Thursday, October 30, 2014

রামিশাকে নিয়ে অনেক ঝামেলা

এক দেশে ছিল একটা বাবু। বাবুটার নাম রামিশা মালিয়ান। বাবুকে সবাই রামিশা বলে ডাকে। একদিন রামিশা বাইরে খেলছিল। কিন্তু সেদিন সে স্কুলে যায়নি। আর তার মা-বাবাকে দরখাস্তও লিখতে দেয়নি। তার পরের দিন সকালেও সে স্কুলে যায়নি। কারণ সে স্কুলে না যাওয়ার জন্য জ্বর হওয়ার জন্য ধুলাবালির কাছে যেত আর ধুলাবালি ছানত। তাই তার জ্বর হয়েছে, সে স্কুলে যায়নি। এমনকি তার জ্বরটা ভাল হবার পরও দুইদিন স্কুল করেনি। কিন্তু তার মা-বাবা মেয়ের জ্বালায় দরখাস্তটা একটু লিখতেও পারছে না। বাপ-বা করল কি, মেয়েটিকে নিয়ে আদিলার বাড়িতে নিয়ে গেল। আদিলার বাড়িতে আদিলাকে দেখে তার মনটা একেবারে চকচক করতে লাগল। আদিলার সাথে সে খেলতে লাগল। আদিলার পুরা নাম আদিলা কারনা। তখন আদিলার সঙ্গে আবার খেলতে ছিল। এই সুযোগে তার বাবা-মা দশ মিনিটে দরখাস্তটা লিখে ফেলল। লিখে তার মায়ের ব্যাগে ঢুকালো, তার বাচ্চার ব্যাগে ঢোকালো না, কারণ বাচ্চা কালকেও স্কুলে যেতে চাইবে না, তার মা-বাবা জানত। আর তার পরের দিনই ছিল parents meeting। তার পরের দিনও রামিশাকে আদিলার বাড়িতে নিয়ে গেল। বাড়িতে আদিলাকে দিয়ে চুপ চুপ করে আদিলার বাড়ি থেকে বের হয়ে দরখাস্তটা মিসদের কাছে দিয়ে মিসদের কাছে বলল, "রামিশা স্কুলে যেতে চায় না।" তারপর মিসেরা বলল, "তাহলে রামিশাকে আর স্কুলেই পাঠাবেন না। শুধু একদিন নিয়ে আসবেন, সেদিন আমি খুব সাজুগুজু করে আসব। তখন মেয়েটি আমাকে পছন্দ করবে আমার সাজুগুজু দেখে। তারপর থেকেই সে স্কুলে আসবে। আর সেজন্য যদি সে না আসে, তাহলে তো আর স্কুল করা লাগবে না। অন্য স্কুলে ভর্তি করে দিবেন। সেখানে পড়ার চাপটা অনেক বেশি। সেখানে এর আগের ক্লাসে অনেক পড়ালিখা করতে হয়। সেখানে পড়ালেখা কিছু শেখায় না, শুধু খালি পরীক্ষা নেয়। May I coming miss, may I go to washroom, I have done my work- এগুলে াকিছু শিখিয়ে দেয় না। সব নিজে নিজেই পড়তে হয়। নিজে নিজে সে আগের ক্লাসে পড়েছিল। সেভাবে লিখবে। কিছুই শিখাবে না, শুধু স্কুল ড্রেসটা কিরকম থাকবে সেটা শুধু শিখিয়ে দেবে।" এইসব মিসেরা বলল। এরপর মাত্র একদিন নিয়ে আসল বাবুটাকে। সেদিন মিস সাজুগুজু করে আসল। আর মিস আরেকটা কথ াবলেছিল যে, এরপর সে এই ক্লাসে পড়েনি। এখন ঐ ক্লাসে গিয়ে লাড্ডু মারলে তার হাউসটা মিটবে, তখন থেকে এই স্কুলে আসবে। তখন সেই স্কুলের মিসদের বলবে, এই মেয়েটি আর এরই স্কুলে পড়বে না। বলে মিয়েটিকে এখানে আনবেন। এরেপর মিস সাজুগুজু করে আসার পর বাবুটির তবুও পছন্দ হল না। কারণ মিসটি তিনটি জিনিস ভুলে গিয়েছিল। মালা পড়তে ভুলে গিয়েছিল, কানের দুল ও সুন্দর জামা পড়তে ভুলে গিয়েছিল। শুধু কাজল, পায়ের নুপুর ও হাতের চুড়ি আর হাতে সুন্দর করে মেহেদী দিয়ে আসল। আর মাথাটা সুন্দর করে আচড়ালো। মাত্র এই তিনটি জিনিসই সে ভুলে গিয়েছিল। এখন মেয়েটির মিসকে দেখে তার পছন্দ হল না। সেজন্য সে সেই স্কুলে পড়ল না। তার মা-বাবা তাকে পড়ার চাপ বেশি সেই স্কুলে ভর্তি করল। সেই ক্লাসের পরীক্ষায় সে সবচেয়ে লাড্ডু হল। সবগুলোতে বি বি বি পেয়েছি। ৪৯ নম্বরে মাত্র ১ পেয়েছি। সবকিছুতেই ১ পেয়েছে এবং মন্তব্যে লিখেছে, বাসায় এবং তার আগের স্কুলে বেশি বেশি পড়নি কেন? এটা মন্তব্যে লিখে দিয়েছে।  আর রেজাল্টে অনেক খারাপ করেছে। তার মা তাকে অনেক বকা দিয়েছে। বলে, "কেন, এত রেজাল্ট খারাপ হয়েছে কেন, অ্যা? রেজাল্ট খারাপ হয়েছে কেন, বল। নাহলে কিন্তু তোমাকে সকাল বেলা দুধ খেতে দিব না। তুমি দুধ খেতে পছন্দ কর, তা দিব না। বল, নাহলে তোমাকে আগের স্কুলে পড়তে হবে।" মেয়েটি তবুও বলল না। তখন মেয়েটির হাউস (শখ) মিটল। ব্যাপারটা সে বুঝল। তখন থেকে সে স্কুলে যায়। এরপর আবার একটা ঘটনা ঘটে যাচ্ছিল। আবার সে স্কুলে যায় না যায় না হচ্ছিল। কিন্তু রামিশা স্কুলে যেতেই চায় না, যেতেই চায় না, যেতেই চায় না। মিস ভুলেই গিয়েছিল। কথাটা হল, ঐ স্কুলে সব বিষয়ে জিরো (০) দেয়ায় সে ভেবেছিল, এখানে আসলেও ওকে জিরো দেবে। এই ভয়ে আর আসছে না। এখন যেই মিস এ কথা বলেছিল ঐ স্কুলে যাওয়ার, সেই মিস মেয়েটির জন্য কাঁদতে লাগল। এখন বাবুটি কাঁদতে লাগল যে, এর আগের স্কুলে যেই স্কুলে ভর্তি হয়েছি সেই স্কুলে জিরো পেয়েছি কেন? কেন জিরো পেয়েছি আমি? এই ভেবে মেয়েটি অনেক কাঁদল। তারপর আবার আদিলার বাড়িতে গেল। খালি মেয়েটি আদিলার বাড়িতে যায়, ক্লাসে যায় না। তার বাবা-মা মিসদেরকে বলল যে, আমরা এইবার একটা পরীক্ষায় ওকে জোর করে আনাব, তারপর ও খারাপ করলেও ওকে এ+ দিয়ে দেবেন এবং মন্তব্যে লিখে দেবেন, ধন্যবাদ ভাল রেজাল্ট করার জন্য। এবার মেয়েটিকে জোর করে নিয়ে গেল। মেয়েটি পরীক্ষা দিল এবং রেজাল্ট কার্ডে দেখল, সব এ প্লাস, একটাও বি নেই। তখন মেয়েটি খুশী হল। তখন থেকে মেয়েটি রোজদিন স্কুলে যায়। এদিকে আদিলা কারনা জিরো পেয়ে গেল। কারণ, সে বাসায় কোন পড়ালেখা করত না। কিন্তু রামিশা রোজ রোজ পরীক্ষা খুব ভাল করে দেয়। আবার একই ঘটনা বাঁধল। আগে যা ঘটল, তা আবার যেকোন একটা উপায় দিয়ে ঠিক হয়ে গেল।

