Tuesday, May 31, 2016

বুদ্ধিমতী মেয়ে

এক ছিল এক গ্রাম। সেই গ্রামে থাকত এক মহিলা। তার ছিল একটি মেয়ে। মেয়েটির মাথায় অনেক বুদ্ধি। তারা অনেক অনেক গরীব ছিল। এক পয়সাও ছিল না। একেবারেই গরীব। বাড়ি থাকবে কি করে? ছোট্ট কুটিরও নেই। এমনকি একটা গরুর ঘরের মত ছোট্ট বাড়িও নেই। থাকার কোন জায়গাই নেই। গরীব, কিন্তু তারা অনেক সৎ ছিল। তারা নিজেরা এত গরীব, কিন্তু একেবারে ধনী মানুষদের থেকে জিনিস নিতেও তারা ভাবত যে, তার একটু সম্পদ কমে যাবে বোধহয়। তাই ভেবে তারা ভিক্ষেও করত না। কত যে সৎ! কিন্তু এত সৎ হয়ে তো তারা না খেতে পেয়ে অনেক কষ্টে থাকছে। তার মেয়ের কাছে বারবার সেই মহিলাটি অনেক বুদ্ধি বের করতে বলেছে। কিন্তু তাতে তার মেয়েটি খুব রাগ হয়ে যেত। বলত, "ও মা! আমার কাছে কি তুমি শুধু বুদ্ধিই জিজ্ঞেস করতে থাকবে? আমার একটু বেশি বুদ্ধি আছে বলে কি দুনিয়ার সব বুদ্ধি আমার মাথায়? চিন্তা করতেও দাও না, শুধু বল, বুদ্ধি বের কর। একটু ভাবতে দাও না, মা!" মেয়েটি ভাবল। ভাবতে ভাবতে কোন উপায় খুঁজে পাচ্ছিল না। অবশেষে একটা উপায় খুঁজে পেল। যেখানে খাবারও পাওয়া যায়, পানিও পাওয়া যায়। মাকে বলল, "পেয়েছি, পেয়েছি, পেয়েছি। ওমা, আমি একটা জিনিস পেয়েছি!" "কী আবার পেলি রে?" "বুদ্ধি পেয়েছি রে, বুদ্ধি। কি বুদ্ধি জান? কিন্তু তা খুঁজে পেতে আমাদেরকে অনেক দূরে যেতে হবে। আমাদেরকে যেতে হবে কোন নদীর পাড়ে। তারপরে ওখান থেকে মাছ ধরতে হবে। আর নদীতে কি থাকে? পানি থাকে। আর কি থাকে? মাছ থাকে? ওখানে গেলে আমরা মাছও পাব, পানিও পাব। একদিন একটু ভাল করে খেতে পারব। কিন্তু খবরদার, মা! দয়া করে তুমি ভিক্ষে করো না, প্লীজ!" মা বলল, "রান্না করব কিভাবে?" মেয়েটি বলল, "পাথর আর লাকড়ি কুড়িয়ে খুঁজতে হবে। তারপর সেখান থেকে কুড়িয়ে খেতে হবে। আর সেই পানি জাল দেয়ার জন্য কি করতে হবে, জান? আশেপাশেই তো মাটি আছে। মাটি দিয়ে পাতিল বানিয়ে তাতে পানি রেখে তাতে করে জাল দিতে হবে। আর সেই হাড়িতেই মাছ রান্না করতে হবে। তারপর কি করবে জান? মাছ ধরে এনে মাটি দিয়ে আরো পাত্র বানিয়ে তাতে মাছ রাখতে হবে। তারপর সেই মাছ বিক্রি করতে হবে। তাহলে আমরা আরো ভালভাবে খেতে পারব। মাছ বিক্রি করে টাকা পাব, সেই টাকা দিয়ে আরো সবজি কিনতে পারব। শুধু মাছ খেলে কি সুস্থ থাকা যাবে? অন্য খাবারও খেতে হবে। তাই টাকা দরকার। সেই টাকা দিয়ে সবজি আর ভাত কিনব।" তারপর ওরা মাছের ব্যবসা করতে লাগল এবং সুখে শান্তিতে বাস করতে লাগল। আর টাকা দিয়ে একটি কুটিরও স্থাপন করল। 

শিক্ষা: বুদ্ধি থাকলে উপায় হয়। ঐ মহিলাটির যদি বুদ্ধিমতী মেয়েটি না থাকত, তাহলে কি সে বাঁচতে পারত?

Wednesday, May 25, 2016

My Pet Cat

My pet a kitten
It is white,
It look at left
and it look at right.

It play all day
Mouth is red,
She sleeps in the field
Don't in the bed.

