Tuesday, June 9, 2015

Siama

A man will go to the river. But there is no river. His daughter says, "Father! Please go to the river and catch fishes. I shall see, how nice fishing you can (তুমি কত সুন্দর মাছ ধরতে পার). And the man say, "My daughter! You don't know that, there is no river. And You also don't know, rivers have so many waters. And there is a river in there, but there is no place where we can sit and catch fishes." The daughter says, "My father! Don't say it. Go to river and catch fishes." The mother was coming and say, "What are you doing? I said to your daughter to read and write in school books. Why your daughter don't write  question and answer and don't read the book. Say, why?" The father can not say any sentence. The mother become angry. She say to daughter, "Siama! Why your father cannot say? You cannot say this to your father?" Siama cannot say. And the mother was more angry. Mother say, "I will teach you each question and answer. But I will not teach you this question and answers. I will say question and you will say answer." Siama says, "No, mother. Give the book. I will read." The mother say, "No, you cannot read. I will say question and you will say answer. I say before time this. Give the book, I will say question." Siama go and take the book to mother. She before take a pencil, and write in her hand this book's answer. When the mother say the question, Siama see her hand and say the answer. The mother says, "Yes, you are the great." When the mother sees Siama's hand, the mother say, "Siama! What is in your hand? I think, that is some sentences. Why do you write this? Your hand will become dirty. Mother understand that, Siama has write answers in her hand. That is before sentence, but she will not say, she understand there is question's answers.

Saturday, June 6, 2015

রাজার মাথায় ব্যাঙের লাশ

রাজা বাদশাহ বাবু একদিন রাজপ্রাসাদে বসেছিলেন। উনি বড় চিন্তায় ছিলেন যে, ঐ রাজপ্রাসাদে একটি সোনার চেয়ার ছিল। রানীর লোভ সেই সোনা গলিয়ে সোনার গয়না গায়ে দেবে। আর রাজার লোভ আরো বেশি ছিল। রাজা চাইতো, সেই সোনা শুধু আমার নিজেরই হবে। আর সেগুলো দিয়ে আমি সোনার বাটি তৈরী করে বিক্রি করে অনেক টাকা দিয়ে অনেক মজার মজার জিনিস কিনব। তারপর সেগুলো বিক্রি করে যা খাঁটি খাবার পাব না, কাউকে না দিয়ে খাব। আর সেই সোনা একটু রেখেও দেব, যা দিয়ে অনেক সুন্দর জিনিস বানানো যায়। সেগুলো গলিয়ে উনি জিনিস বানাবেন এবং সেই জিনিসগুলো দিয়ে যা টাকা হবে তা দিয়ে আবোল তাবোল জিনিস কিনে আনবেন এবং সেই আবোল তাবোল জিনিস নিজে অনেক কাজে ব্যবহার করবেন বলে ভেবেছিলেন। আর রানী তো শুধু একটু কানের দুল, নাকের দুল ও গলার হার  