Tuesday, October 28, 2014

তালহা

এক বাড়িতে থাকত এক ছেলে। ছেলেটির নাম তালহা। তালহার একটি ছোট বোন ছিল। তালহা একদিন মায়ের কাছে বলল, "মা! আমার ছোট বোনটা কবে বড় হবে, মা?" এমন সময় তার বাবা মায়ের কাছে বলল, "জান, বাচ্চাদের একটা গুড়া গুড়া খাবার থাকে। সেই গুড়াটা পানির মধ্যে দিয়ে নাড়লে সেটা দুধের মত পাতলা হয়ে যায়। তারপর সেটা ফিডারে ভরে বাচ্চাকে খাওয়ালে বাচ্চার খুব মজা লাগে, সেটা খুব মিষ্টি। এটা খেলে বাচ্চার শরীর ভাল থাকবে, খেতে খেতে বড় হয়ে যাবে, তখন আর তালহা আমাদেরকে চেতাবে না। আমাদেরকে খালি সবসময় বলবে না যে, আমার বোনটি কবে বড় হবে। আমি সেটা এনেছি। কিন্তু ডেট এক্সপায়ার হয়ে গেলে আর খাওয়া যাবে না। ফেলে দিতে হবে। ফেলে দিয়ে আরেকটা প্যাকেট কিনে এনে সেটা খেতে হবে।" এটা বলে বাবা প্যাকেটটা দিয়ে গেল মায়ের কাছে। আর বলে গেল, "পানির মধ্যে তিন চামচ দিয়ে নাড়লেই খাওয়া যাবে। কিন্তু এক চামচ চিনি দিতে হবে।" তারপর একদিন তালহা একদিন ওর মাকে বলল, "মা, এ খাবারটা আমি ওকে খাইয়ে দেই।" তারপর তার মা বলল, "না বাবা, তুমি খাইয়ে দিতে পারবে না। তার একটা সিস্টেম আছে। এটা বেশি গরম করে খেতে হবে। কিন্তু সেটা এমন জিনিস, যেটা বেশি গরম হলে গলা পুড়ে যায় না, পেটের নাড়ি-ভুড়িও পুড়ে যায় না। এবং সেটা বেশি গরম করে খেতে হয়। নাহলে সেটির স্বাদটা মজা লাগে না। কিন্তু তুমি করলে বানাতেও তোমাকে হবে। কিন্তু তুমি এটা ওভানে দিতে পারবে না, বাবা। ওভেনে দিলে তোমার হাতটাও গরম হয়ে যেতে পারে। তুমি যদি ওটা ওভেন ছাড়ার সময় আগে ওভেনটা ছেড়ে তারপর ওটা ঢুকিয়ে দাও, তাহলে তোমার হাতটাও গরম হয়ে যেতে পারে। সেজন্য তুমি দিতে পারবে না, বাবা।" এ বলে বোনটি খেতে খেতে খেতে খেতে বড় হয়ে গেল। এবং সে ওটা খেয়ে অনেক মজা পেল। এবং বড় হয়েও সেটা খেতে চায়। এখন তার মা-বাবা তো বেকায়দায় পড়ে গেছে। এটা ছোটদের খাবার। এখন বড়রা খেলে কেমন দেখায়। এটা তো দুই বছর, এক বছর, আধা বছরের বাচ্চারা খায়। এখন ওর বয়স ৫ বছর, ছোটবেলায় খেতে মজা লেগেছে, এখন খাবে কি করে? তখন তারা চিন্তায় পড়ে গেল। তখন তার বাবা বলল, "তোমরা চিন্তায় পড়ো না। পাঁচ বছরের জন্য আরেকটা আছে ওরকম। কিন্তু সেটা দুধের মত পাতলা নয়, আইসক্রিমের ক্রিমের মত পাতলা। সেটা আঙ্গুলে ভরিয়ে ভরিয়ে চেটে চেটে খেতে হয়। সেটা ফিডারে ভরে খাওয়া যাবে না।" এটা তার বাবা বলল। তখন তার মা তো একবারে খুশী হয়ে গেল। তার মা বলল, "ঠিক আছে, তাহলে তুমি সেটা কিনে আন।" তখন তার বাবা দৌড়ে একটা পয়সা নিয়ে দোকান থেকে কিনে আনল। তখন তার মা দানাগুলো পানির মধ্যে দিল। তখন থেকে আইসক্রিমের ক্রিমের মত গলে গেল। আর সেটা বার বছর পর্যন্ত খাওয়া যাবে। বার বছরের পর থেকে এমন একটা থাকবে, যেটা দাঁত দিয়ে চিবিয়ে চিবিয়ে খেতে হয়। শুধু সবগুলোই বেশি গরম করে খেতে হবে। তখন তার মা সেটা সেই মেয়েটিকে খেতে দিল। মেয়েটি মজা করে খেতে লাগল। এদিকে তালহা কাঁদতে লাগল। "কেন যে এরা শুধু ঐটা খাওয়ায়? আর খেলতেই পারে না আমার সাথে। আমার দিকে খেয়ালই দেয় না, শুধু ঐটা খায়।"-বলে তালহা কাঁদতে কাঁদতে চোখের সব পানি শেষ করে দিল। তখন কিন্তু তালহা আর কাঁদতে পারে না। চোখের সব পানি তখনই শেষ হয়ে গেছে। তারপর তালহা কক্সবাজারে যেতে চাইল। তবুও সেই মেয়েটি বাসে চড়ে সেই খাবারটা খেতে লাগল। তালহা কক্সবাজারে গেল। তারপর তালহা একদিন চুপে চুপে হোটেল থেকে বাইরে এসে সমুদ্রের কাছে গেল। সমুদ্র থেকে একটু পানি নিয়ে চোখটা খোলা রেখে চোখটার ভিতরে সমুদ্রের পানি দিয়ে কিছুক্ষণ চোখ দুটো বুজে থাকল। তারপর খুলে কাঁদতে পারে। চোখের পানি আবার ফিরে পেল। তার পর চুপে চুপে আবার হোটেলে ফিরে এল। তারপর হোটেলের খাবার দাবার খুব মজা। কিন্তু বাচ্চাটি সেগুলো খেতে চাইল না। আসলে বাচ্চাটা ওটা খেলে ওটাই চিরদিন খেতে চাইত। তাই পাঁচ বছরের মেয়টিকে ওই মিষ্টি খাবারটাই খেতে দিল। তারপর যখন বার বছর হল, তখন তো আর সেইটা ব্যবহার করা যাচ্ছে না। তখন আরেকটা কিনে আনল, সেটা পনির ভিতরে দিতে হয় না, সেটা কোন গুড়াই না, বড় বড় দানা, পানি তে ভিজিয়ে ভিজিয়ে কুচ কুচ করে ছোট ছোট দানা করে দুধে ভিজিয়ে একটা পাউরুটির সমান বানিয়ে কামড়িয়ে কামড়িয়ে খেতে হয়। মেয়েটি খেল। এখন মেয়েটির কথাই শুধু লেখা হচ্ছে। তালহার কথা আর লেখা হচ্ছে না। মেয়েটি সুখে-শান্তিতে থাকল। আর তালহা মেয়েটির সঙ্গে খেলতে পারল। কারণ, বার বছর থেকে পনের বছর পর্যন্ত সেটি খাওয়া যায়। ১৫ বছর পর্যন্ত খেতে খেতে খাওয়ার স্বাদটিই নষ্ট হয়ে গেল। তার আর ওই খাবারটাই ভাল লগল না, সবসময় খেত বলে আর ভাল লাগে না। তাই তালহার সাথে খেলতে পারল। কিন্তু সেই মেয়েটির নামটা লিখতে পারিনি। সেটা এখন লিখছি। মেয়েটির নাম হচ্ছে আদিবা। তবে এখন গল্পটা শেষ করে ফেললাম। 

