Wednesday, October 9, 2019

***নরম বউ থেকে শক্ত বউ***

এক ছিল এক লোক। সে তার বুড়ো মাকে নিয়ে একটি দোতলা বাড়িতে থাকত। সে এখনো বিয়ে করেনি। একদিন তার বিয়ে ঠিক হলো। ছেলের মা অনেক দেখেশুনে শান্তশিষ্ট ও নম্র-ভদ্র দেখে একটা বউমা নিয়ে আসলেন। ছেলেটির মা কিন্তু খুব একটা সুবিধার ছিল না। যদিও সে ছেলের উপার্জনেই চলতো, তাও সে ছেলের টাকা নিয়েই কিপটেমি করতো। কাজের লোক রাখলে অনেক টাকা যায়। তাই সে নম্র-ভদ্র বউ নিয়ে আসলো, যাতে তাকে দিয়ে অনেক কাজ করানো যায়। বিয়ের পর মেয়েটি বাপের বাড়িতে গেল। আর বুড়ো মা দিন গুনতে থাকলো, কখন সে বাড়িতে ফিরে আসবে। একদিন বউ বাড়িতে এলো। তখন ছিল ঘর ভর্তি মানুষ। তাই বুড়ো মা ভালো ব্যবহার করতে শুরু করলো। সে প্রথমে বউকে ডেকে নিয়ে সোফায় বসালো। তারপর যদিও তার অতটা কষ্ট হচ্ছিল না, তবুও সে খারাপ লাগার ঢং করতে লাগলো। এবং এমন ভাব দেখাতে লাগলো যে, তার সারা শরীর ব্যথা করা অবস্থায়ও অনেক কষ্টে বউয়ের জন্য খাবার বানিয়ে এনেছে। সবাই তাকে দেখে অনেক থামানোর চেষ্টা করলো। বউও অনেক চেষ্টা করলো তাকে থামানোর জন্য। কিন্তু সে কি আর ঘরভর্তি মানুষের মধ্যে তার আসল চেহারা দেখাবে? সেও জোর করে বউয়ের জন্য নাস্তা দিল। সবাই মানা করলে সে বলল, "নতুন বউ বলে কথা! একটু রেঁধে তো খাওয়াতেই হবে। আমরা সারাজীবন কষ্ট করেছি বলে কি আমার বউমাকেও কষ্ট দিতে পারি? আমি দু:খী ছিলাম বলেই তো বউয়ের দু:খ বুঝি, তাই তার গায়ে ফুলের টোকাটিও লাগতে দেব না।" সবাই শাশুড়ীকে দেখে মুগ্ধ হলো। অনেকে মনে মনে ভাবলো, "ইস! আমার মেয়ের জন্য যদি এরকম শাশুড়ী পেতাম! কতই না ভালো হতো!" মানুষ যখন সবাই চলে গেল, শুধু ছেলে ছিল, তখনো শাশুড়ী ভালোই সেজে ছিল। আর মনে মনে বলতে লাগলো, "ইস! ছেলেটা কখন যাবে? আমার আর ঢং করতে ভালো লাগে না! এক কাজ করি। খোকাকে একটু এগিয়ে দেই।" এরপর সে খোকাকে বলল "চল্ বাবা, আজকে একটু তোর খালার বাড়িতে যাবি না?" শাশুড়ী চেয়েছিল যে, খোকা একা খালার বাড়িতে যাবে। কিন্তু খোকা আরো বলল, "বেশ ভালো কথা মনে করিয়ে দিয়েছ, মা! চল, সবাই রেডি হয়ে নাও। নতুন বউকে তো খালাকে দেখাতেই হবে। তুমি এত কষ্ট করলে। যেতে পারবে তো? হাত-পা অনেক ব্যথা করছে। তুমি বাসায় বসে একটু রেস্ট নাও। আমি বরং তোমার বউমাকে নিয়েই ঘুরে আসি। তাছাড়া একটুখানি রাস্তা, কোন রিক্সা বা কিছুও তো যেতে চাইবে না। কিন্তু তোমার কাছে তো পথটা অনেকই বেশি। তাছাড়া তিনজন একটা রিকশায়ও ধরবে না। তুমি