চায়। রানী একদিন রাজাকে বলে, "রাজা বাদশাহ বাবু গো! শুধু সিংহাসনে বসে ঘুমোলে হবে? রাজা হয়ে সিংহাসনে বসে থাকলে না এক কথা। তাও আবার ঘুমিয়ে থাকেন আপনি।" রাজা বলে, "এই, মূর্খ রানী! রাজাদের ঘুম পেলে কি আর ঘুমায় না? আমি রাজা, আমি আমার ইচ্ছামত কাজ করতে পারব। রাজা হলে সবচেয়ে বেশি দয়ামায়া হয়। সবাই রাজাকে অনেক দয়ামায়া করে। আর মূর্খ রানী! বেশি সোনার লোভ করিস না কিন্তু। দেব একতরে ব্যাঙের পিঠে চাপিয়ে। তুই কিন্তু কোন বুদ্ধিমতী মেয়ে নয়। মনে রাখিস মূর্খ রানী। এমন মূর্খ কোনদিন দেখিনি। রাজার মুখের উপর কি সব বলে। বলে নাকি সিংহাসনে বসে ঘুমিয়ে থাকার কথা।" রানী বলল, "আচ্ছা যা বলছেন তাই হবে। আমি আসি।"- বলে রানী রাগ করে চলে গেল। নিজের ঘরে গিয়ে ভাবল, এই রাজাকে জব্দ করবই। এই রাজা আমাকে এত ভালবাসে না। এই রাজাটা দেখছি আমাকে একটু আদরও করে না। শুধু বকে। এই বার দেখাচ্ছি মজা রাজামশাই, ওরে বাদশাহ বাবু, দেখাবো এবার তোমায় মজা, হি-হি-হি।"- বলে রানী গেল দোকানে। দোকান থেকে একটি পোষা ব্যাঙ কিনে আনল। কারো কাছে ব্যাঙের কথা না বলে ব্যাঙটিকে অনেক যত্ন সহকারে রাখল। একদিন সেই ব্যাঙটাকে অনেক গন্ধওয়ালা পাউডার মাখিয়ে দিল। সেই গন্ধ ছিল এমন, রাজা মশাইর নাকে গেলে রাজামশাই গন্ধে পাগল হয়ে যাবে। তারপর ব্যাঙের খাবারে বিষ মাখিয়ে দিল। তারপর ব্যাঙটি মারা গেলে যখন রাজাকে ঘুমের ওষুধ দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে তার মাথায় দিল সেই ব্যাঙের লাশ। তারপর আরো একটা ব্যাঙ নাকি মরেছিল ছাদের উপর। ছাদ থেকে লাফিয়ে এসে ব্যাঙটি পড়ল রাজার মাথায়। দুটি ব্যাঙ হল। দুটি ব্যাঙ হল। আর রানী তো অনেক খুশী হয়ে সেই ব্যাঙটাকেও আরো মারার চেষ্টা করে মারল। করে তো মারতে পারলই, তবে সেই ব্যাঙের গায়েও গন্ধওয়ালা পাউডার মাখিয়ে দিল। তারপর রানী ঘুম থেকে ডাকল রাজাকে। যেই রাজা একটু চোখ খুলছে, অমনি রানী পালিয়ে গেল দরজা দিয়ে। রাজার ঘর থেকে পালিয়ে গিয়ে নিজের ঘরে গিয়ে বসল। আর রাজা ঘুম থেকে উঠে চিরুনি দিয়ে মাথা আচড়াতে গিয়ে দেখে ব্যাঙের লাশ। তারপর যেই একটু ভালমত খেয়াল করেছে, নাকের মধ্যে গন্ধটা ঢুকে তো রাজা এদিকে দৌড়ায়, ওদিকে দৌড়ায়। দৌড়াতে দৌড়াতে সে রানীর কাছে গিয়ে বলে, "আমাকে বাঁচাও। আমি তোমাকে এই সোনা দিয়ে অনেক গয়না বানিয়ে দেব। সোনাগুলো গলিয়ে তোমায় গয়না বানিয়ে দেব। আমাকে তুমি এই ব্যাঙের হাত থেকে বাঁচাও। মাথার উপর থেকে ব্যাঙটা সরিয়ে দাও।" বলে, "ছিছিছিছি, আমি কিনা রাজার স্ত্রী, আর আমি কিনা ধরতে যাব ব্যাঙের লাশ! ছিছি রাজা মশাই, ছিছিছি!" বলে, "না, তুমি সরিয়ে দাও। আমি জানি, তুমিই করেছ এ কাজ।" রানী বলল, "এ কেমন রাজা মশাই, নিজের মাথা থেকে ব্যাঙ সরাতে পারেন না! আপনি নাকি বলেছিলেন যে, প্রজারা অনেক সাহায্য করে রাজাদেরকে। আপনি প্রজাদের সাহায্য নিয়ে এমন হয়ে পড়লেন? তাড়াতাড়ি প্রজাদের কাছে গিয়ে বলুন।" আর প্রজারা ছিল অনেক লজ্জা পাওয়ার প্রজা। তখন রাজা যেই প্রজার কাছে গেল, সবাই হাসে: এ কী! রাজার মাথায় ব্যাঙের লাশ? এ কি করে হয়? হা-হা-হা-। কি মজা তো! চল সবাই গান গাই "রাজার মাথায় ব্যাঙের লাশ" বলে। সবাই গাইতে লাগল, রাজার মাথায় ব্যাঙের লাশ, রাজার মাথায় ব্যাঙের লাশ, রাজার মাথায় ব্যাঙের লাশ। লাল-লা-লা-লাল-লা। কি মজা, কি মজা! এত সুন্দর কথা। কবে থেকে শুনলাম আজ। রাজার মাথায় ব্যাঙের লাশ কি করে যে এল, তোমরা কি জান রে ভাইয়া? বলতে বলতে সবাই আনন্দ করতে লাগল আর রাজা মন খারাপ করে বসে থাকল।