Tuesday, May 24, 2016

কৃপণের ধন পিঁপড়ায় খায়

এক ছিল এক খুব ধনী লোক। কিন্তু সে সৎ ছিল না। তার অনেক সোনা-দানাও ছিল। কিন্তু সে কাউকে কিছু দিত না। এমনকি নিজের স্ত্রী-পুত্রকেও না। তার মেয়ের নাম ছিল সুমিত্রা। তার পুত্রের নাম ছিল সুজন। একদিন সুমিত্রা কিছুই পাচ্ছিল না খেতে। তার স্ত্রী বলল, "যা তো সুমিত্রা। তোমার বাবাকে বল না কিছু টাকা দিতে। আমার না তোমার বাবার কাছে যেতে খুব ভয় করে। তোমার বাবা আমার সাথে খুব খারাপ ব্যবহার করে। তুমি তো ছোট তাই ভাল করে বলবে।" "সে কি মা, তুমি তো জান যে, সে সবার সাথে খারাপ ব্যবহার করে। কিন্তু মা! তোমার কথা অমান্য করতে পারব না।এইতো! অামি যাচ্ছি। কিন্তু সে যদি কোন টাকা না দেয় তাহলে কিন্তু আমাকে বকবে না।" সুজন বলল, "ওহ মা! ভাল লাগছে না। আমার বাবার সোনা দানা আছে। কি সুন্দর রাজার মত পোশাক পরে। আর আমরা ছোট খাট গেঞ্জি ও আমার মায়ের আছে একটা বেগুনি শাড়ি। আজকে কিছু খেতে পারছি না।"  সুমিত্রা চলে গেল বাবার কাছে। সুমিত্রা বলল, " বাবা কিছু টাকা দাও না গো। আমরা কিছু কিনতে চাই। খাবার পাচ্ছি না তো্।" বাবা বলল, "সরে দাঁড়া, এখানে তোর কি চাই? টাকা অামি দিতে পারব না। যদি আমি টাকা দিই তাহলে, সকালে আমি রুটির সাথে হালুয়া, ডিম, মাংস এবং সবজি খাব কি করে? তার পর দুপরের স্নানের আগে আপেল, আঙ্গুর ও কমলা খাব কি করে? খাওয়ার পর দই আর মিষ্টি খাব কি করে? রাতে খাওয়ার সময় জদ্দা খাব কি করে? টাকা না থাকলে কোন খাবার পাব না। আর আমি সুন্দর টোপর কিনব কি করে?" সুমিত্রা ভাল করে উচিত কথা বলতে পারত। তাই সে বাবাকে বলল, "এই! তুমি এত সুন্দর জিনিস-পত্র, কাপড়-চোপড়, খাবার-দাবার সব কি সুন্দর সুন্দর করে খেতে পার! আর আমরা একটা চালের দানা খেয়ে থাকি, আর ছেঁড়া ছেঁড়া কাপড় পরে থাকি। তাই তো হবে না? পরে কিন্তু এর ফল ভাল হবে না। দিতেই হবে। তোমার টোপর কেনার দরকার নেই। আমরা দিনে একটা শসাও খেতে পারি না, আর তুমি পোলাউ, রোস্ট, তেহারি কত কিছু খাও! আজ আমাকে অন্তত ৫০ টাকা দাও। এই ভাল যে, ১০০ চাইনি।" বাবা আবার বলল, "এই মেয়ে! আমি তোকে শুধু ১০ টাকা দিতে পারি।" "না, তা হবে না। তোমার লক্ষ লক্ষ টাকা, লক্ষ লক্ষ সোনাদানা। তুমি আমাদের একটা সোনাও দাওনি। সোনা কি? এক পয়সাও দাওনি। আমরা নিজেরা নিজেরা অনেক কষ্টে খাবার যোগাড় করেছি। ৫০ টাকাই দিতে হবে। এর বেশি দিতে চাইলে দাও, কিন্তু এর কম দেয়াই যাবে না।" বাবা আর কী করবে? দেখল যে, সুমিত্রা খুব ভাল ভাল বুদ্ধিমান কথা জানে। দিয়ে দিল ৫০ টাকা। অনেকক্ষণ পরে এক বেলা না খেয়ে ছিল, দুপুর বেলা টাকা নিয়ে এল। কিনতে কিনতে বিকাল হয়ে গেল। বিকেল বেলা একটু অন্তত খেতে পারল। সুমিত্রা একটা শসা, সুজন একটা রুটি আর মা দুটো আপেল। এরপর যখন ধনী লোকটি বাজারে গেল তার সেই টোপর কিনতে, তখন সুজন তাড়াতাড়ি গিয়ে ২০ টাকার দুটি নোট নিয়ে এল। তারপর সেই টাকা ভাগাভাগি করে আবার খাবার কিনে নিয়ে এল। তারপর সেই খাবারগুলো খেয়ে তারা ঘুমিয়ে পড়ল। বাবা এসে বলল, "ওঠ্‌, ওঠ্‌, সুমিত্রা। ওঠ্‌ সুজন। আমার দুইটা বিশ টাকার নোট দেখেছিস?" স্ত্রী বলল, "আমি ঘুমের মধ্যে পায়ের ধুমধাম শব্দ শুনতে পেয়েছিলাম। কিন্তু আমার খুব গভীর ঘুম ছিল, তাই আমি উঠতেও পারিনি। নিশ্চয়ই কোন চোর-ডাকাতের কাজ। তুমি খুঁজে দেখ কোন চোর-ডাকাত আছে কিনা। আমরা আজ রাতে ভাল করে ঘুমাতে পারিনি। কাল রাতে তুমি আবার দায়িত্ব দিয়েছিলে যে, বাড়িটাকে পাহারা দিতে। আমিও শর্ত দিয়েছিলাম যে, কাল দুপুরে অনেক ঘুমোতে দিতে হবে। তুমি সেই শর্ততে রাজি হয়েছিলে। এখন ঘুমোতে দাও।" তারপর একদিন সত্যি সত্যিই ডাকাত এসে ঐ ধনী লোকের সব টাকা-পয়সা নিয়ে গেল। সোনা-দানাও নিয়ে গেল। মা আর দুই সন্তানদের তো খাবারের সন্ধান করার অভ্যাস আছে। কিন্তু ধনী লোক তো কিছুই বোঝে না। তাই সে কিছুই খেতে পারল না। আর অন্য বাকি তিনজন অভ্যাসমত আগের মতই কোনমতে খেয়েদেয়ে চলতে লাগল।

