Wednesday, March 30, 2016

The Inconsonable Girl

There was a girl. She was very inconsolable. Her father went from Bangladesh to America. Before his departure, he give his daughter many apples, many guavas, many oranges, many eggs, five bag rice, two bag dal and one bag tomato. And teach how to cook. Her mother was goes to the market everyday. They have no enough money. They buy food whatever they have. There was a greedy man named Samrik. The girl's name was Frantasi. Samrik was a greedy you know, but he is not only greedy, he is very very very greedy man. He has many things, many foods, many money, but is not the good man. Now also his greedy not go. Frantasi see Samrik. Samrik say, "I am very poor. What you have to give me? And another what you have what you don't give me?" Frantasi said, "Sorry, I cannot give you. I am also a poor. I have many guavas, many apples, many eggs, five bag rice, two bag dal and one bag tomato, which my father has bought for me and my mother. But the greedy man was said, "What is your name?" "My name is Frantasi. What is your name?" He said another man's name that is, "Oh! My name is Faruk." Frantasi said, "Oh! That is very nice name." Samrik said, "Oh! But I don't have any thing. I got this name with very cost. You please give me some food you have. You take another food, what you have everything give me. I will give you another thing and do you want to take or you will find.'' Frantasi said, "Oh! Dear poor man! I am sorry. Please give me two days for think." The greedy man think, Ok, I shall get these even after two days. No problem. And said, "Ok, I will give you two days for think." The father came from America. He said to the Frantasi, "What are you thinking? I think, you have in a danger." Frantasi said, "Oh father! What you said that is the true? I am in a danger. That is, a big speaking. One poor man said, give your everything to me. I give you two days for thinking. What can I do now?" The father said, "What he look like?" Daughter said, "His body color is very dark. Why you assume to him? He is very poor man. I see very clearly with my eyes. His eyes is very small small like. I see him very sick. That is why, he don't need anything in three days. He will pass these days only by drinking water from river." The father said, "I know a man that is very greedy. He look like that poor man. I thinking, he is the greedy man. As you sow, so  you reap. Why you say that what you have? Now you give it to the greedy man. He is not a poor man. He has many thing, many foods, and many friends their help to him. Now you are very poor and he is very rich man. And  you will become very very poor man he will become very very rich man. Now Frantasi give everything to the rich man.

Moral: As you sow, so you reap. First see, what is the man? Is it really the poor man, or not.

Thursday, March 24, 2016

সুন্দর দেশের সুন্দর মেয়ে

ঐ দেশেরই সুন্দর মেয়ে
দেখতে খুবই বেশ-
গায়ের রং সুন্দর তবে
কী সুন্দর কেশ!

দেশটাও ভাল, মেয়েটাও ভাল-
দেশের বর্ণনা শোন-
এইতো বলছি এইতো বলছি
পড়ে পড়ে বোঝ।

সকাল বেলা পাখি ডাকে
জেলে বসে মাছ ধরে-
বক ওড়ে নদীর পাড়ে
সর্ষে ক্ষেত একধারে।
গাছ ভরে যায় চিলে চিলে।

নদী-পুকুর ভরে যখন,
বৃষ্টি এসে যায়।
ছাতা না নিয়ে গেলে
গা ভিজে যায়।

বৃষ্টির পরে এসে দেখবে
গাছ থেকে পড়েছে আম।
মানুষ নিয়ে গেছে আম
কি করে ধুমধাম।

কী সুন্দর দেশ-
দেখতে তো বেশ।
বোঝ না কেন তোমরা?
আষাঢ় মাসের বৃষ্টি যে
ঘটে এই ঘটনা।
এমনিতেই তো সুন্দর এটা
বসন্ত এলে কী হবে?
সর্ষে ক্ষেতে ভরে যাবে
ছবির মতন দেখতে লাগবে।
বসন্তে তো সকলে মিলে
সাজগোজ করে পড়বে-
ঐ দেশটা তো এমনি সুন্দর
তবে যে কী হবে!

মেয়েটি তখন কী করবে?
বসন্ত কালে।
সাজগোজ কিছু করতে হবে না-
এমনি তো তাকে সুন্দর লাগে।

অন্যরা শুধু বলতে থাকে
ঐ দেশ কেন এত ভাল?
আমরা যদি থাকতাম ওখানে
তবে যে কী হতো!

খুবই ভালো হতো
ওখানে থাকতেই ইচ্ছে করছে।
ওরা কি থাকতে দেবে?
বলতে হবে একটু থাকার জায়গা দাও।
তোমরা কী সুন্দর!
এত ভালো দেশটা পাও।
আমাদের একটু দিলে
তোমাদের মত মন ভরে।
কী দিয়ে ভরে,
তা তো জান, এই সুন্দর দেশ থেকে।

ছেলেমেয়েরা একধারে
লুকোচুরি খেলতে থাকে।
অনেক ছেলেমেয়েরা একসাথে
যেমন খেলা খেলে।
বাচ্চারাও কী সুন্দর
খেলতে পারে।
দেখতে খুবই সুন্দর লাগে
সে তো তোমরা জানই।
ঐ দেশের ভাল কথা
তোমরা তো শোনই।

মানুষেরা শুধু চায়
ঐ দেশেতে থাকতে।
ঐ দেশটা বড় ছিল
তাইতো আরো থাকতে চাবে।

কারণ, সেথায় জায়গা ছিল।
জায়গাটা তো তাও বড়।
সবাই বলত আমি যাব-
তুমি এবার সর।

এইতো আমাদের দেশ কত সুন্দর!
তেমন কিছু ভেবো না রে,
এই দেশে থাকে বান্দর।
কারণ এদেশে বান্দর নেই,
সবকিছু যে কত সুন্দর।

এবার মেয়েটির কথা শুরু করি।

কত সুন্দর সে তো এমনি
বিয়েবাড়ির দাওয়াতে-
সাজতে হয় না শুধু খালি
একটু কাপড় পড়ে ফেলে।

গয়না-গাটি না দিলেও-
গয়না গাটি পরার চেয়ে বেশি সুন্দর লাগে।
শুধু বলে এত দেরি কেন অন্যদের লাগে।
সবাই বলে সান্ত্বনা দেয়,
তারা তো সুন্দর নয়।
তাই তো তাদের দেরি হয়।
বোঝ না কেন তুমি?
এত অস্থির হয়ো না।
তুমিও গয়না পর।
আরো সুন্দর লাগবে তোমায়,
এইটা একটু বুঝতে পার।

