছি তুমি তাও শুনলে না। ৫ হাজার নিজের কাছে রাখ।" কিন্তু নিয়মটাতো এখন মানবে কি করে? এখন তো ১ টা পার হয়ে গেছে। রফির বাসার পাশেই তো এয়ারর্পোট ছিল। তখন সে ৫ হাজার টাকা দিয়ে প্লেনে করে বিদেশে (অস্টেলিয়া) চলে গেল।সেখানে গিয়ে মানিক আরও ৫ হাজার টাকা জোগার করল। ওদিকে মানিকের মা বাবা চিন্তায় পরে গেল। বাবা সারাক্ষণ বলতে থাকল আমার মানিক কৈ? আর মা সারাক্ষণ বলতে থাকল মানিক এমন করছে কেন? দাদা ,দাদী সারাক্ষণ বলতে থাকল মানিকের কোন বিপদ হয়নি তো! নানা নানী সারাক্ষণ বলতে থাকল ও কোন দুষ্টুমী করল না তো। খালা খালু ,মামা মামী, চাচা চাচী, ফুফা ফুপি, ভাই বোন সারাক্ষন বলতে থাকল মানিকের কি হলো? আর ওদিকে মানিক ঘোড়ার পিঠে ও হাতীর পিঠে উঠল। আর যখন মানিকের ১৯ বছর হয়ে গেল  তখন তার আত্নীয়রা ভাবল, "মানিক যদি থাকত তাহলে জন্ম দিন পালন করতাম।" তার  এক সপ্তাহ পর মানিক প্লেনে করে আবার রফির বাসার পাশের এয়ারর্পোটে নামল। তার কাছে মাত্র ত্রিশ টাকা ছিল। বিশ টাকা সে বাড়ি যেতে কাজে লাগাল। এখন সে ১০ টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরল। তারপরে রফি, মানিক ও তার আত্নীয়রা গল্পের ঝুড়ি থেকে চলে গেল। আর গপ্লের ঝুড়ির গল্প শেষ হয়ে গেল।

Sunday, December 27, 2015

অমিতার গল্প

অমিতা একদিন স্কুলে যেতে চাচ্ছিল না। মা এতো করে বলল, " স্কুলে না গেলে শিখবে কেমন করে?" অমিতা বলল, "প্রতিদিনই তো যাই। আজ একটু বাসায় থাকি না।" মা বলল, " আমার সোনা, আজ পরীক্ষা আছে। আজ না গেলে তো রোল পিছিয়ে যাবে।"  "বাবা এসে বলল, আহ! ঝগড়া করো না। এই অমিতার মা, একটু বুঝিয়ে বল যে, কাল না হয় য্ওে না। আজ যা্ও। আজ তো অংক পরীক্ষা। আজ না গেলে কিন্তু ফেল করে ফেলবে। তুমি ফেল করলে তো সবাই খরাপ বলবে।এই বলে বুঝালে তো সে স্কুলে যাবে।" মা এসব বুঝিয়ে বলল। তারপর অমিতা স্কুলে গেল। তারপর স্কুলে দেখা গেল এক টিচার পাগল হয়ে গেল। অন্য টিচার পরীক্ষা নেয়া বাদ দিয়ে সেই কান্ড দেখতে গেল। অতএব পরীক্ষা আর হল না। পাগল টিচারটি রাস্তার মানুষদের সামনে আবোল তাবোল এই সেই যা পায় তাই নিয়ে পাগলামী শুরু করল। আর ওদিকে পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল দুই ঘন্টা। কিন্তু দশ মিনিটেই তো এই ঘটনা ঘটে গেল। কারও মা বাবাই আসেনি। মা বাবারা তো কিছুই জানে না। সব ক্লাসের বাচ্চারা এক এক করে অফিসের স্যারের কাছে গেল। স্যারের কাছে মা বাবার ফোন নম্বর বলে দিল। তারপর স্যার সবার মা বাবা কাছ ফোন দিল। তারপর মা বাবারা এসে সবাইকে নিয়ে গেল। অমিতার মা বাবা অমিতাকে নিয়ে গেলো। মা বাবা জিজ্ঞাসা করল, তুমি পরীক্ষা ভাল দিয়েছ। এটা কি তাড়াতাড়ি লেখার পরীক্ষা? স্যার আমাকে তাড়াতড়ি আসার জন্য ফোন দিল কেন? অমিতা বলল, "তোমরা এতো বোকা কেন? তাড়াতাড়ি লেখার পরীক্ষা হলে তো আগেই জানাত।" তারপর অমিতা বাবা মাকে সব খুলে বলল। তখন থেকে অমিতা প্রতিদিনই মা বাবার সাথে দুষ্টুমি করে বলত, "আমার কথাই ঠিক। আমি সেদিন তো স্কুলে যেতে চাইনি। তোমরাই তো স্কুলে পাঠিয়ে ছিলে। নাহলে তো  ফাও-ঘুল্লা (বৃথা চক্কর) দিতে হতো না।" এখন সবাই গল্পের ঝুড়ি থেকে চলে গেল। গল্পের ঝুড়ির গল্পও শেষ হয়ে গেল।

Monday, December 21, 2015

আয়েশার টুথপেস্ট

আয়েশা ভারি দুষ্টু মেয়ে। ওর বয়স ২০১৬ সালে পাঁচ হবে। এখন সাড়ে চার বছর প্রায় শেষ হয়ে গেছে। আর পরে তো পাঁচ বছর হবেই। সে কিন্তু খুব ভারি দুষ্টু মেয়ে। সে ভাত খেয়ে দাঁত ব্রাশ করতে চাইতই না। তার বাবা তার জন্য একটি পেস্ট কিনল। সেটা দিয়ে কোন দাঁত ভাল পরিস্কার হয়ে যায়। সেটা খুব মিষ্টি পেস্ট। এখন একদিন সকালে পেস্ট দিয়ে জোর করে দাঁত ব্রাশ করালো। ঐ মিষ্টি পেস্টটা দিয়ে। তারপর বাবু আগে তো পেস্ট দিয়ে ব্রাশ করতে চাইতই না, এখন আবার মিষ্টি দেখে তার নেশা হয়ে গেছে। এখন সে প্রতিদিন দাঁত ব্রাশ করে। ২০১৬ সালে তার পাঁচ বছর হয়ে যাওয়ার পর কি হল জান? তখন তো পেস্টটা শেষ হয়ে গিয়েছিল। এখন বাবা আরেকটা পেস্ট কিনে আনল। তখন বাবুটা দুষ্টুমি করে পেস্টের অর্ধেক সে দাঁত ব্রাশ করে শেষ করল, আর বাকি অর্ধেক মা-বাবারা যখন ঘুমায় তখন উঠে জুসের মত চুমুক দিয়ে সমানে খেয়ে ফেলতে থাকে। তারপর বাবা দেখল যে, দুইদিনে পেস্ট কি করে শেষ হল। সে আবার সে কয়দিন দাঁত মুখ ভাল করে ধুয়েছিল না ভাত খেয়ে। পেস্টের মুখে আবার বাবুর মুখের ভাত লেগেছিল। তাই দেখে মা বুঝল যে, সে পেস্টটাকে খেয়েছে। সে বাবাকে বলল, এই জান তোমার মেয়ের কাণ্ড, কত দুষ্টু? এইজন্যই মানুষ তাকে ভারি দুষ্টু বলে। আমি তো জানতামই না, তোমার মেয়ে যে এত দুষ্টু। তখন বাবা বলল, আরে কি হয়েছে সেটা শুনি। মা বলল, "আরে, তোমার মেয়ের কাণ্ড শোন। তোমার মেয়ে পেস্ট চুমুক দিয়েই খেয়ে ফেলেছে। তাই তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেছে। আর তুমি কত আহলাদ কর! ভিডিও দেখতে চাইলেই ভিডিও এনে দাও। তারপর বাচ্চা চকলেট কিনতে বললেই কিনে দাও। আর তোমার মেয়ে পেস্টটাকে চুমুক দিয়ে ভট্টাত করে খেয়ে নিল। আর তোমাকে বললাম, রাতে উঠে একটু মেয়েটাকে দেখে রাখতে, যেন উঠে না যায়। আর তুমি সেকথা মনে না রেখে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়লে। এখন কি করবে? এই পাশের শহর আর এই গ্রামটিতে একটাও দোকান নেই। শুধু আছে একটু কাপড়ের দোকান। পরে তো আবার মুন্সীগঞ্জ গিয়ে পেস্ট এনেছিলে আগে। এখন আবার বাসে করে মুন্সীগঞ্জ যাও, টিকেট কাট।" পরে বাবুটিকে বাবা পেস্ট কিনে দিল। আবারও এমন ঘটনা করেছে। কিন্তু সেইবার পেস্টটা বেশি বড় ছিল, তাই তিনদিন লেগেছে।  

Sunday, November 1, 2015

খাটুনির মন্ত্রী

এক ছিল এক দেশ। সেই দেশের রাজা ছিল খুব শান্ত। তবে কিছুটা খারাপ, কিছুটা ভাল। সে একদিন তার মন্ত্রীকে বলল, "যাও, সব রাস্তায় টানিয়ে রাখ যে, কাল থেকে গাড়ি-ঘোড়া আসা-যাওয়া বন্ধ। আমি আমার হাতি নিয়ে সারা রাস্তা ঘুরে বেড়াব। আর হাতির নিচে একটা গাড়িও যদি পড়ে, সেই গাড়ি ভেঙ্গে প্যাট্রলের গন্ধ বের হবে, আর গাড়িটা্ও নষ্ট হবে। অতএব, গাড়ি-ঘোড়া বন্ধ রাখবে।" মন্ত্রী বলল, "যা বলবেন রাজামশাই, আমি ঠিক এই কাজ করব।" মন্ত্রী কাগজে সেইসব লিখে টানিয়ে দিল। তার পরেরদিন এই কথা পড়ে সবাই সকাল ৯ টার মধ্যে সব গাড়ি-ঘোড়া বন্ধ করে দিল। কিন্তু রাজা তা জানতেও পারল না। শুধু শুধু দেরি করল। মন্ত্রীকে ডেকে বলল, "কী মন্ত্রী! আমি কখন হাতি নিয়ে বের হব? রাজ্যের লোকেরা কি গাড়ি-ঘোড়া চলা বন্ধ করেছে নাকি? একটু খবর নিয়ে আস তো।" মন্ত্রী বলল, "আর লাগবে না। আমি তো আগেই দেখেছি যে, সবাই ৯ টার মধ্যেই সব গাড়ি বন্ধ করে ফেলেছে।" রাজা বলল, "বলিস কি রে? আমাকে তুমি বলবে না? এক্ষুণি আমার হাতি প্রস্তুত কর।  ২০ মুহূর্তের মধ্যে যদি আমার হাতি প্রস্তুত না হয়, এক চোটে তোর গলা কেটে দেব।" মন্ত্রী বলল, "ঠিক আছে।"- বলে মন্ত্রী এক দৌড়ে হাতির ঘরের কাছে গিয়ে হাজির হল। তারপর ভাবল, ইস! চাবিটাই আনলাম না। এখন কী হবে? এখন আমি কী করব? আবার যাই। আবার মন্ত্রী এক দৌড়ে চাবি আনতে গেল। গিয়ে দেখল, চাবিটা হারিয়ে গেছে। খুঁজতে খুঁজতে আরো অনেক দেরী হল। তারপর মন্ত্রী অনেক কষ্টে সে সেটা খুঁজে পেল। তারপর আরো এক দৌড় দিয়ে হাতিকে আনতে গেল। তারপর হাতির কাছে গিয়ে দেখল, হাতিটা ঘুমাচ্ছে। তারপর হাতির উঠতে আরো অনেক সময় লাগল। তারপর হাতি ওঠার পরও অনেক ঝিমুচ্ছে। তারপর অনেক কষ্টে হাতিকে উঠালো। যেতে যেতে দেখল, রাস্তা বন্ধ। আরো অনেক সময় দেরি হল। তারপর রাস্তা খুলে গেল। রাস্তা বন্ধ কেন ছিল জান? কারণ, ওখান দিয়ে অনেক ভিখারীরা আসা-যাওয়া করতে পারে। ভিখারীর জন্য রাস্তার মানুষদের অসুবিধা হয়। এইজন্য রাস্তা বন্ধ ছিল কিছুক্ষণের জন্য। আর তার পরের দিন ছিল বিজয় দিবস। বাংলাদেশের মতনই ঐ দেশ যেদিন বিজয় হয়েছে সেই দিন। আর এই জন্যই রাজা হাতি নিয়ে বেড়াতে চাইছিলেন। অনেক দেরী হয়ে গেল। এইবার রাজা বলল, "এত দেরী করলে কেন?" তারপর রাজা দেখে যে, একদম সন্ধ্যা ঘনিয়ে এল। তারপর রাজা তো বলল, "আজ আর যাওয়া হবে না। হাতিটাকে আবার গিয়ে রেখে আস।" মন্ত্রীটা কী যে করবে! মন্ত্রীটা মনে মনে ভাবে, "আমার এত খাটনি খাটছে কেন? আমি এমনই বা কি করলাম? রাজামশাই যা করে না। রাজামশাই এইটাও দেখতে পায় না যে, গাড়ি-ঘোড়া বন্ধ হল কিনা।"- এই ভাবতে ভাবতে হাতিটাকে নিয়ে যাবার সময় দেখে এক ভিক্ষুক। ভিক্ষুকটা বলল, "আমি তোমাকে চিনি। তুমি মন্ত্রী। মন্ত্রীদের কাছে টাকা-পয়সা বেশি থাকে। আমায় কিছূ না কিছূ পয়সা দিতেই হবে।" মন্ত্রী কী আর করবে! আবার টাকা বের করতে গিয়ে দেরি হয়ে গেল। তারপর ভিক্ষুককে সেটা দিয়ে আবার হাতিকে নিয়ে রওয়ানা দিল। তারপর হঠাৎ আবার হাতিটা ঘুমিয়ে পড়ল। হাতিটা উঠল আবার সেই রাত তিনটায়। তারপর হাতিটাকে নিয়ে যাওয়া-আসা করতেই ভোর হয়ে গেল। তারপর রাজা বলল যে, "আবার হাতিটাকে নিয়ে এসো।" এখন মন্ত্রী শুধু ভাবে, "কী হচ্ছে? রাজামশাই এরকম করছে কেন? শুধু হাতি নিয়ে যাও, হাতি নিয়ে আস।" মন্ত্রী আবার গেল ঐ হাতি আনতে। তারপর হাতিটা নিয়ে ফেরার পথে দেখে, একটা প্রজাপতি। মন্ত্রীটা ভাবল যে, রাজামশাই তো প্রজাপতি পছন্দ করে। আমি বরং পথের এই গাছগুলো দিয়ে খাঁচা বানাই। আর হাতিটাকে ঐখানে বেঁধে রাখি। সে ঠিকই বুঝল যে, বেঁধে রাখতে হবে। কিন্তু সে বেধে রাখার বুদ্ধি বের করতে গিয়েই আর বেধে রাখতে পারল না, ভুলে গেল। তারপর হাতিটা দেখে যে, একটা গাছ। গাছে অনেক বড় বড় ফল। হাতিটা ভাবল যে, এই ফলগুলো নিয়ে আমি পালিয়ে আমার বাচ্চাদের কাছে যাই। বাচ্চাদের সাথে কতদিন দেখা হয় না! আর বাচ্চারা হবার পর আমাকে রাজা ধরে নিয়ে পোষা প্রাণী বানাতে গেল আবার। এই ভেবে তার সন্তানদের জন্য ফল নিয়ে হাতিটা দৌড়ে পালালো। আর ওদিকে মন্ত্রী খাঁচা বানিয়ে দেখল, প্রজাপতিটা নেই। তখন বলল, "আমার এত খাটনি হচ্ছে কেন? যাই বাবা, প্রজাপতি রেখে কাজ নেই। হাতিটাকে নিয়ে এবার ঘরে যাই।" এখন দেখল, হাতিটা নেই। তারপর আবার খুঁজতে বের হল। খুঁজতে খুঁজতে আবার রাত হয়ে গেল যখন, তখন আবার পেল। তারপর রাজা বলল, "হাতিটাকে আবর নিয়ে রেখে আস।" তারপর আবার রেখে আসল। আবার ভোর হল। আবার হাতিটাকে আনতে বলল। তারপর হাতিটাকে গিয়ে নিয়ে আসল। তারপর রাজা বলল, "থাক। বিজয় দিবস তো পারই হয়ে গেছে। আবার হাতিটাকে রেখে আস। হাতিটা আমার এখন আর কোন কাজে আসবে না। পরে অন্য কোন দিবস আসলে তখন দেখা যাবে। আর শোন মন্ত্রী! আগে তো এক বেলাই খেতে দিতে। আজ আমরা তিন বেলা খাই, আর এই তিন বেলা মিলে ঐ হাতিকে তিন বেলার খাবার দিবি। কারণ, এই তিনদিন ধরে হাতিটার যা খাট হচ্ছে!" মন্ত্রী বলল, "শুধু হাতিটারই কি? আমার কি কোন খাটই হচ্ছে না? আমারও তো খাট হচ্ছে।" তখন রাজা বর্ণনা দিল-
তুমি তো সাধারণ মানুষ ছিলে। তুমি আমার মন্ত্রী হতে অনেক জেদ ধরেছিলে। তাই আমি তোমাকে বললাম যে, তুমি তাহলে আমাকে কথা দাও যে, তুমি আমার সব কাজ করতে পারবে। কোন ক্লান্ত হবে না। এই বলে আমি তোমায় মন্ত্রী বানিয়েছিলাম। আর মন্ত্রী বানানোর পরদিনই আমার মনে এসেছিল যে, তুমি এরকমই করবে। এই আগের ঘটনাগুলো এবার মনে পড়ল তো? যদি মন্ত্রী থাকতে চাও, তাহলে আর খাটুনির কথা বলো না। আর আরেকটা আগের কথা, ভাতও তো কম দেব কিন্তু। এইটা আমি বলেছিলাম। তাই খাটুনির কথা আর একটুও বলবে না।
তারপর থেকে মন্ত্রী আর খাটনির কথা বলে না, আর মন্ত্রী বেশি কম কাজ করার বায়নাও ধরে না।

Saturday, October 31, 2015

মায়ের কথা সত্যি হয়

এক ছিল এক ছেলে। তার বয়স ছিল ২৪ বছর। কয়েক বছর পর তার মা যখন মারা যাবে, তখন মা বলেছিল, "কোন মানুষ যদি কিছু দিয়ে বলে যে, এইটা তোমার কাজে লাগতে পারে, তাহলে সেটা রেখে দেবে, আর ধন্যবাদ জানাবে।" কিন্তু সে তার কথা শুনল না। ছেলেটির নাম ছিল হাবিব। একদিন এক লোক একটা ফলের ঝুড়ি তাকে দিয়ে বলল, "এটা তোমার কাজে লাগতে পারে।" তখন হাবিব বলল, "ধন্যবাদ। আমায় দিন।" বলে সে রেখে দিল। তারপর সে অনেকদিন ধরে অপেক্ষা করল আর ভাবল, কখন এটা আমার দরকার পড়বে। কিন্তু সেটা তার দরকার হল না। কিছুদিন পর আবার আরেক লোক এসে তাকে এক বোতল দিয়ে গেল আর বলল, "এটা তোমার কাজে লাগতে পারে।" সেটাও সে রেখে দিল আর ধন্যবাদ জানালো। তারপর অনেক দিন অপেক্ষা করল। এবারও এটা তার কোন কাজে আসল না। তাই সে ভাবল, এর পরের বার যদি কেউ আসে, তবে আমি সেটা নেব না। তার পরে আরেকজন এসে বলল, "আমি তোমায় এই বোতলের ঢাকনাটা দিলাম। তুমি এটা রেখে দাও।" তখন সে বলল, "না, আমার এটা কোন কাজে আসবে না। আমি বার বার ঠকেছি। তোমার কথা আমি আর শুনব না। তুমি বরং এটা নিয়ে যাও।" তারপর একদিন সে গরীব হয়ে উঠল। সে তার যেটুকু ছিল তা দিয়ে সে একটা বোতল কিনল। কিন্তু সেই টাকা দিয়ে সে ঢাকনা কিনতে পারল না। আর বোতলের সাথেই তো ঢাকনা থাকে। কিন্তু তার কাছে কম টাকা, তাই দোকনদার ঢাকনাটা রেখে দিল। তারপর এখন বাড়ি গিয়ে ঐ বোতলের পানি কিছু রয়ে গেল। তারপর সেগুলো রেখে দেবে। এখন বোতলের ঢাকনা না থাকলে তো পানিতে ময়লা পড়বে। তখন সে ভাবল, "কেন যে আমি মায়ের কথা শুনলাম না! সেই লোকের দেওয়া ঢাকনাটা রেখে দিলেই তো হতো। এখন ময়লাওয়ালা পানি খেতে হচ্ছে।" আর তখন থেকেই সে মানুষ আসলে তার দেয়া জিনিস গ্রহণ করত।
শিক্ষা: মায়ের কথা সত্যি হয়। আর তা না শুনলে অসুবিধায় পড়তে হয়।

কিরণমালা বনাম বিজ্ঞাপন

২০ মিনিট কিরণমালা
    ১০ মিনিট বিজ্ঞাপন-
বজ্রমালা কেন হিংস্র,
    তবুও কিরণমালার বোন?