শিক্ষা: খারাপ কাজ করলে খারাপ ফলই পাওয়া যায়। যেমন কর্ম তেমনি ফল।

Thursday, May 19, 2016

Tajmahal

Once upon a time, there was a big country. The country's name is Achinpur. There is a tajmahal. The tajmahal is large. The Tajmahal's king's name is Ramlal. Ramlal is kind. There is a forest not far away. Tiger came to the tajmahal, because they know that, in the tajmahal, there live many many person. So the tiger go to tajmahal every time. All the persons are in trouble. They all go to the king. King told, "I know, what you will say to me. I know, now you are in trouble. Tiger has come to my tajmahal. I will help you. You have to do something in yourself. The half thing I will do and then left half thing you will do. Now we have to hold a meeting. We have to call all the persons in the palace. We have talk about the tigers. We have to make trap for the tigers. There a lot of tigers in the forest." One of the persons name is Tanjim. Tanjim said, "Oh! You are right. We have to call everyone in the palace. If we don't do that, the tigers will eat all of us. Let go to call everybody. Everybody going to call the person. Everybody come to the palace. There is a big room in the Tajmahal. The king tell to maid servant, "Hai! Prepare the chair in the big room. And the big chair for me." The maid-servant said, "Ok, maharaj!" All of the person came in the palace. King seats on the chair. Everybody seats on the chair. The king said, "Don't worry. I am telling the way of this danger. Please keep quite. Listen to me, please. Don't talk now. Listen to me very very carefully. If you don't listen to me, your danger will be not go. Please listen to me. Did you want to listen the way?" "Yes", said everyone. "Ok, listen carefully. We have to ready all day. When we will see the tigers, you have to ready with a trap. First, you have to make a trap. You have to make the trap very strong. You have to make the trap with window greel. You have to make the trap very big. Because, if there came many tigers, they all can enter in the trap. Then you have to shut the door quickly. You have to shut the door in that time, when the tiger cannot see you. You have to keep some meet in the trap. When the tiger will think, they can eat the meat, if they enter in the trap. And you have to hide around the trap. You have to live near. Hide in that place, in which place you can see the tiger but tiger can not see you. After shutting the door, you have to take the trap in a place, in a room, then you have to go outside of that room, in which room you will keep the trap. Then you will shut the door of that room. Don't keep the light in the room. If you do that, the tiger will die and in the forest, if any other tiger was have, they will also did not came in the palace. Because, they have see that, who have go in the palace, what have the person done. Listen to me carefully. Are you listen me?" "Yes, your idea is very good. We want to do this. We want to survive from the danger." Ranjana said, "Maharaj Ramlal! Ok, we will do that." Then everyone make a trap. They keep some meat on that. Everyone do the things what the king said. Then they survive the danger. Then in the palace, one person said, we survive from the danger. We have to enjoy tomorrow for this success." On next day, everybody came to enjoy. There are five children. Eluka, Tamim, Sara, Aditya and Mariam. Sara said, "See, there is a circus. There is a joker too. It looks very funny. Eluka said, "See. There is a toy shop. There are lot of toys. There is a toy car, there is a robot too. The real robot. I want to buy it. There is lagos too. Look Tamim. What you want to buy? I want to buy the robot." Tamim said, "I want to buy the toy car. There are some lorry too. I want the lorry. Because I like the lorry very very much." Then mariam said, "Sara! There are really a joker. It is circus. It is very nice." Tamim and Eluka! I want the red telephone. I want the toy yellow drum too." Eluca said again, "I want the lagos too." Aditya said, "Let go to the circus. If we go to the circus, we see some amazing thing. And I like the teddy bear. The color pencils too. Why you are talking with this? Not talk. Let go and do it. Without Aditya, everyone said, you are right, let go. In the circus line, everyone said, Did we have to give any ticket?" A person said, "Without ticket, you cannot enter in the circus. The circus is not in normal place. A circus have funny things. Take the ticket. The ticket is just 20 taka. Everyone said, "Oh! You need 20 taka too?" "Yes, without taka we cannot eat anything. You have to give." Children said, "Oh! Mother! Why we have to wait for a long time?" Mother said, "Wait, wait. After buying the ticket, you can enter in the circus. Wait for sometime. They buy the ticket. Then they enter in the circus. They see some amazing things. The joker was playing. The joker was driving a cycle by raising his hand without touch the handle.