বরং রেস্ট নাও, আর আমরা ঘুরে আসি।" এই বলে ছেলেটা বউকে নিয়ে খালার বাড়িতে বেড়াতে গেল। শাশুড়ী তো এত রেগে গেল যে, একটা প্লেট ভেঙ্গে ফেলতে নিল। কিন্তু ভাগ্য ভালো, প্লেটটি ভাঙ্গেনি। এরপর সে নিজেই প্লেটটি তুলে রাখল। অন্য কোন প্ল্যান করতে লাগল। সে তার মেয়েকে ফোন দিল। মেয়েকে বলল, "ভালো আছিস তুই? আচ্ছা শোন্। আমি চেয়েছিলাম, বউমা বাড়িতে থাকুক। কিন্তু তোর ভাই তাকে নিয়ে খালার বাড়ি বেড়াতে গেল। আর বউয়ের কেমন কথা? চলে গেল আমাকে রেখে। ফিরেও তাকালো না। তুই যদি আসিস, তোর সাথেও খারাপ ব্যবহারই করবে। অতএব, কিছু একটা করতে হবে। কি করা যায়, তার জন্যই তো তোকে ফোন দেয়া।" মেয়েটি বলল, "তাই নাকি? তবে এক কাজ কর। তোমার কাছে টাকা আছে না? আর কাজের মেয়ে আছে তো? তুমি তাকে দিয়ে অসুস্থ হওয়ার ওষুধ কিনে আন। গুড়োটা আনতে ভুলো না। এবং এমনটা আনবে, যা খাবারে ছিটিয়ে দিলে উপর থেকে কিছু বোঝা যায় না।" মা বলল, "কিন্তু কাজের মেয়ে তো নেই। ওকে তো বউ আনার দু'দিন আগেই বিদায় দিয়েছি। ছেলেকে বলেছিলাম যে, আমি আর বউমা মিলে কাজ করবো। কিন্তু এখন দেখছি, অবুঝ ছেলেটি শুধু বউ নিয়ে পাড়া পাড়া বেড়ায় ও না বুঝেই আমাকে কেমন করে যেন শায়েস্তা করে ফেলে! ছেলেটাকে নিয়ে আর পারা গেল না! তবে তাতে কি হয়েছে? সত্যি সত্যি তো আর অতটা ব্যথা নেই। নিজেই পারব দোকান থেকে কিনে আনতে। আচ্ছা রাখি, এক্ষনি কিনে আনি।" এই বলে ফোন রেখে সে নিজেই গেল নিচে। কিনে আনল সেই ওষুধ। এরপর সে বউমাকে ফোন দিল। বলল, "তোমরা কি খেয়ে আসবে, নাকি এসে খাবে?" বউমা বলল, "খালাশাশুড়ীর বাসায় এসেছি তো। না খেয়ে কি যাওয়া যায়? তা তো যেতে দেবে না, আগে থেকেই বলেছে। আপনি আবার রান্না করবেন না কিন্তু।" এবার শাশুড়ীর মাথায় আরেকটা বুদ্ধি এল। সে ডেজার্ট (খাবার পরের মিষ্টান্ন) বানানোর চিন্তা করলো। সে তিন রকমের তিনটা মিষ্টি বের করলো। তার ছেলের পছন্দের মিষ্টিটা ছেলে সাধারণত যেই চেয়ারে বসে সেই চেয়ারের সামনে রাখলো। আর নিজেরটা নিজেরটার সামনে রাখল। এবং বউয়েরটাতে ঐ ওষুধ ছিটিয়ে একটি মিষ্টি রাখল। একটু পর তার ছেলে ও বৌমা এলো। ছেলেকে বলল, "দেখ বাবা, মিষ্টি বের করে রেখেছি। এটা তোর পছন্দের, খেয়ে নে। আর বউমাকেও ঐ মিষ্টিটা দে।" এই মুহূর্তে বউয়ের ফুপুশাশুড়ী এলো। বউমা অতি ভদ্র হওয়ায় নিজের মিষ্টিটা ফুপুশাশুড়ীর কাছে একদম দিয়ে দিল। ফুপুশাশুড়ী আবার মিষ্টিপাগল ছিল। সে আবার 'না' বলল না। শাশুড়ী 'থাক' বলার আগেই গপ করে মিষ্টিটা গিলে ফেলল। শাশুড়ীর তো এবার আক্কেল গুড়ুম। এবার কী হবে? বউয়ের বেলায় না হয় অন্য কিছু দিয়ে এটাকে ঢেকে দেয়া যেত। কিন্তু আমার ননদ তো আমাকে বিয়ের পর থেকেই অনেক ভালোবাসে, অনেক বিশ্বাস করে। সে তো আমাকে ভালোভাবে চেনে যে, আমি সবকিছু ভালোভাবে ঠিক আছে কিনা দেখে তাকে খেতে দেই। এখানে তো আর date expire এর অযুহাত চলবে না। এবার কি করা যায়? একটু পর শাশুড়ী লুকিয়ে লুকিয়ে মেয়েকে আবার ফোন দিল। পুরো ঘটনাটা বলল। মেয়ে রাগ হয়ে বলল, "তোমাকে দিয়ে কিচ্ছু হয় না। প্রথমে বউ আসার সাথে সাথে মুখে ঢুকিয়ে গিলিয়ে দিতে! এখন তোমার যা করার কর, আমাকে আর ফোন দিও না। একটা বুদ্ধি দিয়েছি, সেটাও ঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারনি, অঘটন ঘটিয়ে বসেছ। শেষে আবার তোমাকে বুদ্ধি দিতে গিয়ে আমার জেল-হাজত না হয়। যা ভালো বোঝ, তাই কর।" এই বলে নাক ঘুচিয়ে মেয়েও ফোন কেটে দিল। একটু পর ছেলের ফুপুর এমন মাথাব্যথা শুরু হলো যে, সে চিৎকার করে পুরো বাড়ি মাথায় তুলল। বউমা তো খুবই ভয় পেয়ে গেল। আর ছেলে এমন ছিল, যে তার ফুপুর কাছের আর যত আত্মীয়-স্বজন আছে, সবাইকে ফোন করে জানালো। অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনদেরকেও জানিয়ে দিল। এবং তাকে দেখার জন্য আসতে বললো। সবাই আবার চলে এলো বাড়িতে। তখন আরো অসুখ বাড়তে থাকল। সবাই ভয় পেয়ে গেল। এবং ছেলেকে জিজ্ঞেস করলো, "কিভাবে তোমার ফুপুর এত অসুখ হলো? সে কি কিছু খেয়েছে, না কি হয়েছে?" ছেলে বলল, "আগে কি খেয়েছে, তা তো জানি না। তবে আমি খালার বাড়ি থেকে আসার পর মা আমাদের জন্য মিষ্টি দিল। আর আপনারা তো জানেনই যে, আমার ফুপু মিষ্টিপাগল। তো বউমা তার নিজেরটা ফুপুকে সাধতেই তিনি আর 'না' করতে পারেননি। সেটা খাওয়ার পর থেকেই তো এই অবস্থা।" এবার কিছু কিছু আত্মীয়রা শাশুড়ীকে সন্দেহ করলো। তারা সবাই মিলে উক্ত শাশুড়ীটাকে ঘিরে ধরলো, "মিষ্টিতে কী ছিল, বলুন তো দেখি!" শাশুড়ী বলল, "মনে হয় date expire ছিল।" তখন ফুপু বললো, "date expire! আমি তো তোমাকে সবসময় এভাবে বিশ্বাস করি যে, খাদ্য নির্বাচনে তোমার অন্তত ভুল হয় না। আর তোমার নিজেরটা date expire হলো না, শুধু বউমার জন্য যেটা রেখেছ সেটাতেই date expire হলো, এ কেমন কথা! এসব মিষ্টি তো এক প্যাকেটেরই হওয়ার কথা।
