Monday, December 8, 2014

রিতা, মিতা ও সিতা

মিতা একদিন রিতা ও সিতাকে দাওয়াত দিল। তারা খুব কাজে ব্যস্ত। তার মানে রিতা ও সিতা ব্যস্ত। তাকে তারা দাওয়াত দেবার পর তারা ভাবল যে, আচ্ছা, এত কাজ রেখে আমরা যাব কি করে দাওয়াত খেতে? তখন তাদের একটি মেয়ে ছিল। মানে তাদের একটা বান্ধবী। সে খুব ছোট। রিতা ও সিতা সেই ছোট মেয়েটাকে অনেক আদর করে। মেয়েটার পাচ বছর। রিতা ও সিতার ছয় বছর। সেই মেয়েটা শসা ছিলতে পারে, আলু ছিলতে পারে, আদা ছিলতে পারে ও কাপড় ভাজ দিতে পারে। এবং মেয়েটি কিছু এনে দিতে বললে এনে দিতে পারে, রেখে দিতে বললে রেখে দিয়ে আসে। মেয়েটি খুব কাজ করতে পারে। অনেক কাজ। বিছানা গুছাতে পারে মেয়েটি। আর বালিশের কভারও ভরতে পারে। মিয়েটি খুব কাজ পারে। মেয়েটি খুব সুন্দর্ এমনকি গাজরও সে ছিলে। এবার সবাই বলে, এই মেয়টি সব কাজ করতে পারবে। আমাদের বড়দের শুধু রান্নাবাড়ি আর বটি দিয়ে কোটাকুটির জিনিস করতে হয়। এগুলো করলেই হবে। বাবুটা বাকি সব পারে। আমরা নিজে চোখে দেখলাম, মেয়েটি এত চালাক। সব কাজ ও করে দিলে আমরা তাড়াতাড়ি দাওয়াত খেতে যেতে পারব। মেয়েটি আলু ছিলতে পারে। সেজন্য সে আলু ছিলল। সে আদা ছিলল। এমনকি সবকিছু সে ছোটদের মধ্যে যেটা পারে বড়দের কাজ ছোটরা যেটা করে দিতে পারে সেই সব কাজ সে পারে। সে সব করে দিচ্ছে। এবার মিতা ঙেয দাওয়াত দিয়ে বসে আছে তার দিকে খেয়াল নেই তাদের। তারা ঐ মেয়েটাকে নিয়ে রান্নাবাড়ি করছে। মিতা বসে বসে তবে মিতার বয়স একটু বেশি ছিল। মিতার বয়স ৮/৯ বছরের কাছাকাছি। সে প্লেট ধুইল। খাবার রাধল। আলু রাধল। লাউ রাধল। ঢেড়শ ভাজি করল। ভাত রান্না করল। আর সে ক্লাস টেনে পড়ত। সে অনেক আপেল, কমলা তার বাবা কে দিয়ে কিনে আনালো। তারপর সে এগুলো কোটাকাটি করল, রাঁধল, মজা করে সুন্দর করে রাধল। চামচ-টামচ ধুয়ে ফল-টল কেটে বাটিচতে ভরে রাখল। ভাল করে পরিস্কার করে খাবার রেখে দিল। এবং ঢাকনা দিয়ে সব ঢেকে রাখল। আর সুন্দর একটা ডাক্তারী বই এবং একটা সুন্দর ব্যাগ একটা বক্সের  মধ্যে রেখেই দড়ি দিয়ে বেধে গিফটের মত পেচিয়ে সুন্দর করে রাখল। ঘর-টর সাজালো। বেলুন ফুলিযে রেখে দিল। তবুও দেখল কি, তবুও আসল না। রিতা ও সিতা ছোট মেয়েটির সঙ্গে সব কাজ করে চলে আসল। এসে দেখল, এত সুন্দর ঘরগুলো! তারপর তারা খাবার-দাবার খেয়ে খুব খুশী হয়েছে। এবার বলল, "তোমরা কি আমাদের জন্য কোন সারপ্রাইজ, খবর এগুলো কি আছে আমাদের জন্য?" বলে, "হ্যাঁ, আছে। তোমাদের জন্য উপহার।" বলে, "দাও তো উপহারটি।" তারপর বলল যে, "এর ভিতর দুটি জিনিস আছে। জিনিসের ভিতর আমি একটা সঙ্গীত লিখেছি সীতা আর একটির সঙ্গে লিখেছি রিতা।" এবার তারা গিফটটা নিয়েং ব্যাগে ভরল। খাবার দাবার খেয়ে বেলুন টেলুন নিয়ে খেলতে লাগল। কেউ কেউ বেলুন ফুটাতে লাগল। আর বেলুন ঠাস ঠাস করে ফুটল। মজা করল। নাচল। গান গাইল: 
"নদীর পাড়ে হাটতে হাটতে চললাম মোদের বাড়ি
বাড়িতে গিয়ে দেখি সব ভাল হয়নি কোটি।
আমি একদিন বেড়াতে গেলাম আমার মামীর ঘরে-
মামী দিল কলা খেতে খাইলাম পেট ভরে।
লাল লা লা লা লা-
একদিন মোগো বাড়িতে আইল আমার ফুপুর গিন্নী
খাইতে দিলাম রোস্ট পোলাউ পেট ভইরা খানি-
সে বলল ধন্যবাদ, আমরা বললাম, বলতে হবে না ধন্যবাদ। শুধু খাও।
বলতে হবে না ধন্যবাদ, শুধু খেতে খেতে প্রাণটা ভইরা ফেল।
একদিন দেখলাম ঘড়ির মধ্যে আটটা বাইজ্যা রইল আজ,
বাজল ছয়টার সময়।
এইকথা কবে হইল।
দুই ঘন্টা বাড়াইছে কে মোগো ঘড়িটায়?"

এই গান গেয়ে ঘরে চলে গেল। তারপর মাঠে গিয়ে খেলল। এবার তাদের মজা শেষ হল। ছোট মেয়েটিকে তারা সব কাজ করল। গল্পটা শেষ হয়ে গেল। তবে গল্পটি মনে রেখো।


Friday, November 28, 2014

রুশপিয়া ও মারিয়া

এক গ্রামে এক ছোট্ট মেয়ে ছিল। মেয়েটার নাম খুব সুন্দর। মেয়েটার নাম ছিল রুশপিয়া সাজিনা। ওকে সবাই রুশপিয়া বলে ডাকে। ওর গায়ের রং খুব সুন্দর দুধের মত। আর সে খুব ছোট। মেয়েটার বয়স ৩ বছর। বাবুটার জন্য তার মা সুন্দর একবারে অনেক সুন্দর একটা খেলা গাড়ি কিনে দিয়েছিল। সেটায় ও চড়ে মামাবাড়ি যাওয়া যাওয়া খেলে। তার একটি ছোট্ট বোন ছিল। ওর নাম রাইসা মারিয়া। ওকে সবাই মারিয়া বলে ডাকে। ওর বয়স এক বছর। খুব ছোট গুল্লু মেয়ে। তার চেহারা একেবারে তার বড় বোনের মত সুন্দর। তার আপন ভাই ছিল। সে তার বাসায় এসেছিল। তার সঙ্গে মিলে সবাই মজা করেছিল। সে যাওয়ার পর থেকে তারা আর খাবার খেতে চাইত না। তারপর অনেক বড় বড় কয়টা গল্প শুনিয়ে তাকে খাওয়ায় তার মা-বাবা। তার ভাইটার জন্য। একদিন তার ভাই আবার আসল। আবার সবাই মিলে গল্প ছাড়াই খাওয়া শুরু করল। মারিয়া, রুশপিয়া ওরা দু'জন মিলে খুব ভাল মেয়ে ছিল। তারপর মজা-টজা করল। তারপর তারা চলে গেল। এরপর একদিন মারিয়ার জ্বর হল। তারপর থেকে তার গায়ের রংটা আর সুন্দর থাকল না। কারণ, সে অনেক কান্নাকাটিতে ঠাণ্ডা হয়ে গিয়ে গায়ে জ্বর দুধের মত থেকে আরেকটু কাল হয়ে গেল। রুশপিয়ার গায়ের মত দুধের মত গায়ের রং যে রুশপিয়ার এবার ছোট বোনটির লোভ হল যে, ওর গায়ের রং এত সুন্দর আমার কি এত সুন্দর হতে পারে না? আমারও নিশ্চয়ই হতে পারে। এবার একদিন সে কোন বুদ্ধি পায় না পায় না, এবার একদিন পেয়ে গেল। বুদ্ধিটা হল, নিজে ভাল করে দুধের মত হতে চায় তবে সে দুধ খাবে, তাহলেই সে দুধের মতই হবে। সেই রুশপিয়া দুধ খেত জন্য দুধের মত গায়ের রং খুব সুন্দর। তাই সে রোজ রোজ দুই গ্লাস দুধ খায়। খেতে খেতে একদিন ঘরের দুধ শেষ হয়ে গেল। তাদের সংসারের সব মানুষ ফর্সা ছিল। কাল হয়ে গেল। দুধ খেতে পারত না। কাল হয়ে গেল দুধ না পেয়ে। তারপর একদিন বুঝতে পারল ছোট বোনটির লোভের কথা। এবার তারা ভাবল, এবার ওর শাস্তিটা দিতে হবে। নাহলে তার লোভটা ছাড়বে না। বিপদজনক যদি হয়, তাহলে তার কোন অসুবিধা হতে পারে। তাই শাস্তির জন্য ব্যবস্থা করল যে, আরেকটু দুধ কিনতে হবে। আরেকটু দুধ কিনে ছোট মেয়েটিকে না দিয়ে নিজেরা অনেক খায়। তারপর নিজেরা ফর্সা হয়ে গেল, দুধের মত গায়ের রং হয়ে গেল। আর সেই ছোট মেয়েটা কাল থাকল। এবার ছোট মেয়েটার দু:খ আরো বেড়ে গেল। সে আর বাড়িতে থাকল না। দৌড়ে চলে গেল। তার মা-বাবা ভাবল, শাস্তি দিয়ে আরো কি করলাম? আচ্ছা, ছোট বোনটি কি এমন রাগ করে? সে একেবারে একটু শাস্তি পেল দেখেই ঘর ছেড়ে চলে গেল! তখন তার বড় মামা বলে, "ঠিক আছে, এবার দেখা যাক, ছোট বোনটা আবার ফিরে আসতে পারে। কারণ, বাইরে যদি কোন মানুষ ঢুকতে না দেয়, তাহলে সে আর অন্য ঘরে যেতে পারবে না, আমাদের ঘরেই চলে য্সবে। নিশ্চয়ই তা হয়।" তারপর বাবুটির ঘুরতে ঘুরতে যখনই ক্ষুধা লাগে, একটু আপেল নিয়ে গিয়েছিল, সেগুলি থেতেছিল। আর তার বিচিটি যখন দেখল, তখন সেগুলো নিয়ে এক জায়গায় রেখে দিল মাঠের কোণায়। আর কোন বড় মানুষের কাছে গেল। সেই বড় মানুষটাটা তাবু টানিয়ে দিল, সেখানে থাকল। আর সেই বীচি থেকে আপেলের একটা গাছ হল। গাছটা নাড়াল, আপেল পড়ল। সেগুলো খেয়ে চলতে লাগল। আর পানি হল গিয়ে বাইরে একটু আগুন ধরিয়ে পুকুর থেকে একটু পানি এনে পাতিলে করে আগুনের উপর বসিয়ে দেয়, তখনই  পানিটা জ্বাল দেয়া হয়, তখন সেই পানিটা খাওয়ার উপযোগী হয়। তখনই সে সেগুলো দিয়েই কাজ করে। আর খেলা ধুলা করে হল গিয়ে একটা বুদ্ধি করল খেলাধুলা করার জন্য। রাত্রিবেলা সে তাবু টানিয়ে ঘুমালো না। তাবু টানিয়ে বাসায় আবার ফিরে এল। বাসায় গিয়ে ব্যাডমিন্টনের ব্যাট ও কর্ক নিয়ে এল এবং তারপর তাবু টানিয়ে ঘুমালো। আর তাবুর ভিতর সেগুলা রেখে দিল। তারপর সকাল হল পর সেটা নিয়ে তাবু থেকে বের হল। বের হয়ে সে সব বন্ধু-বান্ধবীদের বাড়ি গেল। তারপর সব বন্ধু-বান্ধবীদের ডাকল এবং যে কয়টা র‍্যাকেট আনল মাত্র তিনজনকে সে ডাকল। তার মধ্যে থেকে শুধু একজনকে বলল, তোমার ব্যাডমিন্টন নিয়ে এস। আমি দুইটা এনেছি তুমিও তোমার দুইটা ব্যাডমিন্টনের ব্যাট নিয়ে এসো। তারপর আমরা তো চারজন। তিনের সঙ্গে এক যোগ করলে তো চার হয়। তোমাদের তিনজনকে তো ডাকলাম আর আমাকে নিয়ে চারজন। এরপর তার বান্ধবীটা সব নিয়ে এল। যে আনল, তাকে বলল, সাদিনার সঙ্গে খেল। আমি মানজিরার সঙ্গে খেলি। এরকম করে দিনের পর দিন যায়। একদিন ভাবল, এভাবে বাইরে থাকা তো তত ভাল নয়। ঘরে থাকাই ভাল। তবে গেলে যদি মা বকা দেয়। আমি বরঞ্চ এ কয়টা দিন তাবু টানিয়েই থাকি। রাত হলে পরে মায়ের পাশে গিয়ে ঘুমিয়ে থাকব। এরকম করে তাবু টানিয়ে থাকছে, এমন সময় রাত হল। তারপর মারিয়া রুশপিয়াদের বাসায় আবার ফিরে এল। এসে তার মায়ের পাশে ঘুমিয়ে থাকল। সকাল বেলা রুশপিয়াই সবার আগে উঠল। মারিয়াকে ঘুমাতে দেখে সে অবাক হল। বলল, "মারিয়া!" মারিয়া বলল, "কি হয়েছে?" বলে, "শোন! তুমি এলে কেমনে আমাদের বাসায়? আমরা তো দেখলাম না তোমাকে। আমি এক্ষুনি মাকে বলব, মারিয়াকে পাওয়া গেছে।" তারপর মাকে বলল, দেখ মারিয়াকে দেখ। মারিয়াকে নিয়ে পেরেশান হয়েছ। দেখ মারিয়া কোথায়? এরপর তার মা তার রুমে গিয়েই দেখল, মারিয়া বসে আছে। এরপর তার মা তাকে কোলে নিয়ে আদর করল। বলল যে, তুমি কেন গিয়েছিলে, মা! আর বাড়ি থেকে যাবে না কোথাও। এখন গল্পের রুম থেকে আমাদের ঘরে যেতে হবে। চল মা। তখন তারা গল্পের রুম থেকে আবার তাদের বাড়িতে গেল। এখন বাড়িতে কি করছে, আমরা বলতে পারব না।

Thursday, October 30, 2014

রামিশাকে নিয়ে অনেক ঝামেলা

এক দেশে ছিল একটা বাবু। বাবুটার নাম রামিশা মালিয়ান। বাবুকে সবাই রামিশা বলে ডাকে। একদিন রামিশা বাইরে খেলছিল। কিন্তু সেদিন সে স্কুলে যায়নি। আর তার মা-বাবাকে দরখাস্তও লিখতে দেয়নি। তার পরের দিন সকালেও সে স্কুলে যায়নি। কারণ সে স্কুলে না যাওয়ার জন্য জ্বর হওয়ার জন্য ধুলাবালির কাছে যেত আর ধুলাবালি ছানত। তাই তার জ্বর হয়েছে, সে স্কুলে যায়নি। এমনকি তার জ্বরটা ভাল হবার পরও দুইদিন স্কুল করেনি। কিন্তু তার মা-বাবা মেয়ের জ্বালায় দরখাস্তটা একটু লিখতেও পারছে না। বাপ-বা করল কি, মেয়েটিকে নিয়ে আদিলার বাড়িতে নিয়ে গেল। আদিলার বাড়িতে আদিলাকে দেখে তার মনটা একেবারে চকচক করতে লাগল। আদিলার সাথে সে খেলতে লাগল। আদিলার পুরা নাম আদিলা কারনা। তখন আদিলার সঙ্গে আবার খেলতে ছিল। এই সুযোগে তার বাবা-মা দশ মিনিটে দরখাস্তটা লিখে ফেলল। লিখে তার মায়ের ব্যাগে ঢুকালো, তার বাচ্চার ব্যাগে ঢোকালো না, কারণ বাচ্চা কালকেও স্কুলে যেতে চাইবে না, তার মা-বাবা জানত। আর তার পরের দিনই ছিল parents meeting। তার পরের দিনও রামিশাকে আদিলার বাড়িতে নিয়ে গেল। বাড়িতে আদিলাকে দিয়ে চুপ চুপ করে আদিলার বাড়ি থেকে বের হয়ে দরখাস্তটা মিসদের কাছে দিয়ে মিসদের কাছে বলল, "রামিশা স্কুলে যেতে চায় না।" তারপর মিসেরা বলল, "তাহলে রামিশাকে আর স্কুলেই পাঠাবেন না। শুধু একদিন নিয়ে আসবেন, সেদিন আমি খুব সাজুগুজু করে আসব। তখন মেয়েটি আমাকে পছন্দ করবে আমার সাজুগুজু দেখে। তারপর থেকেই সে স্কুলে আসবে। আর সেজন্য যদি সে না আসে, তাহলে তো আর স্কুল করা লাগবে না। অন্য স্কুলে ভর্তি করে দিবেন। সেখানে পড়ার চাপটা অনেক বেশি। সেখানে এর আগের ক্লাসে অনেক পড়ালিখা করতে হয়। সেখানে পড়ালেখা কিছু শেখায় না, শুধু খালি পরীক্ষা নেয়। May I coming miss, may I go to washroom, I have done my work- এগুলে াকিছু শিখিয়ে দেয় না। সব নিজে নিজেই পড়তে হয়। নিজে নিজে সে আগের ক্লাসে পড়েছিল। সেভাবে লিখবে। কিছুই শিখাবে না, শুধু স্কুল ড্রেসটা কিরকম থাকবে সেটা শুধু শিখিয়ে দেবে।" এইসব মিসেরা বলল। এরপর মাত্র একদিন নিয়ে আসল বাবুটাকে। সেদিন মিস সাজুগুজু করে আসল। আর মিস আরেকটা কথ াবলেছিল যে, এরপর সে এই ক্লাসে পড়েনি। এখন ঐ ক্লাসে গিয়ে লাড্ডু মারলে তার হাউসটা মিটবে, তখন থেকে এই স্কুলে আসবে। তখন সেই স্কুলের মিসদের বলবে, এই মেয়েটি আর এরই স্কুলে পড়বে না। বলে মিয়েটিকে এখানে আনবেন। এরেপর মিস সাজুগুজু করে আসার পর বাবুটির তবুও পছন্দ হল না। কারণ মিসটি তিনটি জিনিস ভুলে গিয়েছিল। মালা পড়তে ভুলে গিয়েছিল, কানের দুল ও সুন্দর জামা পড়তে ভুলে গিয়েছিল। শুধু কাজল, পায়ের নুপুর ও হাতের চুড়ি আর হাতে সুন্দর করে মেহেদী দিয়ে আসল। আর মাথাটা সুন্দর করে আচড়ালো। মাত্র এই তিনটি জিনিসই সে ভুলে গিয়েছিল। এখন মেয়েটির মিসকে দেখে তার পছন্দ হল না। সেজন্য সে সেই স্কুলে পড়ল না। তার মা-বাবা তাকে পড়ার চাপ বেশি সেই স্কুলে ভর্তি করল। সেই ক্লাসের পরীক্ষায় সে সবচেয়ে লাড্ডু হল। সবগুলোতে বি বি বি পেয়েছি। ৪৯ নম্বরে মাত্র ১ পেয়েছি। সবকিছুতেই ১ পেয়েছে এবং মন্তব্যে লিখেছে, বাসায় এবং তার আগের স্কুলে বেশি বেশি পড়নি কেন? এটা মন্তব্যে লিখে দিয়েছে।  আর রেজাল্টে অনেক খারাপ করেছে। তার মা তাকে অনেক বকা দিয়েছে। বলে, "কেন, এত রেজাল্ট খারাপ হয়েছে কেন, অ্যা? রেজাল্ট খারাপ হয়েছে কেন, বল। নাহলে কিন্তু তোমাকে সকাল বেলা দুধ খেতে দিব না। তুমি দুধ খেতে পছন্দ কর, তা দিব না। বল, নাহলে তোমাকে আগের স্কুলে পড়তে হবে।" মেয়েটি তবুও বলল না। তখন মেয়েটির হাউস (শখ) মিটল। ব্যাপারটা সে বুঝল। তখন থেকে সে স্কুলে যায়। এরপর আবার একটা ঘটনা ঘটে যাচ্ছিল। আবার সে স্কুলে যায় না যায় না হচ্ছিল। কিন্তু রামিশা স্কুলে যেতেই চায় না, যেতেই চায় না, যেতেই চায় না। মিস ভুলেই গিয়েছিল। কথাটা হল, ঐ স্কুলে সব বিষয়ে জিরো (০) দেয়ায় সে ভেবেছিল, এখানে আসলেও ওকে জিরো দেবে। এই ভয়ে আর আসছে না। এখন যেই মিস এ কথা বলেছিল ঐ স্কুলে যাওয়ার, সেই মিস মেয়েটির জন্য কাঁদতে লাগল। এখন বাবুটি কাঁদতে লাগল যে, এর আগের স্কুলে যেই স্কুলে ভর্তি হয়েছি সেই স্কুলে জিরো পেয়েছি কেন? কেন জিরো পেয়েছি আমি? এই ভেবে মেয়েটি অনেক কাঁদল। তারপর আবার আদিলার বাড়িতে গেল। খালি মেয়েটি আদিলার বাড়িতে যায়, ক্লাসে যায় না। তার বাবা-মা মিসদেরকে বলল যে, আমরা এইবার একটা পরীক্ষায় ওকে জোর করে আনাব, তারপর ও খারাপ করলেও ওকে এ+ দিয়ে দেবেন এবং মন্তব্যে লিখে দেবেন, ধন্যবাদ ভাল রেজাল্ট করার জন্য। এবার মেয়েটিকে জোর করে নিয়ে গেল। মেয়েটি পরীক্ষা দিল এবং রেজাল্ট কার্ডে দেখল, সব এ প্লাস, একটাও বি নেই। তখন মেয়েটি খুশী হল। তখন থেকে মেয়েটি রোজদিন স্কুলে যায়। এদিকে আদিলা কারনা জিরো পেয়ে গেল। কারণ, সে বাসায় কোন পড়ালেখা করত না। কিন্তু রামিশা রোজ রোজ পরীক্ষা খুব ভাল করে দেয়। আবার একই ঘটনা বাঁধল। আগে যা ঘটল, তা আবার যেকোন একটা উপায় দিয়ে ঠিক হয়ে গেল।

