Thursday, September 25, 2014

লক্ষ্মী বাবু

একটা বাড়িতে থাকত একটা সুন্দর বাবু। বাবুটা খুব লক্ষ্মী। বাবুটার নাম মুনিবা। মুনিবা উদয়ন স্কুলে পড়ত। ও কেজি শ্রেণিতে পড়ে। ও ইংলিশ ভার্সনে টিউলিপে পড়ে। তার বন্ধু সুবাহ। এটা হল আরবী নাম। সেই সুবাহ পরীক্ষায় ফার্স্ট হয়েছিল। আজকাল অংকের পরীক্ষা নিচ্ছে। সামনে বার্ষিক পরীক্ষা দেখে। তারা খুব ভাল পড়াশুনা করছে। একদিন পড়াশুনা করতে গিয়ে ওদের কঠিন একটা জিনিস লিখতে দিল। স্কুল বানান লিখতে দিল। তারপর স্কুল বানান খুব কঠিন তো, বাবুরা লিখতে পারল না। কিন্তু সুবাহ ও মুনিবা বাসায় বেশি পড়ালেখা করত দেখে তারা লিখতে পারল। কিন্তু যখন জঘৈষ্ঠ লিখতে দিল, কিন্তু এটা কেউ পারল না। মুনিবাও পারল না। কিন্তু সুবাহ পারল। আর হল গিয়ে সোহানা পারল। মুনিবার রোল হল ৪০। আর সুবাহর রোল হল ২৭। আর সোহানার রোল ২০। সুবাহ পেরেছিল শুধু। জঘৈষ্ঠ বানানটা সুবাহই খুব ভাল করে লিখতে পেরেছে। হাতের লেখাও খুব সুন্দর হয়েছে। তারপর আরেকটা জিনিস মিস বলল যে, মুনমতশিষ। তবে এটা সবাই লিখতে পারল। এই শব্দটা সবাই লিখতে পারল যখন, তখন মিস বুঝল, এই শব্দটা লিখলে সবাই পরীক্ষায় ফার্স্ট হবে। তখন মিস বলল, শোন! পরীক্ষায় তোমাদের এই শব্দগুলো আসবে না। কারণ, আমি জানি, এই শব্দগুলো দিলে তোমাদের খুব কঠিন হবে। এত কঠিন শব্দ তোমরা পারবে না পরীক্ষায়। তাই তোমাদের হ্রস্ব-ইকার, উ-কার এগুলো তোমরা খুব সহজে পারবে। তাই পরীক্ষায় এগুলো আসবে। আমরা চাই যে, তোমরা যেন ২০ তে ২০ পাও। কিন্তু তোমাদের মধ্য থেকে আমি শুধু একটা কঠিন শব্দ দিব। তখন বাবুরা বলে, কি কঠিন শব্দ? বলে, "সেটা এখন বললে তোমরা ভাল করে শিখে আসবে। বলব না। পরীক্ষায় তোমরা লিখবে। আর যদি আমি দেখি যে, ২০ তে ০ (শূন্য) পাও, তাহলে আমি পরীক্ষার দু'দিন পর তো অনুষ্ঠান হবে যখন, তখন আমি তোমাদেরকে অনুষ্ঠানে গান করতে দেন না, যদি তোমরা শূন্য পাও। অতএব, শূন্য পাওয়া যাবে না। আমি চাই তোমরা সবাই মিলে যাতে অনুষ্ঠানে গান গাইতে পার।" একথা শুনে বাবুরা খুব ভাল করে বাসা থেকে শিখে আসল। তবে মিস তার আগে অনেক অনেক কাজ করাল। অনেক পিটি করালো, টিফিন খাওয়ালো, অনেক কিছু লিখতে দিল, তারপর পরীক্ষা নিল। এতকিছু লেখার পর বাবুরা একটু একটু ভুলে যাচ্ছিল। তার আগেই মিস কাগজ দিয়ে চলে গেল। গিয়ে মিস মিসের সিটে গেছে, এবার বলল যে, সবাই লিখ, আমি পড়া শিখি। তবে তোমরা আমরা পড়া শিখি লিখবে না, তোমরা শুধু শিখিটা লিখবে। তারপর বাবুরা সবাই এক নম্বর দিয়ে শিখি লিখে ফেলল। এবার বলল, এবার আমি কঠিন শব্দটা লিখতে দেই: হ্রস্বঘটব। তখন বাবুরা একে একে লিখে ফেলল। মুনিবা আর সুবাহ তো সবই একে একে লিখে ফেলল খুব তাড়াতাড়ি করে। তখন মিস বলল, এবার লিখ: আমি। বাবুরা সবাই 'আমি' লিখে ফেলল। তারপর মিস বলল, "এবার আর ৫টা শব্দ লিখলেই তোমাদের এই পরীক্ষাটা শেষ। এবার লিখ: আম। আম লেখার পরে লিখবে কাঁঠাল। বাবুরা সবাই একে একে আম লেখার পর কাঠাল লিখতে গিয়ে মুনিবা কাঁঠাল বানানটা মনে করতে পারছিল না। সে ভাবছিল চন্দ্রবিন্দু দেব কি দেব না। তারপর চুপ চুপ করে আরেকজ পাশের বন্ধু রশ্নির খাতা দেখে লিখে ফেলল। রশ্নিও ভুলে গিয়েছিল চন্দ্রবিন্দু দিতে। তারপর মিস বলল যে, "তবে আমি চাই সবাই যেন ২০ তে ২০ পায়। আমি যাকে যাকে দেখব