Friday, June 5, 2015

মা ও চামেলী

এক গ্রামে চামেলী নামে এক ছোট মেয়ে ছিল। তার একটি ছোট ভাই ছিল। তার নাম জামিল। একদিন জামিল চামেলীকে বলল, "চামেলী! ও চামেলী! তুমি বলতে পার, তোমার ছুটি কবে থেকে শুরু হবে?" "এই তো। পরীক্ষা শেষ হয়ে এল। তোমার ছুটি হলেই আমাকে মা স্কুলে ভর্তি করে দেবে প্লে গ্রুপে।" তখন চামেলী বলল, "ওরে ভাই, তুমি কি আর বোঝ না ভাই? আমার ছুটি অনেক দেরী আছে। রোজার মাস আসতে অনেক দেরি। এখন এই কেবল মার্চ মাসের ১২ তারিখ ২০১৫ সালে। আরও তিন চার মাস বাকি আছে। তা হতে কত দেরী হবে বলতো ভাই আমার।" তখন ছোট ভাই মায়ের কাছে গিয়ে বলল, "চামেলীকে জোরে একটা বকা দাও। ও কি বলেছে জান? তাড়াতাড়ি যাও।" বলে, "কি করেছে? নিশ্চয়ই চামেলী তোকে মেরেছে, আমি গিয়ে এক্ষুণি দেখছি।" বলে চামিলী কে বলল, "এই তোর এত বড় সাহস? ্‌ামার ছেলেকে বকিস? দাড়া, তোর আজ খবর আচে।" বলে, "মা, না মা, তা না। আমি ....।" "এই চুপ কর, আর আমি আমি বলে লাভ নেই। আজ দেখিস, তোর কি অবস্থা করি।" বলে, "মা, ও শুধু জিজ্ঞেস করেছিল যে, ছুটি কখন হবে। আমি বলেছি, ও ভাই, ছুটি হতে অনেক দেরি। তাই সে দু:খ পেয়েছে। তুম্ ামায় এত ই করো না। মা তুমি যাও তো। তোমার কাজে যাও।" তখন মা আরে ারেগে বলে, "ওরে খুকুমনি, চামেলী, তোর এত বড় সাহস? আবার মিথ্যে কথা বলতে এসেছিস?" বলে, "না মা, আমি মিথ্যে কথা বলছি না। সত্যিই বলছি।" "ধুর গাধা, এমন গাধার মত বোকামি কেউ করে? দেখিছেস, রূপা কত ছোট মেয়ে। রুপা রবয়স দউ বছর। ও সে তার ছোট বোন এক বয়সী বাচ্চাকে অনেক আদর করে। আর তোর কয় বছর? সাত বছর। আর তোর এই ছোট ভাইয়ের কয় বছর? সাড়ে তিন বছর। জানিস না? মনে হয় যেন, জীবনে মিথ্যে কথা বলেনি, কেবল আজ কেবল মিথ্যে কথা বলছে।" চামেলী বলল, "মা, তুমি জান না। আমার ছোট ভাইকে জিজ্ঞেস করে দেখ।" বলে, "ঠিক আছে, যাচ্ছি এখনই ছোট ভাইকে জিজ্ঞেস করতে।" ছোট ভাই জামিলকে গিয়ে মা বলল, "বল তো আমার সোনা জামিল, তোর বোন তোকে কি বলেছিল?" বলে, "আমি জিজ্ঞেস করছিলাম ওর ছিুটি কখন হবে? আর ও বলছিল তা হতে আরো তিন চার মাস বাকি। তাই আমি তোমাকে এমন করতে বলেছি।" বলে, "ওরে, এটা তো সব দোষ তোর। এততো বড় সাহস তো, তুই আমার চামেলীর নামে এ কথা বলিস।" বলে, "মা, তুমি কিন্তু ভুল বলছ। আমি ওর ছোট। জান না তুমি? এখন আবার এমন বলছ কেন?" "ওরে আবার সাহসী কথা! তোকে আমি চকলেট কিনে দেব না। শুধু চামেলীর জন্য  ছয়টা  চকলেট কিনে দিব। আমি এখন চামেরীর কাছে যাই।"