Monday, July 14, 2014

এক বাবুর ময়না পাখি - Myna of a Child


এক বাবুর বাসায় ছিল এক ময়না পাখি। সেই বাবুটা একদিন ময়না পাখিকে খাবার এনে দিল। সেই বাবুটা সবসময় সেই ময়না পাখির যত্ন নেয়। অন্য কিছুই করে না। লেখাপড়ার সময় ময়না পাখিকে খাবার দেয়, মা-বাবা তো লেখাপড়া করাতে পারে না। এরপরে আবার রোযার ছুটি দেবে, ছুটির আগে একটা কাগজ দেবে, কাগজে লেখা থাকবে যে, কোন সময় কি পড়তে হয়; কিন্তু সে সেই লেখাপড়ার সময়ও ময়না পাখিকে খাবার দেয়। তারপর একদিন ময়না পাখিকে খাবার দিতে পারল না। ময়না পাখি সে সময় ঘুমিয়ে পড়ল। তখনও সে লেখাপড়া করেনি। তখন শুধু আবার কার্টুন দেখতে বসেছে। টম-এন্ড জেরি দেখতে বসেছে। তার মা-বাবা বলে, "সারাদিন ময়না পাখিকে খাবার দাও। এখন একটু ময়না পাখি ঘুমিয়েছে, আর কার্টুন দেখেতে বসেছো, না?" কোনদিনও পড়ালেখা করতে বসলে না। ময়না পাখি কিন্তু আজকে আর ঘুম থেকেই সে আর উঠবে না। ময়না পাখিকে তার মা আদর করে আবার কি করল জান? আবার বেশি ঘুম আসিয়ে দিল ময়না পাখিকে। তখন ময়না পাখিও আসল না। যখন বাচ্চাটার আর কার্টুন দেখতে ভাল লাগল না, যে কার্টুন দিল সেটা দেখতে আর মজা লাগল না, তখন বলে, "মা, এখনো ময়না পাখি উঠেনি। ব্যাপারটা কি?" তার মা বলে, "তুমি কি সারাদিন এসব করবা? আমাদের কাজ করবা? তুমি অন্য কাজ কর। লেখাপড়া কর। তুমি তোমার সুন্দর সুন্দর বই পড়। সুন্দর খাতায় লেখ। এসব কাজ করার মানে কি? কার্টুন দেখবা, আর ময়না পাখিকে খাবার দেবা। যখন স্কুল ছুটি হয়ে যাবে, তখন তুমি লেখাপড়ায় পিছে চলে যাবা। অন্যরা সবাই আগে আগে লিখে ফেলবে, ছুটির সময় শেষ হয়ে যাবে, মিস যদি খাতা দেখে কিছুই লেখেনি, তখন তো তুমি লেখাপড়া শিখেতে পারবে না। যেই হোমওয়ার্ক দিছে তাই করবা, তুমি তো হোমওয়ার্ক করনি, একথা বলবে মিস। তুমি এখন একটু লিখতে বস।" তারপর তার মা জোর করে একটু পড়ালো। কিন্তু লেখাতে পারল না। একদিন তো ময়না পাখির দুই ঘন্টা ধরে ঘুম আসল। তখনো সে কার্টুন দেখতেই থাকল। কোন কিছুই না। এমন সময় কারেন্ট চলে গেল। তখন বাবুটা টিভি বন্ধ করে চলে আসল। এসে আবার খেলতে বসল। তখন তার মা বলে, "এখন আবার খেলতে বসছ? পরে আবার লেখাপড়া কিছুই শিখবে না। পরে যখন পরীক্ষা আসবে তখন তো তুমি কিছুই পারবে না। পড়তে হয়, লিখতে হয়, তুমি এখন খেলতে বসেছ? তুমি এখন খেলতে বসেছ? তোমার ময়না পাখি এখন ঘুম থেকে উঠলে সে কিন্তু কিছু খাবে না। তুমি সারাদিন শুধু ময়না পাখিকে খাওয়াও।"