Wednesday, October 22, 2014

মিরার মন খারাপ

এক দেশে ছিল একটা বাবু। সেই বাবুটার নাম মিরা। বাবুটি রোজ রোজ শুধু ভিডিও দেখত। তার মা তাকে কিছুতেই জোর করে পড়াতে বসতে পারত না। তার মা একবারে অনেক চিন্তায় পড়ে যেত যে, সামনে ওর পরীক্ষা। কি করে যে ওকে ফার্স্ট বানাতে পারি! লেখাপড়া না করলে ফার্স্ট হবে কেমনে আমার মেয়েটা? সারাদিন ভরে শুধু ভিডিও দেখে। মনটাই কেমন লাগে বল! একদিন মিরা বলল, "মা! আমি লেখাপড়া কোনদিন করব না। তুমি একদিনও পড়াতে বসাবে না, মা। কিন্তু আমাকে পরীক্ষায় ফার্স্ট হতেই হবে।" তখন তার মা বলল, "ঠিক আছে, ফার্স্ট হতে পারলে তোমাকে পুরস্কার দিব, আর ফার্স্ট না হতে পারলে তোমাকে পুরস্কার দিব না।" তখন তার মেয়ে বলল, "তবে কি পুরস্কার দিবে, মা?" তার মা বলল, "না, সেটা বলব না। সেটা বললে তুমি এখনই চাইবে। এর চেয়ে তোমার তখনই পুরস্কারটা নেওয়া দরকার। তুমি এখন শুন না।" সেই মেয়েটি তাড়াতাড়ি গিয়ে ভিডিও দেখল। সে একটা গল্প দেখল। দেখল, ঠাকুরমার ঝুলি গল্প। একদিন এক বানর গাছের উপর বসে লাফাচ্ছিল। একদিন একটা মেয়ে এসে বানরকে বলল, "বানর ভাই, বানর ভাই, গাছে বসে আছ। আমাকে একটু ফল দিবে? তুমি নিজে বসে বসে সব ফল খেয়ে ফেল। কেন খেয়ে ফেলছ, বানর মশাই? শোন, বানরটাই শেষে হারবে।" তারপর মেয়েটি বলল, "ও বানর ভাই, একটু ফল দেবে আমাকে?" বানরটি ভাবল, ওকে এখন ফল দিলে ও রোজ ফল চাইবে আমার কাছে। সে বুদ্ধি করে ভাবল, এইবার মেয়েটি আমার খাবার খেতে চায়, না। এবার দেখাচ্ছি মজা। তার মাথার উপর একটি শক্ত ফল ফেলল। মেয়েটির মাথায় সেটি পড়ল না। সেটা গিয়ে বানরেরই এক ভাইয়ের মাথায় পড়ল। তখন সেই বানরের ভাইটি বানরকে ধরে বলল, "কি, তুই আমার মাথায় ফল ফেলেছিস কেন? তোর সঙ্গে আমি অনেক গল্প করেছি না? তুই আমার মাথায় মারছস কেন? এবার বল কি কারণে মারছস? আমি কি তোমারে কি কোন ক্ষতি করেছি?" বানরটি বলল, "সব ঘটনা পরে বলব। আসলে ওই মেয়েটিকে শায়েস্তা করছি। আমার খাবার খেতে চেয়েছে ও। তুমি যাও, বাইর থেকে ঘরে গিয়ে থাক। এবার আমাকে সেই মেয়েটিকে মারতেই হবে।" তখন সেই মেয়েটির মাথায় আরেকটি শক্ত ফল ফেলল। সেটি গিয়ে মেয়েটির মাথায় পড়ল। কিন্তু মেয়েটির মাথায় কি যেন একা পরা ছিল, সেটায় কোন কিছু পড়লে মাথায় ব্যথা পায় না। এবং মাথা ফাটেও না। সেটি পরে মেয়েটি একটুও ব্যথা পেল না। তখন বানরটি বলল, "হায়! মেয়েটিকে একটুও শায়েস্তা করতে পারছি না।" এ বলে তাড়াতাড়ি করে লাফ দিয়ে মেয়েটির মাথায় পড়ে মাথার ওটি খুলে নিয়ে গেল বাড়িতে। সেটি বানরটির বাড়িতে রেখে আসল। তারপর সে এসে এবার মেয়েটির মাথায় ফল ফেলতেই মেয়েটি দৌড়িয়ে তার বাড়িতে চলে গেল।
এই গল্পটি সেই বাবুটি দেখল। কম্পিউটারে দেখে মেয়েটি খুব খুশি হল। কিন্তু তার খুশীর মনটা খারাপ হয়ে যাবে। কারণ সে একটুও পড়ালেখা করেনি, নিশ্চয়ই সে পরীক্ষায় জিতবে না। মেয়েটি ভিডিওটি দেখে খুশীতে নাচতে নাচতে পরীক্ষার সময় হয়ে গেল। মেয়েটি নাচতে নাচতে ব্যাগ কাঁধে নিয়ে স্কুলে চলে গেল। স্কুলে গিয়ে পরীক্ষা শেষেই দেখল যে, একটুও পারেনি। এটা শুনে মেয়েটি ক্লাস থেকে বের হয়ে ক্লাসের বাইরে গিয়ে বসল। আর এ কাগজটি মিসের লেখা সব ফ্লুইড দিয়ে মুছে ফেলল। তারপর নিজে রং পেন্সিলের লাল কালি দিয়ে রাইট দিয়ে দিল সব। তারপর আবার মে আই কামিং মিস বলে আবার ক্লাসে ঢুকে পড়ল। বেঞ্চে বসে পড়ল। তারপর মিস বলল যে, "এবার সবাই খাতাটা বের করে আমার কাছে আবার জমা দাও, এবার দেখব কে কত পেয়েছ।" এটা মিস বলার সাথে সাথে তাড়াতাড়ি ফ্লুইড বের করে টিক চিহ্নগুলো মুছে ফেলতে ফেলতেই টিচার আসতে নিল। এসে দেখল যে, সে লাল কালি দিয়ে ক্রস দিচ্ছে। ওটা সে করেছিল মিস ওটা দেখে পরীক্ষার রেজাল্ট  ভাল করে দেবে সেজন্য। কিন্তু মিস এসে তাকে ধরে বলল, "এই মেয়ে, আমার টিক চিহ্নগুলো মুছেছো না, আবার ক্রস দিচ্ছ। এবার দাও। তোমার ব্যাগ থেকে সব ফ্লুইল-টুলুড আমাকে বের করে দাও, তোমার রং পেন্সিলের লাল কালিও দিয়ে দাও্।" তখন মেয়েটি মন খারাপ করে দিয়ে দিল। তবে এখন মেয়েটির ঘটনাটা হবে এই যে, মেয়েটি তার মায়ের কাছে অনেক বকা খাবে। এরপর মেয়েটি ক্লাসে কাঁদতে লাগল। মিস বলল, "এই মেয়ে, কাঁদছ কেন, অ্যাঁ? কাঁদা বন্ধ কর, নাহলে ক্লাসের বাইর কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখব। কাঁদা বন্ধ কর তাড়াতাড়ি।" তবুও মেয়েটি কান্না বন্ধ করল না। তখন মিস বলল, "ঠিক আছে, তোমাকে ক্লাসের বাইরে দাড় করিয়ে রাখব না। তুমি বরঞ্চ সামনে এসে পিটি কর। তাহলেই তোমার শাস্তিটা হয়ে যাবে।" মেয়েটি একবারে মন খারাপ করে গিয়ে পিটি করল। কিন্তু তার মনটা খুব খারাপ হবে এ গল্পে। এটাই গল্প। তারপর অনেক অনেকক্ষণ পর মেয়েটিকে যেতে দিল। তখন মেয়েটি বেঞ্চে গিয়ে মন খারাপ করে বসে থাকল। এখন মেয়েটি বাসায় গিয়ে ব্যাগটা রেখে বিছানায় গিয়ে বসল। মা এসে ব্যাগ থেকে বই-খাতা বের করে দেখল যে, তার পেন্সিল রঙের লাল কালারও নেই, তার সব ফ্লুইডও নেই। তখন তার মা বলল, "এই মেয়ে, ফ্লুড-টুলুড সব কোথায় গেছে? তুমি আমার কাছে ফ্লুইডগুলো দাও। নাহলে কিন্তু আমি তোমাকে অনেক শাস্তি দিব। ফ্লুডগুলো এনে দিতে হবে তোমাকে।  