Saturday, August 16, 2014

আমার নতুন রাজা

এক দেশে ছিল এক রাজা। রাজা শুধু মন্ত্রীর সঙ্গে কথাবার্তা বলত। একদিন অন্য এক দেশ থেকে এক রাজা বলে যে, আমি ঐ দেশের রাজা হব। ঐ দেশে বেশির ভাগ মানুষ, এই দেশে কম ভাগ মানুষ। আর আমাদের এইখানে যত মানুষ আছে, তাদেরকে নিয়ে যাব। ওদেশে পাঠিয়ে দেব। তারপর ওদেশের রাজা হব। আবার জান, ঐ দেশ নাকি আর ওদের বন্ধু, কিন্তু ওদেরকে রাজা হতে দেয় না। এখন সেই রাজা এতিম মানুষদেরকে এনে জমা করল। বেশি কম মানুষই হল, কিন্তু যতটুকু মানুষ সেই আসল রাজার কিছু ছিল তার থেকে একটু কম মানুষ পেল। এগুলো এক জায়গায় জড়ো করে রাখল এবং সবাইকে একটি করে পাউরুটি খেতে দিল। তাদেরকে বলল, "তোমরা আমাদের রাজ্যে থাক। আর আমি তোমাদের রাজ্যে থাকি। আমি তোমাদের জন্য অনেক প্রজা রেডি করেছি। আর আমার প্রজারাও তোমাদের দেশে থাকবে। আর আমি তোমার জন্য অনেক প্রজা রেডি করেছি, তাদেরকে তুমি বেশি বেশি আদর করবে এবং বেশি বেশি খাবার দেবে। সেই প্রজারা একটু ক্ষুধার্ত এবং একটু তাদের মনে দু:খ আছে। কারণ, তাদের যদি একটুও মানুষের বাবা-মা না থাকে, তাহলে ওদের মনে একটু দু:খ হয়। এজন্য ওদেরকে বেশি আদর করবে এবং বেশি করে খাওয়াবে। আর আমার কথা শুন। আমি তোমার প্রজাদের নেব আর আমার প্রজাদের সাথে মিল করব। তারপর ওদের সাথে আমি অনেক চেচামেচি করে বন্ধুত্ব করব। তারপর ওরা একসঙ্গে হবে। তারপর আমি তোমার রাজ্যে গিয়ে ওদেরকে বসাব। আর এই মানুষগুলোকে তুমি আমাদের রাজ্যে গিয়ে এদেরকে প্রজা বানিয়ে থাকবে। কিন্তু আমি কোনদিন চুরি করব না। প্লিজ, আমার কথাটা শুনুন। এই কথা আপনি শুনলে আমাদেরকে যদি এরকম করতে দিলে তাহলে আমিই খুব খুশি হব। আমি আপনাকে কিছু দেব। আর দেব কি জান, দেব রানীর জন্য একটু গয়ণা আর তোমার জন্য একটু খাবার জন্য দুধ। বুঝছ, এগুলো দেব।" এখন রাজা তো দুধ খাওয়ার জন্য অনেক আনন্দ। বলল, "কিন্তু আমার প্রজা যেন খুব কম না হয়। একটা দুই টা না হয়। দুইটার বেশি দিতে হবে আমাকে।" কিন্তু সেই রাজা পঞ্চাশটা প্রজা রেডি করে দিল। "এই নাও, এই নাও, তোমার প্রজা। এখন তুমি যাও। কালকে আমি বলেছিলাম তোমাকে। এখন এসে তুমি বদলাবদলি কর।" তারপর সেই রাজা সবকিছু দেখল। কিন্তু তার মুকুটটা পাল্টালো না। মুকুটটা নিয়ে গেল। খুশি হয়ে রাজাকে এক গ্লাস দুধ দিল আর একটু গয়না দিল। বলল, "এই গয়নাটুকু রানিমাকে দিবে এবং এই দুধটুকু খাবে। দেখবে, কত মজা।" তখন রাজা ভাবল যে, "আমি ভাবছিলাম এক জগ দেবে, এখন দেখি এক গ্লাস দিল। তাহলে তো আধাআধি খেতে হবে, আমার বউকে তো একটু ধেয়া লাগবে।" তখন নিজে পুরো টা