Thursday, October 30, 2014

রামিশাকে নিয়ে অনেক ঝামেলা

এক দেশে ছিল একটা বাবু। বাবুটার নাম রামিশা মালিয়ান। বাবুকে সবাই রামিশা বলে ডাকে। একদিন রামিশা বাইরে খেলছিল। কিন্তু সেদিন সে স্কুলে যায়নি। আর তার মা-বাবাকে দরখাস্তও লিখতে দেয়নি। তার পরের দিন সকালেও সে স্কুলে যায়নি। কারণ সে স্কুলে না যাওয়ার জন্য জ্বর হওয়ার জন্য ধুলাবালির কাছে যেত আর ধুলাবালি ছানত। তাই তার জ্বর হয়েছে, সে স্কুলে যায়নি। এমনকি তার জ্বরটা ভাল হবার পরও দুইদিন স্কুল করেনি। কিন্তু তার মা-বাবা মেয়ের জ্বালায় দরখাস্তটা একটু লিখতেও পারছে না। বাপ-বা করল কি, মেয়েটিকে নিয়ে আদিলার বাড়িতে নিয়ে গেল। আদিলার বাড়িতে আদিলাকে দেখে তার মনটা একেবারে চকচক করতে লাগল। আদিলার সাথে সে খেলতে লাগল। আদিলার পুরা নাম আদিলা কারনা। তখন আদিলার সঙ্গে আবার খেলতে ছিল। এই সুযোগে তার বাবা-মা দশ মিনিটে দরখাস্তটা লিখে ফেলল। লিখে তার মায়ের ব্যাগে ঢুকালো, তার বাচ্চার ব্যাগে ঢোকালো না, কারণ বাচ্চা কালকেও স্কুলে যেতে চাইবে না, তার মা-বাবা জানত। আর তার পরের দিনই ছিল parents meeting। তার পরের দিনও রামিশাকে আদিলার বাড়িতে নিয়ে গেল। বাড়িতে আদিলাকে দিয়ে চুপ চুপ করে আদিলার বাড়ি থেকে বের হয়ে দরখাস্তটা মিসদের কাছে দিয়ে মিসদের কাছে বলল, "রামিশা স্কুলে যেতে চায় না।" তারপর মিসেরা বলল, "তাহলে রামিশাকে আর স্কুলেই পাঠাবেন না। শুধু একদিন নিয়ে আসবেন, সেদিন আমি খুব সাজুগুজু করে আসব। তখন মেয়েটি আমাকে পছন্দ করবে আমার সাজুগুজু দেখে। তারপর থেকেই সে স্কুলে আসবে। আর সেজন্য যদি সে না আসে, তাহলে তো আর স্কুল করা লাগবে না। অন্য স্কুলে ভর্তি করে দিবেন। সেখানে পড়ার চাপটা অনেক বেশি। সেখানে এর আগের ক্লাসে অনেক পড়ালিখা করতে হয়। সেখানে পড়ালেখা কিছু শেখায় না, শুধু খালি পরীক্ষা নেয়। May I coming miss, may I go to washroom, I have done my work- এগুলে াকিছু শিখিয়ে দেয় না। সব নিজে নিজেই পড়তে হয়। নিজে নিজে সে আগের ক্লাসে পড়েছিল। সেভাবে লিখবে। কিছুই শিখাবে না, শুধু স্কুল ড্রেসটা কিরকম থাকবে সেটা শুধু শিখিয়ে দেবে।" এইসব মিসেরা বলল। এরপর মাত্র একদিন নিয়ে আসল বাবুটাকে। সেদিন মিস সাজুগুজু করে আসল। আর মিস আরেকটা কথ াবলেছিল যে, এরপর সে এই ক্লাসে পড়েনি। এখন ঐ ক্লাসে গিয়ে লাড্ডু মারলে তার হাউসটা মিটবে, তখন থেকে এই স্কুলে আসবে। তখন সেই স্কুলের মিসদের বলবে, এই মেয়েটি আর এরই স্কুলে পড়বে না। বলে মিয়েটিকে এখানে আনবেন। এরেপর মিস সাজুগুজু করে আসার পর