Friday, July 11, 2014

সাদিয়ার অংক শেখা

এক ছিল এক বাবু। সেই বাবুর নাম ছিল সাদিয়া। সাদিয়া খুব ভাল মেয়ে। সাদিয়া রোজদিন স্কুলে যায়। সাদিয়ার একটি অংক বই আছে। অংক বইতে অনেক কিছু আছে। সাদিয়া অংক বই পড়ে। একদিন অংক বইয়ের একটি অংশ সাদিয়া বুঝতে পারল না। তারপর তার মাকে জিজ্ঞেস করে, "এটা কি?" বলে, "এটা বিয়োগ নামতা।" বলে, "তোমার এটা করার দরকার কি? বিয়োগ তো তুমি পার। তুমি যোগের ঘরে কর, গুণের ঘরে কর।" তারপর সাদিয়া গুণের ঘরেরটা করল। আসলে সে বুঝল না, এটা হোম ওয়ার্ক। বিয়োগ লিখতে হবে না, গুণের নামতাটা লিখতে হবে। সে লিখল। লিখে মাকে দিল। "মা, বইটা নাও।" বলে, "তুমি বইটা টেবিলে রাখ। আর আরেকটা ইংরেজি হোমওয়ার্কও আছে, কিছু লিখে আস।" তখন সাদিয়া লিখে ফেলল। লিখ্ কেদিন নতুন অংক বই কিনল। নতুন অঙ্ক বইতে না একটা নতুন সুন্দর মজার জিনিস। সাদিয়া সেই বইটা পড়ল। বইতে একের ঘরের যোগের নামতা আছে। একের ঘরের যোগের নামতা কিন্তু সবাই পারে। একদিন সাদিয়া একের ঘরের নামতা পড়েই ফেলল, শিখেই গেল। আরেকদিন স্কুলে গেল। স্কুলে অংকের কিছু লেখালো, আর কিছু পড়ালো। যা লিখিয়েছে তাই পড়িয়েছে। লিখিয়েছে ১ থেকে ১০০, পড়িয়েছেও তাই ১ থেকে ১০০।