Wednesday, October 14, 2015

৩ ফুলের ছড়া

১। গোলাপ ফুল সুগন্ধী
        রাজাকে দেব এখুনি;
    খুশি হবে রাজা-
        দেবে কিছু টাকা।

২। জবা ফুলের ঘ্রাণ,
        চমকে যাবে প্রাণ।

৩। ওই রজনীগন্ধা-
        কী সুন্দর এটা!

সুমকন্যা

আগের কথা: সাগরের তীরে কাঠুরিয়া বাস করত। তার একমাত্র কন্যাকে নিয়ে। ঢেউ এসে সব ডুবিয়ে দিয়ে ছিল। তখন তারা অক্সিজেন নিয়েই ছিল। কিছুক্ষণ পরে খুব কষ্টে তারা বেরিয়ে আসে। কিছুক্ষণ পানিতে ছিল দেখে ডাঙায় উঠে অশান্তি লাগছিল। তাই তারা অনেক হাওয়া যুক্ত একটি কাঠের বড় ঘর তৈরি করল। তখন থেকে ওখানেই থাকল। মৎস্যকন্যাদের মত সেজে। আর সেই কন্যার নাম দিল সুমকন্যা।
পরিচয়- রাজা। রাণীর মৃত্যু। রাজকন্যা। রূপ-মৎস্যকন্যা।

শেষের কথা/মূল কথা: একদিন অন্য মতস্যকন্যারা এসে বলল, "রাজা মশাই, রাজা মরেছে দেখে নতুন রাজা। কিন্তু রাজকন্যা তো মরেনি, আর তাকে তো আমরা চাইওনি।" "আচ্ছা! আমি যানবাহন থৈরি করে দেই তোমরা যমুনা এবং বুড়িগঙ্গায় ভ্রমণ কর। শুধু রাজকন্যা ও রাণী ছাড়া। (মূলজন) আর ততদিনে নিয়ম পাল্টানো হবে।" "আচ্ছা! তবে যানবাহন লাগবে না। আমরা তো সাঁতরিয়েই যেতে পারি।" "তোমরা কি প্রস্তুতি নিয়েছ?" "হ্যাঁ।" "সবাই রওনা দাও।" সুমকন্যা বলল, "আগের রাজকন্যা ও রাণী কিন্তু যাবে না।" সবাই চলে গেল। বাকি সবাই ঠিক করল, "আগের রাজকন্যা-রাণী আগের রাণী সাধারণ মানুষ।" এবার রাণীকে আর রাজকন্যাকেও যেতে বলল। ভ্রমণ শেষ হয়ে যাওয়ার পর সকলে ফিরে আসল। তারপর তারা নতুন নিয়মেই চলল।

পালা গরু ও বুনো ইঁদুরের দল

এক গ্রামের কোণায় ছিল এক বন। সেখানে বাস করত এক বুনো ইঁদুর। তার ছিল দল-বল, সৈন্য-সামন্ত, সেপাই ও ৫ জন পাহারাদার। আর তার দল-বল হওয়ার পর সেই ইদুর ছাড়া সবাই মিলে ঠিক করল, বুনো ইদুরটাকে রাজা বানাবে। ওই দিকে গ্রামের কোণায় এক কাঠুরিয়া বাস করত। সে কাঠ বেচে একটা মাত্র গরু কিনল। একদিন সে কাঠ কাটতে জঙ্গলে গেল। ইঁদুরেরা ভয় পেয়ে কাঠুরিয়ার বাড়িতেই গেল। কাঠুরিয়ার নাম ছিল ত্রণিকহল। কিন্তু ত্রণিকহলের বাসায় তারা ঢুকল না। তারা সোজা গরুর ঘরে গেল। গরু ভাবল, "আহারে! ওরা কোন খাবার পায় না। আমি বরং আমার পশম ছিড়ে ওদের খেতে দেই।" আর ইঁদুররা ভাবল, গরু বুঝি ওদের মারবে। তাই বলল, "গরু ভাই! আসসালামু আলাইকুম। আপনি কেমন আছেন? আর আপনাকে সুপ্রভাত ও শুভ সকাল। এবং অনেক ধন্যবাদ।" তখন গরু ভাবল, "ইস! ওরা দেখছি আমাকে অনেক সম্মানও করে।" বলল, "আহ! ওয়ালাইকুম ওয়াসসালাম। বেশ ভাল আছি। তোমাদের কি ক্ষিদে পেয়েছে, বন্ধু?" "সে কী? ব----ন্ধু? আমরা কি আপনার বন্ধু?" "হ্যাঁ! তোমরা আমার বন্ধু। আর ক্ষিদের কথাটা বল।" "হ্যাঁ, খিদে তো বড্ড পেয়েছে।" বুনো ইঁদুর বলল, "এখন কেউ ভাবিস না যে, গরু আমাদের ঠকাচ্ছে। ও সত্যি বলছে কিন্তু।""তোমরা হিঝির বিজির কী বলছ? একটু চোখ বন্ধ কর।" তারা বন্ধ করল। গরু তখন, তার কিছু পশম ছিড়ে তাদের সামনে রাখল। আর তার পোয়ালের (খড়ের) কিছু অংশও রাখল। বলল, "চোখ খোল।" খুলে বলল, "ও! ধন্যবাদ।"-এই বলে খেতে শুরু করল। গরু বলল, "এখন থেকে এক মাস পরপর পশম দেব আর ২ দিন পর পর পোয়াল দেব।" "ধন্যবাদ। এই কথা শুনে খুব খুশি হয়েছি।" "এখন চলে যাও। ত্রণিকহল এসে পড়লে একজনকেও আস্ত রাখবে না।" এখন থেকে পশম আর পোয়াল খায় আর অন্যদিন নিজেরা যা পারে তা খায়। আমার গল্পটি এখন শেষ। এই গল্পটি মনে রাখবেন আপনারা।

Nisha and Risha's School

Nisha and Risha are good girls. Nisha is 6 years and Risha is 5 years old. One day, Risha was doing a word problem (No. of banana = 6, No. of banana eaten = 5, Now banana = 6 - 5 = 1), but she cannot know the last line. Now what did she do? She called to her teacher. Teacher said, "Risha! My dear student, write in answer , 1 banana is have now. Ding! Ding! Ding! Ding! The bell. Everybody going. Risha is a also want to go. But, her mother did not come. Mother said, "Where is your home?" "North Fullar Road. VIP Corner Bhaban. Ground floor. Flat-B-1 39 No. building." "Oh! I will know that home." "What? I will go with you." Risha was going now. Her mother said, "Risha! hai! Why you come with teacher?" Teacher said, "Aha! Don't skall. Nisha is come. Nisha said, sister come. They go to her room. Nisha said, "Sister! Did you know how to take taka? If you talk with me you will have very very fun." "Why? Before doing you will be know." "Ok, take your science book. Read page no. 78 and 66. Risha is reading. Risha said, "Now?" "What did you reading?" "Oh! write, don't talking very much. Shout up your mouth." "No, no, no. Fun task. They will reading." Nisha said, "Sister, make a car." They make a car. Now they make a room with the car. Set a toilet with the room. (On small ভাড়ায় চালিত car) They sell the car. Taka is 20001. Now make in 2 week, 32 cars like this car. That taka is also 20001. Now they have so many taka. On her mother's birthday, Nisha draw a picture. Take a box, keep the takas in the box. Covered the box with the picture. In afternoon, they give the gift to her mother. Mother is very happy with this taka. Now the story is end.

Thursday, September 24, 2015

ভাল মানুষ ও গরীবরা

ঈদের আগের দিন, ৩টি গরীব এক ভাল মানুষের বাড়ির পাশে বসে ছিল। কারা ঈদ সম্পর্কে কথা বলছিল। তখন, ভাল লোকটি বাড়ির বাইরেই ছিল। সে সব শুনে ফেলল। গরীব লোকেরা বলছিল, "ও বন্ধু! ঈদ তো প্রায় এসে গেল। আমরা ঈদ করব কী করে? আমরা তো গরীব।" "না! আল্লাহর কাছে দোয়া পড়। বল, ইনশাআল্লাহ। আমি ঈদ করব।" আর একজন বলল, "ঠিক। আল্লাহর উপর ভরসা রাখ।" ভাল লোকটি এসব শুনে ভাবল, "আহারে! ওদের কত দুঃখ। আমি বরং বড় গরু কিনব। সেটা থেকে কিছু ভাগ ওদের দেব।" ঐ দেশে আবার গরুকে ঔষধ দিয়ে মোটা তাজা করত না। তারপর, ঈদের দিন এল। তখনই, ভাল লোকটি মাংস নিয়ে এল। তারপর ঈদ গরীব লোকেরা করে ফেলল। আর গল্পটি এখনই শেষ।

Tuesday, September 22, 2015

Nira and Mushish

Mushish is Nira's brother. They are friend and also brother and sister. They read in a same school. They read in same class and they read in same section. And Nira's roll no. is two and Mushish's roll no. is one. See they are everything in sister that thing is also in brother. One day, they go to school. Mother give tie on their throat. But that day, teacher come and say, "Today will be no class. You can go to your home. Come to the office. Say the mother/father's phone number, and go to your house." Mushish say, "I know only my father's phone number, but my father is in a bank." And Nira said, "Yes, yes. I will also know my father's phone number. My father is also in a bank." The office Sir said, "No, don't think anything. I know everybody's parent's phone number. I write in a diary." Sir see the diary. He say to another Sir, "Take my phone and write the number." The sir read 01579045876. The another sir call Nira and Mushish's mother.

Saturday, September 19, 2015

ফুলের ছড়া

নয়নতারা জন্ম নিল বাগানের পাশে
গোলাপ ও নয়নতারা পাশাপাশি আছে।
মালিক বলে যারে,
তোরা আরো গাছ লাগিয়ে দে রে।

Tuesday, September 15, 2015

বাগান ও বিয়ে

বাগানের ডালিয়া,
কাজ করে কৃষকরা-
গোলাপের গন্ধ
পাঠশালা বন্ধ।

The Lion and His Family

A lion have some children. They did not like meat, but the lion like meat so very very very much. The lion everyday kill animals and eat them. But the children were not happy everyday. The children like Ganga river's fish and the water. And they like a flower's middle some seeds grow that. And one day, Marfuka (lion's child's name) said to father, "Father, father! Not like the meet. One day you will give me Ganga's fish. I like it so very very very very very much." "Ok, I will give you flower's seed for only one day. But another day, I will eat my favourite meat." Marfuka said, "Father! Why only one day? Please give me flower's seed two days." The father said, "Ok, only two days. Now I go." Now the lion think, my child want to eat flower's seed. But my favourite meat I will eat everyday." Now lionees is come. She say, "Hey! Come, come. Your food are also I did not like. I also like Ganga's fish. Ok? And every day you will check Ganga's fish, ok? If you take everyday meat, we are not happy. And my child's grandparents will be also like Ganga's fish, but they don't like meat. Only you want the meat, why?" Now every children come to lionee's house. They said, "Mother, mother. We will eat Ganga's fishes, but father did not give me Ganga's fish. He everyday killed animals and eat meat. But our favourate food he will not bring any day. Please mother! We don't live in this house. My father did not like me. And father did not like you. If he not bring our favourite food, it will a proof that, he is not like us. Please, we did not live in this home." After two days, children and lionees live on another home. The lion see all over, but he did not found them. Now every day, eat Ganga's fish, ganga's water and flower's seed.

সুরাবন রাজ্যের রাজা

এক রাজ্যের নাম ছিল সুরাবন। কিন্তু এই দেশের মানুষেরা শুধু মানুষদের অত্যাচার করত। বাদবাকি নানান দেশের সব মানুষ তাদেরকে ভাল বানানোর চেষ্টা করত; কেউই পারত না তা করতে। একটি ছোট্ট ছেলে আর ছোট মেয়ে ছিল। তারা ছিল একদম সমান সমান যমজ বুদ্ধি এবং যমজ শক্তি। দুজনের একই রকমের সব ছিল। সেই মেয়েটির নাম ছিল মধুমতি আর সেই ছেলেটির নাম ছিল আকিফ। তারা খুব কাছের ভাই-বোন। তারা অসুখ হলেও তারা একদিন একদম ভালভাবে শুয়ে থেকে বিশ্রাম নিয়ে ওষুধ খেয়ে খেয়ে একদিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে যেতে চাইল। তারা সেটা করতে পারত। তারা এটা কেন করত জান? স্কুল বেশিদিন তারা বাদ দিতে চায় না। একদিন স্কুলে টিচার এসে বলল, "Take out your diary. Write, after four days will be start summer vacation. So tomorrow is parents meeting. If English, Bangla and Maths has any problem, say to me. And other subjects to another miss. Ok? আমি কিন্তু ইংলিশে কথা বলব এখন থেকে। ইংলিশ ভার্সনে এসেছ। আর ডায়েরী বের করে সবাই এটা অবশ্যই লিখবে।" তখন বাচ্চারা ছুটি শেষে সবাই চলে গেল। সেই দুটি বাচ্চারা বাসায় ফিরে গিয়েই মাকে ডায়েরীটা দেখাল। মা বলল, "ইস! ইংরেজিতে তোমার কি গ্যানজাম। কেমন করেছ তুমি? অ্যাঁ!" মধুমতি বলল, "আমি বরং এখন যাই। তুমি ভাইকে সবকিছু বল। কী সমস্যা হয়েছে আবার। আমি এক্ষণি ব্যাগ গোছাতে যাই।" তখন আকীফের মা বলল, "ইস! তোর বোনটার কী অবস্থা দেখ। ইংলিশে word meaning এসেছে। কেজির ক্লাসে word meaning-কে সংজ্ঞা বলে শিখিয়েছিল। তাই সে এখন বাংলা অর্থ লিখতে বলেছিল নাম ছিল word meaning, সেটা দেখে সে সংজ্ঞা লিখে দিল। তোমার বোনের কাণ্ডটা একবার দেখেছ তুমি? এই বলে parents meeting-এ যাবে বলে ভাবল মা। তারপর মা সত্যি সত্যি parents meeting-এ গেল। গিয়ে টিচারকে সব ঘটনা খুলে বলল। তখন টিচার বলল, "আচ্ছা! সংজ্ঞা লিখে দিয়েছে কেন আপনার মেয়ে।" মা বলে, "আগের ক্লাসে থাকতে সে এটাই শিখেছিল।" তখন টিচার বলল, "What? কি হয়েছে? কি বলছেন আপনি? আগের ক্লাসে শিখেছে বলে এই ক্লাসেও শিখবে।? ক্লাস ওয়ার্কের খাতাটার দিকে তো একটু চেয়ে দেখবে। পরীক্ষার আগে তো parents meeting এমনিই দিয়েছিলাম আবার। সেদিন আসলেই তো আমি সব বলে দিতাম, কি করতে হবে। আমরা তো আর ওরকম বোকার মত সংজ্ঞা শিখিয়ে দেই না।" আর ওদিকে সুরাবনের রাজা সবার অত্যাচারের কথা ভাবছিল। রাজা কি করে মানুষদের উপর অত্যাচার কররে, এমন ভাবতে ভাবতে তার মাথাটাই গরম হয়ে যাচ্ছিল। প্রহরী এসে বলল, "রাজামশাই! পেপারে দিয়ে দিয়েছে কি জানেন? এবার তো আর আমাদের রক্ষে থাকবে না। পেপারে দিয়েছে, আমরা নাকি অত্যাচারের কথা ভাবছি।" তখন রাজা বলল, "আরে কি বলছিস তুই? অত্যাচার কি খারাপ কাজ নাকি যে, আমাদেরকে ওরা মারবে?" তারপর প্রহরী বলল, "হ্যাঁ, মহারাজ! অত্যাচার করলে ওরা কষ্ট পায়।" "কী! তোমাদের দেখে আমার অভ্যাস হয়ে গেছে। তাই আমিও এখন শুরু করেছি। তোমরা থামাও অত্যাচার করা। আমাদের বিপদ ডেকে আনছ। অত্যাচার করলে পাপ হয়- এ কথাটা আমার মনে আগে আসেইনি। শুধু তোমাদের জন্যই এটা হয়েছে।" তবে এখন যে রাজা ভাল হয়েছে, এটা কারো পেপারে আসেনি। তারা শুধু ঐ রাজার উপর হামলা করতে আসছিল। রাজা বলল, "এই করছ কি, করছ কি? অত্যাচার একটি খারাপ কাজ। আমার মাথাটা ওরা নষ্ট করে দিয়েছিল সবাই। তোমরা এখন চলে যাও। পেপারে কেটে লিখে দাও, আমরা এখন ভাল হয়ে গেছি। দু'দিন আমাদের দেখ, আমরা কখনো আর অত্যাচার করব না।" সেইখানে ছিল মধুমতি আর আকীফ। আকিফ ছিল ওখানে। ওর মাও ছিল, ওর দাদা-দাদীও ছিল ওখানে। কেউ পেপার কাটল না। মধুমতির দাদা-দাদী আর মাও পেপার কাটা দিল না। কিনউত মধুমতি আর আকীফ বলল, "মা! একটা বুদ্ধি দেই তোমাকে। যখন এমন ভাল করে বুঝিয়ে বুঝিয়ে বলছে, এখন একটা কাটা দাওই না। বেচারী একটা লোককে এমনভাবে মারতে যাচ্ছ। ও তো নির্দোষও হয়ে থাকতে পারে।" আকিফ বলল, "মা, মা। বোন ঠিকই বলেছে। অমন মানুষকে কষ্ট দিতে হয়? আগে পরীক্ষা করে দেখতে তো হবে।" তখন ওরা দু'জনে চিল্লিয়ে চিল্লিয়ে যেন সবার কানে পৌঁছিয়ে যায় সেভাবে বলতে লাগল, "শোন, শোন! আমি বলছি যে, ও নির্দোষও হয়ে থাকতে পারে। ওকে এখন মারতে পারবে না। এসো, আমরা ওকে পরীক্ষা করার জন্য ভাবি।" সবাই মিলে ফিস-ফিস গুজ-গুজ করতে করতে মতলব আঁটতে থাকল, কী করে পরীক্ষা করবে। একজন ফিসফিস করতে করতে মতলবটা এটে ফেলল। মতলবটি হল, একজন সাহসী মানুষ পোশাকে ঐ রাজার সৈন্যদের রং করে রাখবে। সেই কাপড়টি পড়ে রাত্রেবেলা সেই রাজার কাছেই গিয়ে বসে থাকবে। বোন আর ভাইয়ের তো জময শক্তি, তাই এমন তাজা ওরা। আর তারপর সৈন্যদের ঘুমের ওষুধ খাইয়ে চারপাশ দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখবে। তার আগে দুই-তিন দিন রাজার দাসী হয়ে থাকবে। তারপর দেখবে যে, রাজা আসলে ভাল না মন্দ। এই মতলবটি এঁটে ফেলল। তার পরের দিনই পোশাকে রং করে একজন রাজার প্রাসাদের দিকে সোজা চলে গেল। তখন রাজ্যের সামনে যে পাহারাদাররা থাকে, তাদেরকে বলল, "ভাই! আমি একটু রাজার জন্য ফল আনতে গিয়েছিলাম, সকালে উঠে খাওয়ার জন্য। আম তো ওনার খুবই পছন্দ, তাই আম নিয়ে এসেছি। আমি একটু বাইরে গিয়েছিলাম। তোমাদের জন্য একটু খাবার আছে। সেটা আমি পথে দৈত্যের হাত থেকে পেয়েছি। দৈত্য আমাকে সাহায্য করে এই জিনিসটি দিয়েছে।" আসলে এসব বানানো, বুঝলে তোমরা? সে হল মতলবটা এটেছিল যেটা সেইমত কাজ করছে। সেই ঘুমের ওষুধটি বের করে বলল, "এই যে, এই দুটি ওষুধ তোমরা খাও। এ দুটি খেলে তোমাদের আর কোন কাজ করতে কষ্ট হবে না। যদি হাতও কেটে যায়, তাহলেও কষ্ট হবে না। আর অমরের সংখ্যা বাড়িয়ে দেবে। এ দুটি খাও, নাও না। রাজার ফল রেখে আসতে হবে তো, খেয়ে নাও ঘট ঘট করে।" তখন দু'জন দুটি ওষুধ খেয়ে ফেলল। খাওয়ার পর প্রচণ্ড ঘুম আসতে লাগল। তখন বলতে লাগল, "হায়রে আমার কপাল! এ তুই কি খাওয়ালি? নিদ্রা যেতে তো চাইনি, চেয়েছিলাম অমরের সংখ্যা বাড়াতে আর কাজ করতে কষ্ট না লাগার জন্য। কি ওষুধ আনলিরে তুই? ওরে, মা, ওরে মা।" করতে করতে এখনি ঘুম পড়ে গেল তারা। তখন ঘুম পাড়িয়ে তাদেরকে নিয়ে ঝোপঝাড়ের পিছনে লুকিয়ে রাখল। তখন সে ভোরবেলা রাজাকে বলল, "রাজামশাই! শুনুন। কালকে না আমি দেখলাম, পাহারাদাররা পাহারাদারের জায়গায়ই নেই।" তখন সে এক রাজা বলল, "না, না। এ কি করে হয়? তাদের কাছে অনেক তলোয়ার, পিস্তল আছে। বাঘ-সিংহ তো আসবে না এ সুন্দর একটা বাগানের ভিতর দিয়ে। বাঘ থাকবে জঙ্গলে।" তখন আকীফের পরিবারে একজন এসেছে না? সে বলল, "রাজামশাই! সেজন্য আপনি প্রহরীদের পাঠান।" তারপর ঝোপঝাড়ের মধ্যে গিয়ে খুঁজে পেল রাজার প্রহরীরা। এবার খুজে পাওয়ার পর সব আবার ঠিকমতো হয়ে গেল। তখন রাজার সামনেই সে দাসীর মুকুট খুলে ফেলে বলল, "রাজামশাই! দেখুন, আমি কে?" "ওমা, আপনি? বলবেন তো। আমাকে ক্ষমা করবেন। তবে ক্ষমা না করলেও হবে আমাকে। আমি আমার দাসীদেরকে অমন খারাপভাবেই বলি। আপনি কেন দাসী হতে গেলেন আমার?" "আমি পরীক্ষা করছিলাম।" এখনই অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার ভান করল। তখন রাজা বলল, "হায়রে! ওনার কি সর্বনাশ হলো গো! আরে কে কোথায় আছিস? দেখ না, কি হয়েছে! তোরা গেলি কোথায়?" তখন সবাই এসে বলল, "মহারাজ! অত্যাচার করতে চান না আপনি?" বললেন, "অত্যাচার তোরাই করতে চাস? যা, তোরা এক্ষণি ওর জন্য জল নিয়ে আয়, ওর গায়ে ছিটিয়ে দে।" তখন ছিটিয়ে দেয়ার আগেই সে বলল, "রাজামশাই! আমি বুঝতে পেরেছি, আপনি আসলে ভালই। এবার আমি ফিরে যাই আমার ঘরে।" বলে সে ফিরে গেল। তখন আকীফ আর মধুমতি একসঙ্গে বলল, "আপনি এসে গেছেন? কি হলো সেটা? রাজাটা কি খারাপ হয়েছিল, বলুন না।" তখন বলল, "ইস! রাজাটা কততো ভাল।" বলল, "কেন দাদা, আপনি কি করেছেন, আমার দাদাভাই?" "পরীক্ষা করেছি এই কথা দিয়ে। তারপর সে বলল, আরে আমার কপাল, এ কি হলো। তারপর দাসীদের বলল, তোমরাই শুরু করেছ। এমন ব্যবহার তো তোমরাই আমাকে শিখিয়েছ। খারাপ ব্যবহার করতে চান না আপনি?-এটা বলেছিল দাসীরা। তখন রাজা বলেছিল, অত্যাচার করলে ওরা কষ্ট পায়। এইসব বলে বলে অজ্ঞান অবস্থায় তাদের যদি কোন সেবা না করতে পারি, তাহলে অত্যাচার বলে সেটাকে। এটা বলেছিল রাজামশাই। এইসব বলে বলেই আমি বুঝলাম যে, সে আসলে ভাল।" তখন মা, দাদা-দাদী ও বাবাকে বলল, "কী মজা! তোমাদের কথা সত্যি হয়নি, হয়নি।" তখন মা বলল, "কী! আমার মুখে মুখে কথা বলছিস তোরা? দাঁড়া, একটু পরেই তোদের মজা আমি দেখাব। বুঝতে পারছিস, তুই?" তখন বাচ্চারা হাসল। বলল, "হা-হা-হা-হা-হা! মা, হি-হি-হি। তুমি নিজেই কি অত্যাচার করতে যাচ্ছ?" "ওমা, আমি অত্যাচার করছি কোথায়? ওরা আমাকে খারাপ কথা বলেছে, তাই তো আমি অত্যাচার করছি।" তখন আরো হেসে হেসে বলল, "হায়রে তোমার কপাল! আমরা তো তোমার সত্যিই কোন ক্ষতি করিনি। বড় কোন ক্ষতি তো করিনি। মুখের কথা তো একটা ভাষা বানিয়েছে তাই বলে। মুখের কথা শুনলেই কি অমন রেগে যেতে হবে? খারাপ কাজ, তাকে মারলে না অত্যাচার বলে তাকে। এমন করলে কি অত্যাচার বলে তাকে? হা-হা, হিহিহি।" তখন মা বলল, "আমায় তোরা ক্ষমা করে দে। আমার কথা ভুল হয়েছে।" কিন্তু দাদা-দাদীকে কেউ এমন বলে? বলে, "আচ্ছা, আর বলব না। যত্ত জ্বালা, ভ্যাদ, ভ্যাদ।" "আবার, যত্ত বেশি কথা বলিস?" এরপর প্রমাণ হয়ে গেল, কে ভাল, কে খারাপ। এরপর প্রমাণ হয়ে গেল, কে ভাল, কে খারাপ। রাজা যে আসলে ভাল, তা সবার কাছে প্রমাণ হয়ে গেল। তারপর থেকে সবাই আবার যার যার কাজ করতে লাগল। এবার সবাই গল্পের ঝুড়ি থেকে চলে গেল।