কোথায় গেছে তোমার ফ্লুড গুলো? এনে দাও সেগুলি।" তখন মেয়েটি বলল, "পরীক্ষার শিট পরে দিবে। কিন্তু লাল কালিরও খবর নেই, আর আমার ফ্লুইডেরও খবর নেই।" তখন তার মা বলল, "এই যাও, কোথায় থেকে নিয়ে এসেছো, যাও। নাহলে তোমার শাস্তিটা দিয়ে দিব। তুমি তাড়াতাড়ি বাবাকে নিয়ে কোথায় গিয়েছ সেটা দেখিয়ে দাও। নিয়ে এসো, আর নাহলে ভাত খেতে দিব না।" তারপর মেয়েটি গিয়ে তার বাবার কাছে বলল, "আমার আম্মু কি বলে তুমি একটু শুনে আস না।" তখন তার বাবা দৌড়ে তার মায়ের কাছে গিয়ে বলল, কি বলেছ তোমার মেয়েকে?" তার মা সব কথা খুলে বলল। তারপর তার বাবা তার মেযেকে নিয়ে বলল, "কোথায় রেখে এসেছো সেটি, মা? তোমার মা তোমাকে অনেক বকা দেয় কেন, বলতো একটু।" তখন বাবুটি সব কথা খুলে বলল। আর বলল যে, "সেটি আমার মিস নিয়ে গেছে।" এরপর তো সব ঘটনাই বোঝা গেল। তারপর তার বাবা দৌড়ে গিয়ে মিসের কাছে বলল, "আপনি আমার মেয়ের জিনিস নিয়েছেন কেন? আপনাকে আমি কিন্তু শাস্তি দিব। তাড়াতাড়ি বলেন, কিজন্য নিয়েছেন আর কোথায় রেখেছেন?" কিন্তু বাবুটি বলেনি যে, এটা দিয়ে খাতায় কি করেছিলাম। তখন মিস বলে দিল যে, আমার সাইন নষ্ট করেছে। তখন তার বাবা বলল, "এই দুষ্টু মেয়ে! তুমি তোমার মিসের সাইন নষ্ট করেছ কেন? এটা করতে হয় না। এটা করলে এরকমই হয়। এগুলো নিয়ে যায় মিস। এখন আবার আমার কষ্ট করে মিসের কাছ থেকে নেয়া লাগতেছে। তুমি তাড়াতাড়ি মিসকে সরি বলে ওগুলো নিয়ে আস।" তখন বাবুটি সবকিছু বলে ওর রং পেন্সিল ও লাল কালি নিয়ে এল। ফ্লুড নিয়ে এল। এরপর মেয়েটির মা বলল, কি হয়েছে অ্যাঁ! পরীক্ষার শিট কোথায়? বলে, "এই যে মা, আমার ব্যাগেই আছে। এবার গিয়েছিলাম না, তখন ওগুলোর সঙ্গে খাতাও দিয়ে দিয়েছে।" তখন মা বলল, "দুষ্টু! কি করেছ খাতায়?" তখন তার বাবা বলল, "মিসের সাইন নষ্ট করেছে।" এসব কথা বলল বাবা তার মাকে। মা শুনে খুব রাগ হয়ে গেল। মা বলল, "তুমি এই জিনিসগুলো না করলে তো তুমি ১ নম্বর পেতে। কিন্তু তুমি ঐটা করার জন্য তোমাকে এক নম্বরের বদলে জিরো (০) দিয়ে দিয়েছে। এ প্লাসও পাবে না। রেজাল্টে দেখবে, এ প্লাসের জায়গায় থাকবে বি। তুমি কেন এইগুলো করলে?" তখন মেয়েটি খুব বকা খেযে মেয়েটির মনটা অনেক অনেক অনেক খারাপ হয়ে গেল। মেয়েটি একেবারে কাঁদতে লাগল। মেয়েটি দৌড়ে গিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে তার বন্ধুদের নিয়ে মিরা খেলতে লাগল। আর বাড়ি এল না। বাড়ি এলে তার মা বকা দিবে, সেজন্য। তারপর রাত্রিবেলা তো মেয়েটির ক্ষুধা লেগেছে। মিরা ভাত না খেয়ে শুধু গাছের ফল খেল। সেটা খেয়েই মিরার রাতের খাবার মিলল। তখন মেয়েটি দেখল যে, একটি মেয়ে কাপড় শুকা দিয়েছে, কিন্তু তার পাটিটি নিতে ভুলে গেছে। তখন মেয়েটি সেই পাটিটা নিয়ে মাঠের মধ্যে ঘুমানোর জন্য উপস্থিত হল। কিন্তু এখন বালিশ কোথায় পাবে? যেতে যেতে তার পকেটে দুটি পয়সা ছিল, সেই পয়সা দিয়ে বালিশের কভার পেয়ে তুলা নিয়ে- কোথা থেকে জানি একটু তুলা পেয়েছিল, কভারের মধ্যে ভরে সেই পাটির উপরে ঘুমাতে লাগল। তার পরের দিন সেই মেয়েটি দৌড়ে দৌড়ে খুব ভোরে যখন তার বাবা-মা ঘুম থেকে ওঠে না তখন নিজের বিছানায় গিয়ে শুইল। যাবার আগে পাটিটা ভাজ করে রেখে আসল আর সেই বালিশটা গরীবদের বাসায় দিয়ে আসল। মিরা নিজ বাড়িতে গিয়ে ঘুমানোর পর মা-বাবা উঠে দেখল, মিরা এখানে ঘুমানো আছে। তখন মা-বাবা চোখ ডলে তারপর বলল, আমরা আবার স্বপ্ন দেখিনি তো যে, মিরা বাইরে গিয়ে আর আসল না? তারা কোন কিছু জানল না। কিন্তু অন্য এক বাসা থেকে একটি ছেলে দেখেছিল সেগুলো। সেই ছেলেটি তাদের বাসায় এসে বলল, "আন্টি, আন্টি!" এরকম বলে বলে সব ঘটনা বলল। এসব শুনে মা মেয়েটিকে আদর করে বলল, "তুমি এখন থেকে এরকম দুষ্টুমি আর কখনো করবে না। তবে এখন তোমাকে আম্মু বলে ডাকা হলো। তবু আমাদেরকে নিয়ে এ গল্পগুলো শেষ হল।"