- বলে মা চামেলীর কাছে গিয়ে বলল, "আয় আমার সোনা। আমি তোকে চকলেট কিানে দিলে একটা চকলেটও দিবি না জামিলকে।" বলে, "না মা। তুমিই তো বললে। রূপা ওর ছোট বোনকে অনেক আদর করে।" বলে, "ও রে আমার সোনা রে। তোর জামিল তো কিছুই বোঝে না। জামিলকে আমি স্কুলেই ভর্তি করব না। জামিল স্কুলকে পছন্দ করে। ওর জন্য স্কুলে যাওয়া দরকার। কিন্তু আমি ওকে স্কুলে ভর্তি করব না। বাবাকে বলে রাখিস, যেন জামিলের জন্য একটা চকলেটও না আনে, আর জামিলকে যেন শিশুপার্কের টিকেটও না কাটে তার জন্য।" আর চামেলীকে বলে, "বাবাকে বলে রাখিস যেন এই কথা।" চামেলী মায়ের কথা খুব শুনত। তাই বাবাকে সত্যি সত্যি বলে দিল। আর জামিলকে একটা চকলেটও দিল না। জামিল তো সারাদিন শুধু কাঁদে। বলে, "আমাকে চকলেট্ কিনে দেয় না কেন বাবা? আমাকে মা চকলেট কিনে দেয়নি কেন? চামেলীও আমাকে একটা চকলেট দিল না কেন?"- বলে সে রাগ করে বাড়ির বাইরে গিয়ে অন্য একজন মাঠের বন্ধুর বাসায় গিয়ে আশ্রয় নিল। সে আর নিজের বাসায় থাকবেই না। সেই বাসায় নাবিল একটি ছেলের নাম, সে রোজ খেলতে যেত, তার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল। চামেলী, মা, বাবা ও কাজের মেয়ে সকলে মিলে ডাকতে লাগল, "জামিল, তুমি কোথায়? জামিল, রাগ করে বাড়ি থেকে পালিয়েছিস কেন? যদি এমন হয়, তোকে আমি সত্যি সত্যি শিশুপার্কের টিাকেট কাটব না। ও জামিল, তাড়াতাড়ি বের হ, নাহলে কিন্তু সত্যি সত্যি করে দেব এই কাজ। ও জামিল, তুই কোথায়?"  জামিল কিন্তু ঐ ছেলের সাথে খেলতেই ব্যস্ত আছে। কোন কথাই সে শুনল না। সবার বাড়িতে বলে, "জামিল আছে, জামিল? সাড়ে তিন বছরের ছেলে। দেখেছেন কোথাও আপনারা?" বলে সব ঘরে গিয়ে জিজ্ঞেস করে, কেউ বলে না। জামিল যেই বাসায় আছে, সেই বাসার সবাইকে গাড়িতে করে নিয়ে জামিলকেও নিয়ে গেল শিশুপার্কে বেড়াতে, যখন খোঁজাখুঁজি হচ্ছিল। জামিল মিশুপার্কে ঘুরে বেড়িয়ে  ঘোড়ায় চড়ে চকলেট কিনে বেলুন কিনে ঘরে ফিরল। তাও আবার নিজের বাড়িতে নয়, নাবিলের বাড়িতে।

Tuesday, June 2, 2015

বাবুর গল্প লেখা

একদিন এক মেয়ে সুমিতা যাচ্ছিল গল্প লেখতে। গল্পের বই বানানোর জন্য। বয়স খুবই কম। তারপরও আবার কম্পিউটারে গুগল ক্রোমটাও উল্টাপাল্টা টাইপ করে সেটা ফেলে দিয়েছে। এখন বলে, "আমি অনেক গল্প লিখব। কিন্তু ওয়েবসাইটে।" বাবা বলে, "না, এটা তো করা যাবে না। তুমিই তো আবোল তাবোল লিখে কি সব বানিয়ে দিয়েছ। আমার ইন্টারনেট গেছে। এত কষ্ট করে ইন্টারনেটটা ভালমত ভাইরাস থেকে বাচালাম, আর তুমি ইন্টারনেটটাকে ফলেই দিলে একেবারে! এমনকি ইন্টারনেটের একটা ওয়েবসাইটও আসছে না। ইন্টারনেট কেন তুমি ফেলে দিলে? এখন তো আর এটা লেখা যাবে .......না! লিখতে পারবে না! লিখতে হলে তো আবার তোকে উল্টাপাল্টা লিখে আবার নিয়ে আসতে হবে গুগল ক্রোম।" এবার বাবু বলল, "না, এবার আমি লিখব।" "ঠিক আছে, তাহলে তুমি ইন্টারনেটের সিডি কিনে নিয়ে এসো একা একা। এই আট বয়সী বাচ্চা বলে তারপরও সে আবোল তাবোল টাইপ করে গুগল ক্রোম ফেলে দিল।" তারপর মা এসে বলে, "কি হলো? আবার কিসের জেদ করল? তোমরা কিছু দেখ না বুঝি?" এখন বাবা আবার উত্তর দেয়, "দেখ যে তোমার মেয়ে কি কাণ্ড করে! বলে নাকি ইন্টারনেটে গল্প লেখবে ওয়েবসাইটে। ওয়েবসাইট কি করে বানায় সেটা তো আমি জানিই না। আমি জানি ইউটিউব, বিজয় ডিজিটাল, ব্লগার.