Monday, September 14, 2015

শাফিফের গল্প

একদিন এক ছেলে বসে ভিডিও গেম খেলছিল। অমনি তার মা এসে পড়ল। শাফিফ বলল, "মা, তুমি আর আসার সময় পেলে না? তুমি এক্ষুণি চলে যাও। নাহলে আমি কিন্তু আজকে আর ভাত খাব না। তুমি কেন আমার গেমটা আজ ওভার করে দিলে? তুমি এলে আর আমার নজর তোমার দিকে গেল। আর পট করে আমার গেমটা ওভার হয়ে গেল। তুমি এক্ষুণি চলে যাও।" তখন মা বলল, "আরে আমার খোকা, আরে আমার সোনার শাফিফ, এমন মাকে কেউ বলে? দাড়াও দেখাচ্ছি মজা। আমি তোমাকে আরো দশটি ভিডিও গেমস কিনে দিতে পারব। কিন্তু আমি যা খবর নিয়ে এসেছি সেটা তো শোন আগে। মাকে কেউ অপমান করে এভাবে? এখনকার কথাটা নাহয় একটু শোন। শান্ত হও তুমি।" শাফিফ বলল, "মা, এটা কিন্তু ভাল হচ্ছে না।" মা বলল, "আচ্ছা, শোন তো আমার কথাটা।" তখন মা বলল, "তোর বন্ধুরা এসে কতক্ষণ ধরে বসে আছে খেলার জন্য।" শাফিফ বলল, "মা! তা আগে বলবে তো তুমি। ভিডিও গেমস খেলার সময়ই তুমি এইসব খবর নিয়ে এলে। তুমি এক্ষুণি আমার জন্য দশটি গেম না আনলে বন্ধুদেরকে আমি এক্ষুণি তাড়িয়ে দেব।" মা আর কী করবে! ছোট ভাইয়ের কাছে একটা গেম ছিল, কিন্তু ছোট ভাইটা ঘুমাচ্ছিল। সেই গেমসটা নিল এবং আলমারি খুলে আরো পুরানো গেমস আছে তাতে ব্যাটারি ভরে দিল। তখন শাফিফ বলল, "এবার তাহলে বন্ধুদেরকে ডাকুন।" মা বন্ধুদেরকে ডেকে বলল, "ওরে আমার সোনারা! তোদের বন্ধু তো এখনো বসে বসে ভিডিও গেমস খেলছে। তোদের সাথে খেলার জন্য পাত্তাই দিচ্ছে না, আমার সোনা মানিক। দেখ না, তোমাদের বন্ধু কেমন করে সন্ধ্যার সময় ভিডিও গেম খেলতে বসে আছে। আমার সোনা মানিকরা, গিয়ে দেখই না, কী করছে। ভালই লাগে না আমার।" বন্ধুরা শাফিফের কাছে গিয়ে দেখল, শাফিফ বসে বসে গেমস খেলছে। শাফিফের কাছে গিয়ে বলল, "বন্ধু, বন্ধু, ও বন্ধু! কি করছ কি তুমি? আমাদের সাথে খেলবে না তুমি?" তখন শাফিফ তো মায়ের কাছ থেকে দশটি ভিডিও গেমস নিয়েছিল। বন্ধুও দশটি ছিল। তখন শাফিফ বলল, "তোরা এসে গেছিস। আমি তোদের সাথে খেলব না আজ। প্রতিদিন তোদের সাথে খেলি। আজ আমার সাথে খেলবি তোরা।" তখন শাফিফ ভিডিও গেমগুলো দিল। তখন বন্ধুরা বলল, "ছি ছি ছি ছি! তুমি কুট্টি বাচ্চাদের মত ভিডিও গেমস খেল? ফুটবল খেলবে না?" বন্ধুরা আবার হেসে হেসে বলে, "আস, আমার সোনা বাবু। দাও দেখি ভিডিও গেম কত মজা! হা-হা-হা-হা-হা!" এই বলে বন্ধুরা হাসতে লাগল।" তখন বন্ধুরা ভিডিও গেমস খেলল। খেলে সবাই অনেক মজা পেল। সবাই বলল, "সত্যিই তো অনেক মজার গেম। তুই এই গেমস কোথায় পেলি? এমন সুন্দর ভিডিও গেমস আমি কক্ষণো দেখিনি। দশ মিনিটের মধ্যে ফুলদানিতে ফুল রাখতে হয়। একটি বাক্স থেকে বল বের হয়। সারাক্ষণ বের হতেই থাকে। বলের চারপাশ দিয়ে ফুলদানিতে ফুলটি রাখতে হয়। নাহলে গেম ওভার হয়ে যায়, সময় শেষ হয়ে যায়। এ তো ভারি মজার খেলা!" শাফিফ বলল, "দেখলে তো বন্ধুরা! আমার কেমন ভিডিও গেমস।" বন্ধুরা বলল, "এখন থেকে প্রতিদিন তোর বাসায় আসব। তোর সাথেই ভিডিও গেম খেলব। ফুটবল খেলতে আর ভাল লাগে না। মানুষের গায়ে ফুটবল লাগলে আমাদের নামে দোষ হয়। আর কাদামাটির সময় বৃষ্টি পড়লে তার মধ্যে যদি বল পড়ে, পা-টা ভিজে যায়, তখন মা-বাবা বকা দেয় যে, ময়লা-টয়লা গায়ে মাখিয়ে খালি অসুখ বাজায়। কাদামাটিতে কি থাকে জান? কাদামাটিতে অনেক মানুষ মূত্রত্যাগ করে। তার মধ্যে ইউরিয়া থাকে। এটা বলে মা-বাবারা কাদামাটিতে বল পড়ে সেই পানি দিয়ে পা-টা ভিজে গেলে।" এখন থেকে প্রতিদিন ভিডিও গেমসই খেলে ওরা। ওদিকে মা তো রেগে  একদম মাথা গরম হয়ে যায়। মা ভাবতে থাকে, ইস! ভিডিও গেমস নিয়ে শুরু হল মাখামাখি একদম। মনে হয় যেন খেলনার দোকান, টেস্ট করে টেস্ট করে দেখছে সারাক্ষণ। মনেহয় যেন মজার চোটে টেস্ট করতে করতে মাথাটাই খারাপ হয়ে যাচ্ছে। আমার মাথা, না তাদের মাথা- কিচ্ছুই বুঝতে পারছি না। মা গিয়ে বাবার কাছে বলল, "দেখ তোমার শাফিফের কাণ্ড! আমি কিন্তু সবাইকে রেখে বাপের বাড়ি চলে যাব। ভিডিও গেমস খেলে আর সময় নষ্ট করে। নিজে তোমার সংসার চালাও। আমার সব কাজগুলো তুমি করবে। ভিডিও গেমস না থামাতে পারলে তোমার মাথাটা যদি আজ আমি না ফাটিয়েছি, তাহলে বাপের বাড়ি থেকে আমি আর ফিরেই আসব না। আর তোমাকে যে আমি বিয়ে করেছি, বিয়েটাই নষ্ট হয়ে যাবে তোমার সাথে। কালই আমি বাপের বাড়ি চলে যাব।"- বলে বউ বিছানায় গিয়ে শুযে পড়ল। তখন বাবা একটা বুদ্ধি খুজে পেল। বাবা একটা ঘর বানালো। তার মধ্যে সমস্ত টিচারদের ডাকল স্কুলের। তখন টিচারদের বলল, "আপনারা নিজেরাই একটা বই তৈরি করে ফটোকপি করে সবাইকে দিয়ে দেবেন। তার মধ্যে ভিডিও গেমস সম্পর্কেও থাকবে। বিভিন্ন রকম ভিডিও গেমসের ছবি দেওয়া থাকবে। আর প্রতিদিন সেই চাপ্টারটাই পড়াবেন। তাহলে বাচ্চারা মজাও পাবে।" এবার সে টিচারদেরকে যেতে বলল আর নিজেও চলে গেল। তোমরা কি জান, শাফিফের বাবা কেন এ কাজটা করেছে? কারণ, ক্লাসে ভিডিও গেম সম্পর্কে পড়তে পড়তে ভিডিও গেম খেলার নেশাটা চলে যাবে। পরের দিন মা সকালে উঠে বাবাকে ডেকে তুলে বলল, "আমি কিন্তু আজই চলে যাব বাপের বাড়ি।" তখন জামাই বলল, "থাক, আর কষ্ট করে টিকেট কাটতে হবে না। দুই দিন একটু থাক, অপেক্ষা করে থেকো। দুই দিনের জন্য মাত্র। পরে দেখবে সব ঠিক হয়ে যাবে। ব্যাগ-ট্যাগ গুছানোর দরকার নেই। পরে যেতে হলে আমিই গুছিয়ে দেব আনে।" তখন বউ বলল, "ব্যাগ গুছাতে কি জান তুমি? মাথা নষ্ট কর শুধু! কর, কর, আমার ব্যাগ গুছানো লাগবে না।" পরে বউ রাগ হয়ে সত্যি সত্যিই করল না। দু'দিন স্কুলে যাওয়ার পরই ভিডিও গেমস নেশাটা কমে গেল। আর সব নেশা চলে গেল। এখন বউ বলল, "জামাই! তোমাকে এইরকম নামে ডাকতে হচ্ছে এই কাজ করার জন্য। ধন্যবাদ তোমাকে আমি দেবই না। কারণ, এতদিন তুমি কি করছিলে? বুদ্ধি খাটাওনি কেন তুমি? ধন্যবাদের শুধু ধন্যটুকু আমি বলব। বাদটা পরেই বলব। যখন তুমি আরো ভাল একটা কাজ করবে। তারপর এখন থেকে ভিডিও গেমস খেলা বাদ, আর জামাই আর বউয়ের বকাবকিও বাদ। গল্প শেষ।

মাংস দেবেন

মাংস দেবেন, মাংস দেবেন;
     ও আমার কসাই।
মাংস দেবেন, মাংস দেবেন-
     এবার চুলায় বসাই।