জনসমক্ষে এভাবে ধরা খেয়ে লাঞ্ছিত হয়ে বেচারীর সকল রাগ গিয়ে পড়লো ছেলের উপর। সে মনে মনে ভাবলো, "এই উজবুক ছেলেটাই যত নষ্টের গোড়া! সেও দেখি না বুঝেই আমার বিরুদ্ধে যাচ্ছে। ছেলে, বউ- দুজনকেই শায়েস্তা করতে হবে।" এদিকে কিছুদিন পার হয়ে গেল। খবর আসলো, বউয়ের চাচা অসুস্থ। তাই বাপের বাড়ি যেতে হবে। আর ছেলের অফিস থাকায় ছেলে যেতে পারল না। মেয়েটি চাচার কাছে দুই দিন থাকলো। এরপর এখন চাচা মোটামুটি সুস্থ। চাচার পাশের বাড়িটির লোকেরা একদিন সবাইকে দাওয়াত দিল। মেয়েকে, মেয়ের মা-বাবাকে ও তার চাচাকে। তারা পাশের বাড়িতে গেল। পাশের বাড়িতে আবার এ মেয়েটির সমবয়সী আরেকটি মেয়ে ছিল। তারা গল্প-গুজব করতো সুযোগ পেলেই। পাশের বাড়ির ঐ মেয়েটি ছিল বেশি চালাক। তার সাথে থাকতে থাকতে এ মেয়েটিও চালাক হয়ে গেল। এবার সে আবার শ্বশুরবাড়িতে ফিরে এলো। সে ঐ মেয়েটির কাছে শিখেছিল, সবসময় চোখ-কান খোলা রাখতে ও বুদ্ধি খাটাতে। বোকা হয়ে থাকলে চিরদিনই মার খেতে হবে। বউকে দেখে বর খুশি হয়ে বলল, "তোমার চাচা সুস্থ হয়েছে তো? আর তুমি সুস্থ আছ তো?" মেয়েটি বলল, "হ্যাঁ, সবাই সুস্থ আছি। তুমি খেয়েছ?" ছেলে বলল, "না, এখনো খাইনি। তবে খাব। তুমি এতদিন গিয়ে বাপের বাড়ি থাক? কেমন লাগে!" মেয়েটি অবাক হয়ে গেল। সে দেখল, আমি তো মাত্র তিনদিন ছিলাম। তাহলে বর এরকম রাগ হচ্ছে কেন! এর রহস্য আমাকে বের করতেই হবে। এর মধ্যে নিশ্চয়ই ওকে ব্রেনওয়াশ করা হয়েছে। এরপর থেকে বাপের বাড়ি যাবার সময় এর রহস্য উদঘাটনের বন্দোবস্ত করে যেতে হবে। এক কাজ করি! আমি কাল একটু মার্কেটে যাই। সিসি ক্যামেরা কিনে আনি। এমন একটা কিনতে হবে, যেটাতে ছবির সাথে শব্দও রেকর্ড হয়। কালকে যাওয়ার কি দরকার, আজকেই যাই। কিন্তু তাহলে আবার কেমন হয়? থাক, কালকেই যাব। এখন বরং সবকিছু গোছগাছ করে ফেলি। পরের দিন মেয়েটি একটা সিসি ক্যামেরা কিনে আনল। সাথে কিছু টুকটাক জিনিসও নিয়ে আসল, যাতে কোন সন্দেহ না হয়। এবার ছেলে গেল অফিসে। সেই ফাঁকে মেয়েটি ঘরের এক কোণায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করলো। তিন মাস পর মেয়েটি আবার বাপের বাড়ি গেল। এবার গেল এমনি বেড়াতে। এবার দেখা গেল, ছেলেটির ডিউটি পড়েছে। তাই সে এবারও যেতে পারল না। আর সে ডিউটির তারিখ চেঞ্জও করা যাবে না। মেয়েটি চারদিন পর আবার ফিরে এলো। কেউ যখন ঘরে ছিল না, তখন সে সিসি ক্যামেরাটির সবকিছু দেখল। সে দেখল, ছেলেটিকে তার মা বলছে, "জানিস তুই, তোর বউ কত দায়িত্বহীন? আমার মত বুড়ো মানুষটাকে রেখে দিনের পর দিন বাপের বাড়ি পড়ে থাকে। এই ক'দিন আগেই তো চাচাকে দেখতে গিয়েছিল। আবার