Friday, November 28, 2014

রুশপিয়া ও মারিয়া

এক গ্রামে এক ছোট্ট মেয়ে ছিল। মেয়েটার নাম খুব সুন্দর। মেয়েটার নাম ছিল রুশপিয়া সাজিনা। ওকে সবাই রুশপিয়া বলে ডাকে। ওর গায়ের রং খুব সুন্দর দুধের মত। আর সে খুব ছোট। মেয়েটার বয়স ৩ বছর। বাবুটার জন্য তার মা সুন্দর একবারে অনেক সুন্দর একটা খেলা গাড়ি কিনে দিয়েছিল। সেটায় ও চড়ে মামাবাড়ি যাওয়া যাওয়া খেলে। তার একটি ছোট্ট বোন ছিল। ওর নাম রাইসা মারিয়া। ওকে সবাই মারিয়া বলে ডাকে। ওর বয়স এক বছর। খুব ছোট গুল্লু মেয়ে। তার চেহারা একেবারে তার বড় বোনের মত সুন্দর। তার আপন ভাই ছিল। সে তার বাসায় এসেছিল। তার সঙ্গে মিলে সবাই মজা করেছিল। সে যাওয়ার পর থেকে তারা আর খাবার খেতে চাইত না। তারপর অনেক বড় বড় কয়টা গল্প শুনিয়ে তাকে খাওয়ায় তার মা-বাবা। তার ভাইটার জন্য। একদিন তার ভাই আবার আসল। আবার সবাই মিলে গল্প ছাড়াই খাওয়া শুরু করল। মারিয়া, রুশপিয়া ওরা দু'জন মিলে খুব ভাল মেয়ে ছিল। তারপর মজা-টজা করল। তারপর তারা চলে গেল। এরপর একদিন মারিয়ার জ্বর হল। তারপর থেকে তার গায়ের রংটা আর সুন্দর থাকল না। কারণ, সে অনেক কান্নাকাটিতে ঠাণ্ডা হয়ে গিয়ে গায়ে জ্বর দুধের মত থেকে আরেকটু কাল হয়ে গেল। রুশপিয়ার গায়ের মত দুধের মত গায়ের রং যে রুশপিয়ার এবার ছোট বোনটির লোভ হল যে, ওর গায়ের রং এত সুন্দর আমার কি এত সুন্দর হতে পারে না? আমারও নিশ্চয়ই হতে পারে। এবার একদিন সে কোন বুদ্ধি পায় না পায় না, এবার একদিন পেয়ে গেল। বুদ্ধিটা হল, নিজে ভাল করে দুধের মত হতে চায় তবে সে দুধ খাবে, তাহলেই সে দুধের মতই হবে। সেই রুশপিয়া দুধ খেত জন্য দুধের মত গায়ের রং খুব সুন্দর। তাই সে রোজ রোজ দুই গ্লাস দুধ খায়। খেতে খেতে একদিন ঘরের দুধ শেষ হয়ে গেল। তাদের সংসারের সব মানুষ ফর্সা ছিল। কাল হয়ে গেল। দুধ খেতে পারত না। কাল হয়ে গেল দুধ না পেয়ে। তারপর একদিন বুঝতে পারল ছোট বোনটির লোভের কথা। এবার তারা ভাবল, এবার ওর শাস্তিটা দিতে হবে। নাহলে তার লোভটা ছাড়বে না। বিপদজনক যদি হয়, তাহলে তার কোন অসুবিধা হতে পারে। তাই শাস্তির জন্য ব্যবস্থা করল যে, আরেকটু দুধ কিনতে হবে। আরেকটু দুধ কিনে ছোট মেয়েটিকে না দিয়ে নিজেরা অনেক খায়। তারপর নিজেরা ফর্সা হয়ে গেল, দুধের মত গায়ের রং হয়ে গেল। আর সেই ছোট মেয়েটা কাল থাকল। এবার ছোট মেয়েটার দু:খ আরো বেড়ে গেল। সে আর বাড়িতে থাকল না। দৌড়ে চলে গেল। তার মা-বাবা ভাবল, শাস্তি দিয়ে আরো কি করলাম? আচ্ছা, ছোট বোনটি কি এমন রাগ করে? সে একেবারে একটু শাস্তি পেল দেখেই ঘর ছেড়ে চলে গেল! তখন তার বড় মামা বলে, "ঠিক আছে, এবার দেখা যাক, ছোট বোনটা আবার ফিরে আসতে পারে। কারণ, বাইরে যদি কোন মানুষ ঢুকতে না দেয়, তাহলে