ঝিকিমিকি তারা

ঝিকিমিকি তারা 
    আকাশের রাজা-
চাঁদের সাথে থাকে, 

    তবুও বহু দূরে।

Thursday, September 10, 2015

ছাতুর চকলেট

একদিন এক বাবু চকলেট খাওয়ার জন্য জেদ ধরল। কিন্তু সে ভালমত দাত ব্রাশ করত না, একটা ডলা দিয়েই রেখে দিত। বড় বোন তো ভালমত দাত ব্রাশ করতে পারে। তাই বাবা-মা তাকে বেশি বেশি চকলেট কিনে দিত। তাই বড় বোন চকলেট খেয়ে খোসাগুলো খেলার জন্য রেখে দিত। কিন্তু ছোট বোন খেলতে দিত না। বাইরে ফু দিয়ে উড়িয়ে উড়িয়ে দিত। একদিন মা-বাবা বড় বোনটির কাছ থেকে চার-পাঁচটি খোসা নিল। তারপর ছাতু ছোট ছোট গোল গোল করে চকলেটের খোসার মধ্যে ভরে ভরে জমিয়ে রাখতে লাগল। বাবুর (ছোট বোনের) যেদিন জন্মদিন ছিল, সেদিন কেকের সাথে একটা পলিথিনের মধ্যে সেই ছাতুর চকলেটগুলো ভরে দিল। তারপর কেকটা যখন টেবিলে রাখল, কেকের প্যাকেটের সাথে বাবুটি একটি পলিথিন দেখতে পেল। সেই পলিথিনটি নিয়ে দেখল অনেকগুলো চকলেট। সে ছাতুগুলোকে চকলেট ভেবে খুশীমনে খেতে লাগল। সে বলল, "ও মা, আমার জন্য দশটি চকলেট রেখে দিয়েছে মা। মা-বাবা কততো ভাল! আমি  চকলেট খেতে পারছি, মা বকা দিচ্ছে না। কি মজা, আমি চকলেট খাব। দশটি চকলেট দিয়ে দিয়েছে। আমার খেতে খুব মজা লাগবে, নিশ্চয়ই। সে খেয়ে দেখল, সত্যিই অনেক মজা। সে মাকে বলতে গেলে, "মা! আমার জন্য আরো তিন-চারটি  চকলেট দোকান থেকে কিনে নিয়ে এসো।" এখন তো মা-বাবা কি কাজ করবে? তারা চিন্তায় পড়ে গেল, দোকান থেকে আনবে কিভাবে। দোকানেরটা আনলে যে দাঁতে পোকা হয়ে যাবে। বাবাকে একটা বুদ্ধি দিল মা। মা বলল, "শোন! আমি বড় বোনের কাছ থেকে তিন-চারটি খোসা নিয়ে আসছি। আর আমি দুটো ছাতু বাটিতে ভরে একটি ব্যাগের মধ্যে রেখে দিচ্ছি। তুমি সেই ব্যাগটি নিয়ে বাইরে গিয়ে একটা পরিস্কার জায়গায় বানিয়ে বানিয়ে নিয়ে আসবে। দোকানের কাছে যেতে হবে না। ছাতু ব্যাগে ভরে দেওয়ার পর ব্যাগটা নিয়ে চলে আসবে। আর বাচ্চাকে বলবে, আমার অফিসে একটু কাজ আছে। আমি কাজও করব, তোমার জন্য চকলেটও নিয়ে আসব। এই বলবে বাচ্চাকে। কিন্তু বাচ্চাকে ব্যাগের ভিতর কি আছে তা দেখতে দেবে না।" মা খোসা এনে দিল সেগুলো ব্যাগে ভরার জন্য। তারপর বাচ্চা জিজ্ঞেস করল, "বাবা, এই ব্যাগটি কিসের?" বাবা বলল, "আমার অফিস আছে। অফিসের জন্য একটা হার্ড ডিস্ক লাগবে। সেইটা এই ব্যাগের মধ্যে রেখেছি।" বাবুটি বলল, "দেখিতো, কেমন হার্ডডিস্ক!" এখন বাবা কি করবে, আর কোথায়ই বা যাবে। বলল, "মামুনি! শোন, এই হার্ডডিস্ক আর পুরান কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক একই রকম। আমি বরং পুরানটা নিয়ে আসব। তখন তুমি দেখো। সব একই রকমের হার্ডডিস্ক। এখন আমার অফিসে তাড়া আছে। তাড়াতাড়ি যেতে হবে, সময় নেই।" বাবু বলল, "তাও একটুখানি উঁকি দিয়ে দেখি না!" বলে, "এই যে, এই এক মিনিট পরই অফিসের গেইট বন্ধ করে দেবে। আমি আসি।"- বলে বাবা দৌড় দিয়ে সাঁই সাঁই করে চলে গেল। এখন সে তো আর অফিসে যাচ্ছে না। সে একটি নিরাপদ জায়গায় রেখে চকলেট বানিয়ে নিয়ে এল। এবার মেঝেতে হামাগুড়ি দিয়ে দিয়ে দেরাজ খুলে হার্ডডিস্ক বের করতে গেল। বাবুও তখন দেরাজ থেকে খেলনা বের করার জন্য গেল। বাবাকে দেখে সে চমকে উঠে বলল, "বাবা, তুমি এখানে কি করছ? আমাকে এক্ষুণি হার্ডডিস্ক দেখাও। নাহলে আমি নিজেই তোমার পকেট থেকে টাকা চুরি করে বাইরে গিয়ে চকলেট কিনে নিয়ে আসব। হার্ডডিস্ক দেখাও আমাকে। না দেখালে তোমাকে আমি জোরে বকা ধমক দিব।" বাবা কী আর করবে! বাবা বলল, "আমি তো হার্ডডিস্ক দেরাজে ঢুকিয়েই ফেলেছি, তোমাকে দেখানোর কথা ভুলেই গিয়েছিলাম।" এই বলে বাবা দেরাজ থেকে হার্ডডিস্ক বের করে দেখাল। তারপর ছাতুর চকলেট খেয়ে বাবুটি বলল, "আচ্ছা। আগামীকালও আমার জন্য দুটি চকেলেট আনবে। সে সময় আমিও তোমার সাথে আনতে যাব।" বলে, "মা, আগামীকাল শুক্রবার। দোকান বন্ধ থাকবে।" আসলে তার পরেরদিন ছিল সোমবার। তাহলে বাবুটি বলল, "আমার আজকে পরীক্ষা ছিল। দেখবে, আমি কি পেয়েছি?" দেখাতে গিয়ে হঠাত বাবুট সেই দিনের তারিখটি দেখল। তার পরে তো সেই তারিখের পরে যে সংখ্যা সেটাই হবে আগামীকালকের তারিখ। বাবুটি দেখে বলল, "বাবা, এই তারিখে তো সোমবার। তুমি কেন শুক্রবার বলছ? কালকে আমি যাবই তোমার সাথে। তুমি যদি না গেছ, তোমার খবর আছে। আমি মাকে বলে দেব। তোমার সাথে আমি যাব।" এই বলে বাবুটি রাত হওয়ার অপেক্ষায় আছে। পাচ ঘন্টা পর রাত হয়ে এল। তখন বাবুটি সকাল হওয়ার অপেক্ষায় বসে পড়ল। মা ভাত নিয়ে এসে পড়ল। "এই যে চকলেট খাওয়া বুড়ি! ভাত খেতে তো হবে। চকলেটের ভাবনা ভাবলে তো হবে না।" কিন্তু বাবুটি ভাত খেতে যেতে গেল না। বসে বসে দোকানে যাওয়ার চিন্তাই করতে লাগল। মা এসে বলল, এখনো তুমি খেতেই যাওনি।" তখন বাবুটি বলল, "মা, আমার তো খাওয়া শেষ। আমি তো এক মিনিটের মধ্যেই খাওয়া শিখে গেছি। তুমি জান না মা? কালকে আমি পাশের বাড়ির গরুকে দেখে তার খাওয়ার মত তাড়াতাড়ি খাওয়া শিখে গেছি। আমার খাওয়া শেষ, মা।" তখন মা বলল, "মা, তুই না কালগে বলেছিস যে, আজকে মায়ের হাতে ভাত খাবি। ভাতের পাাতিলে তো এক দানা ভাতও কমেনি, যেটুকু ছিল আগে।" তখন বাবুটি বলল, "মা, আমি পাকঘরের ভাত নিয়ে এসে খেয়েছি।" মা বলল, "পাকঘরে তো কোন ভাতই ছিল না। তুমি কি করে খেলে?" তখন বাবুটি বলল, "মা, আমি পাকঘরের বারান্দায় ভাত খেয়েছি।" "ইস, রান্নাঘরের বারান্দায় তো ভাতের একটা দানাও ছিল না। রান্নাঘরে কি ভাত থাকে? একদিনও ভাত থাকে না রান্নাঘরের বারান্দায়।" তখন বলল, "ইস, মা! আমি তো পাশের বাড়িতে ঘুরতে গিয়েছিলাম। তখনই আমাকে ভাত-মাংস খেতে দিল।" মা বলল, "ইস, মা রে তুমি ভাতই খাওনি। এতবার পাল্টিয়ে পাল্টিয়ে বলছ। আস, ভাত খেতে আস। দুষ্টু মেয়ে, মিথ্যে বলে।" শেষ পর্যন্ত বাচ্চাকে খাওয়াতে পারল মা। কিন্তু দাঁত মাজাতে পারছে না। দাত সে কিছুতেই মাজছে না। শেষে বাচ্চাকে বলল, "মা, তোমার মুখে একটা চকলেট যাদু করে দিয়ে দিচ্ছি, হা কর।" তখন বাবু হা করল আর দাঁত মাজিয়ে দিল। তারপর পানির সাথে তিতা খাবারের রস দিল। তারপর বেসিনের কাছে গিয়ে তার মুখের মধ্যে সেই রসটা দিয়ে দিল, তারপর সে ওয়াক ওয়াক করে ফেলল। তখন আবার দিতে গেল, বলল, "মা এটা চকলেটের রস।" তখন আবার তিতা লাগল, মুখ থেকে ফেলে দিল। এতে কুলি করার কাজটা হয়ে গেল। আর তিতা রসটা ছিল যা মুখকে পরিস্কার করে। তারপর বিছানায় এনে শোয়ালো। কিন্তু সে কিছুতেই ভালভাবে শোবে না। উল্টিয়ে পাল্টিয়ে চিন্তা করতে লাগল দোকানের কথা। মা-বাবা কেউই তাকে ঠিকমত শোয়াতে পারল না। শেষে মা বলল, "যদি তুমি এমনভাবে ঘুমাও, তাহলে তোমার যত চকলেট আছে সব পরীরা নিয়ে চলে যাবে। আর যদি তুমি ঠিকমত করে ঘুমাও, তাহলে যেগুলো আছে সেগুলোও থাকবে আবার আরো অনেক চকলেট দেবে পরী। ফুলপরী এসে দিয়ে দিবে। মোচড়ামুচড়ি করলে তো সব চকলেট নিয়ে যাবে পরীরা।" বাবুটা বলল, "কোন্‌ পরী?" মা বলল, "ঐ যে মা, অনেকদিন আগে তোমার সজিব ভাইয়া এসে একটা ফুলপরীর গল্প শুনিয়েছিল সেই পরীটা।" "মা, ঐ পরীটা তো ভাল। কেন মানুষের জিনিস নেবে?" "আরে বাবা, যারা ভাল মত থাকে না, তাদেরকে ক্ষতি করে। আর যারা ভালমত লক্ষ্মী হয়ে থাকে তাদেরকে আরো দেয়।" তখন বাবু বলল, "আচ্ছা, গল্পে কখনো সত্যি হয় না। তার পরেও পরীরা সত্যি থাকে না। পরী হল মেয়ে জিন। জিনরা মানুষের ভাল কখনো করে না, যদিও তাদের কোন উপকার করে থাকে।" "এই, ঘুমানোর সময় কখনো জিনদের গল্প করতে হয় না। জিনদের গল্প করলে সত্যি সত্যি জিন আসে।"- মা বলল। বাবু বলল, "না, মা। পরীর গল্প বলতে তুমিই শুধু করলে।" মা বলল, "আচ্ছা, আমিই শুরু করেছি। এবার তাহলে ঘুমাও। একটুও কিন্তু চোখ খোলার চেষ্টা করবে না। আমি সারারাত জেগে থাকব, ঘুমাও কিনা দেখব।" আসলে এটা ঘুম পাড়ানোর জন্য বলেছে। কিন্তু মা তো আসলে ঘুমোবেই। এটা বাবুটি জেনে গেল। সে চুপি চুপি উঠে বাবার পকেট থেকে টাকা নিয়ে পকেটের সামনে গিয়ে টাকা চুরি করল। টাকা নিয়ে সে কোয়ার্টারের সামনেই যে একটা দোকান আছে ওখান থেকে তিন-চারটি চকলেট নিয়ে এসে টেবিলের উপর রেখে দিল যে, সকালে উঠে খাবে। সকালে বাবা আরো চকলেট নিয়ে আসবে, তাহলে আমি বেশি চকলেট খেতে পারব- এই ভেবে। সেই চকলেট রাখল। চকলেট ওখানে রাখার পর সকাল হল। তারপর মা বাবুর আগে উঠে দেখে, টেবিলের উপর অনেক চকলেট রাখা। তাই বাবা করল কি জান? বড় বোনের কাছ থেকে খোসা নিয়ে চকলেটগুলো পাল্টে দিল। আর পকেটের কাছে গিয়ে দেখল, দশ টাকা উধাও। 

Saturday, September 5, 2015

দার্শনিক ও বৈজ্ঞানিক

একদিন এক দার্শনিক কি নিয়ে চিন্তা করবে বুঝতে পারছিল না। তার বন্ধু ছিল এক বৈজ্ঞানিক। সে এসে বলল, "বন্ধু, শোন! গাছপালা, ফুল ও ফল নিয়ে ভাব। গাছ, ফুল ও ফল আমাদের অনেক কিছু উপকার করে। সেগুলো নিয়ে ভাব।" দার্শনিক বলল, "আচ্ছা, তুমি এখন তোমার কাজ কর। আমি এখন গাছপালা নিয়েই ভাবছি, তুমি যাও।" দার্শনিক গাছপালা নিয়ে চিন্তায় বসল। সে খাতা, কলম এসব নিয়ে বসে গেল। যা ভাবল সেগুলো লিখার জন্য। সে তখন ভেবে ভেবে দেখল, গাছ সত্যি অক্সিজেন দেয় কিনা। এটা পরীক্ষা করার জন্য সে একটুও গাছ নেই যেখানে এমন এক বদ্ধ ঘরে জানালা আটকানো অবস্থায় দরজা আটকানো অবস্থায় অন্ধকার স্থানে পরীক্ষা করল। গাছপালা ছাড়া সে নি:শ্বাস নিতে পারল না। তখন সে বদ্ধ ঘর থেকে বের হয়ে ভাবল, তাহলে সত্যিই গাছ অক্সিজেন দেয়। তখন সে বুঝে যাওয়ার পর সে খাতায় লিখে ফেলল। এখন আবার বৈজ্ঞানিকটি ঠিক পাচ্ছিল না, কি নিয়ে গবেষণা করবে। এখন দার্শনিক বৈজ্ঞানিকের ঘরে গিয়ে বলল, "বৈজ্ঞানিক, মানে আমার বন্ধু, শোন! তোমাকে একটা কথা বলি। তুমি মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে গবেষণা কর। রোগ, অসুখ, নিজের শরীরকে পরিস্কার করে রাখা সম্পর্কে গবেষণা কর তুমি। দেখবে, তাহলেই সব মানুষকে সুস্থ রাখতে পারবে। সব মানুষকে সুস্থ রাখলে সবাই তোমাকে টাকা-পয়সা ইত্যাদি দেবে। তুমি উপায় নিয়ে গবেষণা করে এর উপায় যদি তুমি সবাইকে বল, তাহলে সবাই তোমাকে টাকা দেবে। তুমি এগুলো নিয়ে গবেষণা কর।" তখন বৈজ্ঞানিক বলল, "ধন্যবাদ। তুমি এখন তোমার কাজ করতে চলে যাও।" এখন বৈজ্ঞানিকটি খাতা ও কলম নিয়ে শিরোনামে লিখল, "নিজের শরীরকে পরিস্কার রাখুন।" তারপর এক ঘন্টা ধরে চিন্তা করে পরে বর্ণনায় লিখল, "প্রতিদিন সকালে ও রাতে দাঁত ব্রাশ করতে হবে। প্রতি সপ্তাহে শুক্রবার নখ কাটতে হবে। প্রতিদিন স্নান করতে হবে। টেবিলে রাখা খাবার সব সময় ঢেকে রাখতে হবে। না ঢাকা খাবার খাবে না। যদি তুমি টেবিলের উপর বাটিতে করে কিছু আপেল রাখ, পোকা বাইরে থেকে আসতেই থাকবে, আসতেই থাকবে। সেগুলো এসে ঘরও নোংরা করে ফেলবে, খাবারও নষ্ট করে ফেলবে, আর খাবার অর্ধেকটুকু তারাই খেয়ে নেবে। এইজন্য সব খাবার ঢেকে রাখতে হবে। ঢেকে রাখলে গন্ধটাও ঠিকমত পোকাদের নাকে যায় না। গন্ধ না পেলে পোকারা বোঝেও না যে, খাবার আছে। তখন তারা অন্যদিকে চলে যায়। আর প্রতিদিন সকাল বা দুপুরে ঘর ঝাড়ু দেবে আর মুছবে। দুই সপ্তাহ পর পর টেবিল সাবান দিয়ে মুছবে। স্কুল থেকে আসার পর জামা-কাপড় খুলে হ্যাঙ্গারে রাখবে। যখন দেখবে, জামা ময়লা, তখন মায়ের বলার আগেই বালতির মধ্যে রেখে দেবে জামা। বাইরে থেকে এসে হাত-মুখ পা সাবান দিয়ে ঘষে ঘষে ধোবে। মশায় ঘর ভরে গেলে মশার ওষুধ দেয়ার সাথে সাথে সবাই বাইরে বের হয়ে যাবে, মশার ওষুধ নাকে গেলে অসুখ হতে পারে। এমনকি অন্য যেকোন পোকার ওষুধ নাকে গেলে অসুস্থ হয়ে যেতে পার তোমরা। বাস এবং গাড়ি বাতাসকে ময়লা করে। বাড়ির চারপাশে গাছ লাগাবে। গাছ বাতাসগুলোকে পরিস্কার করে ফেলবে। পোষা প্রাণীদের সাথে খেলার পর হাত সাবান দিয়ে জোরে জোরে ঘষে ঘষে পরিস্কার করে ফেলবে। সাবান এবং পানি দিয়ে অবশ্যই হাত ধুবে। হাত না ধুলে ক্ষুধা পেলে যখন বুঝতে পারবে না তখন হাত চাটতে গেলে সেই ময়লাগুলো পেটে চলে যাবে।" এক ঘন্টা ধরে সেগুলো চিন্তা করে খাতায় লিখে ফেলল। ততক্ষণে দার্শনিক লিখল গাছ সম্পর্কে। প্রথমে ভাবল, "গাছের পাতা ছেড়া ভাল নয়। গাছের প্রাণ আছে। এখন গাছের পাতা ছিড়লে গাছ ব্যথা পায়। এটা অনেক মানুষে বোঝে না।" তখন সে এই মাত্র যেগুলো ভেবেছে সেটাই লিখেছে। আরো লিখল, "অনেক লোক বোঝে না, গাছের পাতা ছিড়লে গাছ কষ্ট পায়, গাছের ব্যথা লাগে। তাই সে লিখে দিল, যারা জানে যে, গাছের প্রাণ আছে, তারা তাদেরকে বুঝিয়ে বলার পরও যদি তারা না শোনে, তাহলে তাদের চুল ধরে টান দিবে। তারপর তাহলে যদি সে ব্যথা পায়, তখন তাকে বলবে, সে ব্যথা পেল কিনা। তখন বলতে হবে যে, দেখলে, গাছ এরকমই কষ্ট পায়। এটা বলতে হবে যারা জানে তাদেরকে।" এরপরে চিন্তা শেষ হল দার্শনিকের। সে বৈজ্ঞানিককে গিয়ে বলল, "বন্ধু! এবার কি নিয়ে গবেষণা করি বলতো।" "ফুরিয়ে গেছে, বন্ধু! আমারও তো ফুরিয়ে গেছে। একটু পড়ে দেখ না লেখাটা, আমি কি লিখেছি।" তখন দার্শনিক বলল, "ঠিক আছে, দাও দেখি।" দার্শনিক লেখা পড়ে বলল, "এই তো কেমন সুন্দর লিখেছে। আমার খাতা আমি নিয়ে আসি বাসা থেকে।" বলে দার্শনিকও দার্শনিকের খাতা নিয়ে গেল। খাতা নিয়ে আসার পর বৈজ্ঞানিক দেখে বলল, "খুব ভাল। তোমারটা অনেক ভাল হয়েছে। এবার শোন, এবার তাহলে তুমি ফুল নিয়ে গবেষণা কর। তার পরের সপ্তাহে ফল নিয়ে গবেষণা করবে।" "আর আমি কি নিয়ে গবেষণা করব?" "তা তুমিই ভাব।" "আমারটা ঠিক আছে। তুমি নিজেই ভেবে দেখ তুমি কি নিয়ে গবেষণা করতে চাও।" তখন বৈজ্ঞানিক ভাবল, "আমার বন্ধু আমার সাথে এমন করল কেন?" তখন বৈজ্ঞানিকটা বলল, "দাড়াও। আমি তোমাকে এত উপকার করলাম, আর তুমি আমার একটুও উপকার করলে না। আর তুমি আমার সাথে এমনভাবে কথা বললে, যেমনভাবে পাগলিরাও কথা বলে না।" বলেছে এভাবে, "এই, তুমি কি পাগল নাকি, আমি তোমাকে বলে দেব। আমি কি তোমার দাসী? যাও। আমি তোমার দাসী নই। আমি চলে যাচ্ছি। পাগলী কোথাকার!" এমনভাবে বলেছিল দার্শনিকটা। তখন বৈজ্ঞানিকটি মজা দেখাতে আসল। দার্শনিকের যখন ফুলের গবেষণা শেষ হয়ে ফলেরটাও শেষ হয়ে গেল, তখন দার্শনিক যখন কি নিয়ে ভাববে জানতে আসল, তখন বৈজ্ঞানিক তার আলমারি-টালমারি ওয়্যারড্রব-ট্রয়ারড্রব সব নিয়ে বিদেশে বাড়ি বানাতে গেল। বিদেশেই এখন থেকে সে থাকতে লাগল। আর দার্শনিকটাও কষ্টে নিজেই ভেবে ভেবে সবকিছু করল।

শিক্ষা: অন্য কেউ যদি বেশি সাহায্য করে তোমায়, তাহলে তুমি যদি ছোট সাহায্যও না কর, তার সাথে আজেবাজে ব্যবহার কর, তাহলে দার্শনিকটার মতই হবে। সাহায্য যে করে, তার সাথে দুর্ব্যবহার করতে হয় না।

Saturday, August 22, 2015

রাজার বিয়ে

একদিন এক রাজা ভাবল, বিয়ে করবে। তার খুব রাণীর দরকার ছিল। রাজার রাজ্যে যত মানুষ ছিল, তারা এত কাজ করতে পারত না। একদিন এক ঘটক রাজাকে গিয়ে বলল, "আপনার জন্য একটা সুখবর আছে। আমাদের ঘরে এক মহিলা পাত্র খুঁজে পাচ্ছে না বিয়ে করার জন্য।" "ঠিক আছে।" একটু পর সবাই রাজসভায় গেল। বিয়ের ব্যাপারে আলোচনা করল। তখন, মন্ত্রী বলল, "আপনার বিয়ে রাজার সাথে।" বিয়ের সময় একটি লোক এল। সে বলল, (রাজাকে ও রাণীকে) "আমি আপনাদের জন্য একটি উপহার নিয়ে এসেছি। এই হাতিটি রেখে দিন।" একদিন চোর এসে হাতিটি চুরি করল। যখন, চোর চুরি করা শুরু করেছিল, তারপর সে ১৩ তলা বিল্ডিংয়ে সব বাসায় চুরি করেছিল। একটি লোক তা দেখে ফেলল। তখন বিয়ের হাতিটি নিয়ে এল। তখন, গল্পটি এখানেই শেষ।