Tuesday, October 28, 2014

তালহা

এক বাড়িতে থাকত এক ছেলে। ছেলেটির নাম তালহা। তালহার একটি ছোট বোন ছিল। তালহা একদিন মায়ের কাছে বলল, "মা! আমার ছোট বোনটা কবে বড় হবে, মা?" এমন সময় তার বাবা মায়ের কাছে বলল, "জান, বাচ্চাদের একটা গুড়া গুড়া খাবার থাকে। সেই গুড়াটা পানির মধ্যে দিয়ে নাড়লে সেটা দুধের মত পাতলা হয়ে যায়। তারপর সেটা ফিডারে ভরে বাচ্চাকে খাওয়ালে বাচ্চার খুব মজা লাগে, সেটা খুব মিষ্টি। এটা খেলে বাচ্চার শরীর ভাল থাকবে, খেতে খেতে বড় হয়ে যাবে, তখন আর তালহা আমাদেরকে চেতাবে না। আমাদেরকে খালি সবসময় বলবে না যে, আমার বোনটি কবে বড় হবে। আমি সেটা এনেছি। কিন্তু ডেট এক্সপায়ার হয়ে গেলে আর খাওয়া যাবে না। ফেলে দিতে হবে। ফেলে দিয়ে আরেকটা প্যাকেট কিনে এনে সেটা খেতে হবে।" এটা বলে বাবা প্যাকেটটা দিয়ে গেল মায়ের কাছে। আর বলে গেল, "পানির মধ্যে তিন চামচ দিয়ে নাড়লেই খাওয়া যাবে। কিন্তু এক চামচ চিনি দিতে হবে।" তারপর একদিন তালহা একদিন ওর মাকে বলল, "মা, এ খাবারটা আমি ওকে খাইয়ে দেই।" তারপর তার মা বলল, "না বাবা, তুমি খাইয়ে দিতে পারবে না। তার একটা সিস্টেম আছে। এটা বেশি গরম করে খেতে হবে। কিন্তু সেটা এমন জিনিস, যেটা বেশি গরম হলে গলা পুড়ে যায় না, পেটের নাড়ি-ভুড়িও পুড়ে যায় না। এবং সেটা বেশি গরম করে খেতে হয়। নাহলে সেটির স্বাদটা মজা লাগে না। কিন্তু তুমি করলে বানাতেও তোমাকে হবে। কিন্তু তুমি এটা ওভানে দিতে পারবে না, বাবা। ওভেনে দিলে তোমার হাতটাও গরম হয়ে যেতে পারে। তুমি যদি ওটা ওভেন ছাড়ার সময় আগে ওভেনটা ছেড়ে তারপর ওটা ঢুকিয়ে দাও, তাহলে তোমার হাতটাও গরম হয়ে যেতে পারে। সেজন্য তুমি দিতে পারবে না, বাবা।" এ বলে বোনটি খেতে খেতে খেতে খেতে বড় হয়ে গেল। এবং সে ওটা খেয়ে অনেক মজা পেল। এবং বড় হয়েও সেটা খেতে চায়। এখন তার মা-বাবা তো বেকায়দায় পড়ে গেছে। এটা ছোটদের খাবার। এখন বড়রা খেলে কেমন দেখায়। এটা তো দুই বছর, এক বছর, আধা বছরের বাচ্চারা খায়। এখন ওর বয়স ৫ বছর, ছোটবেলায় খেতে মজা লেগেছে, এখন খাবে কি করে? তখন তারা চিন্তায় পড়ে গেল। তখন তার বাবা বলল, "তোমরা চিন্তায় পড়ো না। পাঁচ বছরের জন্য আরেকটা আছে ওরকম। কিন্তু সেটা দুধের মত পাতলা নয়, আইসক্রিমের ক্রিমের মত পাতলা। সেটা আঙ্গুলে ভরিয়ে ভরিয়ে চেটে চেটে খেতে হয়। সেটা ফিডারে ভরে খাওয়া যাবে না।" এটা তার বাবা বলল। তখন তার মা তো একবারে খুশী হয়ে গেল। তার মা বলল, "ঠিক আছে, তাহলে তুমি সেটা কিনে আন।" তখন তার বাবা দৌড়ে একটা পয়সা নিয়ে দোকান থেকে কিনে আনল। তখন তার মা দানাগুলো পানির মধ্যে দিল। তখন থেকে আইসক্রিমের ক্রিমের মত গলে গেল। আর সেটা বার বছর পর্যন্ত খাওয়া যাবে। বার বছরের পর থেকে এমন একটা থাকবে, যেটা দাঁত দিয়ে চিবিয়ে চিবিয়ে খেতে হয়। শুধু সবগুলোই বেশি গরম করে খেতে হবে। তখন তার মা সেটা সেই মেয়েটিকে খেতে দিল। মেয়েটি মজা করে খেতে লাগল। এদিকে তালহা কাঁদতে লাগল। "কেন যে এরা শুধু ঐটা খাওয়ায়? আর খেলতেই পারে না আমার সাথে। আমার দিকে খেয়ালই দেয় না, শুধু ঐটা খায়।"-বলে তালহা কাঁদতে কাঁদতে চোখের সব পানি শেষ করে দিল। তখন কিন্তু তালহা আর কাঁদতে পারে না। চোখের সব পানি তখনই শেষ হয়ে গেছে। তারপর তালহা কক্সবাজারে যেতে চাইল। তবুও সেই মেয়েটি বাসে চড়ে সেই খাবারটা খেতে লাগল। তালহা কক্সবাজারে গেল। তারপর তালহা একদিন চুপে চুপে হোটেল থেকে বাইরে এসে সমুদ্রের কাছে গেল। সমুদ্র থেকে একটু পানি নিয়ে চোখটা খোলা রেখে চোখটার ভিতরে সমুদ্রের পানি দিয়ে কিছুক্ষণ চোখ দুটো বুজে থাকল। তারপর খুলে কাঁদতে পারে। চোখের পানি আবার ফিরে পেল। তার পর চুপে চুপে আবার হোটেলে ফিরে এল। তারপর হোটেলের খাবার দাবার খুব মজা। কিন্তু বাচ্চাটি সেগুলো খেতে চাইল না। আসলে বাচ্চাটা ওটা খেলে ওটাই চিরদিন খেতে চাইত। তাই পাঁচ বছরের মেয়টিকে ওই মিষ্টি খাবারটাই খেতে দিল। তারপর যখন বার বছর হল, তখন তো আর সেইটা ব্যবহার করা যাচ্ছে না। তখন আরেকটা কিনে আনল, সেটা পনির ভিতরে দিতে হয় না, সেটা কোন গুড়াই না, বড় বড় দানা, পানি তে ভিজিয়ে ভিজিয়ে কুচ কুচ করে ছোট ছোট দানা করে দুধে ভিজিয়ে একটা পাউরুটির সমান বানিয়ে কামড়িয়ে কামড়িয়ে খেতে হয়। মেয়েটি খেল। এখন মেয়েটির কথাই শুধু লেখা হচ্ছে। তালহার কথা আর লেখা হচ্ছে না। মেয়েটি সুখে-শান্তিতে থাকল। আর তালহা মেয়েটির সঙ্গে খেলতে পারল। কারণ, বার বছর থেকে পনের বছর পর্যন্ত সেটি খাওয়া যায়। ১৫ বছর পর্যন্ত খেতে খেতে খাওয়ার স্বাদটিই নষ্ট হয়ে গেল। তার আর ওই খাবারটাই ভাল লগল না, সবসময় খেত বলে আর ভাল লাগে না। তাই তালহার সাথে খেলতে পারল। কিন্তু সেই মেয়েটির নামটা লিখতে পারিনি। সেটা এখন লিখছি। মেয়েটির নাম হচ্ছে আদিবা। তবে এখন গল্পটা শেষ করে ফেললাম। 

Wednesday, October 22, 2014

মিরার মন খারাপ

এক দেশে ছিল একটা বাবু। সেই বাবুটার নাম মিরা। বাবুটি রোজ রোজ শুধু ভিডিও দেখত। তার মা তাকে কিছুতেই জোর করে পড়াতে বসতে পারত না। তার মা একবারে অনেক চিন্তায় পড়ে যেত যে, সামনে ওর পরীক্ষা। কি করে যে ওকে ফার্স্ট বানাতে পারি! লেখাপড়া না করলে ফার্স্ট হবে কেমনে আমার মেয়েটা? সারাদিন ভরে শুধু ভিডিও দেখে। মনটাই কেমন লাগে বল! একদিন মিরা বলল, "মা! আমি লেখাপড়া কোনদিন করব না। তুমি একদিনও পড়াতে বসাবে না, মা। কিন্তু আমাকে পরীক্ষায় ফার্স্ট হতেই হবে।" তখন তার মা বলল, "ঠিক আছে, ফার্স্ট হতে পারলে তোমাকে পুরস্কার দিব, আর ফার্স্ট না হতে পারলে তোমাকে পুরস্কার দিব না।" তখন তার মেয়ে বলল, "তবে কি পুরস্কার দিবে, মা?" তার মা বলল, "না, সেটা বলব না। সেটা বললে তুমি এখনই চাইবে। এর চেয়ে তোমার তখনই পুরস্কারটা নেওয়া দরকার। তুমি এখন শুন না।" সেই মেয়েটি তাড়াতাড়ি গিয়ে ভিডিও দেখল। সে একটা গল্প দেখল। দেখল, ঠাকুরমার ঝুলি গল্প। একদিন এক বানর গাছের উপর বসে লাফাচ্ছিল। একদিন একটা মেয়ে এসে বানরকে বলল, "বানর ভাই, বানর ভাই, গাছে বসে আছ। আমাকে একটু ফল দিবে? তুমি নিজে বসে বসে সব ফল খেয়ে ফেল। কেন খেয়ে ফেলছ, বানর মশাই? শোন, বানরটাই শেষে হারবে।" তারপর মেয়েটি বলল, "ও বানর ভাই, একটু ফল দেবে আমাকে?" বানরটি ভাবল, ওকে এখন ফল দিলে ও রোজ ফল চাইবে আমার কাছে। সে বুদ্ধি করে ভাবল, এইবার মেয়েটি আমার খাবার খেতে চায়, না। এবার দেখাচ্ছি মজা। তার মাথার উপর একটি শক্ত ফল ফেলল। মেয়েটির মাথায় সেটি পড়ল না। সেটা গিয়ে বানরেরই এক ভাইয়ের মাথায় পড়ল। তখন সেই বানরের ভাইটি বানরকে ধরে বলল, "কি, তুই আমার মাথায় ফল ফেলেছিস কেন? তোর সঙ্গে আমি অনেক গল্প করেছি না? তুই আমার মাথায় মারছস কেন? এবার বল কি কারণে মারছস? আমি কি তোমারে কি কোন ক্ষতি করেছি?" বানরটি বলল, "সব ঘটনা পরে বলব। আসলে ওই মেয়েটিকে শায়েস্তা করছি। আমার খাবার খেতে চেয়েছে ও। তুমি যাও, বাইর থেকে ঘরে গিয়ে থাক। এবার আমাকে সেই মেয়েটিকে মারতেই হবে।" তখন সেই মেয়েটির মাথায় আরেকটি শক্ত ফল ফেলল। সেটি গিয়ে মেয়েটির মাথায় পড়ল। কিন্তু মেয়েটির মাথায় কি যেন একা পরা ছিল, সেটায় কোন কিছু পড়লে মাথায় ব্যথা পায় না। এবং মাথা ফাটেও না। সেটি পরে মেয়েটি একটুও ব্যথা পেল না। তখন বানরটি বলল, "হায়! মেয়েটিকে একটুও শায়েস্তা করতে পারছি না।" এ বলে তাড়াতাড়ি করে লাফ দিয়ে মেয়েটির মাথায় পড়ে মাথার ওটি খুলে নিয়ে গেল বাড়িতে। সেটি বানরটির বাড়িতে রেখে আসল। তারপর সে এসে এবার মেয়েটির মাথায় ফল ফেলতেই মেয়েটি দৌড়িয়ে তার বাড়িতে চলে গেল।
এই গল্পটি সেই বাবুটি দেখল। কম্পিউটারে দেখে মেয়েটি খুব খুশি হল। কিন্তু তার খুশীর মনটা খারাপ হয়ে যাবে। কারণ সে একটুও পড়ালেখা করেনি, নিশ্চয়ই সে পরীক্ষায় জিতবে না। মেয়েটি ভিডিওটি দেখে খুশীতে নাচতে নাচতে পরীক্ষার সময় হয়ে গেল। মেয়েটি নাচতে নাচতে ব্যাগ কাঁধে নিয়ে স্কুলে চলে গেল। স্কুলে গিয়ে পরীক্ষা শেষেই দেখল যে, একটুও পারেনি। এটা শুনে মেয়েটি ক্লাস থেকে বের হয়ে ক্লাসের বাইরে গিয়ে বসল। আর এ কাগজটি মিসের লেখা সব ফ্লুইড দিয়ে মুছে ফেলল। তারপর নিজে রং পেন্সিলের লাল কালি দিয়ে রাইট দিয়ে দিল সব। তারপর আবার মে আই কামিং মিস বলে আবার ক্লাসে ঢুকে পড়ল। বেঞ্চে বসে পড়ল। তারপর মিস বলল যে, "এবার সবাই খাতাটা বের করে আমার কাছে আবার জমা দাও, এবার দেখব কে কত পেয়েছ।" এটা মিস বলার সাথে সাথে তাড়াতাড়ি ফ্লুইড বের করে টিক চিহ্নগুলো মুছে ফেলতে ফেলতেই টিচার আসতে নিল। এসে দেখল যে, সে লাল কালি দিয়ে ক্রস দিচ্ছে। ওটা সে করেছিল মিস ওটা দেখে পরীক্ষার রেজাল্ট  ভাল করে দেবে সেজন্য। কিন্তু মিস এসে তাকে ধরে বলল, "এই মেয়ে, আমার টিক চিহ্নগুলো মুছেছো না, আবার ক্রস দিচ্ছ। এবার দাও। তোমার ব্যাগ থেকে সব ফ্লুইল-টুলুড আমাকে বের করে দাও, তোমার রং পেন্সিলের লাল কালিও দিয়ে দাও্।" তখন মেয়েটি মন খারাপ করে দিয়ে দিল। তবে এখন মেয়েটির ঘটনাটা হবে এই যে, মেয়েটি তার মায়ের কাছে অনেক বকা খাবে। এরপর মেয়েটি ক্লাসে কাঁদতে লাগল। মিস বলল, "এই মেয়ে, কাঁদছ কেন, অ্যাঁ? কাঁদা বন্ধ কর, নাহলে ক্লাসের বাইর কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখব। কাঁদা বন্ধ কর তাড়াতাড়ি।" তবুও মেয়েটি কান্না বন্ধ করল না। তখন মিস বলল, "ঠিক আছে, তোমাকে ক্লাসের বাইরে দাড় করিয়ে রাখব না। তুমি বরঞ্চ সামনে এসে পিটি কর। তাহলেই তোমার শাস্তিটা হয়ে যাবে।" মেয়েটি একবারে মন খারাপ করে গিয়ে পিটি করল। কিন্তু তার মনটা খুব খারাপ হবে এ গল্পে। এটাই গল্প। তারপর অনেক অনেকক্ষণ পর মেয়েটিকে যেতে দিল। তখন মেয়েটি বেঞ্চে গিয়ে মন খারাপ করে বসে থাকল। এখন মেয়েটি বাসায় গিয়ে ব্যাগটা রেখে বিছানায় গিয়ে বসল। মা এসে ব্যাগ থেকে বই-খাতা বের করে দেখল যে, তার পেন্সিল রঙের লাল কালারও নেই, তার সব ফ্লুইডও নেই। তখন তার মা বলল, "এই মেয়ে, ফ্লুড-টুলুড সব কোথায় গেছে? তুমি আমার কাছে ফ্লুইডগুলো দাও। নাহলে কিন্তু আমি তোমাকে অনেক শাস্তি দিব। ফ্লুডগুলো এনে দিতে হবে তোমাকে।  কোথায় গেছে তোমার ফ্লুড গুলো? এনে দাও সেগুলি।" তখন মেয়েটি বলল, "পরীক্ষার শিট পরে দিবে। কিন্তু লাল কালিরও খবর নেই, আর আমার ফ্লুইডেরও খবর নেই।" তখন তার মা বলল, "এই যাও, কোথায় থেকে নিয়ে এসেছো, যাও। নাহলে তোমার শাস্তিটা দিয়ে দিব। তুমি তাড়াতাড়ি বাবাকে নিয়ে কোথায় গিয়েছ সেটা দেখিয়ে দাও। নিয়ে এসো, আর নাহলে ভাত খেতে দিব না।" তারপর মেয়েটি গিয়ে তার বাবার কাছে বলল, "আমার আম্মু কি বলে তুমি একটু শুনে আস না।" তখন তার বাবা দৌড়ে তার মায়ের কাছে গিয়ে বলল, কি বলেছ তোমার মেয়েকে?" তার মা সব কথা খুলে বলল। তারপর তার বাবা তার মেযেকে নিয়ে বলল, "কোথায় রেখে এসেছো সেটি, মা? তোমার মা তোমাকে অনেক বকা দেয় কেন, বলতো একটু।" তখন বাবুটি সব কথা খুলে বলল। আর বলল যে, "সেটি আমার মিস নিয়ে গেছে।" এরপর তো সব ঘটনাই বোঝা গেল। তারপর তার বাবা দৌড়ে গিয়ে মিসের কাছে বলল, "আপনি আমার মেয়ের জিনিস নিয়েছেন কেন? আপনাকে আমি কিন্তু শাস্তি দিব। তাড়াতাড়ি বলেন, কিজন্য নিয়েছেন আর কোথায় রেখেছেন?" কিন্তু বাবুটি বলেনি যে, এটা দিয়ে খাতায় কি করেছিলাম। তখন মিস বলে দিল যে, আমার সাইন নষ্ট করেছে। তখন তার বাবা বলল, "এই দুষ্টু মেয়ে! তুমি তোমার মিসের সাইন নষ্ট করেছ কেন? এটা করতে হয় না। এটা করলে এরকমই হয়। এগুলো নিয়ে যায় মিস। এখন আবার আমার কষ্ট করে মিসের কাছ থেকে নেয়া লাগতেছে। তুমি তাড়াতাড়ি মিসকে সরি বলে ওগুলো নিয়ে আস।" তখন বাবুটি সবকিছু বলে ওর রং পেন্সিল ও লাল কালি নিয়ে এল। ফ্লুড নিয়ে এল। এরপর মেয়েটির মা বলল, কি হয়েছে অ্যাঁ! পরীক্ষার শিট কোথায়? বলে, "এই যে মা, আমার ব্যাগেই আছে। এবার গিয়েছিলাম না, তখন ওগুলোর সঙ্গে খাতাও দিয়ে দিয়েছে।" তখন মা বলল, "দুষ্টু! কি করেছ খাতায়?" তখন তার বাবা বলল, "মিসের সাইন নষ্ট করেছে।" এসব কথা বলল বাবা তার মাকে। মা শুনে খুব রাগ হয়ে গেল। মা বলল, "তুমি এই জিনিসগুলো না করলে তো তুমি ১ নম্বর পেতে। কিন্তু তুমি ঐটা করার জন্য তোমাকে এক নম্বরের বদলে জিরো (০) দিয়ে দিয়েছে। এ প্লাসও পাবে না। রেজাল্টে দেখবে, এ প্লাসের জায়গায় থাকবে বি। তুমি কেন এইগুলো করলে?" তখন মেয়েটি খুব বকা খেযে মেয়েটির মনটা অনেক অনেক অনেক খারাপ হয়ে গেল। মেয়েটি একেবারে কাঁদতে লাগল। মেয়েটি দৌড়ে গিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে তার বন্ধুদের নিয়ে মিরা খেলতে লাগল। আর বাড়ি এল না। বাড়ি এলে তার মা বকা দিবে, সেজন্য। তারপর রাত্রিবেলা তো মেয়েটির ক্ষুধা লেগেছে। মিরা ভাত না খেয়ে শুধু গাছের ফল খেল। সেটা খেয়েই মিরার রাতের খাবার মিলল। তখন মেয়েটি দেখল যে, একটি মেয়ে কাপড় শুকা দিয়েছে, কিন্তু তার পাটিটি নিতে ভুলে গেছে। তখন মেয়েটি সেই পাটিটা নিয়ে মাঠের মধ্যে ঘুমানোর জন্য উপস্থিত হল। কিন্তু এখন বালিশ কোথায় পাবে? যেতে যেতে তার পকেটে দুটি পয়সা ছিল, সেই পয়সা দিয়ে বালিশের কভার পেয়ে তুলা নিয়ে- কোথা থেকে জানি একটু তুলা পেয়েছিল, কভারের মধ্যে ভরে সেই পাটির উপরে ঘুমাতে লাগল। তার পরের দিন সেই মেয়েটি দৌড়ে দৌড়ে খুব ভোরে যখন তার বাবা-মা ঘুম থেকে ওঠে না তখন নিজের বিছানায় গিয়ে শুইল। যাবার আগে পাটিটা ভাজ করে রেখে আসল আর সেই বালিশটা গরীবদের বাসায় দিয়ে আসল। মিরা নিজ বাড়িতে গিয়ে ঘুমানোর পর মা-বাবা উঠে দেখল, মিরা এখানে ঘুমানো আছে। তখন মা-বাবা চোখ ডলে তারপর বলল, আমরা আবার স্বপ্ন দেখিনি তো যে, মিরা বাইরে গিয়ে আর আসল না? তারা কোন কিছু জানল না। কিন্তু অন্য এক বাসা থেকে একটি ছেলে দেখেছিল সেগুলো। সেই ছেলেটি তাদের বাসায় এসে বলল, "আন্টি, আন্টি!" এরকম বলে বলে সব ঘটনা বলল। এসব শুনে মা মেয়েটিকে আদর করে বলল, "তুমি এখন থেকে এরকম দুষ্টুমি আর কখনো করবে না। তবে এখন তোমাকে আম্মু বলে ডাকা হলো। তবু আমাদেরকে নিয়ে এ গল্পগুলো শেষ হল।"