Thursday, July 10, 2014

বাবু স্কুলে যেতে চায় না

এক ছিল এক বাবু। সেই বাবুটার নাম ছিল তানিয়া। সেই বাবুটা স্কুলে যেতে চায় না। তার মা-বাবা বলে, "তুমি না অংক বেশি ভাল পার। তুমি স্কুলে না গেলে তো তুমি অংক শিখতে পারবে না। আজকে তো অংক লেখাবে। অংক বইও দিয়েছি, অংকের খাতাও দিয়েছি।" বাবু বলে, "না, মা। অংক পারি তো কি হল? অংক পারলে কি সবসময় অংক পড়ালেখা করব? বাংলা, ইংরেজি কিছু শিখা লাগে না?" "সেই তো, তাহলে তো স্কুলে যেতে হবে। স্কুলে না গেলে তো বাংলা-ইংরেজীও শেখা যাবে না।" "তাতে কি হবে? বাসায় বসে পড়ালিখা করব। তার মা বলে, "তবে পরীক্ষার সময় তুমি কি করবে?" "পরীক্ষার সময় স্কুলে যাব।" বলে, "তাহলে পরীক্ষার সময় যদি স্কুলে না যেতে চাও, তাহলে কিন্তু তোমার ফুফারা এসে চকলেট আনবে, সেই চকলেট শুধু তোমার ছোট বোনটা খাবে। তাহলে তোমাকে রেখে শুধু তোমার ছোট বোন খাবে।" তবে ওর ছোট বোনের নাম ছিল মতি। সেই মতি মজা দিয়ে চকলেট খাবে তোমাকে কিছু দেব না। পরীক্ষার সময় কিন্তু স্কুলে যেতেই হবে। "ঠিক আছে মা, স্কুলে যাব। তবে যেন দুই ঘন্টা বসিয়ে না রাখে।" "ঠিক আছে, তোমাকে দেড় ঘন্টা বসাবে। তোমাকে দুই ঘন্টা বসাবে না। আর তুমি পরীক্ষার সময় ভালভাবে লিখবে, আর ছবি আঁকবে। ছবি আকার রঙ যেন বাইরে না যায়।" তারপর তার মা বলছে, "তুমি স্কুলে যেতে চাও না কেন? এখন গেলেও তো অংক শেখা যায়। স্কুলের টাইম কিন্তু শেষ হয়ে যাবে। তুমি এখন দৌড়িয়ে যাও স্কুলে।" বলে, "মা, তবে আমার ব্যাগ কি তুমি গুছিয়ে দিয়েছ?" "কেন, আমি তো গুছিয়েই দেই রোজদিন।" "ঠিক আছে মা, স্কুলে যাই।" এ বলে চলে গেল। তারপর একদিন স্কুল থেকে এসে বলে, "মা, কালকে একটু স্কুলে যাব না।" "কেন? স্কুলে যাবে না কেন? স্কুলে না গেলে তো তুমি নতুন বই পড়তে পারবে না। নতুন বইতো আরবী বই। তুমি ক্লাসে না গেলে আরবী অক্ষরের কোনটা 'ছা', কোনটা 'তা' এটা তুমি শিখবে কি করে? তুমি তো আরবী অক্ষরই জান না। তোমরা শুধু বাংলা, ইংলিশ, অংক এসব শেখ। এখন তোমরা এইসব শিখতে পারবে, তুমি যদি কালকে স্কুলে যাও।" আসলে সেই মেয়েটির ইচ্ছে ছিল তার ছোট্ট বোনের সঙ্গে খেলা। এটা ছিল তার ইচ্ছা। সেইজন্য স্কুলে যাবে না। তারপর তার মা-বাবা তার কাছে এসে বলে, "তুমি নাকি রঙ করতে পছন্দ কর। আজকে তোমাদের ড্রইং হবে। তুমি তাই বলে স্কুলে যাও।" বলে, "না, মা। আজকে স্কুলে যাব না।" বলে, "কেন?" বলে, "মা, তুমি নিশ্চয়ই স্কুলে যাওয়ার জন্য ড্রইংয়ের কথা বলছ। আসলে সত্যি সত্যি ড্রইং হবে তো।" বলে, "না, ড্রইং তো হবেই। তুমি কেন এরকম করছ?" এরপর তার বাবা-মা বুঝল যে, তার ছোট বোনের সঙ্গে খেলার জন্য এরকম স্কুলে যেতে চাচ্ছে না। তার বাবা-মা বুঝে বলল, "এখন ছোট বোনটাকে একটু ঘুম পাড়াই, হ্যাঁ।" তখন ঠিকই বাবুটা স্কুলে যেতে চাইল। তারপর স্কুলে গিয়ে দেখে, সত্যিই স্কুলে একটা গাছ আঁকতে দিয়েছে। আর পাশে একটা নৌকাও আঁকতে দিযেছে। অংক শেখে, বাংলা ছড়া লেখে, বই পড়ে, নতুন আরবী বইয়ের কোনটা কি অক্ষর সেইটাও বোঝে। বাসায় এসে দেখে, তার ছোট বোনটা ঘুম থেকে উঠে খেলছে তার ঝুনঝুনিটা নিয়ে। দৌড়িয়ে এসে ব্যাগ থেকে বই-টই বের করল, লেসন প্লানটা বের করে মাকে দিল, আরও কত কি করল। ব্যাগ গুছালো, ব্যাগ জায়গামত রাখল, বই-টইও গুছিয়ে রাখল। তারপর একদিন নাকি সেই একই কান্ড- স্কুলে যেতে চায় না। বলে, "মা, তুমি বলেছিলে না যে, দুই ঘন্টা বসাবে না। ড্রইংয়ের দিনে দুই ঘন্টা বসিয়েছে। তাই আমি স্কুলে যাব না।" "না, ড্রইংয়ের সময় তো গাছ, মাছ, টুল, নৌকা সব আঁকায়। সব আকতে দিলে তো দুই ঘন্টাই তো লাগবে ছবি আঁকতে। তবে আজ তুমি স্কুলে যাও। আজকে তো খালি লেখাপড়া, আজ আর দুই ঘন্টা তোমার বসতে হবে না। ড্রইংয়ের দিন তো অনেক সময় লাগে। তুমি অনেক শেখ, হ্যাঁ। তুমি তো কঠিন জিনিস উচ্চারণ করতে পার না। তুমি আজ স্কুলে গেলে কঠিন শব্দগুলি শিখতে পারবে।" তারপর সে স্কুলে গেল। অনেক কিছু শিখে এসে বলল, "মা, তুমি অনেকদিন টিফিনে নুডুস দাও না। কাল তো রবিবার, তুমি রবিবার আর সোমবার আমাকে নুডুস দেবে টিফিনে।" তখন তার মা-বাবা বলে, "ঠিক আছে, নুডুসই দেব। তুমি কি নুডুস খাবে? কোকোলা, নাকি সুপি নুডুস?" বলে, "মা, সুপি নুডুস ঝোল দিয়ে।" "ঠিক আছে, দিবনে ফুজি নুডুস। তবে তুমি সোমবার কি খাবে?" বলে, "সোমবার কোকোলা।" বলে, "ঠিক আছে, তাই দেবনে। তুমি সেদিন এসে বলো কি কি শিখিয়েছে।" তার পরের দিন সে এসে সব বলল।