Thursday, August 20, 2015

Dove is not in the Tree

One day one dove go to park. Before time she give egg in her home (nest), she have two children. There are 5 programs in the park. 1 no. train, where children sit and that going. But that is not for birds. 2 no. program is boat riding for birds where is water, It has some paper boats and there did the dove's children sit. Now a fox go to dove's nest. When he see the egg, he jump and take the egg. When the dove come to home, she did not see her egg. She is very sad. She is go to fox's home. She take her nose into window. Now she is breath. She feel smell from the egg. When the fox go to his friend's home, the dove take her egg. Now everybody is happy. 

end the story

দুষ্ট মেয়ে

একদিন একটা বাবু মাকে বলল, "মা! আমি স্কুলে যাব না। আর কোন দিনও না।" "এই! তুমি না গতকাল বইতে পড়েছ যে, স্কুলে না গেলে ব্রেন গরীব ও দুর্বল হয়। তাহলে কেন স্কুল ছাড়তে চাইছ?" "মা! টিচাররা টিফিন করার জন্য ২ মিনিট সময় দেয়। স্কুলে একটা ঘড়িও নেই। শুধু অধ্যক্ষের রুম আর অফিসে সেটা আছে। আর ওখানে অনেক কঠিন কঠিন পড়া পড়ায়। স্কুল তাই আমার ভাল লাগে না। স্কুলে নিম্নে দশটা পিরিয়ড থাকে। তাই আমি স্কুল ছাড়ব।" মা বলছে যে,"না, তুমি না গতকালকে পড়লে সেটা। তুমি বইতে এটা পড়েও বলছ যে এই কথা? এইবার তুমি পড়তে বস। স্কুল ছাড়ার কথা আর একবারও যেন না শুনি।" 
কয়েকদিন পরে বাবুটা ক্লাস টু (২) তে উঠে গেল। তাই সে আর এই কথা বলল না।

রানা ও মতি

মতি গাছ লাগাতে পারত। কিন্তু, রানা সেটা পরত না। রানা বলল, "মতি! আমাকে একটু গাছ লাগানো শিখাবে?" "কেন আমি তোকে শিখাব? তুই মায়ের কাছ থেকে শিখে নে।" "আমি তোমার ছোট বোন, আপু। আমাকে কেন শিখালে না? আমি একটা গাছ লাগাব।" "যা! তুই বড় বিরক্ত করিস।" তাই শুনে রানা বাবাকে বলল, "মতি আপু আমাকে গাছ লাগানো শিখাচ্ছে না। তুমিই আমাকে শিখাও।" (অসম্পূর্ণ)

Tuesday, August 18, 2015

Rita's School

Rita is a good girl. She has one brother, mother, father, grandfather, grandmother and one friend. Her brother's name is Latif. The friend's name is Nubat Tuni Samar (Samar). Rita is 4  years old. Her brother is 7 years old. And Samar has 5 and half years old. Rita did not go to school. Her father bought 3 books for Rita. One "My ABC", one "We learn 123". Rita said, "Father! I will go to school." "Ok! Say to your mother, Rita." Rita go to her mother. Mother said, "Rita! Why did you come?" "Mother! I will go to school." "Ok! say to your grandparents." Rita go to grandparent's room and say, "Grandparents! I will go to school." "Ok! You say to Latif." Rita go to Latif. She say, "Brother! I will go to school." "Ok! You say to Samar." "Rita go to Samar. She say, "Samar! I will go to school. "Ok! Did you say this news to everybody?" "Yes". Now the called to Latif. Latif said, "Why you called me?" Come. They go to every elders. Everybody is come there. Her father go to Sharig Uchcha Lomik Biddalay. There are 16 teachers in the school. THe father said, "Madam! Can my daughter read in  your school? Did you give me admission form? My daughter will be read in your school. She is 4 years old. She want to be admitted in play group." One teacher said, "I am play group's teacher. There are no version in play and nursery class. There is only one room with table with chair is in front of the bench. It have bench, but it have only 47 students in my class. Principal want 60 students. Today 3 boys and 2 girls have admitted. Now your daughter also come. Now I have 53 students in my class. Tomorrow I will give you form. Now you go to your home." Now everyday she go to school. She read and learn many thing. She is the class captain for today.

Sunday, August 16, 2015

ভাইয়ের বিয়ে

আজকে আমার ভাইরের বিয়ে!
দেখতে এলো গাছের টিয়ে।
খেয়ে গেল পোলাউ,
দেখে গেল সেই বউ।
নাক কানের গয়না,
লাল নীল আয়না।

মাইরের গান

মারব টেনে এক চড়
দেব একটা থাপ্পড়-
থাপ্পড়ে ব্যথা নাই,
ওনার মাথা ভাল নাই।

The Man and the Little Ant

In a village a man live with his farm. In the farm, there were horse, cow, hen, a parrot and a goat. Everyday 10 ant come to eat animal's wool. One day the farmer think an idea. When he cut sheep's wool, then some wool he gave to the ant. Ant said, "Uncle! Why you give me this wool? Are you my friend?" "Ant, it's really. I want to be your friend." "Ok!" Now a new day the ant give oil to her body and taking rest. That day the man is sleeping and said, "Hai. Today is Eid. This day if you could not eat any thing? Why you are sleeping today? Hai" Now he jump and wake up. Now he say Eid Mubarak. He go to a shop. He bought sweets, meat and rice. Children are coming. There were 6 children in the house. 3 of them girls and 3 of them boys. The ant bought 5 cap and farmer bought 3 white panjabi and 3 dress with white skirt. They use that. They eat meat and rice. He give sweet for ant. They bought kabab, salat, borhani, milk and juice. Those cannot read "Alif-Ba". They teach to children. Now that day every body happy.

The Fox and the Butcher

One day a fox go to a shop. The fox said, "Butcher uncle, will you give me the bone?" The butcher said, "No, no! I shall not give the bone. Can you give me some money?" The fox think an idea. The idea is leaf. He take a pen and write on the leaf '70' and that looks like a 70 money. This is the idea. Now the fox do this. Now butcher taken the leaf and say, "Thank you. Take this 7 bones." The fox go to a bridge over a river. The fox see in the water. The fox say: There is another 7 bone! He think, I want that 7 bone. The (7+7 = 14 bones) I would have 14 bones, I could eat  these with my friends. The fox jump to the water. Now he is floating. The bones are on the bridge. There came another fox in the bridge. The another fox eat the seven bone and go to her home. Now the fox shouted: "Help me! help me! help me! Next time I will not greedy. So, now help me please." But everybody is now busy. Three day left, the fox drink only water that days. Now the fox is dead. Another fox say to other fox, "Fox! A fox went to a shop. He write on a leaf 70. And now he is dead." The butcher listen. The butcher is happy.

Moral: Same: If you so greedy, you may lose what you have.

Sunday, August 2, 2015

Vowel ও Consonant

Vowel একদিন Consonant-কে বলল, "Consonant! তুমি আমাদের ছাড়া উচ্চারিত হতে পার না, কি মজা!" Consonant তার জবাবে Vowel-কে বলল, "আমাদেরকে ছাড়া তো তোমরা কথা বলতে পার ঠিকই, কিন্তু একা একা যেগুলো উচ্চারিত হতে পারে সেগুলো। এটাতে তো কোন অর্থ প্রকাশ করা যায় না। কি মজা!" দুজনই দুজনকে এই বলে বলে চেতাতে (ক্ষেপাতে) লাগল। দু'ঘন্টা ঝগড়া চলল। Vowel-এর I বলল, "Consonant! তুমি কি আমাদের এত চেতাবে বলে ভেবেছ? দু'ঘন্টা তো চেতাতেই থাকছ। খাওয়া-দাওয়ার কোন চিন্তা নেই? এক ফোঁটাও পানি খাওনি ঝগড়ার ভিতরে। বৃষ্টিও পড়েনি। ঝগড়ার আগেও আরো আধ ঘন্টা পানি ও খাবার-দাবার না খেয়ে রয়েছ। না খেয়ে মরে যাওয়ার চিন্তা কি আছে? আমরা তো তবু ঝগড়ার মাঝে কিছু খাবার খেয়েছি। কলা আর পায়েস খেয়েছি। আর একটু পানি খেয়েছি। আর ঝগড়ার শুরুতেও আপেল খেয়েছি।" এখন তো Consonant-রা ভয় পেয়ে গেল। বলল যে, "দাড়াও, একটু পেট ভরে খেয়ে আসি। তারপর না হয় আবার ঝগড়াটা চালু করল।" এই বলে Consonant-রা কি করল জান? Consonant বলল, "Vowel, Vowel, Vowel! তোমরা আমাদের চেয়ে কম তো, তাও তোমাদের শক্তি বেশি, তাই না Vowel! তোমরা তো সেটাই ভাব। এত অহংকারী হলে কি হবে? আগে আমাদের খেতে দাও।"- এই বলে Consonant-রা তাড়াতাড়ি ফিরে আসার জন্য একটি মাত্র মাংসের একটুখানি টুকরো খেয়ে মাত্র দু'ফোঁটা পানি খেয়ে চলে এল। তাও তাদের খাবার যেখানে আছে সেখানে যেতে যেতেই অনেক সময় লেগে গেল। আর ততক্ষণে Vowel-রা দশটা মাংসের রান খেয়ে এক বোতল পানি খেয়ে নিল। আরো দশ মিনিট সময় লাগল Consonant-এর খাবার খেয়ে আসতে। তারপরও এখন মাত্র ৯ জন Consonant-এর খাওয়া শেষ হয়েছে। অন্য Consonant-দের এখনও এক প্লেটের মাত্র এক লোকমা খাওয়া হয়েছে। ১০ মিনিটও পেরিয়ে গেল। ততক্ষণে ১৫টি Consonant-এর খাওয়া শেষ হল। ততক্ষণে এক ঘন্টা হয়ে গেল। Vowel-রা সেই ঘন্টা দেখে আরো ৫টা মাংসের হাড় খেয়ে নিল। তারপর আরো আধা বোতল পানি খেল। আর ততক্ষণে মাত্র ১৬ জন Consonant-এর হল খাওয়া। শেষমেষ দেড় ঘন্টা পর Consonant-রা খেয়েদেয়ে ফিরে আসল। ততক্ষণে ১৮টি মাংস খাওয়া হয়ে গেল Vowel-দের। Vowel-রা খুব দুরন্ত ছিল। তাই তারা তাড়াতাড়ি সব কাজ করতে পারত। Consonant-রা Vowel-দের ছাড়া উচ্চারিতই হতে পারে না। এজন্য Consonant-রা খুব বেশি সময় ধরে খেত। এখন শুরু হল আবার ঝগড়া। আরো আধা ঘন্টা হয়ে গেল। এ নিয়ে সাড়ে তিন ঘন্টা সময় লাগল। Consonant-এর G বলল, "বাংলায় আমি ফুলের রাণী, কি মজা!" তাতে M বলল, "আমি ফলের রাজা।" তাতে Vowel-দের মধ্যে 'আ' বলল, "আমিও তো তোমার ফলের রাজা।" তাতে 'ই' বলল, "আমি মাছের রাজা।" 'ঈ' বলল, "আমি পাখির রাজা।" 'উ' বলল, "আমি মরুভূমির জাহাজ।" 'ঊ' বলল, "আমি আলোকিত আগুনের সূর্য।" 'ঋ' বলল, "আমি ঋষি মশাই। কী মজা কী মজা!" 'ঐ' বলল, "আমি বিশাল হাতি, কি মজা!" তখন 'হ' বলল, "হাতি তো আমিও। আমি হাস হয়ে সাঁতারও কাটতে পারি। আর আমাকে সবাই আদর করে। আমার ডিম সবাই খায়। হাতির ডিম কেউ খায় না, কী মজা!" 'এ' বলল, "আমার থেকে সুর বের হবে, কী মজা! তাক ধি না ধিন ধিন।" 'ও' বলল, "আমি দাড়িপাল্লার ওজন।" 'ঔ' বলল, "আমাকে খেলে অসুখ সারে, কী মজা, কী মজা!" এমন করতে করতে সব Vowel Consonant-রাই একেকটা একেকরকম জিনিস দিয়ে মজা করল। সবাই একেক রকম অহংকার করল। কিন্তু 'অ' কোন অহংকার করল না। কারণ, 'অ' একটি খুব ভাল ও বুদ্ধিমান VowelConsonant-এর মধ্যে একজনও অহংকার করল না সেরকম কেউ নেই। তাতে Vowel একটি পুরস্কার পেল। তারা আরো দুটি Vowel-কে পেল। তারা 'অ'-এর বন্ধু। অন্যদের কথা মানতে গেলে 'অ'-এর কাছে জিজ্ঞেস করে তা করে। আর 'অ'-এর সাথে দাসীর মত কাজ করে, বন্ধুত্বের মতও কাজ করে, আর সাহায্যের মতও কাজ করে। Vowel-রা জিতে গেল। Consonant-রা ভাবল, ইস! কেন যে প্রথমে ঝগড়াটা করলাম? আর শেষেই বা কেন অহংকারগুলো করলাম। এ বলে Consonant-রা আফসোস করতে লাগল, আর Vowel-রা খুব খুশি হয়ে কাগজে তিনবার 'Vowel' শব্দটি লিখল পাশাপাশি। সেটা লিখে উপরে টানিয়ে দিয়ে ঘর সাজালো এবং বলল, "Vowel-দের জয় হোক, Vowel-দের জয় হোক।" আর শেষে আরো একটি পুরস্কার পেল। তাহল, Consonant-রা হবে Vowel-দের দাস। আর 'অ' এর বন্ধু হল হিন্দি 'ই' আর আরবী ي Consonant-রা তাতে মন খারাপ করে Vowel-দের দাস হয়ে পড়ে থাকল। এখন Consonant-রা Vowel-দের কাজ করে দেয়।

শিক্ষা:
১। ঝগড়া করা ভাল নয়। ঝগড়া যে প্রথমে করবে, সব পাপ তারই হবে। Vowel চেতাতে চাচ্ছিল, কিন্তু Consonant-রা ভাবল, আমাদের যখন চেতায়, আমরা ওদের সাথে ঝগড়া করি।

২। অহংকার না করলে পুরস্কার পাবে। আর অহংকার করলে পাপও পেতে পার, আবার দু:খও পেতে পার।

Thursday, July 30, 2015

হাতি ও পাখিদের বন্ধুত্ব

হাতি একদিন কলাগাছ খুঁজে পাচ্ছিল না। ক্ষুধায় মরে গেল। সেই সময় একটা পাখি হাতিটার এত কান্না দেখে মুখে করে অনেক দূর থেকে একটা একটা করে কলা এনে এনে হাতিকে খেতে দিল। সেটা দেখে হাতি খুব খুশি হল এবং ধন্যবাদ দিল। বলল যে, "ধন্যবাদ! আজ থেকে তুমি আর আমি বন্ধু।" তারপর একদিন পাখিরা খাবার পাচ্ছিল না। হাতি তাদের একটি বুদ্ধি দিল। "বন্ধু, তুমি সেদিন আমাকে কলা এনে দিয়েছিলে। আজ আমি একটি বড় কলাবাগান খুঁজে পেয়েছি। ঐ বাগানে আমি এখন রোজদিন কলা খাই। আমি বরং তোমাকে ঐ কলা এনে দেব। তোমরা সেগুলো খাবে, আর আমি কলাগাছ খাব। ঠিক আছে, বন্ধু?" "আপনাকে অনেক ধন্যবাদ"- পাখি বলল। "আমার বাচ্চাদের জন্যও ছোট ছোট কলা নিয়ে আসবেন। তাহলে আমাদের বন্ধুত্ব আরো গভীরে চলে যাবে।"- এই বলে পাখি উড়াল দিয়ে একটি গাছের ডালে বসল। আর হাতিটা লাফাতে লাফাতে কলা বাগানে ঢুকে গেল। কলাবাগান থেকে কলাগাছ শুড় দিয়ে পেঁচিয়ে সেখানে এনে কাত করে রাখল। পাখিকে ডেকে আনল। পাখিকে বলল, "এই নাও, তোমার কলা।" এখন পাখি বলল যে, "আমার পরিবারের যে লোকরা আছে তাদের সাথেও বন্ধুত্ব কর। আমার পরিবারে অনেকজন পাখি আছে। আটজন পাখি আছে আমাদের পরিবারে। আর আমার তিনটি ছোট ছোট বাচ্চা আছে। সবাই একটা করে ফল খেলেই পেট একদম ভরে যায়। আমি তাদের ডেকে নিয়ে আসছি। তারাও খাবে। আমার ছেলেমেয়েরা উড়তে পারে না। তাই আমি তাদের জন্য কলা নিয়ে যাব। আমাদের না ছোলা খেতে ভাল লাগে না, ভিতরের মিষ্টি কলাটুকু বেশি মজা। আর তাতে পেটও বেশি ভরে। এখন তাহলে ডেকে আনছি। এত কথা বলার দরকার নেই। আগে তো পরিবারের লোকদের খাওয়াই, তারপর না হয় কথা হবে। আসি।" বলে সে চলে গেল। আর হাতি বলল, "তাড়াতাড়ি ফিরে এসো।"- বলে হাতি বসে পড়ল এক জায়গায়। পরিবারে আটজন ছিল। গাছেও সেই আটটাই কলা ছিল। তারপর তাদেরকে ডেকে আনার পর সবাইকে হাতে একটা করে কলা দিয়ে দিল। দুটি ছিল খুব ছোট কলা। পাখিটি বলল, "শোন সকলে, এই দুটি ছোট কলাগুলো খেও না কেউ। এগুলি আমি আমার বাচ্চাদের জন্য নিয়ে যাব।" তখনই খাওয়া শুরু হল। পাখিরা সবাই ঠোকরাতে ঠোকরাতে সব কলা শেষ করে ফেলল। আর ঐ দুটি ছোট কলা রেখে দিল। তারপরে হাতি বলল, "এবার আমাকে তো এখন গাছটা খেতে দাও। পরে না হয় বন্ধুত্বের কথাগুলো বলব।


গরীব লোকের দোকান

এক ছিল গরীব লোক। গরীব লোকটার কোন জামার অভাব ছিল না। কিন্তু খাবারের অভাব অনেক বেশি ছিল। আর টাকা-পয়সাও ছিল না। সে একদিন একটা মাঠ দেখতে পেল। মাঠের ভিতর একটি ঘর ছিল। সেই ঘরে অনেক হ্যাঙ্গার ছিল। আর ছিল কাপড় রাখার জায়গা, আর চেয়ার-টেবিল। সেটা দেখতে পেয়ে সেখানে তার কাপড়ের দোকান দিল। আরেক ছিল ধনী লোক। তার কোন কাপড় ছিল না। ছিল শুধু একটা মাত্র লুঙ্গি, আর একটা মাত্র গেঞ্জি। সে আগে মিথ্যেবাদী ছিল। তাই তার সব জামা মানুষে নিয়ে গেছে। কেউ তার কাছে জামা বিক্রিও করে না, কারণ ভাবে সে আমাদের আসল পয়সা বলে নকল পয়সা দেবে। সে ঐ গরীব লোকটার দোকানে গেল। সেখান থেকে একটি কাপড় কিনল। গরীব লোকটি চেয়েছিল ৫০ টাকা। কিন্তু ধনী লোকটা তো এখন ভাল হয়ে গেছে। তাই সে বলল, "না, ভাই। আমি আপনাকে ৯০ টাকাই দেব। কারণ, আপনি আমার এতবড় একটা উপকার করলেন। আমি তো জামাই পেতাম না, যদি আপনি আমার কাছে বিক্রি করতে রাজি না হতেন।" গরীব লোকটি বলল, "না, না। এত বেশি দেয়ার দরকার নেই। শুধু কমই দেন, আপনিও তো খুব ভাল।" "না, না ভাই। এই নেন ৯০ টাকা।"- বলে লোকটা ৯০ টাকা দিয়ে জামাটা নিয়ে চলে গেল। যাবার আগে বলে গেল, "এখন থেকে আমরা বন্ধু।" তারপর আরো এক সপ্তাহ কেটে যায়। গরীব লোকটা একদিন পুকুরে গোসল করতে নামে। তখনই কে যেন পিরানহা মাছ পুকুরে ছেড়ে দেয়, যেখানে ঐ গরীব লোকটি গোসল করছিল। ধনী লোকটি তা দেখে পুকুরের অপর পাড়ে পিরানহা মাছের খাবার দিল, যাতে পিরানহা মাছগুলো গরীব লোকটিকে না খেয়ে ঐ খাবারের দিকে যায়। ধনী লোকটি একদিন পতাকার ছবি আঁকছিল। ঐ সময় একজন লোক খাবারে বিষ মিশিয়ে তাকে দিল। গরীব লোকটি তা দেখে ফেলল এবং তাকে গিয়ে বলল, "এটা খেও না, এখানে বিষ মিশানো আছে।" এরপর ঐ গরীব লোকটির দোকানে অনেক মানুষ কিনতে আসে, আর সে ভাল থাকে; আর ঐ ধনী লোকটিকে কাজে সাহায্য করে। আর ধনী লোকটিও তাকে সাহায্য করে।

এখন বলতো তোমরা, এ গল্পে কি কি শিক্ষণীয় বিষয় আছে?