Sunday, March 20, 2016

মেঘরাণীর গল্প

এক ছিল একটি বড় শহর। সেই শহরে অনেক রকম নিয়ম ছিল। বলতে পার, এমন নিয়ম কি মানুষ পালন করতে পারবে? নিয়ম হল, প্রতি বছরে আলাদা আলাদা একটি করে চাকরি নিতে হবে। এক জায়গায় সবসময় চাকরি করা যাবে না। সেইখানে থাকত একটি ছোট্ট মেয়ে। তার নাম মেঘরানী। মেঘরানী মাকে বলল, "মা! মা! এই শহরে নাকি নিয়ম আছে; কি নিয়ম, বল না মা! বল না, চুপ করে থেকো না। এটা কিন্তু বলবে না যে, এত কিছু জেনে তোমার কাজ কি?" তখন মা বলল, "কি নিয়ম বুঝতে পারছিস না এখনো। বারবার দেখছি, প্রতি বছরে আমি একটি করে চাকরির জন্য পরীক্ষা দিচ্ছি। আর তুমি তো তোমার বাবার সাথেই বেশি কথা-টথা আলাপ-টালাপ কর। বাবা কি বলতে পারবে এসব নিয়ে বেশি? বাবা তো ব্যবসা করে, তাই সে এসব বিষয়ে খেয়ালই রাখে না। সে শুধু পরীক্ষার সময় পরীক্ষার হলে আমাকে নিয়ে যায়, অন্য সময় আর কিছু করে না। তুমি এমন করো না তো। ও, নিয়মের কথা বলছ? এখনো বুঝতে পারছে না, ব্যাপারটা যে কী? নিয়ম হচ্ছে গিয়ে, প্রতি বছরে চাকরী আলাদা আলাদা করে নিতে হবে।" তখন মেঘরানী বলল, "মা, মা! এটা আবার কেমন নিয়ম গো?" এইবার মেঘরানী চিন্তায় পড়ে গেল। কারণ, প্রত্যেকটা পরীক্ষায় একটিতে পাস না করতে পারলেই সারা বছর চাকরী ছাড়াই থাকতে হবে। কম খেয়েই থাকতে হবে। শুধু বাপের ব্যবসা। তারপর মেঘরানী আরো ভাবল, আর আমি যখন বড় হব, তখন আমারও তো পরীক্ষায় পাস করতে হবে। কী যে করি! আর নিয়মটা ভাঙ্গার কোন উপায়ই তো পাই না। এবার যে কী হবে? মেঘরানী অনেক ভাবছিল। মা ডাক দিল, "মেঘরানী! ভাত খেতে আস।" তখন মেঘরানী বলল, "না, মা। এখন আমি চিন্তা করছি। একটু পরে ভাত খেলে হয় না? প্রতিদিনই তো ১২টার দিকে গোসল করে খেতে বসি। আজ একটু সাড়ে বারটায় খাই। আমাকে একটু সময় দাও ভাবার, ও মা! আর খাব না।" তখন বাবা বলল, "না, না, ছোট্ট মেঘরানী। দেখ, মা তো ভাত মাখিয়ে ফেলেছে। তোমার পছন্দের একটা জিনিস দিয়ে। টমেটোর ঝোল। তুমি খেতে খুব পছন্দ কর না? দেখ, তাও আবার বুড়া টমেটো আনিনি কিন্তু। একদম সুন্দর কচি এনেছি। সেই টমেটো তোমার নিশ্চয়ই খুব ভাল লাগবে। টমেটোর ঝোল দিয়ে মাছ রান্না হয়েছে। আজ অন্য ঝোল বা ডালের বদলে এই টমেটো মাছ আর টমেটো ভাত খাবে। খুবই স্বাদ হয়েছে। আমি খেয়েছি তো। দেখ, দেখ, মা তো মাখিয়ে ফেলেছে। নাহলে কিন্তু আবার বুড়ো টমেটোর মত স্বাদ লাগবে, খারাপ। আর একটু পরে যদি খাও, তবেই কিন্তু খারাপ। এখন যদি খেতে পার, কচির চেয়েও কচি লাগবে, খুবই ভাল। রঙ একদম টকটকে লাল, ভেতরটাও টকটকে লাল, কি সুন্দর রসালো! তুমি যদি এটা খেতে পার, তোমাকে আরো একটা রসালো টমেটো খালি খেতে দেয়া হবে।" তখন তো মেঘরানী চিন্তায় পড়ে গেল। এবার কী করব! দুটোই তো আমার প্রিয় কাজ। যাক বাবা, চিন্তা তো পরে করা যাবে। এখন খেয়ে আসি। নাহলে মা আবার খালি খালি বকবে। বকাঝকা আর ভাল্লাগে না। ওঁহো, ওঁহো। তারপর টমেটোর ভাত খেতে গেল। খাওয়া শেষ করল। এবার মাকে বলল, "মা, আরো দাও টমেটো ভাত।" তারপর আরও দিল। সেটুকু খেয়ে এবার বলল, "এবার তাহলে খালি টমেটো একটু দাও।" মা বলল, "ঠিক আছে, এই নাও টকটকে সুন্দর লাল। খেয়ে ফেল ঝটপট। চুষে খেয়ো না, ভাল লাগবে না, চিবিয়ে খাও।" তখন টমেটো খাওয়া শেষ করে মাকে বলল, "মা! আর একটা টমেটো দাও।" তখন মা বলল, "না, রাতে আবার যদি টমেটো ভাত খাও, তবেই তোমাকে আরো একটা টমেটো দেব। যাও, কি ভাববে ভাব। আমার কাজ শেষ, তোমার খাওয়ার দিকে খেয়াল রাখা। তারপর মেঘরানী গেল ভাবতে। মেঘরানী ভাবতে লাগল যে, উহ! বুদ্ধি তো পাচ্ছিই না। পেয়েছি পেয়েছি! হুররে! পেয়েছি বুদ্ধি, খুব ভাল বুদ্ধি। কী ভাল একটা বুদ্ধি পেলাম। এই শহরেই তো শুধু এই নিয়ম আছে। অন্যখানে তো এই নিয়ম নেই। অন্যখানে চলে গেলেই তো সব সমস্যা মিটে যায়, হা হা হা! মায়ের কাছে গিয়ে বলল, "মা! বুদ্ধি পেয়েছি একটা। তুমি শুধু শহরের এই চাকুরীটুকু ছেড়ে দাও। আমি একটা বুদ্ধি পেয়েছি। জান, যদি তুমি শহর থেকে চলে যেতে পার, তবে না তুমি ঐ নিয়মটা ভঙ্গ করে এক জায়গায় চাকুরী করতে পারবে। তুমি অন্য কোন একটা শহরে গিয়ে থাকলে তোমার আর কোন সমস্যা হবে না, হি হি হি।" তখন মা বলল, "বেশ ভাল বুদ্ধি তো? তবে এই চাকরিটা ছাড়ব কেন? এই চাকরিটা রেখে দেই। এই চাকরিতে থাকতেই তো ভাল লাগে। তবে চাকরিটা শেষ হয়ে গেলে আমি অন্য শহরে চলে যাব। হা, হা, হা। সোনা মেঘরানী, এজন্যই তোমার নামের শেষে রাণী আছে। আমার সোনামনি! এসব নিয়ে পরে ভাবা যাবে। এই চাকুরীটুকু অন্তত চালাই এতদিন। কিন্তু তোমার স্কুল আর তোমার বাবার ব্যবসা? এগুলোতে তো কোন সমস্যাই নেই। শহরেরই বাইরে। ওখান থেকে আসব কি করে বল?" তখন মেঘরানী বলল, "জান, আমি একটা জিনিস জানি কিন্তু? সেই জিনিসটা হচ্ছে গিয়ে রাজশাহী শহরে নাকি এমন সুন্দর একটা ভাল স্কুল আছে, যেখানে বেতনও কম এবং খুব ভাল পড়ায়। তোমার মনেই নেই। বড়দের কি মনে থাকে? আমার চাচাতো বড় বোন ঐ স্কুলে পড়েছে, অন্য কোন স্কুলেই যেতে চায়নি।" মা বলল, "বেশ ভাল তো তুমি। এজন্যই তোমাকে আমার অনেক পছন্দ। তুমি এখন আজকে শিশুপার্কে যেতে পারবে। তোমার মাথায় যে অনেক বুদ্ধি! কিন্তু বাবার ব্যবসা?" তখন মেঘরানী বলল, "হা হা হা হা হা! এতটুকু বুদ্ধিও তোমার নেই। ব্যবসার জিনিসপত্র ওখানে নিয়ে গেলে ওখানেই ব্যবসা করবে।" তখন মা বলল, "এই তো আমার মেঘরানী। কততো ভাল।" তখন মেঘরানী বলল, "কিন্তু তুমি যে কিছু বোঝ না। আমার কাছ থেকে যে শিখতে হচ্ছে।" মা বলল, "আমার শেখার কোন প্রয়োজন নেই। তুমি শিখলেই আমি শিখতে পারব তোমার কাছ থেকে। এই তো সব ঠিকঠাক হয়ে গেল।"