কম। কিন্তু ব্লগারে ওয়েবসাইটটা বানাবোই বা কি করে, সেটাই তো আমি জানি না। আরো কত কি জানি, কিন্তু এটা জানি না।" তখন বাবার কথা শুনে মেয়ে চিতকার দিয়ে বলল, "আহা, আমি গল্প লেখব......।" মা মাথা গরম করে বলে, "এই মেয়ে! কত্ত বড় হয়ে গেছিস! তারপরও আবার উল্টাপাল্টা লেখিস কম্পিউটারে?" সে আর কী বলে! সুমিতা বলল, "না, তোমরা ইন্টারনেট আনতে জান। আর নাইলে আগে ইন্টারনেট চালু করেছিলে কিভাবে?" তখন বাবা আবার বলে, "ওরে! কি বলিস তুই? আমরা তো সরকারী কম্পিউটার কিনেছিলাম। ওখানে আগে থেকেই ইন্টারনেট রাখা থাকে সরকারী কম্পিউটারে রে!" "না, তোমরা জান ইন্টারনেট চালাতে। এটা আমি জানি। সরকার কি কম্পিউটার যারা দিয়েছে তাদের জিজ্ঞেস করনি কেন? এখন আবার যাও, জিজ্ঞেস করে আস।" বাবা কি করবে? আবার গেল সেই সরকারী কম্পিউটারের অফিসে। গিয়ে জিজ্ঞেস করবে। কিন্তু কাকে? সেখানে ম্যানেজারের কাছ থেকে সরকারী কম্পিউটার নিয়েছিল আগে। কিন্তু এখন তো অন্য ম্যানেজার হয়েছে। এখন কি করবে? সেই অন্য ম্যানেজারকেই জিজ্ঞেস করে। "আচ্ছা, আমাদের কম্পিউটারের ইন্টারনেট কিভাবে চালায়?" "ও আমি জানি না। যাও তো তুমি। বিরক্ত করো না। আমার কাছে একজন সরকারী অফিস থেকে লোক আসবে। অন্য আরেকটা সরকারী অফিস থেকে। যাও এখন। সেই লোকের সাথে অনেক জরুরী কথা আছে। তুমি এখন আমাকে দিয়ে সময় নষ্ট করিও নাতো। পরে আমার অনেক কাজ আছে। নাস্তা জোগাড় করতে বলতে হবে রাধুনিকে। রাধুনি এখনো আসেনি। এখনো গাড়িতে। রাধুনি এসে পড়লেই বলতে হবে। এখন তোমার সাথে সময় নষ্ট করে করে আমার কোন লাভ নেই। যাও তো।" তখন বাবা বলে, "আচ্ছা, আপনি কি জানেন, এর আগের ম্যানেজার কে ছিলেন? ওনাকে একটু দেখিয়ে দেবেন?" বলে, "ওরে বোকা! এখন আবার পুরান ম্যানেজারের কথা বলছে। দেখ, বলেছি না, তোমার সাথে সময় নষ্ট করে আমার কোন লাভ নেই। যাও তো এখান থেকে।" বাবা বাসায় গিয়ে বলে, "তারা বলল না তো।" তখন মেয়ে বলে, "না, ওরা বলেছে তোমাকে। যাও এক্ষণি আমাকে নিয়ে চল। আমি দেখব, ম্যানেজাররা কিন্তু কোন সময় কারো গোপন কথা রাখতে চায় না। বলে দেয় সবাইকে। এটা জান তো?" বলে, "হ্যাঁ, জানি। আস আমার সাথে।"- বলে আবার মেয়েকে নিয়ে যেতে হলো। তারপর মেয়েকে নিয়ে ম্যানেজারের কাছে গিয়ে বলে, "ম্যানেজার ভাই! একটু বলে দেবেন? ইন্টারনেট কিভাবে চালায়?" তখন বলে, "ধুত, তুই আবার এসেছিস? তাও আবার নিজের মেয়েকে নিয়ে। বলেছিলাম না? কতবার আমাকে বলতে হয় যে, তোমার সাথে সময় নষ্ট করে আমার লাভ নেই। যাও তো এখান থেকে, যাও। আর এই মেয়ে, তুই নিশ্চয়ই ইন্টারনেটে ভিডিও দেখতে চাস অথবা অন্য কোন কিছু দেখতে চাস, বা অন্য কোন কিছু দেখতে চাস, নাহয় অন্য কোন কিছু লিখতে চাস। আর নাহলে আরো অনেক কিছু করতে চাস। শোন মেয়ে, যদি আবার বাবাকে নিয়ে পাঠিয়েছ, তবে কিন্তু আমি একেবারে ধরে একটা বকা দিয়ে দেব। আমি জানি, নিশ্চয়ই তুমি বাবাকে আবার পাঠিয়েছ। এখন যাও তো।" মেয়েকে নিয়ে বাবা আসল। তখন বলে, "দেখলে, তোকেই কেমন বকা দিল? দেখলে তো, ম্যানেজার বলল কিনা।" তখন বলে, "না, তুমি বলেছ, এটা কাউকে