শিক্ষাঃ মোট তিনটি শিক্ষা আছে; যথা-
(১) মিথ্যে বললে সাজা পাবে।
(২) ভাল কাজে সওয়াব পাবে। [যেহেতু গরীব লোকটি কম দাম চেয়েছিল, আর ধনী লোকটি বেশি দাম দিয়েছিল।]
(৩) বিপদের বন্ধুই আসল বন্ধু।


কিরণমালা ও কুমারের গান

সারা জীবন তোমার পাশে আছি
সব যুদ্ধে তোমার পাশে থাকি
মনে হয় হাত ধরে করি নাচানাচি

তাহলে আমার মনটা পায় শান্তি।

Tuesday, June 9, 2015

Siama

A man will go to the river. But there is no river. His daughter says, "Father! Please go to the river and catch fishes. I shall see, how nice fishing you can (তুমি কত সুন্দর মাছ ধরতে পার). And the man say, "My daughter! You don't know that, there is no river. And You also don't know, rivers have so many waters. And there is a river in there, but there is no place where we can sit and catch fishes." The daughter says, "My father! Don't say it. Go to river and catch fishes." The mother was coming and say, "What are you doing? I said to your daughter to read and write in school books. Why your daughter don't write  question and answer and don't read the book. Say, why?" The father can not say any sentence. The mother become angry. She say to daughter, "Siama! Why your father cannot say? You cannot say this to your father?" Siama cannot say. And the mother was more angry. Mother say, "I will teach you each question and answer. But I will not teach you this question and answers. I will say question and you will say answer." Siama says, "No, mother. Give the book. I will read." The mother say, "No, you cannot read. I will say question and you will say answer. I say before time this. Give the book, I will say question." Siama go and take the book to mother. She before take a pencil, and write in her hand this book's answer. When the mother say the question, Siama see her hand and say the answer. The mother says, "Yes, you are the great." When the mother sees Siama's hand, the mother say, "Siama! What is in your hand? I think, that is some sentences. Why do you write this? Your hand will become dirty. Mother understand that, Siama has write answers in her hand. That is before sentence, but she will not say, she understand there is question's answers.

Saturday, June 6, 2015

রাজার মাথায় ব্যাঙের লাশ

রাজা বাদশাহ বাবু একদিন রাজপ্রাসাদে বসেছিলেন। উনি বড় চিন্তায় ছিলেন যে, ঐ রাজপ্রাসাদে একটি সোনার চেয়ার ছিল। রানীর লোভ সেই সোনা গলিয়ে সোনার গয়না গায়ে দেবে। আর রাজার লোভ আরো বেশি ছিল। রাজা চাইতো, সেই সোনা শুধু আমার নিজেরই হবে। আর সেগুলো দিয়ে আমি সোনার বাটি তৈরী করে বিক্রি করে অনেক টাকা দিয়ে অনেক মজার মজার জিনিস কিনব। তারপর সেগুলো বিক্রি করে যা খাঁটি খাবার পাব না, কাউকে না দিয়ে খাব। আর সেই সোনা একটু রেখেও দেব, যা দিয়ে অনেক সুন্দর জিনিস বানানো যায়। সেগুলো গলিয়ে উনি জিনিস বানাবেন এবং সেই জিনিসগুলো দিয়ে যা টাকা হবে তা দিয়ে আবোল তাবোল জিনিস কিনে আনবেন এবং সেই আবোল তাবোল জিনিস নিজে অনেক কাজে ব্যবহার করবেন বলে ভেবেছিলেন। আর রানী তো শুধু একটু কানের দুল, নাকের দুল ও গলার হার  চায়। রানী একদিন রাজাকে বলে, "রাজা বাদশাহ বাবু গো! শুধু সিংহাসনে বসে ঘুমোলে হবে? রাজা হয়ে সিংহাসনে বসে থাকলে না এক কথা। তাও আবার ঘুমিয়ে থাকেন আপনি।" রাজা বলে, "এই, মূর্খ রানী! রাজাদের ঘুম পেলে কি আর ঘুমায় না? আমি রাজা, আমি আমার ইচ্ছামত কাজ করতে পারব। রাজা হলে সবচেয়ে বেশি দয়ামায়া হয়। সবাই রাজাকে অনেক দয়ামায়া করে। আর মূর্খ রানী! বেশি সোনার লোভ করিস না কিন্তু। দেব একতরে ব্যাঙের পিঠে চাপিয়ে। তুই কিন্তু কোন বুদ্ধিমতী মেয়ে নয়। মনে রাখিস মূর্খ রানী। এমন মূর্খ কোনদিন দেখিনি। রাজার মুখের উপর কি সব বলে। বলে নাকি সিংহাসনে বসে ঘুমিয়ে থাকার কথা।" রানী বলল, "আচ্ছা যা বলছেন তাই হবে। আমি আসি।"- বলে রানী রাগ করে চলে গেল। নিজের ঘরে গিয়ে ভাবল, এই রাজাকে জব্দ করবই। এই রাজা আমাকে এত ভালবাসে না। এই রাজাটা দেখছি আমাকে একটু আদরও করে না। শুধু বকে। এই বার দেখাচ্ছি মজা রাজামশাই, ওরে বাদশাহ বাবু, দেখাবো এবার তোমায় মজা, হি-হি-হি।"- বলে রানী গেল দোকানে। দোকান থেকে একটি পোষা ব্যাঙ কিনে আনল। কারো কাছে ব্যাঙের কথা না বলে ব্যাঙটিকে অনেক যত্ন সহকারে রাখল। একদিন সেই ব্যাঙটাকে অনেক গন্ধওয়ালা পাউডার মাখিয়ে দিল। সেই গন্ধ ছিল এমন, রাজা মশাইর নাকে গেলে রাজামশাই গন্ধে পাগল হয়ে যাবে। তারপর ব্যাঙের খাবারে বিষ মাখিয়ে দিল। তারপর ব্যাঙটি মারা গেলে যখন রাজাকে ঘুমের ওষুধ দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে তার মাথায় দিল সেই ব্যাঙের লাশ। তারপর আরো একটা ব্যাঙ নাকি মরেছিল ছাদের উপর। ছাদ থেকে লাফিয়ে এসে ব্যাঙটি পড়ল রাজার মাথায়। দুটি ব্যাঙ হল। দুটি ব্যাঙ হল। আর রানী তো অনেক খুশী হয়ে সেই ব্যাঙটাকেও আরো মারার চেষ্টা করে মারল। করে তো মারতে পারলই, তবে সেই ব্যাঙের গায়েও গন্ধওয়ালা পাউডার মাখিয়ে দিল। তারপর রানী ঘুম থেকে ডাকল রাজাকে। যেই রাজা একটু চোখ খুলছে, অমনি রানী পালিয়ে গেল দরজা দিয়ে। রাজার ঘর থেকে পালিয়ে গিয়ে নিজের ঘরে গিয়ে বসল। আর রাজা ঘুম থেকে উঠে চিরুনি দিয়ে মাথা আচড়াতে গিয়ে দেখে ব্যাঙের লাশ। তারপর যেই একটু ভালমত খেয়াল করেছে, নাকের মধ্যে গন্ধটা ঢুকে তো রাজা এদিকে দৌড়ায়, ওদিকে দৌড়ায়। দৌড়াতে দৌড়াতে সে রানীর কাছে গিয়ে বলে, "আমাকে বাঁচাও। আমি তোমাকে এই সোনা দিয়ে অনেক গয়না বানিয়ে দেব। সোনাগুলো গলিয়ে তোমায় গয়না বানিয়ে দেব। আমাকে তুমি এই ব্যাঙের হাত থেকে বাঁচাও। মাথার উপর থেকে ব্যাঙটা সরিয়ে দাও।" বলে, "ছিছিছিছি, আমি কিনা রাজার স্ত্রী, আর আমি কিনা ধরতে যাব ব্যাঙের লাশ! ছিছি রাজা মশাই, ছিছিছি!" বলে, "না, তুমি সরিয়ে দাও। আমি জানি, তুমিই করেছ এ কাজ।" রানী বলল, "এ কেমন রাজা মশাই, নিজের মাথা থেকে ব্যাঙ সরাতে পারেন না! আপনি নাকি বলেছিলেন যে, প্রজারা অনেক সাহায্য করে রাজাদেরকে। আপনি প্রজাদের সাহায্য নিয়ে এমন হয়ে পড়লেন? তাড়াতাড়ি প্রজাদের কাছে গিয়ে বলুন।" আর প্রজারা ছিল অনেক লজ্জা পাওয়ার প্রজা। তখন রাজা যেই প্রজার কাছে গেল, সবাই হাসে: এ কী! রাজার মাথায় ব্যাঙের লাশ? এ কি করে হয়? হা-হা-হা-। কি মজা তো! চল সবাই গান গাই "রাজার মাথায় ব্যাঙের লাশ" বলে। সবাই গাইতে লাগল, রাজার মাথায় ব্যাঙের লাশ, রাজার মাথায় ব্যাঙের লাশ, রাজার মাথায় ব্যাঙের লাশ। লাল-লা-লা-লাল-লা। কি মজা, কি মজা! এত সুন্দর কথা। কবে থেকে শুনলাম আজ। রাজার মাথায় ব্যাঙের লাশ কি করে যে এল, তোমরা কি জান রে ভাইয়া? বলতে বলতে সবাই আনন্দ করতে লাগল আর রাজা মন খারাপ করে বসে থাকল।

Friday, June 5, 2015

মা ও চামেলী

এক গ্রামে চামেলী নামে এক ছোট মেয়ে ছিল। তার একটি ছোট ভাই ছিল। তার নাম জামিল। একদিন জামিল চামেলীকে বলল, "চামেলী! ও চামেলী! তুমি বলতে পার, তোমার ছুটি কবে থেকে শুরু হবে?" "এই তো। পরীক্ষা শেষ হয়ে এল। তোমার ছুটি হলেই আমাকে মা স্কুলে ভর্তি করে দেবে প্লে গ্রুপে।" তখন চামেলী বলল, "ওরে ভাই, তুমি কি আর বোঝ না ভাই? আমার ছুটি অনেক দেরী আছে। রোজার মাস আসতে অনেক দেরি। এখন এই কেবল মার্চ মাসের ১২ তারিখ ২০১৫ সালে। আরও তিন চার মাস বাকি আছে। তা হতে কত দেরী হবে বলতো ভাই আমার।" তখন ছোট ভাই মায়ের কাছে গিয়ে বলল, "চামেলীকে জোরে একটা বকা দাও। ও কি বলেছে জান? তাড়াতাড়ি যাও।" বলে, "কি করেছে? নিশ্চয়ই চামেলী তোকে মেরেছে, আমি গিয়ে এক্ষুণি দেখছি।" বলে চামিলী কে বলল, "এই তোর এত বড় সাহস? ্‌ামার ছেলেকে বকিস? দাড়া, তোর আজ খবর আচে।" বলে, "মা, না মা, তা না। আমি ....।" "এই চুপ কর, আর আমি আমি বলে লাভ নেই। আজ দেখিস, তোর কি অবস্থা করি।" বলে, "মা, ও শুধু জিজ্ঞেস করেছিল যে, ছুটি কখন হবে। আমি বলেছি, ও ভাই, ছুটি হতে অনেক দেরি। তাই সে দু:খ পেয়েছে। তুম্ ামায় এত ই করো না। মা তুমি যাও তো। তোমার কাজে যাও।" তখন মা আরে ারেগে বলে, "ওরে খুকুমনি, চামেলী, তোর এত বড় সাহস? আবার মিথ্যে কথা বলতে এসেছিস?" বলে, "না মা, আমি মিথ্যে কথা বলছি না। সত্যিই বলছি।" "ধুর গাধা, এমন গাধার মত বোকামি কেউ করে? দেখিছেস, রূপা কত ছোট মেয়ে। রুপা রবয়স দউ বছর। ও সে তার ছোট বোন এক বয়সী বাচ্চাকে অনেক আদর করে। আর তোর কয় বছর? সাত বছর। আর তোর এই ছোট ভাইয়ের কয় বছর? সাড়ে তিন বছর। জানিস না? মনে হয় যেন, জীবনে মিথ্যে কথা বলেনি, কেবল আজ কেবল মিথ্যে কথা বলছে।" চামেলী বলল, "মা, তুমি জান না। আমার ছোট ভাইকে জিজ্ঞেস করে দেখ।" বলে, "ঠিক আছে, যাচ্ছি এখনই ছোট ভাইকে জিজ্ঞেস করতে।" ছোট ভাই জামিলকে গিয়ে মা বলল, "বল তো আমার সোনা জামিল, তোর বোন তোকে কি বলেছিল?" বলে, "আমি জিজ্ঞেস করছিলাম ওর ছিুটি কখন হবে? আর ও বলছিল তা হতে আরো তিন চার মাস বাকি। তাই আমি তোমাকে এমন করতে বলেছি।" বলে, "ওরে, এটা তো সব দোষ তোর। এততো বড় সাহস তো, তুই আমার চামেলীর নামে এ কথা বলিস।" বলে, "মা, তুমি কিন্তু ভুল বলছ। আমি ওর ছোট। জান না তুমি? এখন আবার এমন বলছ কেন?" "ওরে আবার সাহসী কথা! তোকে আমি চকলেট কিনে দেব না। শুধু চামেলীর জন্য  ছয়টা  চকলেট কিনে দিব। আমি এখন চামেরীর কাছে যাই।"- বলে মা চামেলীর কাছে গিয়ে বলল, "আয় আমার সোনা। আমি তোকে চকলেট কিানে দিলে একটা চকলেটও দিবি না জামিলকে।" বলে, "না মা। তুমিই তো বললে। রূপা ওর ছোট বোনকে অনেক আদর করে।" বলে, "ও রে আমার সোনা রে। তোর জামিল তো কিছুই বোঝে না। জামিলকে আমি স্কুলেই ভর্তি করব না। জামিল স্কুলকে পছন্দ করে। ওর জন্য স্কুলে যাওয়া দরকার। কিন্তু আমি ওকে স্কুলে ভর্তি করব না। বাবাকে বলে রাখিস, যেন জামিলের জন্য একটা চকলেটও না আনে, আর জামিলকে যেন শিশুপার্কের টিকেটও না কাটে তার জন্য।" আর চামেলীকে বলে, "বাবাকে বলে রাখিস যেন এই কথা।" চামেলী মায়ের কথা খুব শুনত। তাই বাবাকে সত্যি সত্যি বলে দিল। আর জামিলকে একটা চকলেটও দিল না। জামিল তো সারাদিন শুধু কাঁদে। বলে, "আমাকে চকলেট্ কিনে দেয় না কেন বাবা? আমাকে মা চকলেট কিনে দেয়নি কেন? চামেলীও আমাকে একটা চকলেট দিল না কেন?"- বলে সে রাগ করে বাড়ির বাইরে গিয়ে অন্য একজন মাঠের বন্ধুর বাসায় গিয়ে আশ্রয় নিল। সে আর নিজের বাসায় থাকবেই না। সেই বাসায় নাবিল একটি ছেলের নাম, সে রোজ খেলতে যেত, তার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল। চামেলী, মা, বাবা ও কাজের মেয়ে সকলে মিলে ডাকতে লাগল, "জামিল, তুমি কোথায়? জামিল, রাগ করে বাড়ি থেকে পালিয়েছিস কেন? যদি এমন হয়, তোকে আমি সত্যি সত্যি শিশুপার্কের টিাকেট কাটব না। ও জামিল, তাড়াতাড়ি বের হ, নাহলে কিন্তু সত্যি সত্যি করে দেব এই কাজ। ও জামিল, তুই কোথায়?"  জামিল কিন্তু ঐ ছেলের সাথে খেলতেই ব্যস্ত আছে। কোন কথাই সে শুনল না। সবার বাড়িতে বলে, "জামিল আছে, জামিল? সাড়ে তিন বছরের ছেলে। দেখেছেন কোথাও আপনারা?" বলে সব ঘরে গিয়ে জিজ্ঞেস করে, কেউ বলে না। জামিল যেই বাসায় আছে, সেই বাসার সবাইকে গাড়িতে করে নিয়ে জামিলকেও নিয়ে গেল শিশুপার্কে বেড়াতে, যখন খোঁজাখুঁজি হচ্ছিল। জামিল মিশুপার্কে ঘুরে বেড়িয়ে  ঘোড়ায় চড়ে চকলেট কিনে বেলুন কিনে ঘরে ফিরল। তাও আবার নিজের বাড়িতে নয়, নাবিলের বাড়িতে।