খেল এবং শেষ একটু রাখল। সেটুকু তার বউকে দিল। তারপর রাণীকে গিয়ে বলল, "এই নাও, তোমার জন্য এই গয়না দিয়েছে। আর আমার জন্য একটু দুধ দিয়েছে। ভেবেছিলাম, এক জগ দিবে। কিন্তু দেখলে তো, আমি কত ভাল। তোমার জন্য শেষে একটু রেখে দিলাম গো!" তারপর রাণী খেয়ে নিল। বলল যে, "আসলেই। কিন্তু এখন চল। আর বেশি দেরি করো না। চল, এখন যাই। সেই রাজার রাজ্যে। আর ওই প্রজাদের নিয়ে।" তারপর তারা গেল। তারপর সেই প্রজাদের নিয়ে রাজপ্রাসাদে ঢুকল। ঢুকে দেখল যে, রাজপ্রাসাদের মেঝেটা একটু নোংরা নোংরা। তারপর সে পরিষ্কার করে সে রাজ্যে থাকল। এখন সেই এতিম ছেলেদেরকে তো খাবার দিতে হবে বেশি বেশি। তার বউ মিষ্টি আনে, তারপর মন্ত্রী পিঠা নিয়ে আসে। রাজা ভাত আনে। আরেকজন ডিমের কুসুম আনে। আরেকজন মাছ আনে। আরেকজন মুরগী আনে। মুরগী কুটে মুরগীর গোস্ত দেয়। তারা খুব মজা করে খায়। আর তাদেরকে রাজারা খুব আদর করে। আর একটা ছোট্ট এতিম মেয়েকে খুব আদর করে, খুব ভালমত খাওয়ায়, ডিম পোছ দেয়, মেয়েটি খুব মজা করে খায়। আর অন্য ছেলেমেয়েরা খুব মজা করে নাচে, আর একজন কলা নিয়ে আসে, বাচ্চারা সবাই কলা খায়। ওরা সবাই তরমুজ পছন্দ করে। তরমুজের মাসে বেশি বেশি তরমুজ দেয়। তারপর আরো কত আদর করে। আর ঐদিকে আরেক রাজা অনেক প্রজাদের নিয়ে সুখে থাকল। একদিন হল কি জান, সবাই মিলে খাবার  চাইল। সবাই একসঙ্গে খাবার খাবে। সব প্রজারা খাবার চাইল। তখন সে বলল যে, "প্রজারা শুনুন। এত খাবার আমি খুজে পাই না। সবাইকে আমি একটা করে ফল দেব। খাবে। এই ফলগুলোতে হবে?" বলল, "হ্যাঁ, হ্যাঁ, মহারাজ। আপনি যে জিনিস দেন, আমি সেই জিনিস খেয়েই চলে যাব। একটা জিনিস আমি খাবই। খেলে আমার বুদ্ধি বাড়বে। এবং খেলে আমরা ভাল করে সবকিছু শিখতে পারব এবং আমরা যখন আরেকটু বড় হব তখন যদি আপনি আমাদেরকে একদিন পচা মনে করে অন্য জায়গায় যান তাহলেও আমরা রাজা হব, আমাদের মধ্য থেকে একজন রাজা হবে, সে আমাদেরকে সবকিছু করে দেবে, বুঝছ?" তারপর হল কি জান? তারপর তারা কিছু ফল খেল। তার পর বলল যে, "মহারাজ, ফল তো পেলাম। কিন্তু একটু মিষ্টির দানা যে খেতে ইচ্ছে করল।" বলল, "ওই আমার ফ্রিজে মিষ্টি আছে।" সকল প্রজারা সেই ফ্রিজ খুলে মনের সুখে মিষ্টি খেল। আর ওদিকে সেই ছেলেরা সুখে থাকল। এবং সবাই খুশীতে থাকল এবং ভালমত জীভন কাটালো। এবং খুশীই থাকল। এবং তারা অনেক শান্তি পেল এবং ওরা মিলেমিশে একদিন একটা জায়গা বানালো এবং সেখানে উঠে ওরা একজন একজন দুজনে মিলে গল্প করত এবং সবাই সেখানে বসে কথা বলতে পারত এবং সেখানে বসে চিনেবাদাম খেত।

No comments:

Post a Comment