হাতি একদিন কলাগাছ খুঁজে পাচ্ছিল না। ক্ষুধায় মরে
গেল। সেই সময় একটা পাখি হাতিটার এত কান্না দেখে মুখে করে অনেক দূর থেকে একটা একটা
করে কলা এনে এনে হাতিকে খেতে দিল। সেটা দেখে হাতি খুব খুশি হল এবং ধন্যবাদ দিল।
বলল যে, "ধন্যবাদ! আজ থেকে তুমি আর আমি বন্ধু।" তারপর একদিন পাখিরা
খাবার পাচ্ছিল না। হাতি তাদের একটি বুদ্ধি দিল। "বন্ধু, তুমি সেদিন আমাকে কলা
এনে দিয়েছিলে। আজ আমি একটি বড় কলাবাগান খুঁজে পেয়েছি। ঐ বাগানে আমি এখন রোজদিন কলা
খাই। আমি বরং তোমাকে ঐ কলা এনে দেব। তোমরা সেগুলো খাবে, আর আমি কলাগাছ খাব। ঠিক
আছে, বন্ধু?" "আপনাকে অনেক ধন্যবাদ"- পাখি বলল। "আমার
বাচ্চাদের জন্যও ছোট ছোট কলা নিয়ে আসবেন। তাহলে আমাদের বন্ধুত্ব আরো গভীরে চলে
যাবে।"- এই বলে পাখি উড়াল দিয়ে একটি গাছের ডালে বসল। আর হাতিটা লাফাতে লাফাতে
কলা বাগানে ঢুকে গেল। কলাবাগান থেকে কলাগাছ শুড় দিয়ে পেঁচিয়ে সেখানে এনে কাত করে
রাখল। পাখিকে ডেকে আনল। পাখিকে বলল, "এই নাও, তোমার কলা।" এখন পাখি বলল
যে, "আমার পরিবারের যে লোকরা আছে তাদের সাথেও বন্ধুত্ব কর। আমার পরিবারে
অনেকজন পাখি আছে। আটজন পাখি আছে আমাদের পরিবারে। আর আমার তিনটি ছোট ছোট বাচ্চা আছে।
সবাই একটা করে ফল খেলেই পেট একদম ভরে যায়। আমি তাদের ডেকে নিয়ে আসছি। তারাও খাবে।
আমার ছেলেমেয়েরা উড়তে পারে না। তাই আমি তাদের জন্য কলা নিয়ে যাব। আমাদের না ছোলা
খেতে ভাল লাগে না, ভিতরের মিষ্টি কলাটুকু বেশি মজা। আর তাতে পেটও বেশি ভরে। এখন
তাহলে ডেকে আনছি। এত কথা বলার দরকার নেই। আগে তো পরিবারের লোকদের খাওয়াই, তারপর না
হয় কথা হবে। আসি।" বলে সে চলে গেল। আর হাতি বলল, "তাড়াতাড়ি ফিরে
এসো।"- বলে হাতি বসে পড়ল এক জায়গায়। পরিবারে আটজন ছিল। গাছেও সেই আটটাই কলা
ছিল। তারপর তাদেরকে ডেকে আনার পর সবাইকে হাতে একটা করে কলা দিয়ে দিল। দুটি ছিল খুব
ছোট কলা। পাখিটি বলল, "শোন সকলে, এই দুটি ছোট কলাগুলো খেও না কেউ। এগুলি আমি
আমার বাচ্চাদের জন্য নিয়ে যাব।" তখনই খাওয়া শুরু হল। পাখিরা সবাই ঠোকরাতে
ঠোকরাতে সব কলা শেষ করে ফেলল। আর ঐ দুটি ছোট কলা রেখে দিল। তারপরে হাতি বলল,
"এবার আমাকে তো এখন গাছটা খেতে দাও। পরে না হয় বন্ধুত্বের কথাগুলো বলব।
No comments:
Post a Comment