Saturday, October 18, 2014

মালতী

এক দেশে ছিল একটা বাবু। তার নাম মালতী। সে খুবই ভাল একটা মেয়ে। মাকে সাহায্য করত। ভাল করে লেখাপড়া করত। বাহিরে বেড়াতে যাওয়ার জন্য চেতত না। সে মেয়েটি খুব ভাল। সে একদিন একটি বই পড়ল। বইটা পড়ে সে বুঝতে পারল না। তার মায়ের কাছে গিয়ে বলল, "মা, আমি এই লেখাটা বুঝছি না। এটার অর্থটা কি?" তার মা বলল, "না, আম্মু। এটার অর্থ তো আমিও জানি না। তুমি তোমার স্কুলে এ বইটি নিয়ে যেও। ক্লাসের মিস বলতে পারে, কিন্তু ক্লাসের মিসেরা জানলে তো তুমি কি করবে মা? এর চেয়ে তুমি ক্লাসের মিসকে আগে জিজ্ঞেস করে দেখো মা। যদি মিস বলে তাহলে তুমি বলবে।" তখন সেই বাবুটি বলল, "মা! মিস তো এগুলো পড়ায়নি। মিস মনে হয় জানেই না। মাগো, ও আমার মা। মিস জানে না, তাহলে আমি কি করে মিসের কাছ থেকে বুঝবো গো মা।" তখন তার মা বলল, না, মালতী। তা হয় না। মালতী, আমি তোমাকে কোলে নিয়ে কোথাও যেতে পারি মা। সোনার মালতী! আমি যাচ্ছি তোমাকে নিয়ে কোলে চড়ে। তখন তারা একসময় অনেক দূরে গেল। অনেক দূরে গিয়ে পৌঁছলো সেদিন। তারা সেটা বুঝতে পারল। সেই বইযের সেই অর্থটা বুঝে মেয়েটি একবারে খুশীতে নাচল। বইয়ের অর্থটি তারা কিভাবে জানল জান? তারা একদিন যাচ্ছিল। তাদের সাথে একজনের দেখা হল। মানুষটি বলে দিল। এভাবেই তারা জানতে পেরেছে। খুশীতে নাচতে নাচতে মেয়েটি একবারে মনটা অনেক ভাল হয়ে গেল।

Sunday, October 12, 2014

বাবুরা

একদিন একটা বাবু ছিল। বাবুটির নাম ছিল সুমকন্যা। সেই সুমকন্যা একদিন তার ছোট বোনকে বলে, "বন্ধু! খেলবে?" তার ছোট বোনটি বলল, "আপু! তুমি আমার কথাটা বুঝলে? আমি বলছি যে, তুমি স্কুলে যাও। তুমি তোমার স্কুলের বন্ধুর নাম বলতো একটু আমায়।" তখন সে বলল, "না, স্কুলের কথা যখন বললে, তখন আমার স্কুলে যাওয়ার কথা মনে পড়ল। আমি এখন বলতে পারব না। আমি রেডি হতে যাব স্কুলের জন্য।" তখন সে বলল, "না, বন্ধু। একটু বল না, তোমার বন্ধুর নাম কি।" "ঠিক আছে, এখন না হয় ডাক নামটি বলি। পুরো নাম না হয় পরে বলব। বন্ধুর নাম মধুসমি। এখন না হয় আমি রেডি হতে যাই। তবে বন্ধু তুমি স্কুলে যাবে না? আমি নাহয় ওয়ানে পড়ি। তুমি যে প্লেতে পড় তা মনে নেই?" তখন দুজন একসঙ্গে মিলে স্কুলে গেল। তখন তার মা ছোট বন্ধুকে নিয়ে প্লেতে ওকে দিয়ে এসে বড় বোনটাকে ভিকারুন্নেসার ওয়ানে দিয়ে আসল। তখন তারা স্কুলে পড়তে পড়তে এমন সময় প্লের একটা টিচার তার ছোট বোনকে বলল, "এই, তুমি একটু স্লিপারে উঠ না। একটু যাও, ওখানে গিয়ে একটু পড়।" ওখানে মিস বলছে, সবাই সাথে সাথে অন্য বাবুরাও পড়ছে। মিস বলছে কোলবালিশ, আর সবাই সাথে সাথে বলছে কোলবালিশ। মিস .. মানুষ, সবাই .... মানুষ। তুমি যাও, মিসের সাথে পড়, প্লিজ। শুধু স্লিপারে উঠলে পুরান/একঘেয়ে হয়ে যাবে। একটা ছোট মেয়ে তোমার জন্য স্লিপারে উঠতে পারছে না। তোমার সঙ্গে সেই মেয়েটির কাট্টি, তাই  স তোমার সঙ্গে ওখানে উঠতে পারছে না। সেই লক্ষ্মী মেয়েটা একটু উঠুক স্লিপারে। তুমি গিয়ে ওদের সাথে পড়। তখন মেয়েটা ওদের সাথে গিয়ে পড়তে বসল। এই সুযোগে মেয়েটি পটপট করে স্লিপারে উঠল। তখন ওরা এসে সে বলল যে, এখন আমি তোমাকে মধুসমির পুরা নামটা বলি। ওর পুরা নামটা হচ্ছে সীমা মনি মধুসমি। বুঝলে তো? হ্যা, বুঝেছি। এবং শোন, তার ছোট বোনটির নাম সিমালতি। এখন তো সুমকন্যার পুরো নামটা বলতে হয়। সুমকন্যার পুরা নাম হচ্ছে মধু ত্রিনমিশি চৌধুরী সুমকন্যা। আর তার ছোট বোনটির পুরো নাম হচ্ছে নিশামনি সাদিয়া আক্তার সিমালতি।

Thursday, October 2, 2014

বাবুরা মজা করে

এক দেশে ছিল এক বাবু। বাবুটা তার বন্ধুদের নিয়ে খেলতেছিল। এমন সময় তার মা-বাবা এসে দেখল যে, অনেক মজা করে বালিশ দিয়ে মারামারি খেলা খেলছে। তারা আসলে মাঠে গিয়ে খেলছিল, যাতে মা না দেখে। পাটি নিয়ে মাঠে বিছিয়ে সাথে কয়টা বালিশ নিয়ে খেলছিল। তারপর তার বাবা-মা এসে বলে, "সবাই থাম। এগুলো কি হচ্ছে? ব্যথা পাবে এই খেলাগুলো খেললে। এই খেলাগুলো খেললে ব্যথা পাওয়া যায়। তোমরা জান? এরকম খেলা খেলতেছ? খেলাগুলা খুব মজার না। একটু খেললেই ব্যথা পাওয়া যায়। তোমরা ব্যথা পেলে আমাদের কষ্ট হয়। আমরা খুব কষ্ট করে তোমাদের ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হয়। আমাদের টাকা খরচ হয়ে যায়। গাড়িতে করে যাব, আবার এখন ডাক্তারের কাছে গেলে আবার টাকা দিতে হয়। টাকা দিতে তো হয়ই, কিন্তু আগে তো ২০ টাকা ছিল, এখন দুই হাজার টাকা হয়ে গেছে। আমাদের টাকা খরচ গেলে আমরা তো তোমার জন্য অনেক খেলনা কিনে দেব সেটা ভাবছিলাম, তাহলে ডাক্তারের কাছে গেলে কত টাকা খরচ হয় না? তাতে তোমাদের খেলনা কিনতে পারলাম না, ঈদের জামাকাপড়ও কিনতে পারলাম না। তবে আমাদের এইগুলো চিন্তা করতে হবে, যদি তোমরা ব্যথা পাও খেলতে গিয়ে। তোমাদের কি দশা হবে? তোমরা ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে কাঁদবে। আর বলবে যে, আমাদের জন্য কিচ্ছু কিনে এনে দেয় না- এগুলো বলবে। তোমরা এই খেলাগুলো খেলো না তো। অন্য খেলাগুলো খেল। অন্য খেলা খেললেও কোন বিপজ্জনক খেলা খেলবে না। বেশি ব্যথা পাওয়া যায় সেগুলো তে খেলবে না।" তখন তারা রিঙ্গা রিঙ্গা রোজেস খেলতে লাগল। তখন একজন আরেকজনের হাত ধরে ঘুরতে লাগল আর বলতে লাগল, রিঙ্গা রিঙ্গা রোজেস ............ উইশ্যা ....। খেলা শেষে যখন ডাউন বলে খেলাটা শেষ করে, তখন ঠুস করে বসে পড়ে যাওয়ার ভান করতে হয়। আর পড়ে যেতে হয়। আর বসে পড়তে হয়। এরকম করে পড়ে যাওয়ার এরকম ভান করতে হয়। তারপরে একজন বসে পড়তে গিয়ে পাটির বাইরে পড়ে গেল মাঠের ঘাস-টাসের মধ্যে। আর ব্যথাও পেল। গায়ে ময়লাও ভরল। তার মা রিঙ্গা রিঙ্গা রোজেস খেলতেও মানা করেছিল। তাও ওরা খেলাটা খেলেই বেশ বিপদে পড়ল। এখন তারা সেই বন্ধুকেও সবাই একে একে বলতে লাগল, "এখন কি হবে? এখন ওকে মায়ের কাছে গিয়ে না বললে মা-বাবা চুপ চুপ করে এসে যায় নাকি। মা জানলে তো মা আবার বকা দেবে।" এই বলাবলি করতে লাগল। একসময় তাদের মা এসে পড়ল। বলল, "কি হয়েছে? ব্যথা পেল কেমনে আবার ময়লা লাগল কেমনে? বল দেখি?" সবাই চুপ করে থাকল। তখন তার মা আরো জোরে বকা দিল। বলল, "তোমরা মায়ের কাছে মিথ্যে কথা বললে তোমাদের পাপ হবে। আর তোমাদের আম্মুর কাছে তোমরা কি করেছ সেটা না বললে তোমাদের পাপ হবে। এটা করলেও তোমাদের পাপ হবে। বল, বল বলছি?" তবুও তারা বলল না। তখন বলল যে, "আস, সবাই দাড়াও্। কান ধর। ওঠ, বস। ওঠ, বস। ওঠ, বস। বারবার ওঠাবসা করতে থাক কান ধরে।" তখন বাবুরা শুধু ওঠাবসা করল। তারপর মা একটু পর বলল, "এবার থামাও। দেখেছ? এবার বল। নাহলে আরো কান ধরে ওঠাবসা করাব।" তখন তারা ঘটনাটা বলল। তখন মা বলল, "ও, এই কথা? তাহলে তোমাদেরকে আর ঘর থেকে বের হতে দেব না। তোমরা শুধু একটা রুমেই থাকবে। তোমরা বারান্দায় সব কাজ করবে। বাথরুম করতে হলে শুধু আসবে। বাথরুম ছাড়া অন্য কোন কাজে আর আসবে না। সব কাজ বারান্দায় করবে। আর যখন মাঠে খেলতে যেতে ইচ্ছা করবে অনেক বেশি, তখন আমাকে বলবে। তখন তোমরা খেলতে যাবে, ক্নিতু আমি সাথে থাকব। তখন আমিও দেখব, তোমরা কি কর। ঠিক আছে? এখন যাও বারান্দায়।" এরপর তারা বারান্দায় গিয়ে কাঁদতে লাগল। এবং তাদের মধ্যে থেকে একটি মেয়ে ছিল। মেয়েটি ছিল খুবই দুষ্ট। লেখাপড়ায়ও ভাল না। ক্লাসে গোল্লা পায়। সেই মেয়েটি বলল, "এই শোন, কাঁদলে হবে না। তবে আমার কথা মনোযোগ দাও তাড়াতাড়ি। তোমরা আম্মুর কাছে গিয়ে বলবে, "মা, বাথরুম করব। এ বলে বাথরুমের নাম দিয়ে খেলতে যাবে। আর রিঙ্গা রিঙ্গা রোজেস খেলবে।" তখন তারা বলল, "আমরা রিঙ্গা রিঙ্গা রোজেস খেলব না। কারণ, কোন ঘটনা ঘটে গেলে আমাদের আম্মু যে কি করবে! কোন ঘটনা বা বিপদও তো হতে পারে। এখন যদি কেউ ব্যথা পায়, তাহলে তো আমাদের আম্মু আমাদের আরও অনেক শাস্তি দেবে। আমরা আর এই রিঙ্গা রিঙ্গা রোজেস খেলব না। আমরা বাথরুমে যাওয়ার নাম দিয়ে চুপ চুপ করে খেলনা নিয়ে এসে এখানে খেলব। তারপর মা যখন মার্কেটে যাবে তখন আমরা খেলনাগুলো আবার রেখে যাব। মার্কেটে বেশি সময় থাকলে মাঠে গিয়ে খেলব। দৌড়াদৌড়ি করব। কিন্তু দোয়া করব যে, যেন কোন অঘটন না ঘটে। যেন কোন ব্যথা-ট্যাথা না পাই। এটা দোয়া করব আর ইনশাআল্লাহ বলব। তাহলে কোন বিপদ হবে না। তখন আমরা বাসায় এসে পড়ব। যখন দেখব যে, মা রিকশায় চড়ে আসছে। ঠিক আছে? এই কথাগুলো যেন মনে থাকে।" তখন সেই মেয়েটির মত সবাই কাজ করল। তারপর আর সেই তারা কি করল জান? তারা মনের সুখে খেলল। ক্নিতু তাদের মা যখন দেখল, তখন তারা দেখল না যে, তাদের মা আসল। কিন্তু মা ঠিকই দেখল যে, ওরা খেলছে। তারপর মা ভাবল যে, এবার ওদেরকে সবসময় শুধু কান ধরে ওঠাবসা করাতে হবে। ওদেরকে পাঁচদিন ধরে শুধু কান ধরে ওঠাবসা করতেই হবে, ঘুমানো যাবে না। এটা তার মা ভাবল। এখন বাবুরা বাসায় এসে দেখল, মা এসে গেছে। মা যেগুলো চিন্তা করছিল, সেগুলো বলল। তখন তারা তো কান ধরে ওঠাবসা করতে করতে হাত ব্যথা হয়ে গেল। তবুও তারা করল। তখন তারা পাঁচদিন হয়ে গেল, তখন তারা কান ধরে ওঠাবসা করা থামাল। থামানোর সাথে সাথেই ঘুমাতে গেল। তখন তার মা বলে, "এই বোকা, এখন আবার ঘুমাতে এলে কেন? দিন হয়ে গেছে না।" "না, মা, রাতে ঘুমাইনি। ৫দিন শুধু না ঘুমিয়ে কানধরে ওঠাবাসা করেছি। এখন ৫ দিন শুধু ঘুমাবো।" তখন তারা ঘুমাতে গেল। ঘুম থেকে উঠে তারা আর কোনদিন মায়ের কথা অমান্য করে না। মায়ের কথা তখন থেকে তারা মান্য করত। তার পর থেকে তাদের আর শাস্তি পেতে হয়নি। এবার তুমি পাবলিশ দাও।