Saturday, October 18, 2014

মালতী

এক দেশে ছিল একটা বাবু। তার নাম মালতী। সে খুবই ভাল একটা মেয়ে। মাকে সাহায্য করত। ভাল করে লেখাপড়া করত। বাহিরে বেড়াতে যাওয়ার জন্য চেতত না। সে মেয়েটি খুব ভাল। সে একদিন একটি বই পড়ল। বইটা পড়ে সে বুঝতে পারল না। তার মায়ের কাছে গিয়ে বলল, "মা, আমি এই লেখাটা বুঝছি না। এটার অর্থটা কি?" তার মা বলল, "না, আম্মু। এটার অর্থ তো আমিও জানি না। তুমি তোমার স্কুলে এ বইটি নিয়ে যেও। ক্লাসের মিস বলতে পারে, কিন্তু ক্লাসের মিসেরা জানলে তো তুমি কি করবে মা? এর চেয়ে তুমি ক্লাসের মিসকে আগে জিজ্ঞেস করে দেখো মা। যদি মিস বলে তাহলে তুমি বলবে।" তখন সেই বাবুটি বলল, "মা! মিস তো এগুলো পড়ায়নি। মিস মনে হয় জানেই না। মাগো, ও আমার মা। মিস জানে না, তাহলে আমি কি করে মিসের কাছ থেকে বুঝবো গো মা।" তখন তার মা বলল, না, মালতী। তা হয় না। মালতী, আমি তোমাকে কোলে নিয়ে কোথাও যেতে পারি মা। সোনার মালতী! আমি যাচ্ছি তোমাকে নিয়ে কোলে চড়ে। তখন তারা একসময় অনেক দূরে গেল। অনেক দূরে গিয়ে পৌঁছলো সেদিন। তারা সেটা বুঝতে পারল। সেই বইযের সেই অর্থটা বুঝে মেয়েটি একবারে খুশীতে নাচল। বইয়ের অর্থটি তারা কিভাবে জানল জান? তারা একদিন যাচ্ছিল। তাদের সাথে একজনের দেখা হল। মানুষটি বলে দিল। এভাবেই তারা জানতে পেরেছে। খুশীতে নাচতে নাচতে মেয়েটি একবারে মনটা অনেক ভাল হয়ে গেল।