বাবুটির তবুও পছন্দ হল না। কারণ মিসটি তিনটি জিনিস ভুলে গিয়েছিল। মালা পড়তে ভুলে গিয়েছিল, কানের দুল ও সুন্দর জামা পড়তে ভুলে গিয়েছিল। শুধু কাজল, পায়ের নুপুর ও হাতের চুড়ি আর হাতে সুন্দর করে মেহেদী দিয়ে আসল। আর মাথাটা সুন্দর করে আচড়ালো। মাত্র এই তিনটি জিনিসই সে ভুলে গিয়েছিল। এখন মেয়েটির মিসকে দেখে তার পছন্দ হল না। সেজন্য সে সেই স্কুলে পড়ল না। তার মা-বাবা তাকে পড়ার চাপ বেশি সেই স্কুলে ভর্তি করল। সেই ক্লাসের পরীক্ষায় সে সবচেয়ে লাড্ডু হল। সবগুলোতে বি বি বি পেয়েছি। ৪৯ নম্বরে মাত্র ১ পেয়েছি। সবকিছুতেই ১ পেয়েছে এবং মন্তব্যে লিখেছে, বাসায় এবং তার আগের স্কুলে বেশি বেশি পড়নি কেন? এটা মন্তব্যে লিখে দিয়েছে।  আর রেজাল্টে অনেক খারাপ করেছে। তার মা তাকে অনেক বকা দিয়েছে। বলে, "কেন, এত রেজাল্ট খারাপ হয়েছে কেন, অ্যা? রেজাল্ট খারাপ হয়েছে কেন, বল। নাহলে কিন্তু তোমাকে সকাল বেলা দুধ খেতে দিব না। তুমি দুধ খেতে পছন্দ কর, তা দিব না। বল, নাহলে তোমাকে আগের স্কুলে পড়তে হবে।" মেয়েটি তবুও বলল না। তখন মেয়েটির হাউস (শখ) মিটল। ব্যাপারটা সে বুঝল। তখন থেকে সে স্কুলে যায়। এরপর আবার একটা ঘটনা ঘটে যাচ্ছিল। আবার সে স্কুলে যায় না যায় না হচ্ছিল। কিন্তু রামিশা স্কুলে যেতেই চায় না, যেতেই চায় না, যেতেই চায় না। মিস ভুলেই গিয়েছিল। কথাটা হল, ঐ স্কুলে সব বিষয়ে জিরো (০) দেয়ায় সে ভেবেছিল, এখানে আসলেও ওকে জিরো দেবে। এই ভয়ে আর আসছে না। এখন যেই মিস এ কথা বলেছিল ঐ স্কুলে যাওয়ার, সেই মিস মেয়েটির জন্য কাঁদতে লাগল। এখন বাবুটি কাঁদতে লাগল যে, এর আগের স্কুলে যেই স্কুলে ভর্তি হয়েছি সেই স্কুলে জিরো পেয়েছি কেন? কেন জিরো পেয়েছি আমি? এই ভেবে মেয়েটি অনেক কাঁদল। তারপর আবার আদিলার বাড়িতে গেল। খালি মেয়েটি আদিলার বাড়িতে যায়, ক্লাসে যায় না। তার বাবা-মা মিসদেরকে বলল যে, আমরা এইবার একটা পরীক্ষায় ওকে জোর করে আনাব, তারপর ও খারাপ করলেও ওকে এ+ দিয়ে দেবেন এবং মন্তব্যে লিখে দেবেন, ধন্যবাদ ভাল রেজাল্ট করার জন্য। এবার মেয়েটিকে জোর করে নিয়ে গেল। মেয়েটি পরীক্ষা দিল এবং রেজাল্ট কার্ডে দেখল, সব এ প্লাস, একটাও বি নেই। তখন মেয়েটি খুশী হল। তখন থেকে মেয়েটি রোজদিন স্কুলে যায়। এদিকে আদিলা কারনা জিরো পেয়ে গেল। কারণ, সে বাসায় কোন পড়ালেখা করত না। কিন্তু রামিশা রোজ রোজ পরীক্ষা খুব ভাল করে দেয়। আবার একই ঘটনা বাঁধল। আগে যা ঘটল, তা আবার যেকোন একটা উপায় দিয়ে ঠিক হয়ে গেল।

No comments:

Post a Comment