Tuesday, September 30, 2014

রাজা

একদিন একটা রাজপ্রাসাদে থাকত এক রাজা। তার ছিল দুই রাণী, দুই মন্ত্রী, দুই রাজকন্যা এবং দুই রাজপুত্র এবং রাজা একজন। একদিন এক রাণী বলে ওঠে, "আমি রাজাকে ভালবাসি না।" এ শুনে রাজা রাণীর সঙ্গে মারামারি করছিল আর আরেকটা রাণী বসে বসে কাঁদছিল যে, আমার বন্ধুটাকে রাজা মশাই মারছে। ভেবে সে অন্য মন্ত্রী, রাজকন্যা, রাজপুত্র এদেরকে নিয়ে কথাবার্তা বলছে যে, রাজা আমার বন্ধুটাকে মারতেছে, এহে এহে ...........। তোমরা কিছু কর। তখন বলল, "কোন চিন্তা নেই। আমি শুনেছি, এখন হাসপাতালে যেতে হলে টাকা একটু কম লাগবে। কোন চিন্তা করো না। রাজার মারামারি থামুক, তবে গা নিয়ে যাব।" তখন তারা মারামারি করতে করতে দুজনেই ব্যথা পেয়ে গেল। রাণীকে ঐ রাণী সবাই মিলে রাণীকে নিয়ে গেল, কিন্তু রাজাকে একা রেখে গেল এবং রাজার পায়ে ব্যথা, তবুও তাকে হাসপাতালে নিল না। কারণ, সে তার বন্ধুকে মেরেছে তাই তাকে নেবে না। রাজাকে এবং একজন রাজপুত্রকে বাসায় রেখে গেল। এদিকে আবার সেই রাজপুত্রটা রাজাকে অনেক বেশি ভালবাসত। সে রাজাকে বলল, "আমরা অন্য গাড়িতে চড়ে অন্য হাসপাতালে যাব। গিয়ে তোমাকে ডাক্তার দেখিয়ে চলে আসব।" তারপর ডাক্তার যেই ওষুধগুলো দেবে সেগুলো খাবে, তাহলে ঠিক হয়ে যাবে। রাণীমা এসে দেখবে, একি, কি হয়ে গেল। এগুলো এসে দেখবে, আর আমরা হাসতে থাকব। ঠিক আছে, এখন না হয় চল।" তারা গাড়িতে করে ওখানে গেল। গিয়ে ডাক্তার দেখিয়ে চলে এল। ওষুধ খাওয়াল। তারপর সুস্থ হল। তারপর বসে পানি খেয়ে বিছানায় বসে গেল। কিছুক্ষণ পর রাণী এসে গেল। এসে দেখল, রাজা সুস্থ, চুপচাপ বসে আছে। রাজার যে কথা ছিল যে, ওদেরকে অনেক সুন্দর সুন্দর কাপড় কিনে দেবে, সেটা দিচ্ছে না, চুপটি করে বোকার মত বসে আছে। তাই দেখে ওরা বলল, "একি হল গো। ওকে তো আমরা হসপিটালে নেইনি গো। ও কেমনে সুস্থ হল।" এ বলে তারা অবাক হয়ে গেল। এটা দেখে রাজা এবং রাজপুত্র একেবারে হাসতে হাসতে পাগল হয়ে গেল। হাসছে আর হাসছে। তাই দেখে রাণী মনে করছিল যে, ওরা মনে হয় কি যেন একটা আপেল খেল, আর বোধহয় ঠিক হয়ে গেল।  এ ভেবে তারাও হেসে বলল, "আরে বোকা! তুমি তো আপেল খেয়ে অসুখ সারিয়েছ। তাই বলে আমরা অবাক হয়েছি এটা দেখে তুমি হাসছ? আমি জানি তুমি আপেল খেয়ে অসুখটা সারিয়েছ। এটা দেখে আমার খুব হাসি পাচ্ছে। যাদুর আপেল থাকে না। যাদুর আপেলে অনেক কিছু থাকে। ওটা খেলে সারাজীবন শুধু ঘুমাবে আর ঘুমাবে। আমি কোনদিনও দেখিনি যে, এই আপেল খেলে বুঝি অসুখ সারে। হা-হা-হা-হা, হা-হা-হা। তখন রাজাও একটু হেসে হেসে বলে, না না তা নয় তা নয়। এটা বললে আমি এই কথাটা আবার কাজটা করে তারপর তোমাদের আবার অবাক হওয়াব। আসলে তুমি যা বলছ তা সত্য নয়। রাণী বলল, "না, না, একটু বল না। কি করে তুমি করেছিলে? একটু বল, একটু বল। বলতে তোমার কি হয়?" রাজা বলল, "না, না, তা কি করে হয়? আমি এই জিনিসটা রাজপুত্রের সাথে বুদ্ধি করে পেরেছি। এটা রাজপুত্রের সামনেও বলা যাবে না, রাজপুত্র না থাকলেও বলা যাবে না। তুমি বস, একটা কথা শুনবে? এই যে আমি কি করেছিলাম তুমি বলতে পার নাকি দেখ। তারপর ও চ্তিা করে ঠিক যেমন কাজ করেছিল ঠিক তেমনটা কথাই বলেছে। বলেছে, "তুমি অন্য গাড়িতে চড়ে হাসপাতালে কি সব করে চলে এসেছ। তাই তো বুঝি তোমার অসুখ সেরেছে। তবু তুমি কার সঙ্গে গেলে গো? আমার একটা সোনার গয়না ছিল। গয়নাটা যে কোথায় গেল? তুমি একটু খুজে দেবে?" তখন সে বলে, "নিা না আমি খুজে দেব না। তুমি আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওনি। আমি খুজে দেব না, তুমি খোজ।" আর সেই রাজপুত্রই সবকিছু ভাল খুজে বের করতে পারে। সেই রাজপুত্রের জন্যই রানীমা সবকিছু খুজে পেত। তারপরে সেই রাজপুত্রও করে দেবে না। এখন রাণীরই নিজের খুঁজতে হল। আসলে ঘটানটা হল, ওরা যে বাড়ি ছেড়েগিয়েচিল, তখন একটা শয়তান একেবারে রাক্ষসের অনেক শয়তান। সে ছিল আবার চোর। যে বাড়ি দেখে কোন মানুষ নেই, সেই বাড়িতে ঢুকেই গয়না চুরি করে। এবং গয়না একটা বড় বক্কের তধ্যে ভরে মনে করে যে, যখন কোন বিয়ে হবে তখন সেই বিয়েতে এই গিফটটা আমি দেব। এ বলে সে রানীর গয়না নিয়ে গেল। এ হল গিয়ে ঘটনা। আর রানীর হচ্ছে গিয়ে কষ্ট না। এবার তারা খুজে খুজে একসময় একটা বাড়ি পেল। বাড়িতে লেখা, এ ঘরে কেউ আসবেন না। এ ঘরে বাঘ থাকে। আপনারা আসলে আপনাদেরকে বাঘে খেয়ে ফেলবে। তারা একটু চুপ চুপ করে একটা জানালা দিয়ে দেখল, আসলে একটা চোর বসে বসে গয়নায় কোন ময়লা আছে কিনা সেগুলে াপরিসাকররন করছে। তার মধ্যে তার সেই গয়নাটা আছে। এবং তার ফুপাতো বোনের গয়নাটা আছি। এ দেখে সে ভাবল, তাহলে এখানে এরই বাঘের কথা লেখা এল কেন? তাহলে ািসে নিশ্চয়ই মিথ্যা কথা কাগজেলিখে দরজায় টানিয়ে রেখেছে। পেন্সিল দিয়ে লেখেছে। আমি রবার দিয়ে মুচে লেখব যে, এটা চোরের বাড়ি। এখানে আপনারা কোন গয়না না খুজে পেলে এখানে আসবেন। এটা লিখে দিল তারা। আর দরজার ভিতরে ঢুকে বলল যে, এই চোর! আমার গয়না কই? তুমি দেখেছ? আর তোমার হাত এতগুলি গয়না এল কি করে, অ্যাঁ? আর তোমার হাতেই দো কেধছিআমার গয়নাটা আছে। "না ্না আমি তো চু করিনি।" আ মিথ্য াকথা, যা করার কর। আমার পুপাতো বোনের গয়না আর আমার গয়নাটা ফিরিয়ে দাও। আর নাও নাও। ক্নিতু আমাদেরটা ফিরিয়ে দাও, নাহলে আমার কাছে বন্দুক আছে, বন্দুক দয়ে গুলি করে দাব। দাও, দিতে বলছি দাও, এ বলে ধমক দিল। চোর বলে< না বাই, তা কি হতে পাারে/ আমি তো চোর না। তাহলে আমি নিজে চোখে চুপিট করে যখন কোন মানুষ চিল না তখনব আমরা একটু ঘাসপাতা দেয়ে দেখে চুপিট করে দেখছিলাম তোমার মতই একট লোক যাচ্চিল। আর তোমার নাম মুক্তআ। আর সেই লোকরে মাথঅতেও লেখা চিল আমার নাম মুক্তা। তবু তার মানে সে তোমার মতই দেখতে। ক্নিসতু সেই লোক যেই জামা পছিল তোমার ও সেই জামা গা।ে আর সেই লোকের হাতে যেই ঘড়িটা ছিল েই ঘড়িটাতেও লেখা আছে আমার নাম মুনিবা। তাহলে ুমমি মুনিবার ঘর থেকে সেই ঘড়িটা চুরি করে নেয়ছ। আর সবাই একজনের একট াএকটা গয়না খুজছে। আমি দেখতে পাচ্চে< আর তোমার হাতে যে গয়না গুলি আচে সেগুলোই ওরা ড়ে। তইতো বোজ দেগল তুমিই সেই চোর । তমিই সব চুরি কর। তাই তুমি যদি সব গয়না আজ ্মাার হাতে না দাও তাহরে আমি আর তোমাকে গাহ্হ্ গুগি গরিগ করে দেব। চোর আমার টা দাও। চোর দিল না, চোর বলল, ঠিক্ াছে ঠিক্ াচে গলি করে মেের ফেল। সে একটা প্লেট নিয়ে মুখের সামনে ধরল। এবং সে প্লেটের নিচে আকে বালতি পানি এনে রাকল। তখন সে গুরিটা মারল। সেই প্লেটে লেগে গুরিটা পানির মধ্যে পড়ে গুলিটা নষ্ট হয়ে গেল। তখন সে জিহবা দিয়ে ভ্যাঙ্গালো তাকে। ভেঙ্গিয়ে সব গয়ণা তাকে দিয়ে দিল। এবং সে একজনের কাছে নয় দুজনের কাছ থেকে একটু ভিক্ষা চাচ্ছিল। তারপর অনেক মানুষই টাকা দেওয়া শুরু করল। টাকা দিয়ে তখন সেই চোরটা সেই টাকা দিয়েই সব কিছু কিনল। চু রকরে না। চুরি করলে আবার ঐ লোক্ এসে তাকে গুলি করবার চেষ্‌টা করবে। অথচ আমার সেই প্লেটটিও সে নিয়ে গেছে, আমার সেই বালতিটাও সে নিয়ে গেছে। এবং আমার বিছানার কাঠগুলো ভেঙ্গেই চুরে চলে গেছে। আর সেই কাঠগুলোও নিয়ে চলে গেছে। সেই গয়ণাগুলোও তার ানিয়ে নিয়ে বলল, "আপনাদের মধ্যে থেকে যেই গয়নাগুলো হরিয়েছিল তারা তারা এসে আমার কাছে থেকে কোনটা আপনাদের এগুলো খুঁজে গয়ণা বের করে নিয়ে যান। এটা একটা চোরের হাত থেকে ্বামি পেয়েছি। সব ঘটনা চিঠিতে লিখে দেব। আর আমার খাম বানানোর সহচজই আমি খুব তাড়াতাড়ি বানাতে পারি। অনেক গুলো খাম এক মিনিটের মধ্যেই বানিয়ে ফেলতে পারি। সেই খাম বানিয়ে যেই ঘটনা ঘটেছিল সেগুলো আমি চিঠিতে লিকে সেগুলো সই করে স্ক্যান করে এখানেযতগুলো সেট গয়না ততগুলো কাগজ করে আমি স্ক্যান করব। করে সেগুলো নেব। তারপর সেগুলে ানিয়ে একটা খামে একটা ভরব আরেকটা খামে ারেকটা ভরব এরকম ্করে একটা একটা চিঠি লিখব। তারপর আপনাদের কাছে পাঠাব। আপনারা নিবেন, পড়ে দেখবেন  ঘটনাগুলো কি? আমি আগে গয়নার সেটগুলো গুনে ততগুলো কাগজ কিনব। কাগজ কিনে তারপর বলল, "এবার আপনার ানিয়ে যান।" তারপর তারা গয়নাগুলো নিয়ে গেল এবং সে চিঠি লিখে খামে ভরে তাদের পাাঠাল। তার াপড়ে দেখল যে, তাহলে আমরা আর বাড়ি থেকে বের হলেও ঐ বাড়িতে যাব। গিয়ে চোরটাকে মেররে ফেলল। যদি এসে দেখি যে, কোন গয়না হারিয়েছে। এবং আমাদের কাছে কামান আছে। কামান দিয়ে মারব। এবং তাদের ঘরবাড়িও ভেঙ্গেয াবে। এবং তার খুব কষ্ট হবে। এবং তার মৃত্যু হবে। যদি দেখি। এরপর সই রাজা যে ব্যথাতে পড়েছিল না, ব্যথা যে ভাল হয়েছিল, সেই রাজা বআবার ভ্যাঙ্গালো। বলল যে, "তুমি আমাকে রেখে গেছ। তুমি এবারের যেই কথাটা বলেছিলে যে, আমি হাসপাতালে গিয়েছিলাম। এটাই আসলে হয়েছলি। আমিও তোমাদের নিব না। যদি তুমি আমার কাছে মাফ না চাও এবং সরি না বল। তবু আমি সরি বলার সময় দিতে পারব না। আমি সবসময়  ব্যস্ত থাকব। ব্যষ্ত থাকার মধ্যেই যদি বলতে পার, আমার কানের কাছে এসে বলতে পার। আমার কানেরমধ্যে ডদি কথাটা না যায়, তাহলে কিন্তু আমি বলব না। ঠিক আছে?" এই বলল রাজা। তারপর সবার সংসার ঠিখমত থাকে। সবাই একসঙ্গে খাবারদাবার খেল এবং ভাল ভাল ঘর বানাল। সুন্দর সুন্দর ঘর বানালো এবং লিখে রাখল যে, গরীবরা যদি ঘর থেকে চলে যায় তাহলে যদি কোন প্লেন এসে ঘরে রমধ্যে ধ্বংস করে দেয় কিছু, তাহলে তারা সেগুলো পাবেন  না। তারই তারা এই ঘরে থাকবে। তা লিখে এগুলো স্ক্যান করল। ঘরে টানিয়ে রাকল। তারপর যে গরীবের ঘর নাই ঘর ধ্বংষ হয়ে গেছে তারা এসে সেই ঘরে বাস করল। এবং সেখানে অনেক নদী-নালা করল। গোসল করতে হলে সেই পুকের নামে। সেই নদীতে নামে। আর সেখানে লজ্জাবতী গাছও তারা লাগিয়ে দিয়েছিল। আর সেই লজ্জাবতী ফুলেই মজা করবে গরীবরা। তাই লজ্জাবতী গাছ লাগিয়েছিল। লজ্জাবতী ফুলের গাছে নাড়া দিলেই পাতা বুজে যায়। কিছুক্ষণ পর আবার ফোটে। আর এখন রাজা তো সুখে শান্তিতে একবাপরে নাচতে লাগল আর রানী একবার কানের কাছে এসে বলল, সরি, মাফ কর, ইামি যাই। বলে একেবারে চলে গেছে। তাই সবাই আকসঙ্গে মিলে রিঙ্গা রিঙ্গা রোজেকস খেললণ। নরম মাটির উপরে এ স খেলতে হয়। যাতে পড়লেও ব্যথা হয় না। একজন আরেকজনের সাথে হাত মিলিয়ে বলবে, "Ringa Ringa Roses/Pocket Khola Roses/Wish a Wish a/Be Ol Foll Down.