Friday, March 18, 2016

লটারীর বিড়ম্বনা

অদ্ভুত ঘটনা। এই গল্পটা শুনলে খুব অদ্ভুত লাগবে। তেমন অদ্ভুত নয়। এটা হচ্ছে গিয়ে শুধু লটারীর জন্যই এ ঘটনাটা হয়েছে। এক শহরে একটি মেয়ে বাস করতো। তার একটি ছোট বোন ছিল। বড় বোনের নাম রুপালী, ছোট বোনের নাম সোনালী। রূপালী পাঁচ বছর বয়স থেকেই মাকে বলে, "মা, আমি কিন্তু বড় হয়ে ডাক্তার হব।" তখন মা বলে, "তাহলে ডাক্তারের মত পড়াশোনা কর।" সে ছোটবেলা থেকে ডাক্তারের মতো অনেক পড়াশোনা করেছে, অনেক ধরনের অংক করেছে, অনেক ডাক্তারী বই পড়েছে, অনেক ধরনের পাতা-টাতা নিয়ে ওষুধ দিয়ে কি হয় না হয় সব জেনেছে। কিন্তু বড় হওয়ার পর তার বাবা বলল, "ডাক্তার হওয়ার জন্য কোন পরীক্ষায় পাস করতে হবে।" মা বলল, "ওখানে অনেকগুলো পরীক্ষা আছে। সবগুলো পরীক্ষাই দিতে হবে।" দাদা বলল, "এক নম্বর গানের শিল্পী, দুই নম্বর ডাক্তার, তিন নম্বর পাইলট, চার নম্বর ইঞ্জিনিয়ার এই কয়টা পরীক্ষাই দিতে হবে। আমি নিশ্চিত, ও ডাক্তারই হবে। কারণ, অনেক ডাক্তারের মতন পড়াশোনা করেছে। এমনকি দু'জন আত্মীয় এসেছিল, বলেছিল কিছু রোগ আছে, সেগুলোও সে পাতা দিয়ে সারিয়ে তুলতে পেরেছে।" সবার প্রথমে বড় বোন রূপালী বলল, "আমি সবার প্রথমে ডাক্তারী পড়ার পরীক্ষাটা দিতে চাই।" তখন মা বলল, "উহ! পরীক্ষা তো কত পরে। আগে ভাল করে পড়ে দেখ দেখি। তার পরে না পরীক্ষা।" তখন রূপালী বলল, "আমি তো অনেক কিছু পড়েছি, অনেক কিছু পারি। তাহলে আমার আর পড়তে হবে না।" তখন মা বলল, "অমন কথা বলতে নেই। শেষমেষ দেখা যাবে আসল জিনিসই ভুল করেছ, আর ডাক্তার হতে পারলে না। নাও, পড়তে বস। তুমি বাবাকে বলে দাও যে, কি কি পাতা আনতে হবে। তোমার বাবা অনেক রকম পাতাই আনতে পারবে। তোমার বাবা অনেক লাফালাফি এবং দৌড়াতে পারে। যত দূরেই হোক না কেন, সে পারবে। হাটতে হাটতে শুধু দেখবে, গাছের দিক তাকিয়ে শুধু দেখবে আর বোঝার চেষ্টা করবে কোন্‌টা তুমি আনতে চেয়েছ।" এবার বাবা পাতার খোঁজে গেল। কিন্তু পরীক্ষা করবে কাকে দিয়ে? নাটকের মধ্যে যে এমন লোক আছে যে প্রাণের ঝুঁকিও নিতে পারে, তেমন তো বাস্তবে কোন মানুষ নেই। যদি উল্টো ফল হয়! মা বলল, "ঠিক আছে, একটুখানি ডাক্তার হবার জন্য একটা মানুষকে মেরে ফেলার তো কোন দরকার নেই। যদি তুমি ওষুধ ভুল কর, তুমি যা জান তাই পড়। অথবা ছোটখাটো ইঁদুর-টিদুরকেও খাইয়ে পরীক্ষা করতে পার।" তখন রূপালী পড়ল। পরীক্ষার দিন এল বটে। কালই সেই পরীক্ষা। রূপালী ঘুমিয়ে পড়ল। ঘুম থেকে উঠে মাকে বলল যে, "কি সব দিয়ে পরীক্ষা হবে মা?" তখন মা বলল যে, "ওষুধ বানাতেও দিতে পারে। অথবা অন্য কিছুও দিতে পারে। হয়তো সবার সাথে একজন করে লোক থাকবে, তাকে বলতে হবে যে, এই পাতা আন, ওই পাতা আন, ঐ জিনিসটা আন, এই জিনিসটা আন। এরকম বলে দিলেই হয়তো এনে দিতে পারবে। কিন্তু আসল জিনিসটাই কিন্তু ওনাদের দিয়ে বানানো যাবে না। অন্য কিছুতে তুমি শুধু হাত গুটিয়ে বসে থাকবে। কারণ, তুমি তো ডাক্তার হতে চাও, তাই না? আবার এমন কিছু না হয় যে, তুমি ডাক্তারী একটাই ভাল করে পড়লে না। অযথা শুধু পরীক্ষা দিলে, একটাতেও হতে পারলে না- এমন যেন আবার না হয়। তারপর জলদি জলদি সে পরীক্ষা দিতে বেরিয়ে পড়ল। পরীক্ষার হল এল। মা বলেছিল যা, তাই ঠিক। রূপালী বলল, এই পাতা আন, ঐ পাতা আন। বলে দিল, তখন লোকেরা এনে দিল। পরীক্ষায় ওষুধ বানাতে দিল। এটাও পড়তে দিল যে, সবার ভাগেই একজন একজন করে অসুস্থ রোগী দেয়া হবে, তাদের অসুখ সারিয়ে তুলতে হবে। উল্টো ফল যেন না হয়। এই হল পরীক্ষা। আর যদি উল্টো ফল হয়, এজন্য আগে থেকেই তার ওষুধ (এন্টিডট) বানিয়ে রাখা হল। কারণ, অন্য ওষুধে যদি উল্টো ফল হয়, তাহলে সেই ওষুধ দিয়ে আবার সারাবে। এরপর অন্য পরীক্ষাগুলো দিল। ঐ পরীক্ষা শেষ। রেজাল্টে রূপালীর সঙ্গে একটা অদ্ভুত ঘটনা হয়ে গেল। রূপালী হয়ে গেল গানের