যাওয়া দরকার কিসের? তাও আবার তোর ডিউটি, এরকম সময়ে তোকে রেখেই গেল। সে বার বার যায়, যেন আমাকে সেবা করতে না হয়। একটা ফাঁকিবাজ কামচুরনী বউ তোর কপালে জুটেছে। আমি আছি বলে তোকে রেঁধে খাওয়াতে পারছি, আমি না থাকলে যে তোর কী দশা হবে, সেই চিন্তায় আমার ঘুম আসে না!" এরকম আরো অনেক কথাই শুনতে পেলো সিসিটিভির ফুটেজ থেকে। এবার সে দেখল, ছেলেকে অফিসে যেতে। এবং দেখল, মা তার মেয়েকে ফোন করে বলছে, "জানিস মা, কাজের কাজ করেছি! ছেলেটাকে ফুলিয়ে দিয়েছি। তার বউয়ের ব্যাপারে তার মাথা এমনভাবে বিগড়ে দিয়েছি যে, সে আর বউয়ের কথামতো কিছুই করবে না। এবার একটা কথা চিন্তা করেছি। কালই তো বউমা আসবে। আমি বরং দুটি ডিমভাজায় এমন জিনিস মিশিয়ে দেব, যাতে তা খেয়ে দু'জনেরই মাথা গরম থাকে। ফলে তাদের মাঝে ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকে।" এ জিনিস দেখে বউ তো অবাক! সে ফ্রিজে গিয়ে দেখল, ঠিক ঐ জায়গায়ই ডিম ভাজা দুটো আছে। আর এখন তো রাত, রাতের খাবারও খাওয়া হয়েছে। নিশ্চয়ই এটা আমাদের কাল সকালে খেতে দেবে। আমি বরং একটা ডিমভাজা ফেলে দেই, ও আরেকটি শাশুড়ীর জন্য রাখি। আর আমাদের জন্য একটা একটা করে ভেজে নেই। এবার সকাল বেলা বউ অনেক সকালে উঠে দুটো ডিম ভেজে নেয়। আর ঐ একটা ডিমভাজা শাশুড়ীর চেয়ারের সামনে রেখে দেয়। আর নতুন করে ভাজা দুটো ডিম ফ্রিজের বাটির মধ্যে রেখে দেয়। এবার সে আবার ঘুমোতে যায়। সকাল বেলা শাশুড়ী ওঠে। তারপর বউ ও ছেলেও ওঠে। তারা সবাই খেতে আসে। শাশুড়ী বলে, "তোমাদের দু'জনের জন্য ফ্রিজে ডিম ভাজা রেখেছি, খেয়ে নাও।" বউ বলল, "ও আচ্ছা! আমি তো ভেবেছিলাম, আমরা আজ আর ডিম খাব না। তাই আপনার জন্য একটা ডিম ভেজেছি। যখন আপনি আমাদের জন্য ভেজেইছেন, তখন খেয়েই নিই।" খাওয়া শেষ হওয়ার পর সবাই রেস্ট নিতে গেল। একটু পর থেকে শাশুড়ী কেমন যেন আচরণ করতে লাগলো। কিছু একটা হলেই বলতো, "থাকব না আর এই ঘরে। যেদিক দু'চোখ যায়, সেদিকে পাড়ি জমাবো।" অবস্থা বেগতিক দেখে আত্মীয়-স্বজনরা সবাই মিলে শাশুড়ীকে পাবনায় নিয়ে মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করে দিল। আর বোকা ছেলে ভাবলো, "আমার মায়ের জন্য এটাই ভালো। আমদের সাথে থাকতে তো তার বোধহয় কষ্ট হচ্ছিল। এবার আমার বউটাও কাজ করা শিখে সোজা হয়ে যাবে। ও আমরা সবাই ভালোভাবে থাকবো।" কিন্তু ছেলে এটাই এখনো বোঝেনি যে, তার বউ আগে থেকেই অনেক কাজ পারে। এরপর থেকে সবাই সুখে-শান্তিতে বাস করতে লাগলো।