Thursday, September 25, 2014

লক্ষ্মী বাবু

একটা বাড়িতে থাকত একটা সুন্দর বাবু। বাবুটা খুব লক্ষ্মী। বাবুটার নাম মুনিবা। মুনিবা উদয়ন স্কুলে পড়ত। ও কেজি শ্রেণিতে পড়ে। ও ইংলিশ ভার্সনে টিউলিপে পড়ে। তার বন্ধু সুবাহ। এটা হল আরবী নাম। সেই সুবাহ পরীক্ষায় ফার্স্ট হয়েছিল। আজকাল অংকের পরীক্ষা নিচ্ছে। সামনে বার্ষিক পরীক্ষা দেখে। তারা খুব ভাল পড়াশুনা করছে। একদিন পড়াশুনা করতে গিয়ে ওদের কঠিন একটা জিনিস লিখতে দিল। স্কুল বানান লিখতে দিল। তারপর স্কুল বানান খুব কঠিন তো, বাবুরা লিখতে পারল না। কিন্তু সুবাহ ও মুনিবা বাসায় বেশি পড়ালেখা করত দেখে তারা লিখতে পারল। কিন্তু যখন জঘৈষ্ঠ লিখতে দিল, কিন্তু এটা কেউ পারল না। মুনিবাও পারল না। কিন্তু সুবাহ পারল। আর হল গিয়ে সোহানা পারল। মুনিবার রোল হল ৪০। আর সুবাহর রোল হল ২৭। আর সোহানার রোল ২০। সুবাহ পেরেছিল শুধু। জঘৈষ্ঠ বানানটা সুবাহই খুব ভাল করে লিখতে পেরেছে। হাতের লেখাও খুব সুন্দর হয়েছে। তারপর আরেকটা জিনিস মিস বলল যে, মুনমতশিষ। তবে এটা সবাই লিখতে পারল। এই শব্দটা সবাই লিখতে পারল যখন, তখন মিস বুঝল, এই শব্দটা লিখলে সবাই পরীক্ষায় ফার্স্ট হবে। তখন মিস বলল, শোন! পরীক্ষায় তোমাদের এই শব্দগুলো আসবে না। কারণ, আমি জানি, এই শব্দগুলো দিলে তোমাদের খুব কঠিন হবে। এত কঠিন শব্দ তোমরা পারবে না পরীক্ষায়। তাই তোমাদের হ্রস্ব-ইকার, উ-কার এগুলো তোমরা খুব সহজে পারবে। তাই পরীক্ষায় এগুলো আসবে। আমরা চাই যে, তোমরা যেন ২০ তে ২০ পাও। কিন্তু তোমাদের মধ্য থেকে আমি শুধু একটা কঠিন শব্দ দিব। তখন বাবুরা বলে, কি কঠিন শব্দ? বলে, "সেটা এখন বললে তোমরা ভাল করে শিখে আসবে। বলব না। পরীক্ষায় তোমরা লিখবে। আর যদি আমি দেখি যে, ২০ তে ০ (শূন্য) পাও, তাহলে আমি পরীক্ষার দু'দিন পর তো অনুষ্ঠান হবে যখন, তখন আমি তোমাদেরকে অনুষ্ঠানে গান করতে দেন না, যদি তোমরা শূন্য পাও। অতএব, শূন্য পাওয়া যাবে না। আমি চাই তোমরা সবাই মিলে যাতে অনুষ্ঠানে গান গাইতে পার।" একথা শুনে বাবুরা খুব ভাল করে বাসা থেকে শিখে আসল। তবে মিস তার আগে অনেক অনেক কাজ করাল। অনেক পিটি করালো, টিফিন খাওয়ালো, অনেক কিছু লিখতে দিল, তারপর পরীক্ষা নিল। এতকিছু লেখার পর বাবুরা একটু একটু ভুলে যাচ্ছিল। তার আগেই মিস কাগজ দিয়ে চলে গেল। গিয়ে মিস মিসের সিটে গেছে, এবার বলল যে, সবাই লিখ, আমি পড়া শিখি। তবে তোমরা আমরা পড়া শিখি লিখবে না, তোমরা শুধু শিখিটা লিখবে। তারপর বাবুরা সবাই এক নম্বর দিয়ে শিখি লিখে ফেলল। এবার বলল, এবার আমি কঠিন শব্দটা লিখতে দেই: হ্রস্বঘটব। তখন বাবুরা একে একে লিখে ফেলল। মুনিবা আর সুবাহ তো সবই একে একে লিখে ফেলল খুব তাড়াতাড়ি করে। তখন মিস বলল, এবার লিখ: আমি। বাবুরা সবাই 'আমি' লিখে ফেলল। তারপর মিস বলল, "এবার আর ৫টা শব্দ লিখলেই তোমাদের এই পরীক্ষাটা শেষ। এবার লিখ: আম। আম লেখার পরে লিখবে কাঁঠাল। বাবুরা সবাই একে একে আম লেখার পর কাঠাল লিখতে গিয়ে মুনিবা কাঁঠাল বানানটা মনে করতে পারছিল না। সে ভাবছিল চন্দ্রবিন্দু দেব কি দেব না। তারপর চুপ চুপ করে আরেকজ পাশের বন্ধু রশ্নির খাতা দেখে লিখে ফেলল। রশ্নিও ভুলে গিয়েছিল চন্দ্রবিন্দু দিতে। তারপর মিস বলল যে, "তবে আমি চাই সবাই যেন ২০ তে ২০ পায়। আমি যাকে যাকে দেখব যে, ২০ পেয়েছে, তাদের তাদের আমি ভাল করে ছড়া শিখিয়ে দেব, ছড়ার পরীক্ষায় তোমরা যাতে ফার্স্ট হও, যদি ২০ পাও।" তারপর এবার হল মুনিবা মিস যখন একটু বাইরে গিয়েছিল তখনই মুনিবা সুবাহকে বলল যে, এই সুবাহ! চন্দ্রবিন্দু কি হবে? সুবাহ বলল, "হবে, হবে। তবে তুমি লিখে ফেল মিস আসার আগেই। আমি তাড়াতাড়ি বসে লিখে ফেলি। তুমিও তাড়াতাড়ি বসে লিখে ফেল।" তারপর সে লিখল। তারপর মিস এসে দেখল যে, সবাই দেখাদেখি করছে। তারপর বলে, "এই সব কি হচ্ছে?" তখন বাবুরা সবাই চুপ করে নিজে নিজে লিখতে লাগল। এবং সোহানা তো খুব ভাল মেয়ে, তাই কারোটা দেখছিল না। সোহানা নিজে নিজে লিখছিল। তারপর মিস এসে বলল যে, কাঠাল লিখেছ তো? এবার লিখ। এবার কিন্তু একটা বাক্য লিখবে তোমরা। লিখ যে, আমি বই পড়তে পারি। সবাই বলল, হ্যাঁ, মিস, আমরা তো বই পড়তে পারি। কিন্তু খাতায় আবার লিখব? বলে হ্যাঁ, লিখতে তো হবেই, যা কর তা লিখতে হবে না? লিখ, লিখ। তখন সবাই লিখে ফেলল। মিস বলল, এবার তোমাদের ছুটি হবে। তোমরা সবাই লাইন করে দাড়াও। লাইন করে দাড়িয়ে সবাই আমার কাছে কাগজগুলো দিয়ে আবার লাইন কর। তারপর সবাই লাইন করে তারপর লাইনটা ভেঙ্গে আবার মিসের কাছে কাগজ দিয়ে লাইন করল। তারপর মিস বলল যে, "মুনিবার লাইন আগে করেছে। তারপরের লাইনটা করেছে সুবাহ। তার পরের লাইনটা করেছে সোহানা। প্রথমে আমি মুনিবার লাইনটাকে আগে যেতে দিব। মুনিবা খুব ভাল লিখেছে। সুবাহও খুব ভাল লিখেছে। সোহানাও খুব ভাল লিখেছে। আস মুনিবা আস। তখন মুনিবা চিল্লিয়ে বলল, "ইয়ে"। তখনই মুনিবাকে বলল, মুনিবা! তুমি সোহানার লাইনে যাও। সোহানার লাইনটা সবার শেষে যাবে না, তুমি সোহানার লাইনে গিয়ে দাড়াও। তারপর সে সোহানার লাইনে গিয়ে দাড়াল। বলল, "হ্যাঁ, এইবারে ঠিক আছে। এইবার মুনিবার পিছে যে ছিলে, তাদের লাইনটাতে আস।" তারপর তাদেরকে ছুটি দিয়ে দিল। তারা চলে গেল। এবার বলল, আরে সুবাহ। আস আস আস। সুবাহ খুব ভাল লিখেছে। ও এত ভাল  লখেছে যে, যেন মনে হয় যে ২০ (twenty) তে ১০০ (hundred) দিয়ে দেই। তারপর মিস ইংলিশে বলল, "Everybody big big clap for Subah." তখন সবাই ওরা সবাই হাততালি দিয়ে বলল, "Very Good Subah." তখন সুবাহকে মিস বলল, "সুবাহ, তোমার লাইনটা পরে যাবে। তুমি আগে আস। তোমাকেই আমি আগে যেতে দেব।" তখন সুবাহ খুব খুশি হয়ে গেল। এবারে সোহানার লাইনের মধ্য থেকে মুনিবা আর সোহানাকে আগে যেতে দিল। তখন মিস বলল, "শোন, এরপর বিগ বিগ ক্লাপ ফর মুনিবা এন্ড সোহানা।" এরপর সোহানা আর মুনিবাকে বলল, "সোহানা, তুমি আগে যাও। মুনিবাকে একটু আগে যেতে দিব। তোমার লাইন থেকে আদিলা কারনা ভাল। আদিলা কারনাকে আগে যেতে দেই। তারপর তুমি যেও, মুনিবা, ও আগে যাক।" তখন মুনিবা বলল, "ঠিক আছে মিস।" তখন মিস বলল, আদিলা করনা, come here। তখন আদিলা কারনা দৌড়ে মিসের কাছে গিয়ে বলল, কি মিস? তখন মিস বলল, "তুমি আগে যাও।" তখন আদিলা কারনা চলে গেল। তারপর এবার সব লাইনকেই যেতে দিল। যারা সবচেয়ে দুষ্টু, তাদেরকে সবার পরে যেতে দিল। তারপর তার পরেরদিন অনুষ্ঠানে সুবাহ, মুনিবা ও সোহানা আর হল গিয়ে নাবিলা নূর শিফা ও মুশফিকা লাবিব প্রিয়ন্তী এদেরকে গান গাইতে দিল। তারপর আমার গল্প শেষ হয়ে গেল। এরপর ওরা রোজদিন ফার্স্ট হয়। এবার আমি যাই।

Thursday, September 18, 2014

বাবুদের বায়না

এক দেশে ছিল এক মা। সেই মায়ের ছিল একটি বাচ্চা। আশেপাশে অনেক বাড়িঘর আছে। বাড়িঘরের মধ্যে অনেক বাড়িতে সেই বাবুর বন্ধু-বান্ধব আছে। সেই বন্ধুদের সাথে তারা মাঠে বসে গল্প করত। আর ভাল ভাল কথা বলত। আর খেলত। আর বসে বসে কথা বলত। এটাই হল তারা তাদের বন্ধুদের সাথে খেলত। বন্ধু বন্ধু হয়ে খেলতে থাকে। একদিন সব বাবুরা মিলে বলতে লাগল যে, এক বান্ধবী বলতে লাগল যে, আচ্ছা, আমরা বৈজ্ঞানিক হব। আরেক বাবু বলল, না, না, বৈজ্ঞানিক হতে তো অনেক অংক শিখতে হবে, তোমার তো পড়ালেখার মনোযোগ নেই, তুমি অংক করবে কিভাবে। আমরা তো সবসময় গল্প করি মাঠে, কোন কোন সময় খেলি, আর বাসায় বসে কার্টুন দেখি। তা আমরা অংক করব কি করে, আর বৈজ্ঞানিক হব কিভাবে? মাঠে বসে গল্প করতে হবে না, খেলতে হবে না, বাবা-মায়ের কাজে একটু সাহায্য করতে হবে না? সেই কাজ করবে কি করে, যা করলে বৈজ্ঞানিক হবে? তারপর আরেক বান্ধবী বলল, না না। বৈজ্ঞানিক হওয়ার জিদ ধরো না। তোমার মা আবার বকা টকা দিবে, বলবে, লেখাপড়া করে না, আবার বৈজ্ঞানিক হবে কি করে? তুমি এগুলো এত লোভ করো না বৈজ্ঞানিক হওয়ার। "না, আমি যখন বলেছি।তখন আমি করবই। আমি যাবই যাব, বৈজ্ঞানিকের কাজগুলো যেখানে শিখায় সেখানে আমি যাবই, একদম যাব। আমি ওখানে গিয়ে বৈজ্ঞানিকের কাজ শিখব। বৈজ্ঞানিকরা কি করে তা জানব। তারপর আমি বৈজ্ঞানিক হবই। বৈজ্ঞানিক না হলে যে আমার মাথাটাই যে পাগল হয়ে যায়। আরেক বান্ধবী বলল, "ঠিক আছে, তুমি জিদ ধরলে তবু তোমার মাকে বলো না। তোমার মা নিয়ে যেতে পারবে না। তোমার খালা-চাচা আছে না? তার মধ্যে তোমার চাচাকে বলবে। তোমার চাচা বৈজ্ঞানিকের কাজ যেখানে শিখায় সেই জায়গাটা ভাল করে চিনে। অথবা, তুমি তোমার বাবাকে বলতে পার, বাবা তোমার চাচাকে বলতে পারে, তখন তুমি তোমার চাচার সাথে যেতে পার।" তখন বাবুটি আন্নদ করে, বৈজ্ঞানিক হতে পারব।। আর দুটি বাবু বলল, বিপদে পড়লে আমি তোমাকে ধরব। তোমার ছোট আপু যখন বলছে, তখন তুমি যাবে না কেন? যাও, কিন্তু সাবধানে যাবে এবং ভালমত কাজ শিখবে এবং বৈজ্ঞঅনিকেতর কাজ করতে গিয়ে যেন কোন ব্যথা-ট্যাথা না পাও। ব্যথা-ট্যাথা পেলে কিন্তু তোমার মায়ের কাছে আবার যেতে হবে, তোমার মা আবার তোমাকে বকা-ঝকা দিবে?তখন আমরা খেলব কি করে তোমার সাথে? এই কথা মনে রেখো। কথা না মানলে হবে না। "ঠিক আছে, কথা মেনেই চলব। আর শোন, আমি যদি ভুলে যেতে লাগি, আমি কিন্তু ভুলে যেতে পারি না, কিন্তু যদি ভুলে যাই তাহলে কি হবে? সেজন্য তুমি চিঠি লিখে দেবে। তারপর চিঠি লিখে আমাদের চিঠির বাস্কের মধ্যে ভরে দেবা। আর আমি নিজে তো একটু বড় হয়েছি , আমার ব্নধু-বান্ধবীরা আছে। আমি নিজে সিড়ি দিয়ে নামতে পার।ি আমি চিঠি বের করে পরে বাবাকে চাচাকে বল। আমি বড় হয়ে ভৈজ্ঞানিক হয়ে অনেক কিছু বানাবো।" "কিন্তু শোন, এত কঠিন কাজ কি পারা যায়?" তখন তারা খেলতে লাগল এবং আনন্দ ফূতি র্করতে লাগল। গান গাইতে লাগল এবং খেলতে লাগল।

এক ছিল এক শিয়াল।

এক জঙ্গলে থাকত এক শিয়াল। শিয়ালের বাবুটা বলত, "আমি তোমাদের মত বড় হব।" তারপর বাবুটা বলল, "ওমা! তুমি কি আমাদের কথা শুনলে গো? তুমি আমাকে একটু বড় করে দাও না। আমি তোমার মত আমার ছোট বন্ধুদেরকে নিয়ে আমি আমার বাঘ মামার সাথে দেখা করব।" তখন শিয়াল বলল, "সে কিভাবে বড় হবে? তোমরা তো বেশি কিছুক্ষণ বসে থাকতে হয়। কারণ আমি অনেক খাবার মুরগী নিয়ে আসতে কষ্ট হয়। অনেক দেরী হবে না? তোমরা খাবার না খেয়ে থাক না? সেজন্যই তো তোমরা এত তাড়াতাড়ি বড় হও না।" তারপর তোমরা আর কত কী খাও না। এত কিছু না খেলে যে তোমরকি করে যে বড় হবে। আর তোমরা যদি মানুষ হতে, তাহলে তোমরা তাড়াতাড়ি বড় হতে পারতে। কেননা, মানুষের না একটা দুইটা জিনিস শিকার করে নিতে হয়, অন্য কিছু শিকার করতে হয় না। কিন্তু তোমরা যদি মানুষ হতে, তাহলেই তো তোমরা পারতে। এই যেমন এই দেখ ডাল, চাল, তারপর আরো কত কি! এগুলো শিকার করে খেতে হবে না। সেগুলো এমনি বন থেকে ধান এনে রান্না করলেই হয়। কিন্তু আমরা রান্না করব কিভাবে? পাতিল নেই, চামচ নেই। আমরা কি মানুষ? সেজন্যই তো তোমরা তাড়াতাড়ি বড় হচ্ছ না। একথা শুনে তো সেই শিয়ালের বাচ্চাটির মন খারপ হয়ে সে শুয়ে থাকল। তারপর সে তার বন্ধুেদর নিয়ে বন্ধুদের একটু কম খাবার খেতে দিল আর নিজে একটু বেশি খাবর খেল। ওরা বসে বসে কিসব কেতে লাগল, আর ওদিকে শিয়াল। "ঠিক আছে আমি তো খাবার এনেছি, তোমি বন্ধুকে না দিয়ে খেত না।"

সুন্দর রাণী

এক দেশে ছিল এক রাণী। রাণীর ছিল দুটি মেয়ে। মেয়েগুলো ছিল খুব দুষ্ট এবং ভাল ভালও আছে। একদিন তারা এক শিশুপার্কে গেল বেড়াতে। শিশুপার্কে গিয়ে না এমন মজা পেল, তার পরই দিন সে বলল, আজ স্কুলের বদলে শিশুপার্কে যাব। ঠিক আছে, তুমি শিশুপার্কে আগে যেমন মজা পেয়েছ এখন তেমন মজা পাবে না। তার মা আবার একথা বলল। "ঠিক আছে, তাহলে শিশুপার্কে যে তুমি স্লিপারে পিছলা খেতে চাও কেন?" "তাহলে এক কাজ করা যায় না? তোমার স্কুলটা শিশুপার্কের কাছে নিয়ে বানালে সেখানে মাঝে মাঝে ক্লাসে যখন বসিয়ে রাখবে, খাতা দেখার সময় বেশি টাইম নেবে, তখন সেখানে মাঝে মাঝে গিয়ে একটু পিছলা খাবে। এই কাজ করা যায় না, মা?" তার মা বলল, "তা কি আর হবে? এমনি স্কুল এখানে বানিয়েছে। ওখানে কিভাবে বানাবে?" তারপর বাবু বলল, "স্কুলটা ওখানে থেকে তুলে নিযে ওখানে রাখবে।" "আরে বোকা, তা কি করা যায়?"