Tuesday, June 2, 2015

বাবুর গল্প লেখা

একদিন এক মেয়ে সুমিতা যাচ্ছিল গল্প লেখতে। গল্পের বই বানানোর জন্য। বয়স খুবই কম। তারপরও আবার কম্পিউটারে গুগল ক্রোমটাও উল্টাপাল্টা টাইপ করে সেটা ফেলে দিয়েছে। এখন বলে, "আমি অনেক গল্প লিখব। কিন্তু ওয়েবসাইটে।" বাবা বলে, "না, এটা তো করা যাবে না। তুমিই তো আবোল তাবোল লিখে কি সব বানিয়ে দিয়েছ। আমার ইন্টারনেট গেছে। এত কষ্ট করে ইন্টারনেটটা ভালমত ভাইরাস থেকে বাচালাম, আর তুমি ইন্টারনেটটাকে ফলেই দিলে একেবারে! এমনকি ইন্টারনেটের একটা ওয়েবসাইটও আসছে না। ইন্টারনেট কেন তুমি ফেলে দিলে? এখন তো আর এটা লেখা যাবে .......না! লিখতে পারবে না! লিখতে হলে তো আবার তোকে উল্টাপাল্টা লিখে আবার নিয়ে আসতে হবে গুগল ক্রোম।" এবার বাবু বলল, "না, এবার আমি লিখব।" "ঠিক আছে, তাহলে তুমি ইন্টারনেটের সিডি কিনে নিয়ে এসো একা একা। এই আট বয়সী বাচ্চা বলে তারপরও সে আবোল তাবোল টাইপ করে গুগল ক্রোম ফেলে দিল।" তারপর মা এসে বলে, "কি হলো? আবার কিসের জেদ করল? তোমরা কিছু দেখ না বুঝি?" এখন বাবা আবার উত্তর দেয়, "দেখ যে তোমার মেয়ে কি কাণ্ড করে! বলে নাকি ইন্টারনেটে গল্প লেখবে ওয়েবসাইটে। ওয়েবসাইট কি করে বানায় সেটা তো আমি জানিই না। আমি জানি ইউটিউব, বিজয় ডিজিটাল, ব্লগার.কম। কিন্তু ব্লগারে ওয়েবসাইটটা বানাবোই বা কি করে, সেটাই তো আমি জানি না। আরো কত কি জানি, কিন্তু এটা জানি না।" তখন বাবার কথা শুনে মেয়ে চিতকার দিয়ে বলল, "আহা, আমি গল্প লেখব......।" মা মাথা গরম করে বলে, "এই মেয়ে! কত্ত বড় হয়ে গেছিস! তারপরও আবার উল্টাপাল্টা লেখিস কম্পিউটারে?" সে আর কী বলে! সুমিতা বলল, "না, তোমরা ইন্টারনেট আনতে জান। আর নাইলে আগে ইন্টারনেট চালু করেছিলে কিভাবে?" তখন বাবা আবার বলে, "ওরে! কি বলিস তুই? আমরা তো সরকারী কম্পিউটার কিনেছিলাম। ওখানে আগে থেকেই ইন্টারনেট রাখা থাকে সরকারী কম্পিউটারে রে!" "না, তোমরা জান ইন্টারনেট চালাতে। এটা আমি জানি। সরকার কি কম্পিউটার যারা দিয়েছে তাদের জিজ্ঞেস করনি কেন? এখন আবার যাও, জিজ্ঞেস করে আস।" বাবা কি করবে? আবার গেল সেই সরকারী কম্পিউটারের অফিসে। গিয়ে জিজ্ঞেস করবে। কিন্তু কাকে? সেখানে ম্যানেজারের কাছ থেকে সরকারী কম্পিউটার নিয়েছিল আগে। কিন্তু এখন তো অন্য ম্যানেজার হয়েছে। এখন কি করবে? সেই অন্য ম্যানেজারকেই জিজ্ঞেস করে। "আচ্ছা, আমাদের কম্পিউটারের ইন্টারনেট কিভাবে চালায়?" "ও আমি জানি না। যাও তো তুমি। বিরক্ত করো না। আমার কাছে একজন সরকারী অফিস থেকে লোক আসবে। অন্য আরেকটা সরকারী অফিস থেকে। যাও এখন। সেই লোকের সাথে অনেক জরুরী কথা আছে। তুমি এখন আমাকে দিয়ে সময় নষ্ট করিও নাতো। পরে আমার অনেক কাজ আছে। নাস্তা জোগাড় করতে বলতে হবে রাধুনিকে। রাধুনি এখনো আসেনি। এখনো গাড়িতে। রাধুনি এসে পড়লেই বলতে হবে। এখন তোমার সাথে সময় নষ্ট করে করে আমার কোন লাভ নেই। যাও তো।" তখন বাবা বলে, "আচ্ছা, আপনি কি জানেন, এর আগের ম্যানেজার কে ছিলেন? ওনাকে একটু দেখিয়ে দেবেন?" বলে, "ওরে বোকা! এখন আবার পুরান ম্যানেজারের কথা বলছে। দেখ, বলেছি না, তোমার সাথে সময় নষ্ট করে আমার কোন লাভ নেই। যাও তো এখান থেকে।" বাবা বাসায় গিয়ে বলে, "তারা বলল না তো।" তখন মেয়ে বলে, "না, ওরা বলেছে তোমাকে। যাও এক্ষণি আমাকে নিয়ে চল। আমি দেখব, ম্যানেজাররা কিন্তু কোন সময় কারো গোপন কথা রাখতে চায় না। বলে দেয় সবাইকে। এটা জান তো?" বলে, "হ্যাঁ, জানি। আস আমার সাথে।"- বলে আবার মেয়েকে নিয়ে যেতে হলো। তারপর মেয়েকে নিয়ে ম্যানেজারের কাছে গিয়ে বলে, "ম্যানেজার ভাই! একটু বলে দেবেন? ইন্টারনেট কিভাবে চালায়?" তখন বলে, "ধুত, তুই আবার এসেছিস? তাও আবার নিজের মেয়েকে নিয়ে। বলেছিলাম না? কতবার আমাকে বলতে হয় যে, তোমার সাথে সময় নষ্ট করে আমার লাভ নেই। যাও তো এখান থেকে, যাও। আর এই মেয়ে, তুই নিশ্চয়ই ইন্টারনেটে ভিডিও দেখতে চাস অথবা অন্য কোন কিছু দেখতে চাস, বা অন্য কোন কিছু দেখতে চাস, নাহয় অন্য কোন কিছু লিখতে চাস। আর নাহলে আরো অনেক কিছু করতে চাস। শোন মেয়ে, যদি আবার বাবাকে নিয়ে পাঠিয়েছ, তবে কিন্তু আমি একেবারে ধরে একটা বকা দিয়ে দেব। আমি জানি, নিশ্চয়ই তুমি বাবাকে আবার পাঠিয়েছ। এখন যাও তো।" মেয়েকে নিয়ে বাবা আসল। তখন বলে, "দেখলে, তোকেই কেমন বকা দিল? দেখলে তো, ম্যানেজার বলল কিনা।" তখন বলে, "না, তুমি বলেছ, এটা কাউকে বলতে না। আমি জানি। সে জানে যে, ইন্টারনেট কিভাবে চালায়।" তখন বাবা বলে, "তুমিই তো যাবার আগে বলেছিলে, ম্যানেজাররা কারো কথা গোপন রাখে না, সবাইকে বলে দেয়। এখন দেখ।" এখন বলে, "না, আমি জানি।" তখন বলে, "ওরে দুষ্টু মেয়ে, এখন থেকে আমরা শিশুপার্কে যাব শুধু তোর ছোট বোনকে নিয়ে। তোকে ঘরে রেখে যাব। ছোট বোনকেই মজা করাব। তোকে নেবই না। কালকেই আমরা শিশুপার্কে যাব তোকে ফেলে রেখে।" তখন বলে, "না, আমি যাবই। তবু আমাকে বল, কিভাবে ইন্টারনেট চালায়। আমি ইন্টারনেট চালিয়ে লিখব গল্প।" বলে, "ঠিক আছে, শিশুপার্কে যাবি, কিন্তু কম্পিউটারের কথা যেন আর একবারও না বলিস। এবার একবার যখন বলে দিয়েছি না বলিস, তখন আর বলা যাবে না যে, না, কম্পিউটারের কথা বলব।" তখন একদিন মা কম্পিউটার শেখার স্কুলে বাচ্চাটাকে ভর্তি করে দিল। ইন্টারনেট কিভাবে চালাতে হয় শিখে আসল। তারপর কম্পিউটারে গল্প লিখল।

Monday, June 1, 2015

গল্প বলার বিশ্বকবি হতে চায় ঝুমি

এক ছিল এক মেয়ে। তার নাম ঝুমি। সবাই তাকে ঝুম বলে ডাকে। হ্রস্ব-ইকারটা মুখে বলত না। একদিন ঝুমি বলল, "মা, আমি অনেক গল্প চিন্তা করেছি। আমি গল্প বলার হিরো হতে চাই। সেটা হতে হলে তো আমি গল্পের বিশ্বকবি হতে চাই।" "না মা, এটা কি করে তুই হবি? তোর তো সেরকম বয়স হয়নি। তোর কয় বছর? সেটা তো তুই ভুলে যাস না। তোর বয়স মাত্র এখন সাড়ে পাঁচ। ছয় বছর কেবল হবে। তোর এখন সাড়ে পাঁচ বছর, তাই তো তোর জন্মদিন এসে ছয় বছর হবে। তুই কি করে এমন হবি, বল, মা!" "না, মা। আমি কি করে হব সেটা তুমিই তো বলবে। তাছাড়া তুমি তো অনেক কিছু করতে পার। গাছে উঠতে পার, চুল কাটতে পার, সবজি কাটতে পার। তারপর আরো কত কি করতে পার! জুস বানাতেও পার। অনেক কঠিন রান্না যে তরকারিতে করে সেইটাও করতে তুমি পার।" "ওরে আমার সোনা রে! এত কিছু আমি করব কি করে? আমি তো হাতের কাজ করতে পারি, মুখের বলাবলি করতে পারি, লেখালেখি করতে পারি, শব্দার্থ বলতে পারি- যেমন টিচার মানে শিক্ষক। কিন্তু এরকমগুলো করতে পারি, তবু এমন সিনেমার হিরো, বিশ্বকবির হিরো, গল্প বলার বিশ্বকবি এসব কাজ তো করতে পারি না। তুমি কেন বোঝ না? কেন বুঝিস না তুই, মা?" "আরে অত কিছু আর বলতে হবে না মা। যাই কর, আমাকে তুমি গল্প বলার বিশ্বকবি হতে দাও। এখন থেকে কী আর করবে? বাপের কাছে গিয়ে বল।" "এখন কি করব? তোমার মেয়ে গল্প বলার বিশ্বকবি হতে চায়। সেটা করতে হলে তো তাকে গল্প বলার যোগ্য হতে হবে। তুমি কিছু কর। তোমার মেয়ের বায়না থামাও। কেমন বাপ হয়েছ, বায়নাও থামাতেই পার না মেয়ের? এমন বাপ জীবনেও দেখিনি। তাড়াতাড়ি যাও। মেয়ের বায়নাটা থামাতে বললাম, কিচ্ছু করছে না। দেখ যে কত বোকা! এত বোকা হলে কি চলে? তাড়াতাড়ি যাও। এমন মানুষ দেখতে পাইনি, কেবল তোমাকেই দেখলাম।" বউয়ের কথা শুনে জামাই বলল, "ঠিকই তো! তুমি তো ঠিকই বলেছ। যাওয়ার যখন যাব তো। মেয়ে আবার এই বায়না ধরল কখন?" "ওরে, আর বলো না। মেয়ের কাণ্ড দেখ দেখি। আর বলতে হবে না যে ঠিকই বলেছ। এগুলো বলে সময় নষ্ট করো না। তাড়াতাড়ি যাও।" তখন সে আবার বলে, "আরে তাড়াতাড়ি যাও বলার দরকার কি? এই আমি যাচ্ছি।" গিয়ে মেয়ের কাছে গিয়ে বলে, "ও মেয়ে! এমন আবার করছ কেন ঝুম? তুই তো আমার সোনার ঝুম। এমন বায়না কখনো দেখিনি। তুই এখন একটু থামতো। তুমি এ বায়না কার থেকে শিখলে? কবিতার হিরো হলে না এক কথা, তাও আবার গল্প বলার হিরো! ওহ! কি কর তোমরা!" "বাবা, আমাকে বিশ্বকবি হতে দাও গল্প বলার। তাড়াতাড়ি নিয়ে চল হিরো হতে।" "ওরে মেয়ে, এটা তো বিশ্বকবি হতে হলে কোথায় যেতে হবে, কিসে করে যেতে হবে; এটা কি পয়সা দিয়ে করে, নাকি আইডি কার্ড বা ফরম বা অন্য কোন কার্ড-টার্ড এসব তো আমি কিছুই জানি না। তবে জানার উপায় আছে। এটা আমি জানি, তবে সেটা বলতে পারে শুধু তোর মামা।" "তাই নাকি? তাহলে আমি নানা বাড়িতে আজই যাব।" "ও মা, আজকে যাবে সেই কতদূর রাজশাহীতে! এই ঢাকা থেকে। স্কুল তো কালকে থেকেই শুরু। বলতে ছুটি শেষ হয়ে গেছে। আগে বললেই তো পারতে রাজশাহী যাওয়ার বায়না।" মা বলে, "একি! এসব বাল বাল কথা বলে? এমন বালের কথা কোন মানুষের মুখে দেখিনি, শুধু তোমার মুখেই দেখছি। এমন জামাইকে যদি আমি জানতাম আগে থেকে, তাহলে বিয়ে করতাম না। দেখ, মেয়ের কাণ্ড! ঝুমু, তুই এত বায়না কোথায় পেলি ঝুমু? তোর বাবা তোকে আরো চেতিয়ে দেল দেখ দেখি! আস, তোমার জন্য চকলেট নিয়ে এসেছি, খাবে?" বলে, "দাও তাহলে।" মা চকলেট দিয়ে বায়না থামাতে চাইল। চকলেট খেয়েও বলে, "এবার আমাকে হিরো বানাও না।" বলে, "আচ্ছা, তোমার জন্য আরেকটা জিনিস কিনে আনব ভেবেছিলাম। এখন কিনে আনি।"- বলে মা গেল একটা বই কিনতে, যাতে আছে অনেক রকমের বায়না থামানোর উপায়। সেই জিনিস কিনে আনল মা। সেইটা দেখে বাবু বলে, "কি সুন্দর বই এনেছে। আমি পড়ে দেখি।" সেই বইতে আসলে লেখার মধ্যে অনেক কিছু ছিল। কোন্‌ কোন্‌ বায়না কি দিয়ে ভাঙ্গানো যায়। সেই বই পড়লে সেই বায়না থেমে যাবে। মা বলে, "এই চাপ্টারটা বেশি মজার।" বলে পৃষ্ঠা উল্টাতে উল্টাতে সেটা বের করল। এক পৃষ্ঠায় লিখেছে সিনেমা বানানোর বায়না। তার পরে লিখেছে রান্না করতে যাওয়ার বায়না। তার পর লিখেছে চকলেট খাওয়ার বায়না। তারপরই লিখেছে গল্প বলার বিশ্বকবির বায়না। হেডিংয়ের নাম: "কি করলে গল্প বলার বিশ্বকবি হওয়া যায়।" আসলে তো যেটা করলে বিশ্বকবি হওয়া যায় না, সেটা লেখা আছে। বাবু মনে করল, এটা করলে বুঝি বিশ্বকবি হওয়া যায়। সেখানে লেখা:- "বেশি বেশি লেখাপড়া করা ও স্কুলে যাওয়া ও সবার প্রতি ভালবাসা রাখা ও জেদ করা যে, আমি বিশ্বকবি কোন কিছুরই হতে যাব না। এই গুলো করলেই এই গল্প বলার বিশ্বকবি হওয়া যায়। কোন কোন মানুষ এমন আছে, যে বলতেই চায় না, আমি বিশ্বকবি হব। সেরকম আচরণ করা ভাল। এমন করলেই তো বিশ্বকবি হওয়া যাবে।" বাচ্চাটা তো কিছুই বুঝল না। ভাবল, এটা করলেই বুঝি বিশ্বকবি হওয়া যায় গল্প বলার। এই ভেবে লেখাপড়া করল, নিয়মিত স্কুলে গেল। তারপর তখন থেকে বাচ্চাটা অনেক ভালমত কাজকর্ম করত। তারপর দেখল, এতে আরো সে ভুলে গেল বিশ্বকবি হওয়ার কথা। সে এখন মন দেয় লেখাপড়ায়। ভালবাসা রাখে সবার উপর। বেশি বেশি স্কুলে যায়। লেখাপড়া করে। স্কুলের নতুন বাচ্চাদের বুঝিয়ে দেয়, এটা ওটা কি, কোনটা 'ক' কোনটা 'খ'। এসব বুঝিয়ে দেয়। অনেক কষ্ট করে তাদের তার জেদটা থামাল। এরপর তার একটা ছোট বোন হল মারহা। তার বড় হওয়ার পর তারও একটা অভ্যাস হল পেন্সিলের পিছনে কামড়ানো। কামড়িয়ে চোষা। আগে কামড়ায় যাতে রসটা বের হয়। তারপর সেই রস চুষে চুষে খায়। এখন মা একদিন বলল, "আমি একটু রান্না করে আসি। তুই 'ক' থেকে 'চন্দ্রবিন্দু' পর্যন্ত লিখে নে। নতুন স্কুলের পড়া।" তার নাম ছিল রুপোলাবতী। কিন্তু তারপরও সে পেন্সিল চাবাতে পারছিল না। কারণ, তার বাবাকে ডেকে দিয়ে গেল মা। বাবা বলে, "একি! তুই এমন করে আছিস কেন, মা? আমার রুপোলাবতী। পেন্সিল চাবানোর ধান্ধা করছ বুঝি? কর, অনেক ধান্ধা কর। তুমি তো পেন্সিল চাবাতে আর পারবে না, যত খুশী ভাব। এটা করার আবার বায়না করো না যেন। আগেরবার তোমার বোন কিসবের বায়না করেছিল জান? তুমি তো জান না, জানেলে তুমিও করতে। সেজন্য আমরা বলিনি। এখন তুমি যত খুশী পেন্সিল চাবাও, পরে নিজেই নিজেকে বকা খাওয়াবে। আমরা তোমায় বকা দেব, তুমি নিজে পেন্সিল চিবিয়ে বকা খাওয়াবে নিজেকে নিজে।" রুপোলাবতী বলে, "বাবা, চুপ কর তুমি। এসব ভাল লাগে না। আমি চেয়েছি এমন বাবা, যে অনেক আদর করবে, এবং মেয়ের বায়না করতে দেবে, মেয়ে যা করতে চায় তাই করতে দেবে। এমন বাবা চেয়েছি। তোমাকে তো আমি চাইনি বাবা। তুমি এখন একটু যাও। আমি একটু পেন্সিল চাবাবো।" বাবা বলে, "পেন্সিল তো এখন চাবানো যাবে না। তোমার মা ডিউটি দিয়েছে আমাকে এখানে থাকার।" "না, এক মিনিটের জন্য শুধু যাও।" বলে, "এক মিনিটও অনুপস্থিত থাকব না। আমি এবার যাব সেটা হবে না। যত খুশী চাবাতে চাও, পারবে না।" তখনই পেন্সিল দিয়ে একটু নাড়া দিয়ে বলে, আমার লেখা শেষ। তখনই বাবা মনে করে, লেখা শেষ। তখন বলে, "দাড়াও, আমি একটু তোমার বড় বোনের কাছে যাই। তুমি বরং এগুলো দেখ ঠিকঠাক মত আছে কিনা। দেখ, আবার পেন্সিল চাবিও না যেন। যদি আমি এসে দেখি, পেন্সিলের পিছন দিকটা থেকে রস বের হচ্ছে, বুঝব যে তুমি পেন্সিল খেয়েছ।" বলে, "আচ্ছা বাবা, তুমি দেখে আস।"-বলে সে ঝটপট করে লিখে পেন্সিলটা খেয়ে কালো কাপড় গ্লু স্টিক দিয়ে লাগিয়ে রাখল, যাতে যত রস পড়ে শুধু ঐ কাপড়ের উপরেই পড়ে। সেই কাপড়ের উপর পড়লে তো আর বোঝা যাবে না যে, রস পড়ছে। আগে ভালমত খেয়ে নিয়ে গেল। তারপর কাল কাপড় গ্লুস্টিক দিয়ে লাগিয়েছিল। আর সেই মেয়েটা অনেক দ্রুত কাজ করে ফেলত। সেটা পরিবারের কেউ জানে না। সে তো ছোট বোন। তাই তাকে অনেক সময় দেয়া হয়েছে। তাই সে হেলেদুলে কাজ করত। সে চেক করল, খাতার লেখা ঠিক আছে কিনা। তখন বাবাকে ডাক দিয়ে বলল, "বাবা, সব ঠিক আছে।" তখন বলে, "ঠিক আছে? তোমার মাকে ডাকি এখন তোমার খাতা দেখতে।" মা এসে বলে, "এই তো! সুন্দর হয়েছে। এবার 'অ' থেকে 'ও' পর্যন্ত লিখে ফেল তো দেখি।" তখন বাবা আবার তার বোনের (ঝুমির) লেখা দেখতে গেল। ঝুমি ছিল প্রশ্নউত্তর। পাতার রং কি? পাতার রং সবুজ। কোন্‌ ফুলের সুবাস বেশি? সাদা ফুলের সুবাস বেশি। এসব ছিল ওর। তার কাছে গিয়ে দেখল, সে ঠিকমত লিখছে কিনা। এই ফাকে সুপোলা সেই কাল কাপড়টি খুলে আরো একটু রস খেয়ে নিল কালো কাপড়টি খুলে। 