Sunday, October 12, 2014

বাবুরা

একদিন একটা বাবু ছিল। বাবুটির নাম ছিল সুমকন্যা। সেই সুমকন্যা একদিন তার ছোট বোনকে বলে, "বন্ধু! খেলবে?" তার ছোট বোনটি বলল, "আপু! তুমি আমার কথাটা বুঝলে? আমি বলছি যে, তুমি স্কুলে যাও। তুমি তোমার স্কুলের বন্ধুর নাম বলতো একটু আমায়।" তখন সে বলল, "না, স্কুলের কথা যখন বললে, তখন আমার স্কুলে যাওয়ার কথা মনে পড়ল। আমি এখন বলতে পারব না। আমি রেডি হতে যাব স্কুলের জন্য।" তখন সে বলল, "না, বন্ধু। একটু বল না, তোমার বন্ধুর নাম কি।" "ঠিক আছে, এখন না হয় ডাক নামটি বলি। পুরো নাম না হয় পরে বলব। বন্ধুর নাম মধুসমি। এখন না হয় আমি রেডি হতে যাই। তবে বন্ধু তুমি স্কুলে যাবে না? আমি নাহয় ওয়ানে পড়ি। তুমি যে প্লেতে পড় তা মনে নেই?" তখন দুজন একসঙ্গে মিলে স্কুলে গেল। তখন তার মা ছোট বন্ধুকে নিয়ে প্লেতে ওকে দিয়ে এসে বড় বোনটাকে ভিকারুন্নেসার ওয়ানে দিয়ে আসল। তখন তারা স্কুলে পড়তে পড়তে এমন সময় প্লের একটা টিচার তার ছোট বোনকে বলল, "এই, তুমি একটু স্লিপারে উঠ না। একটু যাও, ওখানে গিয়ে একটু পড়।" ওখানে মিস বলছে, সবাই সাথে সাথে অন্য বাবুরাও পড়ছে। মিস বলছে কোলবালিশ, আর সবাই সাথে সাথে বলছে কোলবালিশ। মিস .. মানুষ, সবাই .... মানুষ। তুমি যাও, মিসের সাথে পড়, প্লিজ। শুধু স্লিপারে উঠলে পুরান/একঘেয়ে হয়ে যাবে। একটা ছোট মেয়ে তোমার জন্য স্লিপারে উঠতে পারছে না। তোমার সঙ্গে সেই মেয়েটির কাট্টি, তাই  স তোমার সঙ্গে ওখানে উঠতে পারছে না। সেই লক্ষ্মী মেয়েটা একটু উঠুক স্লিপারে। তুমি গিয়ে ওদের সাথে পড়। তখন মেয়েটা ওদের সাথে গিয়ে পড়তে বসল। এই সুযোগে মেয়েটি পটপট করে স্লিপারে উঠল। তখন ওরা এসে সে বলল যে, এখন আমি তোমাকে মধুসমির পুরা নামটা বলি। ওর পুরা নামটা হচ্ছে সীমা মনি মধুসমি। বুঝলে তো? হ্যা, বুঝেছি। এবং শোন, তার ছোট বোনটির নাম সিমালতি। এখন তো সুমকন্যার পুরো নামটা বলতে হয়। সুমকন্যার পুরা নাম হচ্ছে মধু ত্রিনমিশি চৌধুরী সুমকন্যা। আর তার ছোট বোনটির পুরো নাম হচ্ছে নিশামনি সাদিয়া আক্তার সিমালতি।