বলতে না। আমি জানি। সে জানে যে, ইন্টারনেট কিভাবে চালায়।" তখন বাবা বলে, "তুমিই তো যাবার আগে বলেছিলে, ম্যানেজাররা কারো কথা গোপন রাখে না, সবাইকে বলে দেয়। এখন দেখ।" এখন বলে, "না, আমি জানি।" তখন বলে, "ওরে দুষ্টু মেয়ে, এখন থেকে আমরা শিশুপার্কে যাব শুধু তোর ছোট বোনকে নিয়ে। তোকে ঘরে রেখে যাব। ছোট বোনকেই মজা করাব। তোকে নেবই না। কালকেই আমরা শিশুপার্কে যাব তোকে ফেলে রেখে।" তখন বলে, "না, আমি যাবই। তবু আমাকে বল, কিভাবে ইন্টারনেট চালায়। আমি ইন্টারনেট চালিয়ে লিখব গল্প।" বলে, "ঠিক আছে, শিশুপার্কে যাবি, কিন্তু কম্পিউটারের কথা যেন আর একবারও না বলিস। এবার একবার যখন বলে দিয়েছি না বলিস, তখন আর বলা যাবে না যে, না, কম্পিউটারের কথা বলব।" তখন একদিন মা কম্পিউটার শেখার স্কুলে বাচ্চাটাকে ভর্তি করে দিল। ইন্টারনেট কিভাবে চালাতে হয় শিখে আসল। তারপর কম্পিউটারে গল্প লিখল।

Monday, June 1, 2015

গল্প বলার বিশ্বকবি হতে চায় ঝুমি

এক ছিল এক মেয়ে। তার নাম ঝুমি। সবাই তাকে ঝুম বলে ডাকে। হ্রস্ব-ইকারটা মুখে বলত না। একদিন ঝুমি বলল, "মা, আমি অনেক গল্প চিন্তা করেছি। আমি গল্প বলার হিরো হতে চাই। সেটা হতে হলে তো আমি গল্পের বিশ্বকবি হতে চাই।" "না মা, এটা কি করে তুই হবি? তোর তো সেরকম বয়স হয়নি। তোর কয় বছর? সেটা তো তুই ভুলে যাস না। তোর বয়স মাত্র এখন সাড়ে পাঁচ। ছয় বছর কেবল হবে। তোর এখন সাড়ে পাঁচ বছর, তাই তো তোর জন্মদিন এসে ছয় বছর হবে। তুই কি করে এমন হবি, বল, মা!" "না, মা। আমি কি করে হব সেটা তুমিই তো বলবে। তাছাড়া তুমি তো অনেক কিছু করতে পার। গাছে উঠতে পার, চুল কাটতে পার, সবজি কাটতে পার। তারপর আরো কত কি করতে পার! জুস বানাতেও পার। অনেক কঠিন রান্না যে তরকারিতে করে সেইটাও করতে তুমি পার।" "ওরে আমার সোনা রে! এত কিছু আমি করব কি করে? আমি তো হাতের কাজ করতে পারি, মুখের বলাবলি করতে পারি, লেখালেখি করতে পারি, শব্দার্থ বলতে পারি- যেমন টিচার মানে শিক্ষক। কিন্তু এরকমগুলো করতে পারি, তবু এমন সিনেমার হিরো, বিশ্বকবির হিরো, গল্প বলার বিশ্বকবি এসব কাজ তো করতে পারি না। তুমি কেন বোঝ না? কেন বুঝিস না তুই, মা?" "আরে অত কিছু আর বলতে হবে না মা। যাই কর, আমাকে তুমি গল্প বলার বিশ্বকবি হতে দাও। এখন থেকে কী আর করবে? বাপের কাছে গিয়ে বল।" "এখন কি করব? তোমার মেয়ে গল্প বলার বিশ্বকবি হতে চায়। সেটা করতে হলে তো তাকে গল্প বলার যোগ্য হতে হবে। তুমি কিছু কর। তোমার মেয়ের বায়না থামাও। কেমন বাপ হয়েছ, বায়নাও থামাতেই পার না মেয়ের? এমন বাপ জীবনেও দেখিনি। তাড়াতাড়ি যাও। মেয়ের বায়নাটা থামাতে বললাম, কিচ্ছু করছে না। দেখ যে কত বোকা! এত বোকা হলে কি চলে? তাড়াতাড়ি যাও। এমন মানুষ দেখতে পাইনি, কেবল তোমাকেই দেখলাম।" বউয়ের কথা শুনে জামাই বলল, "ঠিকই তো! তুমি তো ঠিকই বলেছ। যাওয়ার যখন যাব তো। মেয়ে আবার এই বায়না ধরল কখন?" "ওরে, আর বলো না। মেয়ের কাণ্ড দেখ দেখি। আর বলতে হবে না যে ঠিকই বলেছ। এগুলো বলে সময় নষ্ট করো না। তাড়াতাড়ি যাও।" তখন সে আবার বলে, "আরে তাড়াতাড়ি যাও বলার দরকার