রাজা

এক দেশ খুব পরিস্কার ছিল। কিন্তু রাজা একটু দুষ্টু। সে শুধু খাবার খেতে চাইত। সবাই এত খাবার পাবে কোথা থেকে? নিজেদেরও খেতে হয়, রাজাকে তার থেকেও আরও বেশি খাবার দিতে হয়। এ আবার কেমন কথা! এগুলো রাজার প্রজারা অনেক চিন্তা করত। একদিন তার মন্ত্রী রাজাকে গিয়ে বলল, "রাজা মশাই! আপনি এত খাবার খেতে চান। তাহলে আপনি দুটি মাছ নিয়ে এসে নিজে নিজে খান। আপনিই নিয়ে আসেন। আমরা এত খাবার আনতে পারি না।" তারপর রাজা নিজে বাইরে গিয়ে মনে ভাবল, "ওরা এত খাবার আনতে পারে না। ওদের কি এত টাকা-পয়সা নেই? রাজার প্রজা হয়ে আমার থেকে আমি একটু ওদেরকে একটু টাকা দিয়েছিলাম সবাইকে, একশ টাকার নোট দিয়েছিলাম, সেই টাকাগুলো ওরা কি করে নিল? একটু খাবার আনতে পারে না।" এই কথা রাজার মনে ভেবে সে গাছে উঠে ফল পেড়ে খেতে লাগল। ফল খেয়ে তারপর ও গেল। দেখল যে, ঐখানে এক ঝুড়ি রূপচান্দা মাছ রাখা আছে, আর সাথে একটু খাসির গোশত রাখা আছে। সে মজা করে খেল। আসলে সেই খাবারটা একটা মানুষের বাচ্চা খেতে চাইছিল না। তখন তার মা যখন দেখে সে খাবেই না, তখন সে ঝুড়িতে সেগুলো রেখে মাটিতে ফেলে রেখে চলে গিয়েছিল। সেগুলো সেই রাজা মন ভরে খেল। তবে সেই খাবারটা মজা ছিল, তবুও সেই মেয়েটি খেল না। সেই দেখে রাজা তাই খেল। খেয়ে বলে, আর কত খাবার লাগবে আমার খেতে। এত খাবার আমি পাব কোথা থেকে? এই বলে সে গরুর মত ঘাসপালা খেতে লাগল। তারপর গরু-ছাগল ওরা যখন আসল, এসে দেখল যে, একি! রাজা মশাই এত বোকা? আমাদের ঘাষ খাচ্ছে? গরু বলল, হামবা হামবা, ছাগল বলল, ভ্যঁ ভ্যঁ। তবুও রাজা ঘাস খাওয়া ছেড়ে দিয়ে উঠল। উঠে সে দেখল, একটা জঙ্গল। সেই জঙ্গলে থাকত একটা শিয়াল। শিয়ালকে দেখে রাজা ভয় পেল। আসলে শিয়ালটা কিছু করবে না। রাজা তারপর দেখল, সেইখানে পঞ্চাশটা ভুট্টা আছে। সেটা খেল। সেটা খেয়েই রাজার পেট ভরল। পঞ্চাশটা ভুট্টা খেল খুটে খুটে, মজা মজা করে খেয়ে ফেলল। তাতেই রাজার পেটটা ভরে গেল বটে। তারপর সে পানি পাবে কোথা থেকে? সে গেল। কিন্তু রাজার তো অনেক ধন-সম্পদ। সেখান থেকে একটা সোনার টুকরা নিল। সে নিয়ে দোকানদারের কাছে গেল। বলল, আমার দশটা বড় বড় পানির বোতল লাগবে এবং বোতলে পানি ভরতে হবে। তারপর রাজা মজা মজা করে পেটটা ভরে খেল পানি, আরেকটু পারলে নদী থেকে মিষ্টি পানি এক ফোটা খেয়ে নিল। তারপর দৌওেড় ঘরে গেল। রাজপ্রাসাদে ঢুকে সে বলল, এই যে! আমাকে আজ দুপুরের খাবার দিতে হবে না। আমি মন ভরে অনেক খাবার খেয়ে এসেছি। তোমরা কি মনে কর গো! তখন রাজার প্রজারা বলল, রাস্তার থেকে কিছু খেয়েছিলেন? তখন রাজা বলল, না, না। রাস্তার মধ্যে ঝুড়ি ছিল। সেই ঝুড়ি থেকে ফল-টল খেয়েছি। ঠিক আছে মহারাজ, আপনি যখন খেয়েছেন, তখন আর কি বলা যায় মহারাজ। তাই তো রাজার একটু পরেই চিকেন খেতে ইচ্ছে করল। সে দৌড়ে গিয়ে বাজার থেকে মুরগী কিনে এনে রানীদের মত মুরগীর গোস্ত কুটে সে নিজেই রান্না করতে শুরু করল। রান্না করে নিজেই খেতে শুরু করল। নিজে চিকেন ফ্রাই করল। সেটা কী মজার একটা কথা না! রাজা ছেলে মানুষ। রাজা করল রানীর মত রান্না। আর রানী ওদিকে খাবার রান্না করে হাপিয়ে পড়ল। তারপর রানী শুতে গেল। শুয়ে বিছানায় একটু বিশ্রাম করে নিল। বিশ্রাম করে রানী আবার একটি মাছ ভাজল। এখন রাজাকে তো সে খেতে দেবেই না। শুধু দু টুকরো সবজি খেতে দিল। আর কিছু খেতে দিল না। আর সাথে একটি শসা দিল। এতটুকু খেতে দিল, আর সাথে এক বোতল পানি দিল। বোতলটা ছিল একটু ছোট। তারপর রাজা একটু খেয়ে তো রাজার পেটে কী ক্ষুধা! রাজা গেল। দেখল যে, একটা মৌমাছির গাছ। ও! আমি তো আর এত বেশি খাবার পেলাম না। একটি বড় বাটিতে করে একটু মধু নিয়ে খাই। এ বলে রাজা একদিন ক্ষুধাটা একটু কমার ওষুধ দিল তার মন্ত্রী। ক্ষুধাটা একটু কমল। তখনই তাকে খাবার খেতে সাথে নিল। তারপর তারা সবাই সুখে-শান্তিতে থাকল আর আমার গল্পের এই কথাগুলো খুব মজার হয়ে গেল। তখন রাজা মনের সুখে তাদের সঙ্গে খাবার খেতে লাগল।

বাবুর গোলাপ ফুল

এক দেশে ছিল একটা বাবু। বাবুর নাম মাদিয়ান। বাবুটা একদিন পড়তে গেল। একদিন বাইরে ঘুরতে গিয়ে দেখে, একটি গোলাপ ফুল। খুব সুন্দর। আর সাথে একটি মালিক গাছে পানি দিচ্ছিল গোলাপ ফুলেরই পাশে একটি বেগুন গাছে। সে বলল যে, "বাবা! বাইরে যে আসলাম। তবু ঐ গোলাপ ফুলটা নিবা না রে বাবা?" তার বাবা বলে, "গাছের ফুল তো ছিড়তে হয় না। ফুল সুন্দর দেখার জন্য। গাছ ব্যথা পায়।" সেই বাবু বলে, "তা তো বাবা, কিন্তু গোলাপ ফুলটা যে খুব সুন্দর। এটা দিয়ে আমরা ঘরের ঐ কোণায় বেধে দিতে পারি না? ফুলের সঙ্গে সুতা দিয়ে ঐ তাকের সঙ্গে লাগিয়ে দিতে পারি না? লাগিয়ে দিলেই তো সুন্দর দেখা যেত সেই গোলাপ ফুলটাকে।" বাবা বলে, "তা বল, কিন্তু গাছ যে ব্যথা পাবে। সেটার যে কি হবে! তুমি যে গোলাপ ফুল নেওয়ার জন্য জিদ করতেছ।" তারপরে সে বাসায় এসে তার মাকে বলল, "আমার কথা বাবা শোনে না। আমি গোলাপ ফুল ছিঁড়তে বললাম। গোলাপ ফুল ছিড়তে মানা করল। বললাম যে, গোলাপ ফুলটা ছিড়ে আমার হাতে দাও। তবু আমার বাবা বলল, না, ফুল নেওয়া যাবে না। তাই না মা?" তার মা বলে, "মাদিয়ান! তুমি এত জিদ করছ কেন? এত জিদ ধরা তো উচিত নয়। গোলাপ ফুল গাছে থাকলেই তো সুন্দর দেখা যাবে। তবু ঐ গোলাপ ফুলের গাছটি তো আবার অন্য মানুষেরও তো হতে পারত। তবু ঐ গোলাপ ফুলটা কি একটা বাগানের মধ্যে ছিল?" "না, না। বাগানের মধ্যে ছিল না।" "ও! তাতে তো ছেড়া যেত। তবু গাছ যে ব্যথা পাবে। তবু একটা কাজ করো। এক বালতি পানি নিয়ে গাছের ওখানে ঢেলে দিয়ে তারপর ফুলটি নিও। তাহলে গাছ ব্যথা পেলেও সেই পানিটুকু খেতে পারবে। মনটা আবার ভাল হয়ে যাবে। এরপর তুমি যখন গোলাপ ফুলটা ছিড়তে পারবে, তখন তোমার বাবাকে বলবে, আমার মা বলেছে, এখন ফুলটি তোলা যাবে, আর এই এই কথা বলেছে। এইটা বলবে। তবে কালকে তুমি তোমার বাবার সঙ্গে বাইরে যাবে না, আমার সঙ্গে বাইরে যাবে, তখন আমিই তোমাকে গোলাপ ফুল ছিড়ে দেব। তারপর গোলাপ ফুলটাকে ফুলদানিতে রেখে তারপর একটু পানি দিয়ে দুই দিন রাখব। তারপর সেই তাকে ঝুলিয়ে রোজদিন এক মগ পানি থেকে চার-পাচটা ছিটা দিয়ে রাখব। তাহলে সুন্দর দেখা যাবে।" তারপর মাদিয়ান বলল, "তবু তাকে ঝুলিয়ে রাখলে আমি ঐ তাক থেকে পেড়ে কি আমি দুই মিনিট খেলতে পারব?" বলে, "হ্যাঁ, পার। ঠিক আছে, তবু কালকে তুমি মনে না করে দিলে কিন্তু আমি ফুল আনতে পারব না। আর তুমি যদি কাগজে লিখতে পেরে সেইটা টেবিলে রেখে ঘুমাতে পার, তারপর উঠে যদি কাগজের লেখা পড়ে দেখ যে, গোলাপ ফুল তুলতে হবে, তাহলে সেটাও তুমি করতে পার। তা না হলে কিন্তু আমি গোলাপ ফুল আনতে যেতে পারব না। তবু তোমার দেখতে হবে, সকালে উঠে। আর তুমি না উঠতে পারলে তুমি ভাল করে রাত্রে কি কি করেছ সেগুলো ভাল করে মনে করে নেবে প্রথমে। তারপর মনে আসবে যে, সেই গোলাপ ফুল তোলার কথা। তবেই তুমি গোলাপ ফুল তুলতে পারবে। তবু আমার যদি যেতে না ইচ্ছে করে, তবে কিন্তু তোমায় আমি দুধ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখতে পারি, কিংবা তোমার কাগজটা লুকিয়ে রাখতে পারি। তবে আমি এমন করব না। তোমার জিদ আমি এবার পূরণ করবই। কারণ, তুমি আমার সোনার মেয়ে। তবে আমরা সকাল বেলা যাব। কারণ, বিকাল বেলা তোমার বাবা আবার বলবে যে, আমি নিয়ে যাব তো। ঐ দিকে কোথায় স্লিপার আছে, স্লিপারে পিছলা খায় কোনখানে, সেটা তুমি জান? ও আমার সঙ্গে যাবে, আমার সঙ্গে পিছলা খাবে, সেজন্য আমি যাব।" মাদিয়ান এখন ভাত খেয়ে দেয়ে মাঠে খেলতে গেল। তারপর বাসায় এসে ভাত-টাত খেয়ে ঘুমাতে গেল। তারপর সকাল বেলা ঠিকই সে উঠল। তবুও তার কাগজ দেখা লাগল না, তার এমনই মনে পড়ে গেল, সেই গোলাপ গাছ থেকে গোলাপ ফুল তোলা। সে দৌড়িয়ে মুখ-টুখ ধুয়ে মায়ের কাছে গেল। বলে, "মা, তুমি বলেছিলে গোলাপ ফুল তুলতে, চল।" "না, মা। সকালের নাস্তা আমি তোমার জন্য নুডুলস রান্না করেছি। তুমি তাড়াতাড়ি খেয়ে নাও। খেয়ে তারপর তুমি গোলাপ ফুল তুলতে যাবে।" তারপর বাবু সব খেয়ে নিল। তারপর মাদিয়ান মায়ের সঙ্গে গোলাপ ফুল তুলতে গেল। তারপর গোলাপ ফুল নিয়ে এল। তারপর যা করার সব করল। বাবাকে যা বলার, তাই বলল। তারপর গোলাপ ফুলটা সাজানোর জায়গায় সাজিয়ে নিল। তারপর বাবুটা দাওয়াত দিল। সবাই এসে গোলাপ ফুলটা দেখে হাসাহাসি শুরু করল।

বাঘ ও শিয়াল

এক দেশে ছিল একটি বাঘ। বাঘের ছিল তিনটি বাচ্চা। বাচ্চা দুটো খালি খাবার খেতে চাইত। আর একটি বাচ্চা শুধু বাইরে যেতে চাইত। দুজন বাচ্চা খাওয়ার জন্য কী জেদ ধরল, এখন বাঘ শিয়ালের বাড়িতে গিয়ে বলল, "শিয়াল ভাই, এই জেদগুলো থামানোর কি উপায়?" শিয়াল বলল যে, "তবে একটা চিঠি দিয়ে নেই। এখন তো কথা বলার সময় নেই। আমি এখন অনেক কাজ করব। সেজন্য এখন কি করতে হবে সেগুলো চিঠিতে লিখে কাগজটি তোমার কাছে দিয়ে দেব।" তখন চিঠিতে লিখল কি জান, বাঘ ভাই! আপনার খাবার আনতে তো কষ্ট হয়। আপনি বরং বাচ্চাদের বুঝান। বল (Incomplete)