শিল্পী। কারণ, সে লটারীতে ডাক্তারী পায়নি। সে কিন্তু গানের শিল্পী হওয়ার পরীক্ষায় হাত গুটিয়ে বসে ছিল। কি করে হলো এটা? মা লটারীতে গিয়ে সব দেখল। বাবা লটারীর সময় ছিল না। বাবা বাড়িতে ছিল। বাবার কাছে এসে সব ঘটনা বলল। বাবা তো অবাক! এটা কি হলো? কি করে হলো এটা? ডাক্তারী সবচেয়ে ভাল শিখেছে। অথচ লটারীতেই হলো না? সে গানের শিল্পী হলো? ভেবেছিলাম, সে ডাক্তার হয়ে কতই না মানুষের রোগ সারিয়ে দিতে পারবে গো! এইটা আবার কি হলো? কিন্তু এবার সোনালী বলল, "কি হলো গো? এত অদ্ভুত অদ্ভুত কি ঘটনা ঘটলো?" তখন মা-বাবা বলল, "ও সোনালী! তুই তোর বড় বোনকে নিয়ে কিচ্ছু বুঝবি না। ছোট একটা পিচ্চি মেয়ে।"- বলে বকল। আর অমনি সোনালী কান্নাকাটি শুরু করে দিল। তখন বাবা আবার কোলে নিল। বলছে, "এই মেয়ে, কাঁদে নাতো।" তখন সোনালীকে বলল, "এই মেয়ে, কাঁদে না। তুমি নাকি সবাইকে শুধু বলে বেড়াও, আমি বড় হয়েছি। আমি এখন সব কথা স্বাভাবিক বলতে পারি। দেখ, দেখ। আর এখন? এখন তো কিছুই পারছ না। এমন করে কেউ কান্না করে নাকি? আর কোলে নিতে পারব না, যাও। কান্না করছ কেন, অ্যাঁ? তুমি নাকি বড়। যাও, বড় হয়ে থাক। ছোট হয়ো না আবার। সবাই আবার ছোট বলবে। তখন তো আবার রাগ হবে ঠিকই।" শুনে বলল, "ঠিক আছে, নামিয়ে দাও। তুমি পচা।" তারপর সোনালী নামল। বলল, "আমাকে কিন্তু উত্তর দাও। কি হয়েছে রূপালীর?" তারপর মা বলল, "আবার রূপালী? রূপালী আপু।" এবার ভ্যাঁ দিয়া কাইন্দা দিছে (কেঁদে দিল)। বাবা বলল, "বলেছি না, কেঁদো না। সবাই ছোট বলবে।" তখন আবার কান্না থামল। তখন বলল, "রূপালী আপুর কি হয়েছে, বল না।" তখন মা বলল, "সব কথায় প্রশ্ন করতে নেই।" আবারো কান্না শুরু করে দিল। তখন বাবা বলল, "আবারো কাঁদে। কাঁদলে ছোট মেয়ে বলবে।" তখন বলল, "ঠিক আছে। কিন্তু একটু বল না, কি হয়েছে?" তখন বাবা বলল, "না, না। এসব জেনে তোমার কাজ নেই। তুমি বুঝবে না। যাও, তুমি তোমার কাজ কর।" তখন সোনালী বলল, "আমার আবার কি কাজ গো?" তখন বাবা বলল, "যাও, পড়ালেখা কর।" সোনালী বলল, "ঠিক আছে, যাই।" এবার রূপালী গানের শিল্পী হয়ে গেল। ছোট বোন সোনালী বলল, "আমার বড় আপু যখন গানের শিল্পী হয়েছে, আমিও গান শিখব, গানের শিল্পী হব।" তখন মাকে বলল যে, "কালকেই মার্কেটে যাব। হারমোনিয়াম, একতারা, গীটার সব কিনে আনব।" তখন মা বলে যে, "ঠিক আছে। কাল না হয় যাওয়া যাবে। এখন পড়ে ভাত খেয়ে ঘুমিয়ে পড়।" পরের দিন হল। সোনালী বলল, "মা! দাও না হারমোনিয়াম, একতারা, গীটার এসব কিনে।" তখন মা বলল, "উহ! তুমি কি রূপালীর মত বড় হয়েছ? কেবল চার-পাঁচ বছর বয়স। এখন ক্লাস কেজিতেই পড়। এখন নাকি গানের শিল্পী হবে?" মায়ের এভাবে বলাটা সোনালীর কাছে বকা মনে হল। সোনালী আবার কান্না শুরু করে দিল। বাবা আবার বলল যে, "এই মেয়ে! বলেছিলাম না, ছোট বলবে সবাই। কেঁদো না।" তখন আবার কান্না থামল। মা আবার বলল, "বোকা মেয়ে! আমি আবার বকা দিলাম নাকি?" মা বলল যে, "আরো বড় হও, তারপরে।" সোনালীও অনেক বড় হয়ে গেল। ছোটবেলা থেকেই সে গানের প্রাকটিস করেছে। আগে থেকেই গীটার, একতারা, হারমোনিয়াম সব রকমের বাজনা কিনেছে। বাঁশিও কিনেছে। কিনে সেগুলো দিয়ে অনেক গান গায়, গান শেখে। অন্যান্য বিষয় ও খুব কম শিখেছে। পরীক্ষার দিন এল। বড় একটি ব্যাগে হারমোনিয়াম, একতারা, বাঁশি গানের সবকিছু নিয়ে গেল। অনেক সুন্দর গান গাইল, যেন মনে হয় সবচেয়ে বড় শিল্পী গাইছে। রেজাল্টের সময় মাকে নিয়ে সোনালী এল রেজাল্ট দেখতে। সবার তো চক্ষু ছানাবড়া! দেখে, সোনালী ডাক্তারীতে চান্স পেয়েছে। এখন সোনালীর মনটা খারাপ হয়ে গেল। বলে, "ওমা! এটা কি হলো? চেয়েছিলাম গানের শিল্পী হতে, হয়ে গেলাম ডাক্তার। ঐ লটারীর কারণেই এমন হয়েছে। কেন যে লটারী নামক জিনিসটা এত আগে আবিস্কার হল? সব উল্টোপাল্টা হয়ে গেল এই লটারীর কারণে।"