কি? এই আমি যাচ্ছি।" গিয়ে মেয়ের কাছে গিয়ে বলে, "ও মেয়ে! এমন আবার করছ কেন ঝুম? তুই তো আমার সোনার ঝুম। এমন বায়না কখনো দেখিনি। তুই এখন একটু থামতো। তুমি এ বায়না কার থেকে শিখলে? কবিতার হিরো হলে না এক কথা, তাও আবার গল্প বলার হিরো! ওহ! কি কর তোমরা!" "বাবা, আমাকে বিশ্বকবি হতে দাও গল্প বলার। তাড়াতাড়ি নিয়ে চল হিরো হতে।" "ওরে মেয়ে, এটা তো বিশ্বকবি হতে হলে কোথায় যেতে হবে, কিসে করে যেতে হবে; এটা কি পয়সা দিয়ে করে, নাকি আইডি কার্ড বা ফরম বা অন্য কোন কার্ড-টার্ড এসব তো আমি কিছুই জানি না। তবে জানার উপায় আছে। এটা আমি জানি, তবে সেটা বলতে পারে শুধু তোর মামা।" "তাই নাকি? তাহলে আমি নানা বাড়িতে আজই যাব।" "ও মা, আজকে যাবে সেই কতদূর রাজশাহীতে! এই ঢাকা থেকে। স্কুল তো কালকে থেকেই শুরু। বলতে ছুটি শেষ হয়ে গেছে। আগে বললেই তো পারতে রাজশাহী যাওয়ার বায়না।" মা বলে, "একি! এসব বাল বাল কথা বলে? এমন বালের কথা কোন মানুষের মুখে দেখিনি, শুধু তোমার মুখেই দেখছি। এমন জামাইকে যদি আমি জানতাম আগে থেকে, তাহলে বিয়ে করতাম না। দেখ, মেয়ের কাণ্ড! ঝুমু, তুই এত বায়না কোথায় পেলি ঝুমু? তোর বাবা তোকে আরো চেতিয়ে দেল দেখ দেখি! আস, তোমার জন্য চকলেট নিয়ে এসেছি, খাবে?" বলে, "দাও তাহলে।" মা চকলেট দিয়ে বায়না থামাতে চাইল। চকলেট খেয়েও বলে, "এবার আমাকে হিরো বানাও না।" বলে, "আচ্ছা, তোমার জন্য আরেকটা জিনিস কিনে আনব ভেবেছিলাম। এখন কিনে আনি।"- বলে মা গেল একটা বই কিনতে, যাতে আছে অনেক রকমের বায়না থামানোর উপায়। সেই জিনিস কিনে আনল মা। সেইটা দেখে বাবু বলে, "কি সুন্দর বই এনেছে। আমি পড়ে দেখি।" সেই বইতে আসলে লেখার মধ্যে অনেক কিছু ছিল। কোন্‌ কোন্‌ বায়না কি দিয়ে ভাঙ্গানো যায়। সেই বই পড়লে সেই বায়না থেমে যাবে। মা বলে, "এই চাপ্টারটা বেশি মজার।" বলে পৃষ্ঠা উল্টাতে উল্টাতে সেটা বের করল। এক পৃষ্ঠায় লিখেছে সিনেমা বানানোর বায়না। তার পরে লিখেছে রান্না করতে যাওয়ার বায়না। তার পর লিখেছে চকলেট খাওয়ার বায়না। তারপরই লিখেছে গল্প বলার বিশ্বকবির বায়না। হেডিংয়ের নাম: "কি করলে গল্প বলার বিশ্বকবি হওয়া যায়।" আসলে তো যেটা করলে বিশ্বকবি হওয়া যায় না, সেটা লেখা আছে। বাবু মনে করল, এটা করলে বুঝি বিশ্বকবি হওয়া যায়। সেখানে লেখা:- "বেশি বেশি লেখাপড়া করা ও স্কুলে যাওয়া ও সবার প্রতি ভালবাসা রাখা ও জেদ করা যে, আমি বিশ্বকবি কোন কিছুরই হতে যাব না। এই গুলো করলেই এই গল্প বলার বিশ্বকবি হওয়া যায়। কোন কোন মানুষ এমন আছে, যে বলতেই চায় না, আমি বিশ্বকবি হব। সেরকম আচরণ করা ভাল। এমন করলেই তো বিশ্বকবি হওয়া যাবে।" বাচ্চাটা তো কিছুই বুঝল না। ভাবল, এটা করলেই বুঝি বিশ্বকবি হওয়া যায় গল্প বলার। এই ভেবে লেখাপড়া করল, নিয়মিত স্কুলে গেল। তারপর তখন থেকে বাচ্চাটা অনেক ভালমত কাজকর্ম করত। তারপর দেখল, এতে আরো সে ভুলে গেল বিশ্বকবি হওয়ার কথা। সে এখন মন দেয় লেখাপড়ায়। ভালবাসা রাখে সবার উপর। বেশি বেশি স্কুলে যায়। লেখাপড়া করে। স্কুলের নতুন বাচ্চাদের বুঝিয়ে দেয়, এটা ওটা কি, কোনটা 'ক' কোনটা 