Friday, September 5, 2014

চৌধুরী বাড়ি

এক ছিল এক লোকলোকটির নাম মহিনাথ চৌধুরীতাকে সবাই চৌধুরী বলে ডাকেসে হল সংসারের সবথেকে ভাল কাজ করে দেয়একদিন তার একটি ছেলে হলতারা ছেলেটাকে খুব আদর করলএবং ছেলেটাকে মধু, দুধ এগুলো খাওয়ালোবাচ্চাটির বয়স দুই দিনছেলেটাকে জন্মের সাথে সাথে দুধ খাওয়ালোদুধ খাওয়ালো এবং বাচ্চাটাকে খুব আদর করল এবং বাচ্চাটাকে নরম খাটে ঘুমাতে দিলছেলেটাকে এত আদর করে সুন্দর চাদর বিছিয়ে কষ্ট করে ঘুম পাড়িয়ে বিছানায় শুইয়ে দিলএরপর বাচ্চা ঘুমালোএবং তার মাও ঘুমালোএকটু পর বাচ্চা নিজেই ঘুম থেকে উঠে "ওয়্যাও" করে কাঁদতে লাগলবাচ্চার "ওয়্যাও" শুনে মা চমকে ঘুম থেকে উঠে গেলউঠে বাচ্চাটাকে কত আদর করে কান্না থামালবাচ্চাটাকে কোলে তুলে নিয়ে ঘুরলএবং সেই চৌধুরীকে ডাকলডেকে বলল যে, ছেলেটার ঘুম ভেঙ্গে "ওয়্যাও" করে কেদে উঠেছেআমি ওকে আর কান্না থামাতে পারছি নাতুমি একটু কোলে নিযে ওকে নাচাও, বাইরে গিয়ে একটু দৌড়াদৌড়ি করতখন সে বাচ্চাকে কোলে তুলে নিয়ে হাটল এবং মাঠে দৌড়ালতারপর বাচ্চার কান্নাটা থামলবাচ্চাকে এমন আদর করতে করতে দিনরাত গেল, তবুও আদর করতে থাকলবাচ্চার কান্নাও থামল নাতারপর বাচ্চাটিকে ওরা এমন আদর করতে করতে রাতের খাবার খাওয়ার সময় হয়ে গেলতারপর বাচ্চার কান্না থামলতখন ওরা দৌড়ে নামাজ-কালাম পড়ে প্লেট ধুয়ে খাবার আনলতারা খেয়ে দেয়ে তার মা বেশি করে পানি খেয়ে বাচ্চার পাশে শুয়ে বাচ্চাকে কত আদর করে দুধ খাওয়ালবাচ্চাটা এত মজা করে দুধ খেল যে, দেখলে মনে হয় যেন সারা জীবনে কিছু খায়নিতারপর সে খেয়ে দেয়ে উঠে ঘুমাতে লাগলঅনেক অনেক দিন পর ছয় মাস হয়ে গেলতখন তার বাচ্চাটি পাতলা খাবার খাওয়া শিখলছয় মাস না হওয়া পর্যন্ত খাওয়া শিখাতে পারছিল নাদুধ ছাড়া অন্য কিছু খাওয়াতে শিখাতে পারেনিশুধু ছয় মাস পর পর বাচ্চা অন্য পাতলা খাবার খাওয়া শিখলতখন গাজর ব্লেন্ড করে জুস বানিয়ে ফিডারে ভরে এনে তারপর একটু গরম করে বাচ্চাকে দিলবাচ্চা খেতে লাগলখেয়েদেয়ে তারা উঠে বাচ্চাকে আবার ঘুম পাড়িয়ে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে গেল তিন বছরের নিচে তার বাবা-মা কথা শিখালোএরপর ছেলেটা আরও অনেকদিন পর বড় হলতার তখন ১২ বছর বয়সতখন সে আস্তে আস্তে একটু করে দুষ্টু হতে লাগলসে শুধু লুকিয়ে থাকেখাবার খায় ভাত নিয়ে এসে লুকানোর জায়গায় বসে বসে খায়কত দুষ্টু! লুকানোর জায়গায় লুকিয়ে সব কাজ করেলুকানোর জায়গায় বসে বসে ফুটবল খেলেআর যখন ইচ্ছা হয় যে, বন্ধুদের সাথে খেলবে, তখন মাঠে গিয়ে গাছের পিছনে গিয়ে লুকিয়ে ফুটবল খেলতঅনেক দিন পর সে খুব ভাল ছেলে হল১২  বছরের আগে সে স্কুলে গিয়েছিল না? স্কুলে অনেক পড়ালেখা শিখেছিলসে লিখতে গিয়ে ২ নম্বর কাটা গিয়েছিলকারণ, তাকে লিখতে দিয়েছিল যে, সকাল থেকে তুমি কি কর? সকাল থেকে কি কি করার মধ্যে সে লিখে ফেলল যে, আমি সব সময় বই-খাতা আউলিয়ে রাখিসেজন্য সে দুই নম্বর কাটা গিয়েছিলএখন সে অনেক লক্ষ্মী এবং ১২ বছরে যেই ক্লাসে ভর্তি হয় সেই ক্লাসে খুব ভাল মানের লেখাপড়া করে এবং বাসায় এসে খুব ভাল করে লেখাপড়া শেখে এবং থাকেএকদিন চৌধুরী বাড়িতে অচেনা কয়েকটি লোকজন এলকলিং বেল দিলদরজা খুলে দেখল যে, কয়েকটা মানুষ,অপরিচিতআত্মীয়-স্বজন নাতার বাসায়ও কখনো যায়নিতারপর দেখল, তারা বলে ওঠে যে, কিছু খাবার দেবেন? কিছু খাবার খেতে এসেছিঅন্য বাড়িতে কেউ খাবার দিচ্ছে নাশুধু এক বাড়িতে একটুখানি এক চিমটি ভাত খেতে দিয়েছেআমরা সেটুক খেয়েই খিদে মিটে আছিআপনারা কি একটু খেতে দেবেন? বলে, "হ্যাঁ, আমাদের বাসায় অনেক খাবার দাবার আছেআমার একটা ছেলে আছেসে রান্না করা শিখে গেছেআমাদের এই বাড়ির সবাই রান্না-বান্না করতে পারেতাই এখানে বেশি বেশি খাবার পাবেনআমাদের খাবার শেষ হবার পর কিছু খাবার রয়ে যায়।" "আসেন আসেন, তবে ভিতরে আসেনআমি পাটি বিছিয়ে দিচ্ছিতবে আপনি যদি বলেন যে, আমাদেরকে খাবার দিয়েছেনএটা কিন্তু বলবেন না কারো কাছেবললে কিন্তু আবার এসে অন্যরাও খাবেআপনারা শুধু আরেকবার খেয়ে যেতে পারবেন।" এই বলে পাটি বিছিয়ে শেষের কতটুকু ভাত এনে পাটিতে বিছিয়ে দিলআর খেতে দিলতারপর মাছ, মুরগী, ডিম, মাংস, ভাত এগুলি খেয়ে ওরা আনন্দ করলওদের পেটটা ভরে গেলএবং ওরা সুখে-শান্তিতে থাকতে লাগলএবং বাড়ি থেকে বের হয়ে যেই বের হতে গেল, অমনি বলল, ভাই যাইয়েন না, একটু থাকবেনবলে, হ্যাঁ, তা তো থাকবোইইচ্ছে করল, অন্য বাড়িতে বেশি বেশি ভাত থাকলে একটু খেয়ে নেই।" বিশ্রাম নিবেন? হ্যা, আমাদের মাঠে একটি পাটি আছে, সেখানে বিশ্রাম করবেন। "না, না। আমি আপনাদেরকে মাঠে যেতে দেব না। আপনারা এখানে এসে বিশ্রাম করেন। কত সুন্দর একটা খাট! আমরা সেই খাটটায় উঠতেই পারছি না। খাটটাতো এখন নোংরা হয়ে আছে। একটু পরিস্কার করে আপনাকে শুতে দেব।" বলে যে, "ঠিক আছে, আপনি যখন অনেক কাড়াকাড়ি করে আপনাদের বিছানায়ই শুতে দিচ্ছেন, তখন কি আর আমি যাব? আপনি আমাদের খাবার-দাবার খাইয়ে যখন অন্য আদর-যত্ন করেছেন, তখন আপনাদের বিছানায়ই শুয়ে পড়ি। আপনারাই মনে হয় বেশি আদর করবেন।" তখন সে বলে ওঠে, "হ্যাঁ, আদর তো করবো। কারণ, আমাদের বাড়িতে যে বেশি বেশি ভাত রান্না হয়, জান? আমরা তো বইয়ের ব্যবসা করি। কত টাকা পেলাম! এই টাকা দিয়ে চাল কিনতে গেলাম। ওরা অনেক বড় একটা বস্তায় অনেক চাল দিল। সেই জন্যই তো আমরা বেশি বেশি খাবার রান্না করি আর শেষেরটুকু রয়ে যায়। সেজন্যই তো তোমাদের খাবার দিলাম। কিন্তু আমরা অনেক ভাল। এর পরে আসলেও খাবার খেতে পারবে। এখন তাহলে শুয়ে পড়।" তারপর তারা বিছানায় গেল। তারপর অনেকক্ষণ হল। তারপর রাত্রে বেলা তারা ঘুমালো। তারপর রাত্রে উঠে তাদেরকে আরো কি সুন্দর খাবার দিল। ভাত, মাংস, মাছ, মুরগী, খাসীর গোশত, শাক, ভাত এগুলো খেতে দিল। তারা খুব মজা দিয়ে খেল। তবু তাদের মনটা খুব ভাল। তারা একেবারে মনের আনন্দে ঐ বাড়িতে ফুলের গাছের কাছ দিয়ে ঘুরল এবং আনন্দ করল এবং তারা বাড়ি থেকে বের হল। বলল যে, "ভাই, তোমরা এত খাবার দাবার দাও। পরে আসলেও কিন্তু খাবার দাবার দিবে।" "হ্যাঁ, অবশ্যই দিব। তুমি তাহলে যাও। তোমার বন্ধুদের নিয়ে।" তখন তারা ঘর থেকে বের হয়ে দৌড় দিয়ে সারা দেশ ঘুরে ঘুরে বেড়াল যে, আর কোথায় যাব, আর কোথায় যাব, আর কোথায় ঘুরব, আর কোথায় বিশ্রাম নিব এরকম করে ওরা কথা বলতে লাগল। ওরা যে তিনজন ছিল, তিনজন মিলে ওদের বাসায় যে গিয়েছিল, এখন ওরা ঘুরতে ঘুরতে আরেক বাড়িতে গেল। সেই বাড়ির নাম গোটা চাচার বাড়ি। সেই বাড়িতে খাবার দাবার কেউ বেশি করে রান্না করতে পারত না। ওরা নিজেরাই খেত। এখন ওরা এসে পড়ল। বলল যে, ভাই, একটু খাবার দেবেন? কিছু খাইনি। শুধু একদিনই আমরা কিছু খাবার খেয়ে আছি। কোনদিনই খাইনি, একদিন শুধু খেয়েছি। আপনারা কি একটু দেবেন? দিলে আমাদের ক্ষুধাটাও মিটে যাবে। তবে আমরা এ খাবার দাবার খেয়ে মাথায় বুদ্ধি এনে কিছু ব্যবসা করে টাকা নিয়ে আমরা নিজেরা চাল কিনে ভাত খেতে পারব। এখন হয়তো একটু খাবার খেতে দেন। বলে যে, "খেতে দিব, কিন্তু আমরা তো তাহলে খেতে পারব না।" "কেন, আপনাদের বাসায় কি ভাত রান্না বেশি হয় না?" "বলে, না। আমাদের বাসায় কিছু রান্না হয়। তবে আমি খাব না, আপনারা খান। আপনাদের সঙ্গে আমি খেতে পারব না। আমরা খাবার খেয়ে আরেকটু রান্না করে রাখি। এখন তো তবে একজনের ভাত রান্না করলাম। একজন খেতে বসুন, ততক্ষণে আরেকজনের ভাত রান্না করি। তখন একজন ...। এরপরে সবার শেষের লোকটিকে খাবার দিল। তখন তাদের মাথায় বুদ্ধি এল। তখন তারা ব্যবসা করে টাকা নিয়ে চাল কিনে তরকারি কিনে ভাত রান্না করে খায়। এবং বড় একটা বিল্ডিং বানিয়ে ছোট্ট একটু ঘর থেকে বের হয়ে বড় বিল্ডিংয়ের ভিতর ঢুকল। যারা একটু খাবার দিয়েছিল সেই দুই বাড়ি চৌধুরী বাড়ি ও গোটা চাচার বাড়ির মানুষদেরকেও বড় বিল্ডিংয়ে এনে ঢুকালো। আর বলল যে, "চৌধুরী বাড়ির মানুষ, গোটা চাচার মানুষ তোমাদের বাড়ির মানুষরা একটুখানি ছোট ঘরের ভিতর থাক। এখন বড় বিল্ডিংয়ের ভিতর এসে থাক।" এবং তারা সুখে-শান্তিতে বাস করল। এবং সেই ছোট্ট কুড়ে ঘরগুলো তাদের এক জায়গায় রয়ে গেল। এবং গরীব লোকেরা ঘর খোঁজে যে, তারা ঐখানে গিয়ে থাকল। তারাই ওই দুই বাড়িতে এসে থাকল। এবং আমার বাবা গল্পটাকে বেশী মজার মনে করেছিল।

Thursday, August 28, 2014

এক বাবুর গল্প শেখা

এক ছিল এক বাবু। তার নাম মুদিয়ানা সাদিয়া। সেই বাবুটার মায়ের নাম মুমতাহিনা। বাবুর বাবার নাম খালেক চৌধুরী। সেই বাড়িতে ওরা একসঙ্গে থাকত। তার বাবা একদিন ভাবল যে, আমরা তো এখন গরীব। এখন কিছু কিনে আনব কি করে? আমরা খাব কি করে? এ বলে তারা কিছু কিছু জিনিস বানিয়ে বেচল। বেচে কিছু পয়সা পেল। পয়সা নিয়ে খাবার কিনতে গেল। চাল নিয়ে এল ভাত রাধার জন্য। চাল কিনতে গিয়ে সে তার বাবুর জন্য একটি গল্পের বই নিয়ে এল। চাল এগুলোর সঙ্গে আরো অনেক কিছু নিয়ে এল। তারপর বাবুটা গল্পের বই পড়ে পড়ে সব শিখল। তারপর ভাত-টাত খেল। আর গল্প শেষ হয়ে গেল।

রাজা

এক ছিল এক রাজা। রাণীর ছিল একটি মেয়ে। রাজা রাজকন্যাকে আদর করত কিন্তু কথা বলত না এবং মিশত না। তার মেয়ে পছন্দ ছিল না। একদিন রাণী রাজাকে নাস্তা দেওয়ার সময় বলে, "রাজা মশাই! আপনি রাজকন্যাকে আদর করেন না কেন?" রাজা বলল, "আমি আদর করি।" তখন রাণী এক কাজ করল। রাজকন্যাকে বলল, "তুমি রাজার সব কাজ করে দাও।" তারপর করে দিল। তখন রাজা রাজকন্যাকে আরো বেশি আদর করল।

Wednesday, August 27, 2014

এক বাবুরা

এক বাবুরা এক বাড়িতে থাকত। সেই বাবুরা খুবই ভাল সংসার করত। বাবুরা একদিন ঘর থেকে বের হয়ে খেলতে লাগল। এক বাবু বলে যে, "এই নাও, বল ধর"- এই বলে আরেক বাবুকে দিত। এরকম করে খেলত। তারপর বাসায় এসে তারা খাবার খেয়েদেয়ে তারা গল্প-টল্প করল, মাঠে বের হয়ে। তখন তারা ঘরে এসে তার মাকে একদিন বলল যে, "মা, আমি রান্না করব তোমার মত।" তার মা বলল, "না, না। রান্না করা যাবে না। আগে পড়ালেখা কর। সব রান্না শেষ। এখন শুধু আমি লাউ রান্না করব। তুমি যাও, পড়তে বস।" তখন সে বলল, "না, না। আমি পড়ব না। আমি এখন বন্ধুদের সঙ্গে খেলব।" "না, তাহলে কালকে খেলা বন্ধ। কালকে তুমি একবার শুধু খেলতে পারবে, এখন যদি খেলতে যাও।" তখন সে মনের দু:খে চলে গেল। সে ঘর থেকে বের হয়ে নিজেদের মাঠে ঘুরে কিছু দেখে টেখে দৌড়াতে দৌড়াতে এক মেলায় গিয়ে পড়ল। তখন মেলাটা একটুখানে দেখে তারপর দৌড়াতে দৌড়াতে সব রাস্তা চিনে টিনে চলে গেল। তারপর মাঠে এসে কিছুক্ষণ মাঠের স্প্রিঙে লাফিয়ে দোলনায় দোল খেয়ে বাসায় চলে এল। তারপর লেখাপড়া করে আরেকটু খাবার খেয়ে ঘুমোতে গেল। ঘুম থেকে উঠে তার মাকে বলল যে, "মা, এখন কি খেলা যাবে?" "না, না। এখন তো বিকেল হয়ে গেছে। এখন তুমি বাইরে যেতে পারবে।" তখন সে দৌড় দিয়ে মাঠে গিয়ে বন্ধুদেরকে এক জোরে বন্ধুেদের বাড়ি থেকে বন্ধুদের ডেকে নিয়ে খেলতে লাগল। তারপর বাড়িতে এসে বলল, "মা, আমি আরেকটু খেলি।"

Tuesday, August 26, 2014

বাবুর মা

এক দেশে ছিল একটা বাড়ি। সেই বাড়িতে ছোট্ট একটা সংসার। সেই ঘরে মা, বাবা, ছেলে, মেয়ে সবাই একসঙ্গে কষ্টমষ্ট করে সংসার চালাত। আর তার ছেলেমেয়েরা এইটুকু ঘরে অনেক কষ্ট করে থাকত। চিপেচুপে থাকত। আর তখন ভাঙা মেঝে দিয়ে হাটত। তাদের ঘরটা ছিল একটু ভাঙ্গা ভাঙ্গা। আবার মেঝেও একটু ভাঙ্গা ভাঙ্গা ছিল। সবাই কষ্টমষ্ট করেই ছোট্ট একটু সংসারটা চালাত। আর তারা খেত কি জান? গাছে বসে পেয়ারা, ডালিম এসব থাকত সেগুলো নিয়ে খেত। আর একদিন সেই বাড়িতে সেই ছেলেমেয়েরা পড়ালেখাও শিখতে পারল না, আর বড়ও হতে পারছে না। কারণ, কাগজ কলম খাতা এগুলো তাদের নেই। তারাও ছিল গরীব। তাদের কিছুই থাকত না। খাবারও না। তখন তারা বাড়ি থেকে বের হয়ে স্কুলে যাবার চিন্তা করল। আর পাশে পাশে ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগল কোন জায়গায় স্কুল আছে কিনা। কিন্তু আবার মনে মনে ভাবতে লাগল, স্কুলেও তো পড়া মুশকিল। বেতন দিতে হবে। তার মধ্যে মধ্যে গাছেল পেয়ারা একটু একটু পেড়ে একটুখানি বেচে একটু খানি তো টাকা পাব, এটা ভেবে সেরকম গাছের পেয়ারা ছিড়ে আনল। তখন একটু টাকা পেল। তখন সেই টাকা নিয়ে সে ঘরে পৌঁছল। তারপর তার ছেলেমেয়ে এবং বাবুর মাকে সে বলল, এই দেখ একটি টাকা নিযে এসেছি। এখন দুটি বাচ্চাকে স্কুলে ভর্তি কর। আর বেতন দেবার সময় এ টাকাটুকু দিয়ে এক বছর না হয় পড়াও স্কুলে ঢুকিয়ে। তাহলে সে বলল, "এইটা তুমি খুব ভাল কাজ করলে। কিন্তু স্কুল কোথায় বা আছে সেটা তো আমি জানি না। একটু খানি টাকা নিয়ে একটু বইখাতা কিনে আন।" তখন তারা গিয়ে বই-খাতা কিনল। তখন সেই দুটি বাচ্চাকে বলল, "তুমি এই খাতা-বই নিয়ে একটু পড়ালেখা কর। স্কুলে গিয়ে আরো অনেক কিছু শিখতে পারবে।" তখন তারা পড়ল। পড়ে-টড়ে রেখে দিল। তখন তারা দৌড়ে গেল। পড়াশুনা শিখতে। পড়াশুনা শিখতে গিয়ে সে স্কুলের দরজায় ডাক দিল। তখন মিস এসে বলল যে, কি হল? এখনও দুটি বাচ্চা এসেছে। আর কোন বাচ্চা আসেনি। এখন সি ভিতরে ঢুকে বেঞ্চে বসে পড়ল। তখন সেই দুটি বাচ্চা শুধু বেঞ্চে বসে গল্প করতে লাগল আর কথা বলতে লাগল। তখন মিস বলে, "এই এত কথা কিসের? এত কথা বলে, এটা শুনে আমার মনে হয় না যে, এটা আমার ক্লাস।" এরপর সবাই চুপ করে বসল। এখন আরো ৩০ জন প্রবেশ করল স্কুলে। এসে ক্লাসে ঢুকে পড়ল এবং বসল। আর মাত্র দুটি বাচ্চা বাকি। সেই দুটি বাচ্চা অনেক পড়ে দেরিতে এসেছে। তাদেরকে মিস বলছে যে, আগে কি করছিলে? যাও, ক্লাসে গিয়ে বস। তারপর সবাই পড়ালেখা শিখে বাড়িতে চলে গেল। তখন সেই দুটি বাচ্চা ক্লাসে রয়ে গেল। তারা ভাবল, তোমরা কষ্টমষ্ট করে রাস্তা পার হয়ে এসেছে। এখন আমি অনেক জোরে ডাক দিচ্ছি। যেন ওই আমাদের ঘর পর্যন্ত যায়। আবার সেই মেয়েটির নাম ছিল আনিকা। সেই মেয়েটি বলল যে, "মা! আমি আনিকা।"

Thursday, August 21, 2014

তোতা

তোতা নাচে গাছের ডালে
নাচে বউয়ের তোতা
তোতা বউকে বলে হিন্দিতে
মেহু তোতা।
তার তো বউ বলে কি শোন,
বউ বলে আর তো কিছুই
নানার নানান না।
বউ বলে তুই কি শোনস
তুই বল মেহু তোতা।
মেহু তোতা তো হবেই রে,
কাকে বলে চ্যাংড়া।