Sunday, March 13, 2016

মহানবীর ছড়া

আমার নবী কত ভালো—
মোদের ভালোবাসেন;
এমন কেউ এখানে নেই
যাকে তিনি মারেন।

বিপদে পড়লে আসতেন,
সবার কাছে থাকতেন।
"কাউকে কখনো মেরো না"—
এটা তিনি জানতেন।

যত্ন-আদর-ভালোবাসা ভালো;
তাতে কারো মুখ হয় না কালো।

আমাদের মহানবী—
তাঁকে ভালোবাসি।
তিনিও ভালোবাসেন
সবাইকে, আমাদের।

খোকা-খুকু বইতে পড়ে,
মহানবীর কথা।
তারা চায় এতে যেন
দেয় না কেউ বাধা।

Friday, March 11, 2016

My Sumira Cat

I have a little cat. She is girl cat. Her name is Sumira. Sumira is my best and good friend cat. My sister give milk to Sumira. I give meat to Sumira. When I go to school, Sumira want to come with me. One day, I was going to school. Sumira want to come with me. Shy cry and say, "Please, take me to your school. I want to see your school, students. What I am do?" I said, "Ok! But, another time. When I come from school, then say to students to wait. Then you will see my school, students." The Sumira see. It is my cat's story.

Sunday, March 6, 2016

গরীব লোকের গল্প

এক ছিল এক গরীব লোক। তার ছিল শুধু একটি স্ত্রী আর কেউ নয়। তাদের শুধু চারটি মাত্র জিনিস আছে। ছোট্ট একটি ঘর, মনে কর একটি বিছানার সমান একটি ছোট্ট পুকুর, লুঙ্গি-গেঞ্জি, আর একটি কামিজ। কিচ্ছুই ছিল না আর। কি করবে? শুধুমাত্র এই কয়টি জিনিস আছে। এই সবগুলোই তো ওদের প্রয়োজন। পানি ছাড়া কেউ বাঁচে? তাই পুকুর। অন্য সবগুলোও তো দরকার। এখন বিক্রি কি কিছু করা যাবে নাকি? প্রয়োজনের জিনিস বিক্রি করলে তো অন্য সময় যখন প্রয়োজন পড়বে তখন কি হবে? এখন তারা চিন্তায় পড়ে গেল। স্ত্রী বলে, "এবার কি বিক্রি করব? কিছুই তো নেই।" তখন বলল, "শোন! বুদ্ধি খাটাতে হবে। ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়। ছোটবেলায় মা-বাবা থাকতে যে ধনী ছিলে, তখন তো পাঠশালায় যেতে। দু'জনেই তো কাক ও কলসীর একটি গল্প পড়েছি। ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়, এটা শিখেছ না? আল্লাহর কাছে দোয়া কর। অত চিন্তায় পড়ে যেও না। আল্লাহর ইচ্ছা। আমাদের একটু ধনী করে তুলতে চাইলে করবে, নাহলে গরীব হয়েই থাকতে হবে, নাহলে আল্লাহ যদি মারতে চায় মারবে, আল্লাহ যা চায় তাই হবে, কী করব।" তখন একদিন স্ত্রী বলল, "আহ! পেটের মধ্যে কেমন যেন গুতোগুতি করছে কি যেন।" তখন লোকটি রাজার কাছে গিয়ে বলল, "রাজামশাই! আপনার বৈদ্যবুড়িকে একটু বলবেন? অন্য কোন ডাক্তার তো আমি পাই না। আর আপনিও তো অন্য ডাক্তারদের পাচ্ছেন না। রাজবৈদ্য পেয়েছেন, এখন অন্যদের খেয়াল নেই। রাজবৈদ্য দিয়ে কাজ চালাচ্ছেন। একটু বৈদ্যবুড়িকে বলতে পারবেন? ডাকতে পারবেন এখানে? আমার স্ত্রীর পেটে কি যেন হয়েছে।" তখন রাজা দাস-দাসীদেরকে বলল, "দাস-দাসীরা, তোমরা বৈদ্যবুড়িকে ডাক। এখনই ডাক।" দাস-দাসীরা ডেকে আনল। বৈদ্যবুড়ি বলল, "আমাকে একটি খালি কক্ষে নিয়ে চলুন।" তখন রাজামশাই একটা খালি কক্ষ বের করে দিল। তখন বৈদ্যবুড়ি ঐ লোকের স্ত্রীকে নিয়ে কক্ষে ঢুকে দরজা বন্ধ করল। বৈদ্যবুড়ি চিকিৎসা করে দেখল, ওমা! এইটা যে কী সুখের খবর গো! কিন্তু এইটা আবার কি করে হলো? মহিলা টেরও পেল না? ভাবল অসুখ? এ আবার কেমন কথা? তবে সবাইকে তো জানাতে হবে আসল কথাটা। স্ত্রীকে উঠতে বললেন। বললেন, "উঠুন! এদিকে আসুন। ঐদিকে চলুন। সবার কাছে গিয়ে সবকিছু বলি।" বৈদ্যিবুড়ি সবার কাছে গিয়ে বলল, "আহ! কি সুখের খবর। এই লোকের স্ত্রী তো মা হতে চলেছে।" তখন রাজা বলল, "কী হলো আবার?" তখন বৈদ্যিবুড়ি বলল, "শুনুন রাজামশাই! এই লোকের স্ত্রীর যে বাচ্চা হবে।" সবাই মিলে এবার বলল, "আ! এ কী? বাচ্চা হবে?" তখন এ রাজ্যের রাণী বলল, "বাচ্চা হবে। তো বাচ্চাকে বের করেই তো আনতে পারতে।" তখন বলল, "ঠিক আছে।" তখন বৈদ্যবুড়ি পিছনে ঘুরে দেখল, "স্ত্রী বাচ্চার কথা শুনে বসে বসে বাচ্চার জন্য কি যেন করছে।" তখন বলল, "উহ! আপনি এসব করতে বসে গেছেন কেন? বাচ্চা হওয়ার পর তারপরে করতে পারবেন। এখন করার সময় না। এতক্ষণ বাচ্চা যদি পেটে থাকে, তবে কী হবে? বেশিক্ষণ থাকা যাবে না। চলুন আপনি কক্ষে। আস্তে আস্তে চলবেন। বাচ্চা হওয়ার পর আপনি খুব পাতলা খাবার খাবেন। এবং মিষ্টি খাবার খাবেন। যাতে বাচ্চা বুকের দুধ মিষ্টি পায়। আর যদি শক্ত খান, তবে বাচ্চা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। কতক্ষণ ধরে কিছু খাচ্ছেন না। গরীব মানুষ। তাহলে বাচ্চা হবার আগে কিছু নরম জিনিস খেয়ে নিতে হবে। কারণ, বাচ্চা হওয়ার সাথে সাথে দুধ মুখে দেয়া দরকার। আমি রাজামশাইকে বলছি খাবার দিতে। রাজামশাই! একটু পায়েস দিবেন? মানে পায়েস তো একটু বেশি শক্ত, তাহলে দুধই একটু দেন। বাচ্চা হওয়ার পর যদি দুধ না পায়, তাহলে বাচ্চার বড় রকম অসুখ হতে পারে। এখন তাহলে