যে, ২০ পেয়েছে, তাদের তাদের আমি ভাল করে ছড়া শিখিয়ে দেব, ছড়ার পরীক্ষায় তোমরা যাতে ফার্স্ট হও, যদি ২০ পাও।" তারপর এবার হল মুনিবা মিস যখন একটু বাইরে গিয়েছিল তখনই মুনিবা সুবাহকে বলল যে, এই সুবাহ! চন্দ্রবিন্দু কি হবে? সুবাহ বলল, "হবে, হবে। তবে তুমি লিখে ফেল মিস আসার আগেই। আমি তাড়াতাড়ি বসে লিখে ফেলি। তুমিও তাড়াতাড়ি বসে লিখে ফেল।" তারপর সে লিখল। তারপর মিস এসে দেখল যে, সবাই দেখাদেখি করছে। তারপর বলে, "এই সব কি হচ্ছে?" তখন বাবুরা সবাই চুপ করে নিজে নিজে লিখতে লাগল। এবং সোহানা তো খুব ভাল মেয়ে, তাই কারোটা দেখছিল না। সোহানা নিজে নিজে লিখছিল। তারপর মিস এসে বলল যে, কাঠাল লিখেছ তো? এবার লিখ। এবার কিন্তু একটা বাক্য লিখবে তোমরা। লিখ যে, আমি বই পড়তে পারি। সবাই বলল, হ্যাঁ, মিস, আমরা তো বই পড়তে পারি। কিন্তু খাতায় আবার লিখব? বলে হ্যাঁ, লিখতে তো হবেই, যা কর তা লিখতে হবে না? লিখ, লিখ। তখন সবাই লিখে ফেলল। মিস বলল, এবার তোমাদের ছুটি হবে। তোমরা সবাই লাইন করে দাড়াও। লাইন করে দাড়িয়ে সবাই আমার কাছে কাগজগুলো দিয়ে আবার লাইন কর। তারপর সবাই লাইন করে তারপর লাইনটা ভেঙ্গে আবার মিসের কাছে কাগজ দিয়ে লাইন করল। তারপর মিস বলল যে, "মুনিবার লাইন আগে করেছে। তারপরের লাইনটা করেছে সুবাহ। তার পরের লাইনটা করেছে সোহানা। প্রথমে আমি মুনিবার লাইনটাকে আগে যেতে দিব। মুনিবা খুব ভাল লিখেছে। সুবাহও খুব ভাল লিখেছে। সোহানাও খুব ভাল লিখেছে। আস মুনিবা আস। তখন মুনিবা চিল্লিয়ে বলল, "ইয়ে"। তখনই মুনিবাকে বলল, মুনিবা! তুমি সোহানার লাইনে যাও। সোহানার লাইনটা সবার শেষে যাবে না, তুমি সোহানার লাইনে গিয়ে দাড়াও। তারপর সে সোহানার লাইনে গিয়ে দাড়াল। বলল, "হ্যাঁ, এইবারে ঠিক আছে। এইবার মুনিবার পিছে যে ছিলে, তাদের লাইনটাতে আস।" তারপর তাদেরকে ছুটি দিয়ে দিল। তারা চলে গেল। এবার বলল, আরে সুবাহ। আস আস আস। সুবাহ খুব ভাল লিখেছে। ও এত ভাল  লখেছে যে, যেন মনে হয় যে ২০ (twenty) তে ১০০ (hundred) দিয়ে দেই। তারপর মিস ইংলিশে বলল, "Everybody big big clap for Subah." তখন সবাই ওরা সবাই হাততালি দিয়ে বলল, "Very Good Subah." তখন সুবাহকে মিস বলল, "সুবাহ, তোমার লাইনটা পরে যাবে। তুমি আগে আস। তোমাকেই আমি আগে যেতে দেব।" তখন সুবাহ খুব খুশি হয়ে গেল। এবারে সোহানার লাইনের মধ্য থেকে মুনিবা আর সোহানাকে আগে যেতে দিল। তখন মিস বলল, "শোন, এরপর বিগ বিগ ক্লাপ ফর মুনিবা এন্ড সোহানা।" এরপর সোহানা আর মুনিবাকে বলল, "সোহানা, তুমি আগে যাও। মুনিবাকে একটু আগে যেতে দিব। তোমার লাইন থেকে আদিলা কারনা ভাল। আদিলা কারনাকে আগে যেতে দেই। তারপর তুমি যেও, মুনিবা, ও আগে যাক।" তখন মুনিবা বলল, "ঠিক আছে মিস।" তখন মিস বলল, আদিলা করনা, come here। তখন আদিলা কারনা দৌড়ে মিসের কাছে গিয়ে বলল, কি মিস? তখন মিস বলল, "তুমি আগে যাও।" তখন আদিলা কারনা চলে গেল। তারপর এবার সব লাইনকেই যেতে দিল। যারা সবচেয়ে দুষ্টু, তাদেরকে সবার পরে যেতে দিল। তারপর তার পরেরদিন অনুষ্ঠানে সুবাহ, মুনিবা ও সোহানা আর হল গিয়ে নাবিলা নূর শিফা ও মুশফিকা লাবিব প্রিয়ন্তী এদেরকে গান গাইতে দিল। তারপর আমার গল্প শেষ হয়ে গেল। এরপর ওরা রোজদিন ফার্স্ট হয়। এবার আমি যাই।

No comments:

Post a Comment