Tuesday, May 10, 2016

রাজার গল্প

এক ছিল এক রাজা। তার রাজপ্রাসাদের নাম ছিল প্রজাপতি রাজপ্রাসাদ। রাজামশাই দাস-দাসীদেরকে খুবই খাটাতো, কিন্তু রাজা ভালো ছিল। একদিন রাজামশাই দাসী রঞ্জনাকে বললেন, "রঞ্জনা! তুমি খোঁজ নাও, আমাদের প্রাসাদে কোন্‌ কোন্‌ প্রজা না খেয়ে আছে। আর আমার প্রাসাদে ছোটখাটো পোকামাকড় বা অন্য কোন প্রাণীরাও যদি না খেয়ে থাকে, তাদেরকে যদি তোমরা খাবার না দাও, তাহলে তোমাদেরকে কিন্তু আমি রাজপ্রাসাদ থেকে বের করে দেব। ছোট্ট একটি পিঁপড়েও যদি না খেয়ে থাকে, তাদের ছোট ছোট শস্যদানা দিতে হবে। আর এ রাজ্যের মশাগুলোকে যে করেই হোক বুঝাতে হবে, কারো গা থেকে রক্ত খেও না। প্রতিদিন কোন না কোন জায়গা থেকে রক্ত যোগাড় করে এনে মশাদেরকে খেতে দেবে। রক্ত কোথায় তা বলবে না, যেখান থেকেই পার আনবে- এইটা বলে দিচ্ছি। তোমাদেরকে নিজেদেরকেই খুঁজে নিতে হবে রক্ত। তাই বলে রক্ত যোগাড় করতে গিয়ে অন্যদেরকে না খাইয়ে রেখো না। রক্ত যোগাড় করেই যদি তোমার একদিন লাগে, তাহলে অন্য প্রাণীরা কি করে না খেয়ে থাকবে? আর আমার রাজ্যের পাশে যে জঙ্গলটি, সেই জঙ্গলের একটি হরিণও যদি না খেয়ে থাকে, তাকেও খেতে দিতে হবে। আর তোমরাও নিজেরা নিজেদের খাবার যোগাড় করে খেয়ে নেবে। রাজগরু তো আছেই। রাজগরু থেকে দুধ নিয়ে তোমরা খাবে। রাজফসলের ক্ষেতে অনেক ধান আছে। সেগুলো থেকে চালও তুলবে, পরে সব প্রজা, প্রাণী, মানব সবাইকে খেতে দিতে হবে, সবার যত্ন নিতে হবে। কারণ, আমি খুব ভাল একটি রাজা। সবাইকে যেন তুমি ঠিকমত ই কর। শুধু তোমার রক্ত নিতে যদি তোমার দুইদিন লেগে যায়, তাহলে তুমি অন্য দাসীদের সাহায্য নিতে পার, দাসদেরও সাহায্য নিতে পার। আর কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাড়াতাড়ি রাজবৈদ্যমশাইকে খবর দেবেই। এই রাজ্যের নিয়ম এটাই। রাজামশাই সবার যত্ন নেন, রাজপ্রাসাদ থেকে খাবার দেন। আর যারা অন্য রাজ্যে খুবই কষ্ট আছে, একদমই কষ্টে, তাদেরকে একদিন বড় একটি ভোজ করে তাদেরকেও ডেকে আনবে, ঠিক আছে? রাজপ্রাসাদ থেকে তাদেরকে খেতে দেবে। আমার বাগানে অনেক অনেক ফল ফুটে রয়েছে। সেই ফলগুলো সব বাড়ি বাড়িতে গিয়ে গিয়ে দিয়ে আসবে। সবজিও আছে। কী সুন্দর করল্লাও হয়েছে! একটা করল্লা আমার জন্য তুলে আনবে। করল্লার যে কী