বাচ্চা হওয়ার পর কি করতে হবে সেগুলো আগে বলে নেই। নাহলে বাচ্চা হওয়ার পর খুশীতে সবাই মাতামাতি করবে, তখন আর এগুলো বলার সময় পাওয়া যাবে না। উল্টাপাল্টা কাজ করলে বাচ্চার ক্ষতি হবে। আপনি এখন একটু দুধ দেন।" তখন রাজা দাস-দাসীদের বলল, "এই! এক গ্লাস দুধ ঐ লোকের স্ত্রীর কাছে একটু দিন।" তারপর বৈদ্যিবুড়ি বলল, "না, ওনার কাছে দিলে উনি নিজের হাতে খেয়ে ফেলবেন। আমি ওনাকে একদিন দেখেছিলাম, কি করে পানি খায়। ঢকঢক করে খেয়ে ফেলে। ওভাবে খাওয়া যাবে না। আমার হাতে দিন। আমি আস্তে আস্তে করে এনাকে খাওয়াচ্ছি।" তখন রাজা বলল, "ঠিক আছে। দাস-দাসীরা তোমরা ঐ লোকের স্ত্রীর কাছে দিও না, বৈদ্যবুড়ির হাতে দাও।" তখন দাস-দাসীরা দুধ এনে বৈদ্যবুড়ির কাছে দিল। বৈদ্যবুড়ি এটা আস্তে করে খাইয়ে দিল। তখন কক্ষ বন্ধ করে বাচ্চা বের করল। সাথে সাথে বৈদ্যবুড়ি এটা বের করেই এসে বলল, "এখন বাচ্চা আলো সহ্য করতে পারবে না। কিছু নরম পরিস্কার কাপড় দিন আমায়।" রাজা জলদি করে পরিস্কার কাপড় দিল। তখন বাচ্চার গায়ে জড়িয়ে স্ত্রীর হাতে দিল। স্ত্রী দুধ খাওয়ালো বাচ্চাকে। আর বৈদ্যিবুড়ি বলল, "শুনুন! ৭/৮ দিনের আগে বাচ্চাকে গোসল করানো যাবে না। এতে ঠাণ্ডা লাগার ভয়। আর বাচ্চার জন্মের পর ৬ মাস শুধু মায়ের দুধই খাবে। কোন পানিরও প্রয়োজন নেই। আর বাচ্চাকে এখন বাইরে নেয়া যাবে না। গরম তাপ লাগলেও বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে। আর বাচ্চাকে আস্তে আস্তে একটু একটু করে আলো সহ্য করাবেন। খুব আস্তে আস্তে। একবারে বেশি দিলে বাচ্চার চোখেরও ক্ষতি হতে পারে। এই বললাম। সব কথা শেষ। বাচ্চাকে নিয়ে সবসময় ভাল রাখবেন। আর রাজামশাই! ওনাদের কিন্তু বাচ্চা হয়েছে। এখন আর কুড়েঘরে থাকলে চলবে না। তাতে বাচ্চার আরো কষ্ট হবে, ক্ষতি হবে। আপনি ওনাদেরকে বাচ্চার জন্য যা যা দরকার তা তা একটু দান করুন। এবার আমি আসি।"- বলে বৈদ্যিবুড়ি তার কাজে চলে গেল। তখন বাচ্চাকে নিয়ে খুব আনন্দ করল। আর রাজামশাই দাসদাসীদের সবার সাথে আলাপ করল যে, কি দান করব। তখন রানী বলল, "রাজামশাই! শোন। তুমি বরং একটি গরু দাও। বাচ্চা যাতে বেশি ভাল দুধ পায়, তাই নিজেরও হালকা মিষ্টি খেতে হবে।" তখন রাজা বলল, "ঠিক। সবার আগে একটি গরু দান করি।" তখন একটি গরু দিয়ে দিল গরীব লোককে। কিছু নরম ও পাতলা কাঁথা দিল। ছোট দুটি আরামদায়ক লিলেন কাপড় দিল। আর বাচ্চা ৬ মাসের পর তো মায়ের দুধের পাশাপাশি অন্য খাবারও খাওয়াতে হবে। তাই রাজা একটি ধানক্ষেত দিয়ে দিল। ঐ ছোট পুকুরটি রেখে একটি বড় পুকুর দিল। দাস-দাসীদের বলল, "ওদের ঘরে আরেকটু মেরামত করে ভাল বানিয়ে দাও। বাচ্চা এমন ঘরে থাকলে বড় হয়ে তার সন্তানদেরকেও এমন কষ্ট দেবে।" আর একটি আমগাছও দান করল, যাতে একটু ফলফলাদিও তো দরকার হয় শরীরে। বাচ্চা ৬ মাস পার হলে আবার অন্য জিনিস খাওয়াতে হবে তো, একটু ফল খাওয়াবে, তাই আমগাছ দিল। আর বলল, "এক বছরের আগে কোন চকলেট, ললিপপ, বিস্কুট এসব বাইরের জিনিস দেয়া যাবে না। বাচ্চার জন্য যত্ন নিতে হবে। কিন্তু বাইরের জিনিস দেয়া যাবে না। আর এক বছরের আগে কোন খেলনা-টেলনা দেয়া যাবে না। কারণ, খেলনা-টেলনায় ধুলা-ময়লা থাকে। পরিস্কার করেও দেয়া যাবে না। কারণ, ছোট বাচ্চা নরম তুলতুলে থাকে, আর খেলনা কত শক্ত। আর ছোট তো খেয়েও ফেলতে পারে। আর অন্য সব বাচ্চারা দুষ্টু না? আর গরীব লোকের বাসায় তো দৌড় দিয়ে এসে পড়তে পারে। আর এসে যদি শক্ত খেলনা ছোড়াছুড়ি করে, এটা গায়ে লাগবে না? আর বাচ্চাকে সবসময় বাইরে থেকে জিনিসও কিনে দেবে না। এতে বাচ্চারা বাইরে গেলে বেশি বেশি জিনিস কিনতে চাইবে। বাচ্চাদেরকে আদর করে বড় করতে হবে। যাতে আর বকা দেয়া না লাগে, তাই সবকিছু শিখাবে। এমন করলেই তো বাচ্চা ভাল থাকে, তাই না?" এখন রাজা একটু পরে বললেন, "আচ্ছা, আমি তিন-চার প্যাকেট মিষ্টিও দিচ্ছি। এগুলো বাচ্চা হয়েছে বলে আত্মীয়-স্বজনকে একটু একটু করে দেবে। বৈদ্যবুড়ি যা বলেছে, আমিও যা বলেছি, সব মনে থাকে যেন।"-এই বলল। তখন সবাই রাজাকে বলল, "ধন্যবাদ। আমরা আসি।"-বলে বাড়ি ফিরে দেখল, দাস-দাসীরা ঘর মেরামত করে ভাল সুন্দর ঘর বানিয়ে দিয়েছে। তখন রাজার কাছে গিয়ে আবারও একটা ধন্যবাদ দিয়ে আসল। তখন রাজামশাই বলল, "আপনারা যখন রাতে ঘুমাবেন, তখন ঘরের পাশে একটি সুন্দর বাথরুমও বানিয়ে দেবে।" তখন দাস-দাসীরা রাতের বেলায় গিয়ে একটি সুন্দর বাথরুমও তৈরি করল। ফিরে এল রাজার কাছে। উঠে দেখল কি সুন্দর একটি বাথরুম। তখন রাজার কাছে গিয়ে আবারও ধন্যবাদ দিয়ে আসল। বাচ্চা বড় করতে করতে তারা কাহিল হয়ে গেল। এবার লোকটিকে স্ত্রী দায়িত্ব দিল, প্রতিদিন দুপুর বেলা খেয়ে যে গরু রাজা দিয়েছে সেই গরুর দুধ দোওয়াবে। আর লোকটি স্ত্রীকে দায়িত্ব দিল যে, তুমি এখন থেকে দুধ খুব আস্তে করে খাবে, তাহলে বাচ্চা দুধ ভাল পাবে। আর এটাও দায়িত্ব দিলাম যে, বাচ্চাকে