সে আর অন্য ঘরে যেতে পারবে না, আমাদের ঘরেই চলে য্সবে। নিশ্চয়ই তা হয়।" তারপর বাবুটির ঘুরতে ঘুরতে যখনই ক্ষুধা লাগে, একটু আপেল নিয়ে গিয়েছিল, সেগুলি থেতেছিল। আর তার বিচিটি যখন দেখল, তখন সেগুলো নিয়ে এক জায়গায় রেখে দিল মাঠের কোণায়। আর কোন বড় মানুষের কাছে গেল। সেই বড় মানুষটাটা তাবু টানিয়ে দিল, সেখানে থাকল। আর সেই বীচি থেকে আপেলের একটা গাছ হল। গাছটা নাড়াল, আপেল পড়ল। সেগুলো খেয়ে চলতে লাগল। আর পানি হল গিয়ে বাইরে একটু আগুন ধরিয়ে পুকুর থেকে একটু পানি এনে পাতিলে করে আগুনের উপর বসিয়ে দেয়, তখনই  পানিটা জ্বাল দেয়া হয়, তখন সেই পানিটা খাওয়ার উপযোগী হয়। তখনই সে সেগুলো দিয়েই কাজ করে। আর খেলা ধুলা করে হল গিয়ে একটা বুদ্ধি করল খেলাধুলা করার জন্য। রাত্রিবেলা সে তাবু টানিয়ে ঘুমালো না। তাবু টানিয়ে বাসায় আবার ফিরে এল। বাসায় গিয়ে ব্যাডমিন্টনের ব্যাট ও কর্ক নিয়ে এল এবং তারপর তাবু টানিয়ে ঘুমালো। আর তাবুর ভিতর সেগুলা রেখে দিল। তারপর সকাল হল পর সেটা নিয়ে তাবু থেকে বের হল। বের হয়ে সে সব বন্ধু-বান্ধবীদের বাড়ি গেল। তারপর সব বন্ধু-বান্ধবীদের ডাকল এবং যে কয়টা র‍্যাকেট আনল মাত্র তিনজনকে সে ডাকল। তার মধ্যে থেকে শুধু একজনকে বলল, তোমার ব্যাডমিন্টন নিয়ে এস। আমি দুইটা এনেছি তুমিও তোমার দুইটা ব্যাডমিন্টনের ব্যাট নিয়ে এসো। তারপর আমরা তো চারজন। তিনের সঙ্গে এক যোগ করলে তো চার হয়। তোমাদের তিনজনকে তো ডাকলাম আর আমাকে নিয়ে চারজন। এরপর তার বান্ধবীটা সব নিয়ে এল। যে আনল, তাকে বলল, সাদিনার সঙ্গে খেল। আমি মানজিরার সঙ্গে খেলি। এরকম করে দিনের পর দিন যায়। একদিন ভাবল, এভাবে বাইরে থাকা তো তত ভাল নয়। ঘরে থাকাই ভাল। তবে গেলে যদি মা বকা দেয়। আমি বরঞ্চ এ কয়টা দিন তাবু টানিয়েই থাকি। রাত হলে পরে মায়ের পাশে গিয়ে ঘুমিয়ে থাকব। এরকম করে তাবু টানিয়ে থাকছে, এমন সময় রাত হল। তারপর মারিয়া রুশপিয়াদের বাসায় আবার ফিরে এল। এসে তার মায়ের পাশে ঘুমিয়ে থাকল। সকাল বেলা রুশপিয়াই সবার আগে উঠল। মারিয়াকে ঘুমাতে দেখে সে অবাক হল। বলল, "মারিয়া!" মারিয়া বলল, "কি হয়েছে?" বলে, "শোন! তুমি এলে কেমনে আমাদের বাসায়? আমরা তো দেখলাম না তোমাকে। আমি এক্ষুনি মাকে বলব, মারিয়াকে পাওয়া গেছে।" তারপর মাকে বলল, দেখ মারিয়াকে দেখ। মারিয়াকে নিয়ে পেরেশান হয়েছ। দেখ মারিয়া কোথায়? এরপর তার মা তার রুমে গিয়েই দেখল, মারিয়া বসে আছে। এরপর তার মা তাকে কোলে নিয়ে আদর করল। বলল যে, তুমি কেন গিয়েছিলে, মা! আর বাড়ি থেকে যাবে না কোথাও। এখন গল্পের রুম থেকে আমাদের ঘরে যেতে হবে। চল মা। তখন তারা গল্পের রুম থেকে আবার তাদের বাড়িতে গেল। এখন বাড়িতে কি করছে, আমরা বলতে পারব না।