Thursday, October 2, 2014

বাবুরা মজা করে

এক দেশে ছিল এক বাবু। বাবুটা তার বন্ধুদের নিয়ে খেলতেছিল। এমন সময় তার মা-বাবা এসে দেখল যে, অনেক মজা করে বালিশ দিয়ে মারামারি খেলা খেলছে। তারা আসলে মাঠে গিয়ে খেলছিল, যাতে মা না দেখে। পাটি নিয়ে মাঠে বিছিয়ে সাথে কয়টা বালিশ নিয়ে খেলছিল। তারপর তার বাবা-মা এসে বলে, "সবাই থাম। এগুলো কি হচ্ছে? ব্যথা পাবে এই খেলাগুলো খেললে। এই খেলাগুলো খেললে ব্যথা পাওয়া যায়। তোমরা জান? এরকম খেলা খেলতেছ? খেলাগুলা খুব মজার না। একটু খেললেই ব্যথা পাওয়া যায়। তোমরা ব্যথা পেলে আমাদের কষ্ট হয়। আমরা খুব কষ্ট করে তোমাদের ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হয়। আমাদের টাকা খরচ হয়ে যায়। গাড়িতে করে যাব, আবার এখন ডাক্তারের কাছে গেলে আবার টাকা দিতে হয়। টাকা দিতে তো হয়ই, কিন্তু আগে তো ২০ টাকা ছিল, এখন দুই হাজার টাকা হয়ে গেছে। আমাদের টাকা খরচ গেলে আমরা তো তোমার জন্য অনেক খেলনা কিনে দেব সেটা ভাবছিলাম, তাহলে ডাক্তারের কাছে গেলে কত টাকা খরচ হয় না? তাতে তোমাদের খেলনা কিনতে পারলাম না, ঈদের জামাকাপড়ও কিনতে পারলাম না। তবে আমাদের এইগুলো চিন্তা করতে হবে, যদি তোমরা ব্যথা পাও খেলতে গিয়ে। তোমাদের কি দশা হবে? তোমরা ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে কাঁদবে। আর বলবে যে, আমাদের জন্য কিচ্ছু কিনে এনে দেয় না- এগুলো বলবে। তোমরা এই খেলাগুলো খেলো না তো। অন্য খেলাগুলো খেল। অন্য খেলা খেললেও কোন বিপজ্জনক খেলা খেলবে না। বেশি ব্যথা পাওয়া যায় সেগুলো তে খেলবে না।" তখন তারা রিঙ্গা রিঙ্গা রোজেস খেলতে লাগল। তখন একজন আরেকজনের হাত ধরে ঘুরতে লাগল আর বলতে লাগল, রিঙ্গা রিঙ্গা রোজেস ............ উইশ্যা ....। খেলা শেষে যখন ডাউন বলে খেলাটা শেষ করে, তখন ঠুস করে বসে পড়ে যাওয়ার ভান করতে হয়। আর পড়ে যেতে হয়। আর বসে পড়তে হয়। এরকম করে পড়ে যাওয়ার এরকম ভান করতে হয়। তারপরে একজন বসে পড়তে গিয়ে পাটির বাইরে পড়ে গেল মাঠের ঘাস-টাসের মধ্যে। আর ব্যথাও পেল। গায়ে ময়লাও ভরল। তার মা রিঙ্গা রিঙ্গা রোজেস খেলতেও মানা করেছিল। তাও ওরা খেলাটা খেলেই বেশ বিপদে পড়ল। এখন তারা সেই বন্ধুকেও সবাই একে একে বলতে লাগল, "এখন কি হবে? এখন ওকে মায়ের কাছে গিয়ে না বললে মা-বাবা চুপ চুপ করে এসে যায় নাকি। মা জানলে তো মা আবার বকা দেবে।" এই বলাবলি করতে লাগল। একসময় তাদের মা এসে পড়ল। বলল, "কি হয়েছে? ব্যথা পেল কেমনে আবার ময়লা লাগল কেমনে? বল দেখি?" সবাই চুপ করে থাকল। তখন তার মা আরো জোরে বকা দিল। বলল, "তোমরা মায়ের কাছে মিথ্যে কথা বললে তোমাদের পাপ হবে। আর তোমাদের আম্মুর কাছে তোমরা কি করেছ সেটা না বললে তোমাদের পাপ হবে। এটা করলেও তোমাদের পাপ হবে। বল, বল বলছি?" তবুও তারা বলল না। তখন বলল যে, "আস, সবাই দাড়াও্। কান ধর। ওঠ, বস। ওঠ, বস। ওঠ, বস। বারবার ওঠাবসা করতে থাক কান ধরে।" তখন