Saturday, May 30, 2015

রাজপ্রাসাদ

এক ছিল রাজপ্রাসাদ। রাজা, রাণী, মন্ত্রী, সেনাপতি, প্রহরীরা আর সব প্রজারা আর রাজকন্যা ও রাজপুত্র সেই রাজপ্রাসাদে থাকত। সেই পরিবারে অনেক ঝামেলা ছিল। একটু সুযোগ পেলেও তারা ঝামেলা বন্ধ করতে পারত না। সুযোগ পেলেও না। সেই রাজপুত্র ও রাজকন্যা মিলে একদিন বুদ্ধি করল, শিশুপার্ক তো বহু দূরে। একদম ঢাকার ইউনিভার্সিটির দিকে। আমরা তো আছি দক্ষিণ ফুলার রোডে। তাই তারা বুদ্ধি করল, নিজেরা নিজেরা স্প্রিং বানাবে। অনেক লাঠি নিয়ে এল রাজপুত্র। রাজকন্যা অনেক বড় একটা কাপড় সেলাই করে আনল। রুমালের মত অনেক বড়। চারকোনায় চারটা লাঠি দিলে আর মাঝখানে কাপড় ঝুলিয়ে দিল। কাপড় তো আর এমনি এমনি ঝোলানো যাবে না। তাই তার নিচে কিছু একটা জিনিস নিয়ে দিল। রাজকন্যা দড়ি নিয়ে এল। রাজপুত্র মায়ের কাছ থেকে দড়ি বাধা শিখে এল। দড়ি দিয়ে বাঁধল। তারপর ছোট ছোট টুল একটার উপর আরেকটা দিয়ে দিয়ে সিঁড়ির মত বানালো। সেই স্প্রিংয়ের লাফানোর জন্য যে তারা বানিয়েছে, সেটাই কেউ জানত না। সবাই এটাও জানে না, স্প্রিং কোথা থেকে এল এবং এটা  যে রাজপুত্র ও রাজকন্যা বানিয়েছে। একদিন রাজা ও রানী রাজকন্যাকে বলে, আমার প্রশ্নের একটা উত্তর তুমি দিতে পারবে? তুমি তো খুব বুদ্ধিমতী। "হ্যাঁ, কেন পারব না? বল কি।" "আচ্ছা, তুই বলতে পারিস যে, স্প্রিং কোথা থেকে এসেছিল আর কেই বা বানিয়েছিল।" "আরে, সেটাই তো তোমাকে বলা হয়নি মা। তুমি এটা যে আমার কাছে প্রশ্ন করছ। সেটার উত্তরটি হল, এগুলো আমরা লাঠি নিয়ে এসেছিলাম। আমরা কাপড় নিয়ে বানিয়েছিলাম। রাজপুত্র মিলে। রাজপুত্র তোমার কাছে দড়ি বাঁধা শিখতে চেয়েছিল কেন, এটা তাহলে বুঝলে?" "ও, আমার সোনা! তুই তো দেখছি এত কিছু বানাতে পারিস। আমার প্রশ্নের কত উত্তর দিয়ে দিতে পারিস তুই। এবার রাজপুত্রকে একটা প্রশ্ন করব। রাজপুত্র তো খুব বুদ্ধিমান ছেলে। সেও তো তোর মত খুবই বুদ্ধিমান। আমি ডেকে আনছি রাজপুত্রকে। রাজপুত্র তো অনেক ভাল। তোকে আমি আইসক্রিম দেব, আর রাজপুত্রকে খেলনা কিনে দেব। বল কিনে দেব। কিনে দেব হল বল আর পুতুল। আর তোকে তো চকলেট কিনে দেব। রাজপুত্র তো ভাল, তাই তাকে একটা প্রশ্ন তো করা দরকার প্রমাণ করার জন্য। এখন আমি যাই, তুই এবার তোর কাজ করতে যা।" বলে রানী রাজপত্রকে ডেকে বলল, "এই যে, বলতো দেখি বাবা, উত্তর দিতে পারবে তো?" "কিসের উত্তর দিতে হবে বল।" "আমার প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে তোকে, বাবা।" "পারব না কেন? আমি তো নিশ্চয়ই পারব। বল, কিসের উত্তর দিতে হবে?" "আচ্ছা, তুই কি বলতে পারিস যে, ঘর বাড়িতে যত গাছপালা থাকে, আমাদের ঘরের পাশে, সেই গাছে যেই গাছগুলোতে ফল হয় না সেই গাছগুলো দেখিয়ে দিতে পারবি? এই উত্তরটা তো তোকে দিতে হবেই।" "এটা তো অনেক সহজ প্রশ্ন, মা। আমি এক্ষুণি দেখিয়ে দিচ্ছি। চল আমার সাথে।" বলে সে দেখিয়ে দিল, "ঐ গাছটা, মা। ঠিক আছে?" "ওরে বাবা! আচ্ছা, তুই তো দেখি অনেক পারিস। তবে আরেকটা দেখাতে পারিস?" "পারব না কেন? আমি তোমায় তিনটা গাছ দেখাব।" "ওরে সোনা! তুই তিনটা গাছ দেখাতে পারবি? কত ভাল তুই! রাজকন্যা অনেক ভাল। তুইও অনেক ভাল। কি সুন্দর স্প্রিং বানিয়েছিস তোরা দুজনে মিলে। এখন বাকি দু'টা দেখা তো দেখি।" এই বলে মা দেখাতে বলল। রাজপুত্র বলে, "মা! চল আমার সঙ্গে। ঐ গাছটা দেখ, আর ঐ গাছটার দিকেও তাকাও। কোন ফল আছে?" "না তো। তুই কত বুদ্ধিমান! যা, এবার তোর কাজে যা। এবার তোরা তো বেশি কাঠাল খেতে পছন্দ করিস। দেখি, তুই আর তোর বোন রাজকন্যা আমাকে কতটা ভালবাসিস। আমার কাজের জন্য কতটা কষ্ট করে আমি আগে পরীক্ষা করি। তাহলে বুঝব, তোরা দুজনই খুব বুদ্ধিমতী আর বুদ্ধিমান। তুই তো অনেকগুলো দেখিয়েছিস, এবার তাহলে রাজকন্যাকেও আরো দুটো প্রশ্ন করি।" বলে রাজকন্যার কাছে গিয়ে বলল, "আরো দুটো ছোট প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে? বল তো দেখি, সাদা ফুলের সুবাস বেশি, নাকি লাল ফুলের সুবাস বেশি।" এই প্রশ্নের উত্তর দিল হল, "সাদা ফুলের।" মা ভাবল, এত ছোট মেয়ে কি করে বুঝল এসব। "আচ্ছা, তাহলে এর পরের প্রশ্নটার উত্তর দে দেখি। তুই কি জানিস, এই বল রাজপুত্রের জন্য যে এনেছি, সেটা কি ভাল হল নাকি হল না।" বলল, "এটা কেন হতে যাবে ভাল না? ভালই তো। রাজপুত্রকে দিয়েছ ভাল না? খারাপ হতে যাবে কিজন্য?" "এখন তোমার উপর আমি পরীক্ষা নেব, তুই আমাকে কতটা ভালবাসিস এবং আমার কথামত কতটা কষ্ট করে কাজ করিস।" রাজপুত্রকেও এ পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। তোরা তো কাঠাল পছন্দ করিস না। খেতে তোদের খারাপ লাগে। তাই এখন আমি একটা কাঠাল এনে দিচ্ছি, সেটা খাও। তখন রাজপুত্র ও রাজকন্যা খেতে পারল। মা বলে, "এই তো, কত ভাল! এবার আরেকটা পরীক্ষা। দুই নম্বর পরীক্ষা। তিন নম্বর পরীক্ষাটা পারা দরকার। না পারলে কিন্তু কিছু হবে না।" এখন তুই বাগান থেকে ফুল এনে তো তোরা মালা গাঁথতে পারিস না। মালা গেথে দেখা। তখনও তারা মালা গাঁথতে পারল। "এ বাবা, কি সুন্দর পারে। স্প্রিং যখন বানিয়েছিস, এই উত্তর দিতে পারলে সেই স্প্রিংয়ে লাফাতে পারবি।" এখন বলে, "এই তিন নম্বর পরীক্ষাটা অনেক কঠিন। বলতে পার? ঘোড়ার যে কয়টা পা থাকে, পায়ের একটু ক্ষুর থাকে, সেই ক্ষুরটা ছাগলেরও থাকে। এটার সত্য মিথ্যা বলতে পার? একবারের বেশি বলা যাবে না। একবার না বুঝতে পারলে হবে না। তোরা তো অনেক কঠিন কথা বড় বাক্য একসাথে বলতে পারিস না। এটা অনেক বড় বাক্য। বলতে পার?" বলল, "এটা সত্য।" "ওরে, তিন নম্বরটা তো পেরেই গেছিস। এখন স্প্রিংয়ে ওঠ। আর এখন আমি তোদের বাবাকে আনছি। আমি লাল রঙের লাইট, বাবা নীল রঙের লাইট স্প্রিংয়ের মধ্যে নাড়াতে থাকবে, দাড়াবে বাইরে, কিন্তু লাইটটা পড়বে ঐ স্প্রিংয়ের মধ্যে। আর আমি সেই একই ভাবে লাইট স্প্রিংয়ের মধ্যে ফেলব। আর নাড়াতে থাকব লাইট। লাইট যেদিকে যাবে, সেদিকে তোরা যাবি। রাজপুত্র যাবে নীল লাইটের সাথে, আর রাজকন্যা যাবে লাল লাইটের সাথে। লাফিয়ে লাফিয়ে নাচতে হবে। প্রহরীদেরকে আসতে বলব। লাইট বন্ধ করে দেবে। প্রহরীরা ক্যামেরা নিয়ে আসবে। ফিট করবে টিভিওয়ালারা। তারপর টিভিতে রাজ্যের রাজপুত্র ও রাজকন্যার নাচ দেখাবে। এবার সেই স্প্রিংয়ের চারপাশ দিয়ে প্রহরীরা এল। বাবা-বা লাল লাইট নীল লাইট নিয়ে এল। রাজকন্যা ও রাজপুত্র উঠে গেল স্প্রিংয়ে। রাজকন্যা গেল লাল লাইটের দিকে, আর রাজপুত্র গেল নীল লাইটের দিকে। আর মন্ত্রী আর সেনাপতি মিলে ক্যাসেটে গান বাজিয়ে দিল, মিউজিক দিল। একটাতে মিউজিক, আরেকটাতে গান। গানের তালে তালে ওরা লাইট ই করতে থাকল। আর রাজকন্যারা লাইট দেখে নাচল। আর মন্ত্রী আর সেনাপতি তাল দিতে লাগল। রাজা বলে, "এই, তোরা তাল দিস কেন? তোদেরটা ক্যামেরায় উঠলে তো হবে না। তাও আবার স্প্রিংয়ের একদম কাছে। আমরা রাজা-রানী, আমাদেরকেই তো তুলতে দিচ্ছি না। শুধুই নাচের দিকটা ক্যামেরায় রেকর্ড হচ্ছে। আমরা যে লাইট মারছি, এটা তো আর ক্যামেরায় পড়ছে না। তোরা এসে এখানে তাল দিস না। সেনাপতি আর মন্ত্রিী এসে তাল দিতে বসেছে। দেখ, কেমন লাগে!" সেটা টিভিতে দেখে মানুষ হাসতে লাগল। "কী সুন্দর নাচতে পারে। আর রাজামশাইর কাছে যখন সেনাপতি আর মন্ত্রীর কাণ্ডটা দেখল, তখন সবাই অনেক হাসাহাসি করল।

Thursday, May 28, 2015

সোনার ঘর

এক ছিল এক রাজা। রাজার বাড়ির দু'পাশে দুটি ঘর। একটি হল তাঁবু। আরেকটি ছিল সোনার ঘর। মন্ত্রী ছিল খুব লোভী। চাইত মহারাজকে বেশি ভালটা দিতে। সে চাইত যে, তাঁবুটাকে সরিয়ে সোনাটাকেই শুধু পাশে রাখবে। কিন্তু না। কিভাবে হল জান? একদিন রাজা কাপড় নিয়ে রানীদেরকে বাচ্চাকে পড়ানোর জন্য দিতে যাচ্ছিল। এমন সময় মন্ত্রী এসে বলল, "রাজা মশাই! কাপড়? আপনিই আজকে আবার প্রতিদিনের মত বাচ্চার জন্য আপনিই কাপড় নিয়ে যাচ্ছেন? রানীদের কাছে দেবেন কি করে? রানী তো বাগানের মধ্যে গাছের ফল খাওয়ার জন্য নিয়ে আসতে গেছে। আর বাচ্চা তো বাগানের মধ্যে প্রজাপতি দেখে খেলতে গেছে। কাপড় না পরে কততো বরফ পড়ছিল। সোয়েটার গা দিতে হয়। কিন্তু সে তার গেঞ্জি পরেই গিয়েছিল।" মন্ত্রীর কথা শুনে তো রাজা ভয়ে ঘাবড়িয়ে গেলেন। বললেন, "মন্ত্রী, এ কি বলছ তুমি! তুই বলছিস টা কি? আমার মেয়ে গেঞ্জি পরে বাহিরে গেছে? সকালেই তো বরফ পড়েছিল। বরফ গলে গিয়েছিল। তাতে সেটা অনেক ঠাণ্ডা পানি ছিল। তার উপর দিয়ে খালি পায়ে গেলে তো সর্বনাশ! শত্রুরা বাচ্চার চিতকার শুনেই তো ভাববে যে, ও একা। ভেবেই তো ওরা ওকে নিয়ে যাবে। তাড়াতাড়ি ওকে উদ্ধার করে নিয়ে এসো। দেখ, বাগানের কোথায় গেছে। আরেকটা সোয়েটার নিয়ে যেও। পেলে ওকে পরিয়ে দিও।" বাচ্চাটা ভারি বুদ্ধিমান ছিল। তাই সে স্যান্ডেল পরেই গিয়েছিল। রাজপ্রাসাদে সবাই রাজার কথা শুনে আর মন্ত্রীর কথা শুনে জলদি করে সকলে মিলে গেল। আর ওদিকে রাজা তো একা হয়ে পড়ছিলেন। আর পিছন দিক দিয়ে আসছিল শত্রুরা। রাজামশাই নিজে মরতে ভয় পেত না। কিন্তু তার বাচ্চাকে নিয়েই তার মহাচিন্তা। এমন সময় শত্রুদের কথা আগে যুদ্ধ হয়েছিল যে, সেই কথা তার মনে হল। তখন যে সে আমার দু' রাণী ছিল, এক রাণীকে হত্যা করেছিল। তা থেকেই আমার এক রাণী। এখন তার মনে বড় ভয় হল। আর শত্রুরা আসছে পায়ের শব্দ শুনেই রাজামশাই ভয়ে চিন্তায় পড়ল। এখনই যদি বাচ্চা এখানে এসে পড়ে কাজের লোকদের সাথে, তবে তো তারা আমাকে পরে নিয়ে আগে আমার বাচ্চাটাকেই হত্যা করে ফেলবে। এখন কি করি! এই ভেবে তো রাজা বড় চিন্তায় পড়ে আছে। এবার শত্রুদেরকে ভয় দেখানোর জন্য রাজা খেলনা সাপ জানালার বাইরে এরকম একটু বের করে সাপের মত ছি ছি করে আওয়াজ করল, আর শত্রুরা তো সাপের ভয়ে পালিয়ে গেল। তারপরই এল তার ছোট্ট বাচ্চা। বাচ্চাটাকে পেয়ে তো খুশী হলেন এবং কোলে নিলেন। কিন্তু বাচ্চাটা খুশী ছিল না। বাচ্চাটা বলছিল, "মা, মা, মা!" তার মা তো ছিল বাগানের মধ্যে গাছের ফল ছিঁড়তে। ফল ছিড়ে ফিরে আসছে না দেখে সে কান্না শুরু করে দিল। রাজ্যের সবাই বলে, "তোমার মা এসে পড়বেই। তোমার মা তো এসে পড়বে। তুমি তো রাজকন্যা। রাজকন্যারা অমনভাবে কাঁদলে কি হয়? আধা বয়সের বাচ্চারা না কাদে, তোমার তো আধা বছর পার হয়েছে, দেড় বছর তো হয়েছে। এক হলে না এক কথা, তাও আবার দেড় বছর হয়ে গেছে। তুমি এমন কাঁদলে হবে?" আর ওগুলো বলতে বলতেই মা ফলের ঝুড়িতে ফল নিয়ে এসে পড়ল। রাজার কোল থেকে বাচ্চা নেমে এসে মায়ের কোলে এসে পড়ল। আর মাও খুশী হয়ে বলল, "এত ভালবাসা লাগবে না। শেষে এত ভালবাসা দিতে দিতে দেখবি নিজেই বিপদে পড়ে গিয়েছিস। এই দেখ, কত রকমের ফল এনেছি। এনেছি আম, আর এনেছি আপেল, আর কমলা। তোর তো একদম পছন্দের ফল এগুলো। খাবি না? তাড়াতাড়ি চল বেসিনে হাত ধুতে।" বাচ্চাকে নিয়ে হাত ধুইয়ে নিয়ে এল, ছোলা ছিলিয়ে দিল মা। বাচ্চাটি খেতে লাগল। এই ঘটনা নিয়ে নিয়েই মন্ত্রীর ভাবনা গেল সোনার ঘর। সেই সোনার ঘরে থাকার লোভ আর মেটাতে পারছিল না। সেই ঘরটা ছিল গরীবদের জন্য, তবুও সে ভোর বেলা কোথায় গেল জান? সেই সোনার ঘরে। কিছুক্ষণ থাকার পর তার সাধ মিটছিল না। সাধ মেটাতে গিয়ে মন্ত্রী একটা খবর দেওয়ার কথা ছিল, সরাই খানায় খাবার দেওয়া এবং সেখানে লোক আসবে- এই লোক আসার কথাটি রাজাকে দেয়া আর খাবার দিতে হবে এই কথাটা দেয়া; কিন্তু তার সাধ মেটাতে গিয়ে সেগুলো আর বলা হলো না, লোক এসে বসে থাকল। কিন্তু কোন কোন খাবার পাচ্ছিল না খাওয়ার জন্য। প্রহরীরা খবর দিতে এল, তবু মন্ত্রী এল না। একদিন এক গরীব লোক এল, তাকে ঐ সোনার ঘরে থাকতে দিল। কিন্তু সে গিয়ে দেখে মন্ত্রী মশাই বসে আছে। "মন্ত্রী মশাই! আপনি এখানে কি করছেন?" "আমি মানে, আমি মানে, আমি.. এখানে একটু রাজা মশাই বলেছিল যে, পরিষ্কার করে রাখতে, এখানে লোক আসছে, তাই এখানে বসে একটু পরিস্কার করছিলাম।" "ঠিক আছে, আর দরকার নেই, আমাকে থাকতে দিয়েছি। এখন আমি ঢুকি?" "উঠাবে না কেন, ঢোক"- এই বলে সে আবার রাজপ্রাসাদে গেল। রাজা মন্ত্রীকে দেখে বলল, "মন্ত্রী! তুমি এতক্ষণ কোথায় ছিলে?" মন্ত্রী বলে, "এই মানে, আমি একটু ছোট বাচ্চার কাপড় পরিস্কার করে এলাম।" তখন রাজা বলে, "এখন দেখি তো, কেমন পরিস্কার করেছ?" তখন বলে, "আমি নিজেই ভুলে গিয়েছি, কোথায় রেখেছি। একটু খুঁজে আনি। খুঁজে আনতে একটু সময় লাগবে।"- এই বলে সে কাপড় ধুতে গেল। ধরা না খাওয়ার জন্য এমন করল। রাজা মশাই ভাল ছিলেন। মন্ত্রী যদি বলত যে, সোনার ঘরে একটু থাকি, তাহলে রাজা মশাই থাকতে দিত। কিন্তু সেই লোভ গোপনে গোপনে করছিল। মন্ত্রী এবার কাপড় খোঁজার নাম দিয়ে বাসায় গেল এবং ধুয়ে টুয়ে নিয়ে এল। সোনার ঘরে আবার গেল। তারপর গরীব লোকটি গোসলের জন্য পুকুরের পাড়ে গেল। আর অমনি সোনার ঘরে ঢুকে পড়ল। তখন আবার লোকটি এসে বলে, "আবার কি করছ মন্ত্রী?" বলে, "রাজা আমায় প্রতিদিনের কাজ/দায়িত্ব দিয়েছে এই ঘর পরিস্কার করার। আপনি চলে গেলে আর ঘর পরিস্কার করব না।" বলে, "ঠিক আছে, এখন যাও।"- বলে সে সোনার ঘরে ঢুকল। আর ওদিকে তাঁবুর কথা তো বলাই হচ্ছে না। ওদিকে তাঁবুতে এক ধনী জ্ঞানী মানুষ রাজাকে দাওয়াত দিতে এসেছিল। বলে, "কবে দাওয়াত দিবে?" বলে, "আর বইলেন না, এই তো। ৫ দিন পরে। এই বিয়ের কার্ডটা দেখুন। বুঝতে পারবেন সব। নাখালপাড়ার কুলফি গার্ডেন সেন্টারেই বিয়েটা হচ্ছে। আর সেই বিয়েতেই আপনার দাওয়াত।" এখন বলে, "ঠিক আছে, তবে তুমি তাঁবুতে থাক।" আর মন্ত্রী এমন করে করেই সোনার ঘরে থাকছে। কিন্তু সাধ মিটছিল না। কারণ, খুব কম সময়।