দেখে রাখবে। আরও দায়িত্ব দিলাম যে, তুমি রাজা ও বৈদ্যবুড়ির সব কথা মনে রেখে বাচ্চাকে সেই সেই করবে। তখন স্ত্রী রাগ হয়ে বলল, "আমি কি তোমাকে এত দায়িত্ব দিয়েছি? তুমি আমাকে এত দায়িত্ব দিচ্ছ কেন? দাড়াও, এখন আমি তোমাকে এমন একটি দায়িত্ব দেব, পারবেই না। তোমাকে আমি দায়িত্ব দিলাম, প্রতিদিন অনেক ভোরে ঘুম থেকে উঠে রাজার দেয়া ক্ষেত থেকে কিছু ধান বিক্রি করবে এবং যা টাকা পাবে সেই টাকা দিয়ে বাচ্চার এক বছর কেটে গেলে সেই টাকা দিয়ে তুমি একা মার্কেটে গিয়ে বেলুন কিনবে এবং ভাল কেক আনবে। খারাপ হলে কিন্তু আবারো পাঠাব। অনেক বড় দায়িত্ব দিলাম। মনে যদি না থাকে, তোমায় এমন মারা মারব না। মনে থাকে যেন। কাগজে লিখে টানিয়ে রাখ, যাতে মনে থাকে।" তখন লোকটি বলল, "ঠিক আছে।" তখন লিখে টানিয়ে রাখল। তখন স্ত্রী বলল, "ও! তুমি তো আমায় তিনটি দিয়েছ দায়িত্ব। আমি তো শুধু দুটি দিলাম। আরো একটি দিব।" তখন লোকটি বলল, "আর না। মেয়েদেরই তো এসব কাজ করতে হয়। ছেলেমানুষ একটু সাথে নিলেই হয়। তুমি আমাকে আর কাজ দিও না। তাহলে আমি কিন্তু তোমাকে চারটি কাজ দেব।" তখন স্ত্রী বলল, "তবে কিন্তু আমিও চারটি কাজ দেব। এমন করতে করতে কিন্তু সবারই হাজারটা দায়িত্ব হয়ে যাবে। এর চেয়ে তিনটাই ভাল। এত কম চাইলে কয়েকদিন পর দেখবে, আমি কোথায় যেন গেছি, আমার সব কাজ তোমায় করতে হবে। এর চেয়ে তিনটি কাজই কর। আর সেই দায়িত্বটা হল গিয়ে শস্য থেকে আরো কিছু বিক্রি করে সেই টাকা দিয়ে জগ কিনবে, কলস কিনবে, তারপর কলসি নিয়ে পুকুর থেকে পানি নিয়ে জগে ভরবে। তখন লোকটি বলল, "এই না না। এটা কিন্তু ভাল হচ্ছে না। তবে তুমি আরো একটা কাজ নাও। তবেই আমি এগুলো করব।" স্ত্রী বলল, "ঠিক আছে, আমি যখন যা ইচ্ছা যেভাবে ইচ্ছা করব সেটাই হল আমার চার নম্বর দায়িত্ব। এটা বুঝেছ? এবার হয়েছে?" বলে যে, "ঠিক আছে।" তখন গরীব লোকটা বাচ্চাকে বড় করে তুলতে লাগল। এই মেয়েটা হল কেন জান? কারণ, তারা আল্লাহর কাছে দোয়া করেছিল যে, তাদের যেন ভাগ্য ভাল হয়। এখন আল্লাহ এই মেয়েটিকে দিলেন, যাতে তারা সুখে থাকে। তারপর বাচ্চাটির মাথায় অনেক বুদ্ধি দিয়ে জন্ম দিয়েছেন আল্লাহ। আল্লাহ দেখলেন যে, ওরা আল্লাহ যে দিয়েছেন তার জন্য আল্লাহর কাছে কোন কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছে না। শুধু রাজাকে ধন্যবাদ দিচ্ছে। আরে বাবা, আল্লাহই তো বাচ্চা দিয়েছেন, তাই তো এই সব হয়েছে। আল্লাহ একটু রেগে গেলেন। তখন আল্লাহ চাইলেন, তাদেরকে যেন বোঝানো যায় যে, দিয়েছেন আল্লাহ, তাই আল্লাহর কাছেই কৃতজ্ঞতা জানাতে হবে। মানুষ বাচ্চা হলে সবার আগে আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা জানায়, তারপর অন্য যারা সেবা-শুশ্রূষা করেছে তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। কিন্তু এরা দেখছি আল্লাহর কথা মনেই করছে না। তখন আল্লাহ ওদের কোন সুখই চাইলেন না। এবার শয়তান এসে তাদেরকে কুমন্ত্রণা দেয়া শুরু করল। তারা বাচ্চার কথা ভুলে গেল। তারা নিজের সংসারের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। নামায এখন সব রাকাতগুলো পড়বে তা না। এখন শুধু তিন রাকাত আর চার রাকাত পড়তে শুরু করল। ওদিকে বাচ্চা অসুস্থ হয়ে পড়তে লাগল। বাচ্চাকে দুধ দেয়ার কথা মনেই থাকল না। কিছুক্ষণ পরে তার মনে হল যে, কি যেন, কি যেন; ভুলে গেছি কি যেন। তখন আল্লাহর কথা মনে পড়ল। আল্লাহর কাছে বলল যে, "আল্লাহ! তুমি আমাদেরকে মনে করিয়ে দাও।" এবার আল্লাহ খুশী হলেন। মনের মধ্যে বাচ্চার কথা ঢুকিয়ে দিলেন। তখন মনে পড়ে গেল। দৌড়িয়ে বাচ্চার ঘরে গিয়ে দুধ খাওয়ালো, আদর-যত্ন করল। তখন তাদের মনে পড়ল যে, আল্লাহই তো আমাদের বাচ্চা দিয়েছেন। আল্লাহর কাছে তো কিছুই করা হয়নি। আল্লাহকে খুশী করার জন্য এক কি করা যায়? তখন লোকটিকে বলল, "এই! একটা কাজ আছে। এটা তুমি একটু করতে পারবে? এটা মার্কেটে গিয়ে করতে হবে। এক কপি কুরআন শরীফ কিনে আন। গরুর একটু দুধ বিক্রি করে টাকা যোগাড় কর। তাহলে ভাল কোরআন শরীফ পাওয়া যাবে। তখন লোকটি দুধ বিক্রি করা টাকা দিয়ে দুই কপি কোরআন শরীফ কিনে আনল। তখন স্ত্রী এক কপি নিয়ে পড়তে শুরু করল, আর লোকটি আরেক কপি নিয়ে পড়তে লাগল। তারপর পাঁচ ওয়াক্ত নামায পুরোপুরিভাবে পড়া শুরু করে দিল। শয়তান কোরআন শরীফ পড়া দেখেই আর কাছে থাকতে পারল না। দূরে চলে গেল। তারপর তারা নামায শেষ করে তসবীহও পড়তে শুরু করল। আল্লাহ খুশী হয়ে তাদের বাচ্চার মাথায় আরো অনেক বুদ্ধি দিয়ে দিলেন। যাতে বড় হয়ে কোন বিপদ হলে বাচ্চাই তাদের বাঁচাতে পারে। এখন তারা সুখে-শান্তিতে বাস করল। বাচ্চাকেও ঠিক করে পালন করতে লাগল। প্রতিদিন কুরআন পড়ে, প্রতিদিন তসবীহ পড়ে, প্রতিদিন সব ওয়াক্ত পড়ে নামাযের। আর শুক্রবার জুমার নামায পড়ে, জুমার নামায পড়তে স্ত্রীও যায় মহিলাদের আলাদা কক্ষে। গল্প শেষ।