'খ'। এসব বুঝিয়ে দেয়। অনেক কষ্ট করে তাদের তার জেদটা থামাল। এরপর তার একটা ছোট বোন হল মারহা। তার বড় হওয়ার পর তারও একটা অভ্যাস হল পেন্সিলের পিছনে কামড়ানো। কামড়িয়ে চোষা। আগে কামড়ায় যাতে রসটা বের হয়। তারপর সেই রস চুষে চুষে খায়। এখন মা একদিন বলল, "আমি একটু রান্না করে আসি। তুই 'ক' থেকে 'চন্দ্রবিন্দু' পর্যন্ত লিখে নে। নতুন স্কুলের পড়া।" তার নাম ছিল রুপোলাবতী। কিন্তু তারপরও সে পেন্সিল চাবাতে পারছিল না। কারণ, তার বাবাকে ডেকে দিয়ে গেল মা। বাবা বলে, "একি! তুই এমন করে আছিস কেন, মা? আমার রুপোলাবতী। পেন্সিল চাবানোর ধান্ধা করছ বুঝি? কর, অনেক ধান্ধা কর। তুমি তো পেন্সিল চাবাতে আর পারবে না, যত খুশী ভাব। এটা করার আবার বায়না করো না যেন। আগেরবার তোমার বোন কিসবের বায়না করেছিল জান? তুমি তো জান না, জানেলে তুমিও করতে। সেজন্য আমরা বলিনি। এখন তুমি যত খুশী পেন্সিল চাবাও, পরে নিজেই নিজেকে বকা খাওয়াবে। আমরা তোমায় বকা দেব, তুমি নিজে পেন্সিল চিবিয়ে বকা খাওয়াবে নিজেকে নিজে।" রুপোলাবতী বলে, "বাবা, চুপ কর তুমি। এসব ভাল লাগে না। আমি চেয়েছি এমন বাবা, যে অনেক আদর করবে, এবং মেয়ের বায়না করতে দেবে, মেয়ে যা করতে চায় তাই করতে দেবে। এমন বাবা চেয়েছি। তোমাকে তো আমি চাইনি বাবা। তুমি এখন একটু যাও। আমি একটু পেন্সিল চাবাবো।" বাবা বলে, "পেন্সিল তো এখন চাবানো যাবে না। তোমার মা ডিউটি দিয়েছে আমাকে এখানে থাকার।" "না, এক মিনিটের জন্য শুধু যাও।" বলে, "এক মিনিটও অনুপস্থিত থাকব না। আমি এবার যাব সেটা হবে না। যত খুশী চাবাতে চাও, পারবে না।" তখনই পেন্সিল দিয়ে একটু নাড়া দিয়ে বলে, আমার লেখা শেষ। তখনই বাবা মনে করে, লেখা শেষ। তখন বলে, "দাড়াও, আমি একটু তোমার বড় বোনের কাছে যাই। তুমি বরং এগুলো দেখ ঠিকঠাক মত আছে কিনা। দেখ, আবার পেন্সিল চাবিও না যেন। যদি আমি এসে দেখি, পেন্সিলের পিছন দিকটা থেকে রস বের হচ্ছে, বুঝব যে তুমি পেন্সিল খেয়েছ।" বলে, "আচ্ছা বাবা, তুমি দেখে আস।"-বলে সে ঝটপট করে লিখে পেন্সিলটা খেয়ে কালো কাপড় গ্লু স্টিক দিয়ে লাগিয়ে রাখল, যাতে যত রস পড়ে শুধু ঐ কাপড়ের উপরেই পড়ে। সেই কাপড়ের উপর পড়লে তো আর বোঝা যাবে না যে, রস পড়ছে। আগে ভালমত খেয়ে নিয়ে গেল। তারপর কাল কাপড় গ্লুস্টিক দিয়ে লাগিয়েছিল। আর সেই মেয়েটা অনেক দ্রুত কাজ করে ফেলত। সেটা পরিবারের কেউ জানে না। সে তো ছোট বোন। তাই তাকে অনেক সময় দেয়া হয়েছে। তাই সে হেলেদুলে কাজ করত। সে চেক করল, খাতার লেখা ঠিক আছে কিনা। তখন বাবাকে ডাক দিয়ে বলল, "বাবা, সব ঠিক আছে।" তখন বলে, "ঠিক আছে? তোমার মাকে ডাকি এখন তোমার খাতা দেখতে।" মা এসে বলে, "এই তো! সুন্দর হয়েছে। এবার 'অ' থেকে 'ও' পর্যন্ত লিখে ফেল তো দেখি।" তখন বাবা আবার তার বোনের (ঝুমির) লেখা দেখতে গেল। ঝুমি ছিল প্রশ্নউত্তর। পাতার রং কি? পাতার রং সবুজ। কোন্‌ ফুলের সুবাস বেশি? সাদা ফুলের সুবাস বেশি। এসব ছিল ওর। তার কাছে গিয়ে দেখল, সে ঠিকমত লিখছে কিনা। এই ফাকে সুপোলা সেই কাল কাপড়টি খুলে আরো একটু রস খেয়ে নিল কালো কাপড়টি খুলে।