এক বাড়ি

এক দেশে ছিল এক ঘর। সেই ঘরে কোন মানুষ ছিল না। আর উত্তর দিকে একটি মেয়ে সে ভাবতে লাগল যে, আমি তো কোন বাড়ি খুঁজে পাই না। আমি থাকব কোথায়? এখন তো আমার বাচ্চা হওয়ার সময় হয়ে গেছে। সে ভাবল যে, আমি যখন কোনই বাড়ি পাচ্ছি না, তখন আমি কিভাবে বাচ্চাটাকে এরকম করে রেখে ঘুরতে পারব না। এরকম করে সারাদিন ধরে আমি কেমনে কোলে রাখব? আবার ভাবছে, টাকা-পয়সা তো কিছু নাই। হাসপাতালে গিয়ে কেমনে একটু বাবু নেব? তাতে এখন আমি কেমনে যে সব কাজ করি? সে এখন যেখানে সেই বাড়িটা ছিল সেই বাড়িটা ছিল আবার পূর্ব দিকে। সে ভাবল যে, এখন আমি অনেক দূর যাব। অনেক দূর গিয়ে আমি খুঁজতেই থাকব, বাড়ি কোথায় পাব। নিশ্চয়ই কোন জায়গায় কোন বাড়ি পড়ে থাকবে। তখন আমি সেই বাড়িতে উঠব। তারপর বাড়িতে থেকে আমি বাড়ি থেকে বের হয়ে কিছু জিনিস-টিনিস নিয়ে-টিয়ে সেগুলো বেচে একটু পয়সা নিয়ে আবার  হাসপাতালে গিয়ে একটা বাবু নিয়ে আসব। এইসব কথা যে আমি ভাবলাম, তবুও তো একটা বাড়িও পেলাম না। যাই, এখন ঐ দিকে যাই। তখন সে দৌড়ে ঐ দিকে গেল। ওদিকে গিযে দেখল যে, একটা ঘর পড়ে আছে। যাই, আমি গিয়ে তার ভিতর ঢুকে পড়ি। ঢুকে সে দিন-রাতটা কাটাল। তারপর সেই বাড়ি থেকে বের করে কিছু নিয়ে কিছু বেচল। বেচে কিছু পয়সা পেল। সেটা দিয়ে হাসপাতালে গিয়ে কিসব করে একটি বাবু নিয়ে আসল। বাবু নিয়ে ঘরের ভিতর গেল। গিয়ে এখন ভাবল যে, কিন্তু এখন খাবার পাব কৈ? কিছু খাবার তো খেতে হবে। ঘরে তো কোন খাবার নেই। খাবার না খেলে বাবু দুধ খাবে কেমনে? খাবার খেলে না দুধ হবে। বাবু তো দুধ খাওয়ার জন্য একেবারে কি হয়ে যাচ্ছে? এখন যাই এই পয়সাগুলো নিয়ে কিছু খাবার কিনে নিয়ে আসি। যদি চাল পাই, তাহলে চাল আনব; যদি লাউ শসা এগুলো পাই নিয়ে আসব; আর যদি দুধের একটা ফিডার পাই। বলে সে দৌড়ে গেল। অনেক খাবার, এসব সে কিনে আনল। বাবুর জন্য একটা পিচ্চি জামা পেল। নিয়ে এল। সে এখন সেই খাবারের মধ্য থেকে একটা শসা খেতে লাগল। তারপর সে খুব আরাম পেল। তারপর বাবুটাকে নিয়ে সে বিছানায় শুয়ে রইল। বাবুটি একটু বড় হলে এই ফিডারটা দিয়ে ওকে দুধ খাওয়ানো যাবে। এখন তো বেশি ছোট। এখন যাই বাবুটাকে একটু আদর করে আসি। তারপর বাবুর কাছে কিছুক্ষণ থাকল। চারপাশ দিয়ে বেড়া দিয়ে দিল, যাতে বাবু গড়িয়ে না পড়ে যায়। তারপর সেই বাবুটা থাকল সেখানে। তারপর সেই মেয়েটা বাবুর কাছে গেল। বাবুকে কিছু খাওয়াল। অনেক অনেক দিন পর বাবুটি একটুখানি বড় হল। তারপর সেই বাবুটিকে সেই মেয়ে যত্ন করে ঘরে রাখল। একদিন অন্য একটা ছেলে- সেই ছেলেটা খুব ছোট, সেও অনেক ঘর খুঁজছিল। এখন সেই মেয়েটা ভাবল যে, একা একা থাকতেও তো আমার ভাল লাগে না। যাই, দেখি অন্য মানুষ ঘর খোঁজে কিনা। তাদেরকে নিয়ে আসি। তাদেরকে ঘরে রাখি। তখন সেই বাবুটিকে পেল। তখন সেই ছেলেটাকে ঘরে আনল। তারপর বলল যে, তোমার মা-বাবা কই? মা-বাবাকে একটু ডাক তো। তোমার মা-বাবাকে আমি ঘরে রাখব। তখন সে বলল, আমার মা-বাবা তো এক জায়গায় গিযেছিল, সেখান থেকে আর পথ খুজে পাচ্ছিল না। আজকালতো বেশি ঝড় ওঠে, সেজন্য একদিন আমি ঘর থেকে বের হলাম। ঘর থেকে এসে দেখি আমাদের ঘরটা ভেঙ্গে গেছে। আমি এখন খুজতে এসেছি ঘর। মা-বাবা কোথায় গিয়ে হারিয়ে গিয়েছে, পথ খুজে পাচ্ছে না। তখন সে বলল যে, এখন তুমি এখানে থাক। আর কে কে আছে দেখি। তারপর সে দেখল, দুই বন্ধু একটা কাগজ পকেটে রেখে হাটছে। তখন সে বলল, এই, তোমার পকেটে কাগজে কি লেখা? বলল যে, হায়রে, এসব কথা থামাও। আমারে আগে একটা ঘর বানিয়ে দাও। তখন বলল, "আস, আস, আমার ঘরেই থাক।" "ঠিক আছে, আসি।" তখন তাকে ঘরে আসতে বলল। যাক, আর একজন আসলে তাকে আমি ঢুকাব, আর কাউকে ঢুকানোর দরকার নেই। তাহলে বেশি বেশি রান্না করে খাওয়াতে হবে। তখন বলল যে, তোমরা তো দুই বন্ধু। আমিও তোমাদের দুজনের বন্ধু হয়ে তোমাদের সঙ্গে ঘরে থাকব। এবং আমরা এই চার-পাচজন মিলে আমার মেয়েটা বড় হলে আর ঐ ছোট্ট ছেলেটা বড় হলে আমরা একসঙ্গে থাকব। এখন আর একজন পেলে তাকে আমি ঘরে রাখব। তারপর এই চারজন মিলে হাত মিলিয়ে একসঙ্গে থাকব। বুঝলে তো? "হ্যাঁ, এখন চল। গল্প বাদ দাও। এখন তাড়াতাড়ি আগে ঘরে চল। রাত কাটাতে হবে ঘরে বসে।" তখন তারা দু'জন সেই মেয়ের ঘরে গেল। ঘরে গিয়ে থাকল। হাত মিলিয়ে একসঙ্গে বসল। যাক, বাবা! আর যদি একটা মেয়ে পাই, একসঙ্গে ভালভাবে থাকব। তখন তারা বলল যে, আমি কি বললাম? আমি বললাম, এত গল্প করো না। বিছানায় শুতে যেতে হবে। বলে, ঠিক আছে। এখন যাক, তোমরা শুতে যাও। আর আমিও শুতে আসব একটু পর। কিন্তু আমার বাচ্চাকে যে একা ফেলে রেখে এসেছি। এখন আমার বাচ্চা তো অন্য রুমে ভয় পাবে। বাচ্চাটা যদি উঠে কাঁদে, তাহলে তো শোনা যাবে না অন্য রুম থেকে। আচ্ছা, কিন্তু আমার বাচ্চা যে একটু আস্তে আস্তে কাঁদে, আস্তে আস্তে শব্দ করে, আস্তে আস্তে হাসে, সেজন্য এত কিছু শোনা যায় না, আর অন্য রুমে তো অনেক কাঠকোঠ দিয়ে বেড়া দেওয়া। আর বাইরে তো হোন্ডা, গাড়ি-ঘোড়া এসবের শব্দ শোনা যায়, বাবুর ডিস্টার্ব হয়, এজন্য আমি বাবুর রুমে ঘুমাব। "ঠিক আছে, আমরা দু'জন এখানেই ঘুমাই। তুমি যাও, বাবুকে রাখ। আর এই ছোট্ট ছেলেটা আমাদের কাছে থাকবে। ছোট্ট ছেলেটাকে আমরা রাখব।" সে বলল যে, "ঠিক আছে এই নাও, ছোট্ট ছেলে ঘুমাও। আর আমিও যাই।" তখন তারা শুতে গেল। আর গল্পটা শেষ হল। 

Wednesday, August 20, 2014

বাপের বাড়ি

আমি যাব বাপের বাড়ি।
সবার সাথে ভাত রান্না করিব নাকি?
ভাত খেয়ে-দেয়ে বাপের বাড়ি থেকে চলে আসব।
সবাই ওয়ার্ডের কোণে যাবে।
আমিও ওয়ার্ডের কোণে যাব।
সবাই ওয়ার্ডের কোণে গিয়ে অনেক যাদু দেখবে।
দেখবে সব রংধনু ছড়িয়ে রঙিন একটা মাঠ হয়ে গেছে। তখন আমরা বাপের বাড়ি থেকে বাড়িতে চলে যাব।
সবাই জানবে, সবাই নাচবে, সবাই হো হো করে হৈচৈ করবে, হো হো করে হাসবে, হা-হা-হা-হা করে কাঁদবে, সবাই খুশিতে নাচবে ও ফুল দিয়ে ফুল ছিটিয়ে সারা দেশটা ফুলে ফুলের সুগন্ধ করে দেবে। সবাই অনেক কিছু শিখিবে। সবাই নাচতে বোনের বাড়িতে যাবে। সবাই রিঙ্গা রিঙ্গা রোসেস খেলবে। রিঙ্গা রিঙ্গা খেলা হচ্ছে একটা গাছ থাকবে সেই গাছের পিছন দিয়ে এরকম করে হাত ধরে এরকম করে যাবে। তারপর দুইজন গাছের পিছনে থাকবে আর দুই জন সামনে গিয়ে মিশ্যা মিশ্যা বলবে, ইশ্যা বলবে। তারপর কোন জায়গার উপরে থাকবে। তারপর অল ফোল্ড ডাউন বলেই তারা নিচে নেমে যাবে। এই হল এই খেলা খেলবে। 

বাবুর বন্ধুরা

এক দেশে ছিল একটা বাড়ি। বাড়িতে থাকত এক বউ। সেই বউয়ের ছিল একটা বাচ্চা। বাবুটা সবসময় খালি খেলত আর টিভি দেখত আর মাঠে গিয়ে অন্য বান্ধবীদের সাথে কথা বলত। পড়ালেখা কিছু করত না। তার মা তাকে কত কিছু বলল! তাও সে করে না। আর যে কত বকা দিল তার মা। তবু সে লেখাপড়া করতে বসল না। এখন একদিন তার মা বলে, "তুমি খুব লক্ষী। কিন্তু তোমার সমস্যা হল তুমি পড়ালেখা কর না।" এ বলে খুব আদর টাদর করে ভালমত খাওয়া-দাওয়া করিয়ে সুন্দর মজার পিঠা বানিয়ে তাকে কত আদর-যত্নে থাকতে দিল। তাদের একটা রুম আছে। এক রুমে খুব ভাল। সেই রুমে ওকে রাখল। সেই রুমটা একটু পরিস্কার, রুমটা খুব সুন্দর। সেই রুমে অনেক খেলনা-টেলনা আছে। সেই খানে ওর অন্য বান্ধবীদের নিয়ে সেই রুমে রাখত। তারপর অনেক মায়া দিল। কত আদর করল! যাতে ও মায়ের আদর দেখে যাতে ও শান্ত হয়ে পড়ালেখা করবে আর ওর মায়ের কথা শুনবে। এই জন্য তার মা তাকে আদর করল। তাকে ভাল ভাল খেলনা কিনে এনে দিল, বেলুন কিনে এনে দিল। সেই বাবুর জন্য একটা সুন্দর জামা এনে দিল। বাবুর জন্য মালা কিনে আনল। আরও কত কী করল! সে যখন খেলার সাথী পায় না, তার মা গিয়ে তার সঙ্গে খেলত। এত কিছু অনেক আদরের জিনিস করছে তার মা। তার জন্য একটা সুন্দর একটা জুতা নিয়ে আসল। তারপর একটা জিনিস বানাল। একটা অনেক বড় একটা গামলা তার পর সেইটার মধ্যে পানি দিল। পানি দিয়ে খুব মজার জিনিস করল। তারপর সেই পানির মধ্যে বড় একটা নৌকা বানাইয়া দিল। আর সেটা অনেক বড় ছিল। সেই খান থেকে অনেক রাস্তা পার হয়ে সেই গরু চাষীদের ঐ মালপত্রের ওইখান থেকে আবার সেই ঘরের দিকে সেইটা রাখল, সেরকম বানিয়েছিল। আর হাতে একটা কী-বোর্ড রাখল। সেই কী-বোর্ডে লিখলে সেরকম করে সেই নৌকাটা চলত। তারপর সে তাকে কত কিছু করল! তারপর নৌকা বানিয়ে তাদের বন্ধুদের নিয়ে তাকে সেই নৌকায় চড়াইয়া অনেক সুন্দর জায়গা ঘুরে বেড়াল। আর বাবুরা খুব মজা করল। আর সেই বাবুরা সেই বাবুকে বলল যে, তোমার মা তো খুবই ভাল। সেজন্য তোমার সঙ্গে আমরা বেশিক্ষণ খেলব। "ঠিক আছে, আর আমি আমার মা যখন আমাকে আদর করছে তখন আমি বাসায় যাব। বাসায় গেলে আরো নিশ্ছয়ই আদর করবে।" বাসায় গিয়ে 'মা' বলে ডাক দিল। তারপর মা এসে বলল, "আমি তোমাকে কত আদর করলাম! এখন তুমি একটু আমার কথা শুনে পড়তে বস।" বলে যে, "না, মা।" মা বলে, "তুমি কি ভাবলে যে, আমি তোমাকে আদর করব? আমি এখন জোর করে তোমাকে পড়তে বসাবো। যাও, পড়তে, আর নইলে তোমার খেলা আর কার্টুন দেখা বন্ধ।" তখন বাবুটা দৌড় দিয়ে খালি একটুখানি পড়ে আবার উঠে গেল খেলতে।

Saturday, August 16, 2014

আমার নতুন রাজা

এক দেশে ছিল এক রাজা। রাজা শুধু মন্ত্রীর সঙ্গে কথাবার্তা বলত। একদিন অন্য এক দেশ থেকে এক রাজা বলে যে, আমি ঐ দেশের রাজা হব। ঐ দেশে বেশির ভাগ মানুষ, এই দেশে কম ভাগ মানুষ। আর আমাদের এইখানে যত মানুষ আছে, তাদেরকে নিয়ে যাব। ওদেশে পাঠিয়ে দেব। তারপর ওদেশের রাজা হব। আবার জান, ঐ দেশ নাকি আর ওদের বন্ধু, কিন্তু ওদেরকে রাজা হতে দেয় না। এখন সেই রাজা এতিম মানুষদেরকে এনে জমা করল। বেশি কম মানুষই হল, কিন্তু যতটুকু মানুষ সেই আসল রাজার কিছু ছিল তার থেকে একটু কম মানুষ পেল। এগুলো এক জায়গায় জড়ো করে রাখল এবং সবাইকে একটি করে পাউরুটি খেতে দিল। তাদেরকে বলল, "তোমরা আমাদের রাজ্যে থাক। আর আমি তোমাদের রাজ্যে থাকি। আমি তোমাদের জন্য অনেক প্রজা রেডি করেছি। আর আমার প্রজারাও তোমাদের দেশে থাকবে। আর আমি তোমার জন্য অনেক প্রজা রেডি করেছি, তাদেরকে তুমি বেশি বেশি আদর করবে এবং বেশি বেশি খাবার দেবে। সেই প্রজারা একটু ক্ষুধার্ত এবং একটু তাদের মনে দু:খ আছে। কারণ, তাদের যদি একটুও মানুষের বাবা-মা না থাকে, তাহলে ওদের মনে একটু দু:খ হয়। এজন্য ওদেরকে বেশি আদর করবে এবং বেশি করে খাওয়াবে। আর আমার কথা শুন। আমি তোমার প্রজাদের নেব আর আমার প্রজাদের সাথে মিল করব। তারপর ওদের সাথে আমি অনেক চেচামেচি করে বন্ধুত্ব করব। তারপর ওরা একসঙ্গে হবে। তারপর আমি তোমার রাজ্যে গিয়ে ওদেরকে বসাব। আর এই মানুষগুলোকে তুমি আমাদের রাজ্যে গিয়ে এদেরকে প্রজা বানিয়ে থাকবে। কিন্তু আমি কোনদিন চুরি করব না। প্লিজ, আমার কথাটা শুনুন। এই কথা আপনি শুনলে আমাদেরকে যদি এরকম করতে দিলে তাহলে আমিই খুব খুশি হব। আমি আপনাকে কিছু দেব। আর দেব কি জান, দেব রানীর জন্য একটু গয়ণা আর তোমার জন্য একটু খাবার জন্য দুধ। বুঝছ, এগুলো দেব।" এখন রাজা তো দুধ খাওয়ার জন্য অনেক আনন্দ। বলল, "কিন্তু আমার প্রজা যেন খুব কম না হয়। একটা দুই টা না হয়। দুইটার বেশি দিতে হবে আমাকে।" কিন্তু সেই রাজা পঞ্চাশটা প্রজা রেডি করে দিল। "এই নাও, এই নাও, তোমার প্রজা। এখন তুমি যাও। কালকে আমি বলেছিলাম তোমাকে। এখন এসে তুমি বদলাবদলি কর।" তারপর সেই রাজা সবকিছু দেখল। কিন্তু তার মুকুটটা পাল্টালো না। মুকুটটা নিয়ে গেল। খুশি হয়ে রাজাকে এক গ্লাস দুধ দিল আর একটু গয়না দিল। বলল, "এই গয়নাটুকু রানিমাকে দিবে এবং এই দুধটুকু খাবে। দেখবে, কত মজা।" তখন রাজা ভাবল যে, "আমি ভাবছিলাম এক জগ দেবে, এখন দেখি এক গ্লাস দিল। তাহলে তো আধাআধি খেতে হবে, আমার বউকে তো একটু ধেয়া লাগবে।" তখন নিজে পুরো টা খেল এবং শেষ একটু রাখল। সেটুকু তার বউকে দিল। তারপর রাণীকে গিয়ে বলল, "এই নাও, তোমার জন্য এই গয়না দিয়েছে। আর আমার জন্য একটু দুধ দিয়েছে। ভেবেছিলাম, এক জগ দিবে। কিন্তু দেখলে তো, আমি কত ভাল। তোমার জন্য শেষে একটু রেখে দিলাম গো!" তারপর রাণী খেয়ে নিল। বলল যে, "আসলেই। কিন্তু এখন চল। আর বেশি দেরি করো না। চল, এখন যাই। সেই রাজার রাজ্যে। আর ওই প্রজাদের নিয়ে।" তারপর তারা গেল। তারপর সেই প্রজাদের নিয়ে রাজপ্রাসাদে ঢুকল। ঢুকে দেখল যে, রাজপ্রাসাদের মেঝেটা একটু নোংরা নোংরা। তারপর সে পরিষ্কার করে সে রাজ্যে থাকল। এখন সেই এতিম ছেলেদেরকে তো খাবার দিতে হবে বেশি বেশি। তার বউ মিষ্টি আনে, তারপর মন্ত্রী পিঠা নিয়ে আসে। রাজা ভাত আনে। আরেকজন ডিমের কুসুম আনে। আরেকজন মাছ আনে। আরেকজন মুরগী আনে। মুরগী কুটে মুরগীর গোস্ত দেয়। তারা খুব মজা করে খায়। আর তাদেরকে রাজারা খুব আদর করে। আর একটা ছোট্ট এতিম মেয়েকে খুব আদর করে, খুব ভালমত খাওয়ায়, ডিম পোছ দেয়, মেয়েটি খুব মজা করে খায়। আর অন্য ছেলেমেয়েরা খুব মজা করে নাচে, আর একজন কলা নিয়ে আসে, বাচ্চারা সবাই কলা খায়। ওরা সবাই তরমুজ পছন্দ করে। তরমুজের মাসে বেশি বেশি তরমুজ দেয়। তারপর আরো কত আদর করে। আর ঐদিকে আরেক রাজা অনেক প্রজাদের নিয়ে সুখে থাকল। একদিন হল কি জান, সবাই মিলে খাবার  চাইল। সবাই একসঙ্গে খাবার খাবে। সব প্রজারা খাবার চাইল। তখন সে বলল যে, "প্রজারা শুনুন। এত খাবার আমি খুজে পাই না। সবাইকে আমি একটা করে ফল দেব। খাবে। এই ফলগুলোতে হবে?" বলল, "হ্যাঁ, হ্যাঁ, মহারাজ। আপনি যে জিনিস দেন, আমি সেই জিনিস খেয়েই চলে যাব। একটা জিনিস আমি খাবই। খেলে আমার বুদ্ধি বাড়বে। এবং খেলে আমরা ভাল করে সবকিছু শিখতে পারব এবং আমরা যখন আরেকটু বড় হব তখন যদি আপনি আমাদেরকে একদিন পচা মনে করে অন্য জায়গায় যান তাহলেও আমরা রাজা হব, আমাদের মধ্য থেকে একজন রাজা হবে, সে আমাদেরকে সবকিছু করে দেবে, বুঝছ?" তারপর হল কি জান? তারপর তারা কিছু ফল খেল। তার পর বলল যে, "মহারাজ, ফল তো পেলাম। কিন্তু একটু মিষ্টির দানা যে খেতে ইচ্ছে করল।" বলল, "ওই আমার ফ্রিজে মিষ্টি আছে।" সকল প্রজারা সেই ফ্রিজ খুলে মনের সুখে মিষ্টি খেল। আর ওদিকে সেই ছেলেরা সুখে থাকল। এবং সবাই খুশীতে থাকল এবং ভালমত জীভন কাটালো। এবং খুশীই থাকল। এবং তারা অনেক শান্তি পেল এবং ওরা মিলেমিশে একদিন একটা জায়গা বানালো এবং সেখানে উঠে ওরা একজন একজন দুজনে মিলে গল্প করত এবং সবাই সেখানে বসে কথা বলতে পারত এবং সেখানে বসে চিনেবাদাম খেত।