Tuesday, March 1, 2016

মুসলিম রাজকন্যার গল্প

এক দেশে বাস করত এক রাণী। তার একটি মাত্র মেয়ে। তার নাম রূপমালা। সে ছিল মুসলিম। রাণীর নাম রূপা। রাণী মারা যাবার আগে বলে গেল, "রূপমালা! আমি মারা যাবার পরেই রাণী হতে যেও না। তোমার রাণী হবার বয়স হয়নি। আর ভালো হয়ে থেকো।" একদিন রাজকন্যার ভালো লাগছিল না। কারণ, সেখানে শুধুমাত্র পনেরটি দাসী আছে। আর পাঁচটি দাস আছে। তাই তার অনেক কাজ করতে হচ্ছে। কারণ, দাসীগুলো অলস। একটি মাত্র দাসী একটু বিছানা ঝাড়ে, আর শুয়ে থাকে, আর খায়। আরেকটি দাসী শুধু বাথরুম ধোয়। আর বাথরুম ধোয়া তো চার-পাচদিন পরের কাজ। মাঝখানে যে কয়দিন থাকে, খায় আর ঘুমায়। আর সব দাসীই কেউ কেউ ফ্যান মোছে, কেউ কেউ কাপড় ধোয়, কেউ কেউ ঘর মোছে, কেউ কেউ ঘর ঝাড়ু দেয়, কেউ কেউ জানালা মোছে, কেউ কেউ রানীর জিনিসপত্র মোছে, কেউ কেউ রানীর সেবা করে। সবাই মিলে শুধু এই কাজগুলোই করে। তাও আবার একটি কাজ একজনে করে। রানী শুধু ছেলের রান্না করে, জগে পানি ভরে, নদী থেকে পানি আনে, নিজে নিজের ওষুধ খায়, কোথাও বেড়াতে যেতে হলে নিজে নিজের ব্যাগ গোছায়, নিজে নিজের চুল আঁচড়ায়, নিজে নিজের থালা-বাসন ধোয়, নিজেই বেড়ে খাবার খায়। এইসব কাজই তো দাসীরা করবে। উল্টে এই বেশি কাজগুলোই রানী করে। তাই রানী অনেক খোঁজ করে একটি হিন্দু দাসী পেল। রানীর সবচেয়ে অস্থির লাগত কি জান? যখনই হিন্দু দাসীকে ডাক দেয়, তখনই এসে বলে, আদেশ করুন মহারানী! যখন কোথাও গিয়ে ফিরে আসে, তখনই বলে, প্রণাম! তারপর সালাম দিলেও জবাব দেয় না। সালামের জবাবেই উল্টো আবার নমস্কার দেয়। আর রানীকে দেখলেও সবসময় শুধু নমস্কার। তারপর কোন কোন সময় রানীর চোখের সামনে প্রদীপ জ্বালায়। রানীর খুব বিরক্তি লাগে। তখনই মনে মনে ভাবে, "উহ! ওকে নিয়ে আর পারলাম না। ভালো দাসী, তাই এনেছি। আচার-আচরণগুলো না দেখে যে কেন আনলাম? এখন তো আর তাড়িয়ে দেয়াও যায় না। তেমন কোন অন্যায় যদি নাই করে, যদি তাড়িয়ে দেই, মানুষকে সে কি বলে বেড়াবে?"- এই ভাবত রানী। রানী একদিন বিরক্ত হয়ে খুবই রাগ হলো। দাসীকে ডাক দিল। বলল, "দাসী! এখন থেকে প্রদীপ জ্বালানোর দরকার নেই। আমার না চোখের সামনে আগুন ভালো লাগে না। আগুনের তাপটা চোখে লাগে। ছোট্ট একটু হলে কি? ছো্ট্ট একটুতেও চোখে তাপ লাগে। তোমার ইচ্ছা হলে দূরে গিয়ে প্রদীপ জ্বালিও। পরে চোখ নষ্ট হলে আবার সবাই তোমাকেই গালিগালাজ করবে।" তখন দাসী প্রদীপ জ্বালালো না চোখের সামনে। তখন একটু রাগটা কমলো। কিন্তু এখন তো আবার রানী চাকরী শুরু করেছে। এখন তো প্রতিদিনই আসে। প্রতিদিনই শুধু 'প্রণাম', 'প্রণাম'; 'নমস্কার', নমস্কার'- এমন করতে থাকে। তখন দাসী যাতে এসব না বলে, এজন্য কিছু একটা ভাবল রানী। ভেবে ভেবে কিছু পায় না। রানী খুঁজে পেল উপায়। দাসীকে বলল, "দাসী! শোন। তুমি আর প্রণাম বা নমস্কার কিছু বলো না। আমার তো বাচ্চাদের যেমন পড়ার চাপ, আমারও তেমনই চাকরিতে পড়ার চাপ। কারণ, ঐ স্কুলে না আবার সবাই মনে করে যে, রানী তো ভাল সব জানবে। রানীকে তো বই দেখে খাতা চেক করতে দেয়া যায় না। অতএব, না দেখেই খাতা চেক করতে হয় আমাকে। তুমি যদি সেই সময় কোন কথা বল, আমি সব ভুলে যাব।" তখন দাসী বলল, "ঠিক আছে, যা বলবেন।" তারপর থেকে আরো বিপত্তি দেখা দিল। এতদিন তো তবু শুধু মুখে প্রণাম বা নমস্কার জানাতো। আর এখন মুখে বলাটা নিষিদ্ধ হওয়াতে সে মুখে কোন শব্দ না বলে সরাসরি বাস্তবেই ইশারাতে হাতজোড় করে মাথা নুইয়ে নমস্কার জানাতে শুরু করে দিল। রানীর তো মাথায় হাত। এবার কী করবে? চাকরি দিল ছেড়ে। তারপর সেই দাসীটি আবার সব সময় অনেক বড় একটি সিদুর পড়ে ঘুরত। রানীর সেটাও সহ্য হতো না। দাসীকে দেখলেই সে দূরে সরে যেত। তখন বলত, "শোন দাসী! তুমি যদি কপালের উপর দিয়ে একটি টিকলী পড়, তবে খুবই সুন্দর দেখাবে। টিকলী পড়বে।"- এই বলল। উদ্দেশ্য, টিকলি পড়লে সিদুরটি ঢেকে যাবে। আর যে "আদেশ করুন মহারানী" বলত, এতে তেমন কিছু হতো না। এবার দাসী সব ঠিকঠাক মত করে, শুধু একটা সমস্যা। শুধু হিন্দুদের বাড়ি গিয়ে হিন্দুদের সাথে আলাপ করে। রানী ডাকলে আসেও না। কিন্তু অন্য সময় আবার বলার আগেই করে ফেলে। যেটা তেমন কিছু না, সেটাই আগে আগে করে ফেলে। যেটা অনেক দরকার, সেটাই করে না। হিন্দুদের বাড়ি ছিল দূরে। রানী বলল, "দাসী! তুমি এখন থেকে আর অত দূরে যেও না। জরুরী কাজে ডাক দিলে শুনতে পাও না তো, তাই তুমি আশে পাশে যেই মানুষদের বাড়ি আছে, সেখানে গিয়ে কথা বলো। ডাক দিলে শোনা যাবে। দূরে যেও না।" তখন দাসীটি ভাল হয়ে গেল। রানীরও কোন অসহ্য হলো না। আর রানী এখন অনেক বই পড়ে, বুদ্ধি বাড়ে, যদি কোন অসহ্যের কাজ করে, তখনই বুদ্ধির বইটা পড়ে ঐ ধরনের কিছু দিয়ে বুদ্ধি বানায় আর সেগুলো কাজে লাগায়।

শিক্ষা: রাগ না করে বুদ্ধি প্রয়োগ করে পরিস্থিতি শান্ত করাই বুদ্ধিমানের কাজ।