বাবুরা শুধু ওঠাবসা করল। তারপর মা একটু পর বলল, "এবার থামাও। দেখেছ? এবার বল। নাহলে আরো কান ধরে ওঠাবসা করাব।" তখন তারা ঘটনাটা বলল। তখন মা বলল, "ও, এই কথা? তাহলে তোমাদেরকে আর ঘর থেকে বের হতে দেব না। তোমরা শুধু একটা রুমেই থাকবে। তোমরা বারান্দায় সব কাজ করবে। বাথরুম করতে হলে শুধু আসবে। বাথরুম ছাড়া অন্য কোন কাজে আর আসবে না। সব কাজ বারান্দায় করবে। আর যখন মাঠে খেলতে যেতে ইচ্ছা করবে অনেক বেশি, তখন আমাকে বলবে। তখন তোমরা খেলতে যাবে, ক্নিতু আমি সাথে থাকব। তখন আমিও দেখব, তোমরা কি কর। ঠিক আছে? এখন যাও বারান্দায়।" এরপর তারা বারান্দায় গিয়ে কাঁদতে লাগল। এবং তাদের মধ্যে থেকে একটি মেয়ে ছিল। মেয়েটি ছিল খুবই দুষ্ট। লেখাপড়ায়ও ভাল না। ক্লাসে গোল্লা পায়। সেই মেয়েটি বলল, "এই শোন, কাঁদলে হবে না। তবে আমার কথা মনোযোগ দাও তাড়াতাড়ি। তোমরা আম্মুর কাছে গিয়ে বলবে, "মা, বাথরুম করব। এ বলে বাথরুমের নাম দিয়ে খেলতে যাবে। আর রিঙ্গা রিঙ্গা রোজেস খেলবে।" তখন তারা বলল, "আমরা রিঙ্গা রিঙ্গা রোজেস খেলব না। কারণ, কোন ঘটনা ঘটে গেলে আমাদের আম্মু যে কি করবে! কোন ঘটনা বা বিপদও তো হতে পারে। এখন যদি কেউ ব্যথা পায়, তাহলে তো আমাদের আম্মু আমাদের আরও অনেক শাস্তি দেবে। আমরা আর এই রিঙ্গা রিঙ্গা রোজেস খেলব না। আমরা বাথরুমে যাওয়ার নাম দিয়ে চুপ চুপ করে খেলনা নিয়ে এসে এখানে খেলব। তারপর মা যখন মার্কেটে যাবে তখন আমরা খেলনাগুলো আবার রেখে যাব। মার্কেটে বেশি সময় থাকলে মাঠে গিয়ে খেলব। দৌড়াদৌড়ি করব। কিন্তু দোয়া করব যে, যেন কোন অঘটন না ঘটে। যেন কোন ব্যথা-ট্যাথা না পাই। এটা দোয়া করব আর ইনশাআল্লাহ বলব। তাহলে কোন বিপদ হবে না। তখন আমরা বাসায় এসে পড়ব। যখন দেখব যে, মা রিকশায় চড়ে আসছে। ঠিক আছে? এই কথাগুলো যেন মনে থাকে।" তখন সেই মেয়েটির মত সবাই কাজ করল। তারপর আর সেই তারা কি করল জান? তারা মনের সুখে খেলল। ক্নিতু তাদের মা যখন দেখল, তখন তারা দেখল না যে, তাদের মা আসল। কিন্তু মা ঠিকই দেখল যে, ওরা খেলছে। তারপর মা ভাবল যে, এবার ওদেরকে সবসময় শুধু কান ধরে ওঠাবসা করাতে হবে। ওদেরকে পাঁচদিন ধরে শুধু কান ধরে ওঠাবসা করতেই হবে, ঘুমানো যাবে না। এটা তার মা ভাবল। এখন বাবুরা বাসায় এসে দেখল, মা এসে গেছে। মা যেগুলো চিন্তা করছিল, সেগুলো বলল। তখন তারা তো কান ধরে ওঠাবসা করতে করতে হাত ব্যথা হয়ে গেল। তবুও তারা করল। তখন তারা পাঁচদিন হয়ে গেল, তখন তারা কান ধরে ওঠাবসা করা থামাল। থামানোর সাথে সাথেই ঘুমাতে গেল। তখন তার মা বলে, "এই বোকা, এখন আবার ঘুমাতে এলে কেন? দিন হয়ে গেছে না।" "না, মা, রাতে ঘুমাইনি। ৫দিন শুধু না ঘুমিয়ে কানধরে ওঠাবাসা করেছি। এখন ৫ দিন শুধু ঘুমাবো।" তখন তারা ঘুমাতে গেল। ঘুম থেকে উঠে তারা আর কোনদিন মায়ের কথা অমান্য করে না। মায়ের কথা তখন থেকে তারা মান্য করত। তার পর থেকে তাদের আর শাস্তি পেতে হয়নি। এবার তুমি পাবলিশ দাও।