স্বাদ! বাহ! করল্লা বেশিজনকেই দিও। আর শসার তো প্রশ্নই আসে না খারাপ হওয়ার। আমার বাগানের সব জিনিসই খুব ভাল।" দাসী রঞ্জনা বলল, "রাজামশাই! যদি আমি দেখি যে, আপনার বাগানে একটি ছোট্ট বিড়াল না খেয়ে আছে, তাকেও খেতে দিতে হবে, মহারাজ? আপনি যদি বিড়ালকেও খেতে দিতে বলেন, তাহলেই আমি বিড়ালকে অনেক অনেক খেতে দেব।" রাজামশাই বললেন, "অবশ্যই। কিন্তু ইদুরও একটি প্রাণী, ইঁদুর দিবে না। দুধ বা মাছের কাটা দেবে। ইদুর দেবে না। ছোট একটি সাপও যদি না খেয়ে থাকে, তাকেও দিতে হবে। একেকটা প্রাণী একেকবার জিজ্ঞেস করছ কেন, রঞ্জনা? আমি বলেছি সব প্রাণীকেই দেবে।" তখন দাসী রঞ্জনা বললেন, "মহারাজ! আপনি যা বলবেন, তাই করব। কিন্তু মশার যে রক্ত, সেটা খোঁজার জন্য একটু বেশি সময় দিতে পারবেন?" "ঠিক আছে, একটু সময় দেব।" অমনি পাশ থেকে দাসী গোলাপী রাজামশাইকে বলল, "রাজামশাই! আমিও কি আমার বন্ধু রঞ্জনাকে একটু সাহায্য করতে পারি? সে যদি একা সব করে, তাহলে তো বেশি যত্ন নিতে পারবে না একা।" "নিশ্চয়ই! তোমরা দাস-দাসীরা মিলে সব করতে পার। কিন্তু আমার আদেশ যেন অমান্য না হয়।" ঐদিকে রাজ্যে এক ছিল একটি গরীব লোক। সেই গরীব লোকটি এক পয়সাও ছিল না। সে রাজামশাইকে বললেন, "রাজামশাই! আপনি কেমন আছেন? দয়া করে আমাকে একটি গরু দিতে পারলেই হবে। সেই গরু থেকে আমরা সবসময় দুধ খেতে পারি, মহারাজ। আমার একটি ছোট্ট সন্তান আছে, সে তো কিছু পায়ই না। আমি শুধু একটু একটু খুঁজে খুঁজে পাই। সেগুলো থেকে একটু দিতে পারি আমার সন্তানকে। এক দিনে একটি বিস্কুটের টুকরো খেতে পারি। ভালোই লাগে না। আর পানি তো খাই শুধু ছোট্ট একটা বাটিতে একটুখানি পানি থাকে, সেটুকু খেতে পারি।" মহারাজ বললেন, "দাস ইসলাম! তুমি কোথায়? তাড়াতাড়ি এসো। এই গরীব লোকদের তাড়াতাড়ি কিছু খেতে দাও। বহুদিন ধরে না খেয়ে আছে।" সবাই মিলে ঐ দেশে সব কিছু ঠিকঠাক মতো রাখলো। এবং ঐ দেশটিকে একটি সুন্দর দেশ করে তুলল। এমন দেশ, যেন সবথেকে সেরা। এই দেশে আকাশে আকাশে পাখি, নদীতে ভরে যায় পানি, সবাই খাবার পায়, যত্ন করে থাকতে পারে।

শিক্ষা: ভালো কাজ করলে ভালো ফলই পাওয়া যায়। যেমন, ঐ রাজা যে সবার যত্ন নিয়েছে, তাই সে এমন সুন্দর একটি দেশ পেয়েছে। নিজের জিনিস নিজে ভালো করে গড়ে তুলতে পারলেই ভালো।