Sunday, June 1, 2014

জন্মদিনের জেদ ধরা

এক ছিল এক বাবু। সেই বাবুটা শুধু বলত, জন্মদিন হবে কবে? তাদের মা বলে, "এই তো, তোমার জন্মদিন জুলাই মাসের ১৫ তারিখ। আর ৩০ বা ৩১ দিন পরের কয়েক দিন পরই তোমার জন্মদিনটা হতে পারে।" "তবু মাগো, আমার জন্মদিন করা লাগবেই।" "তাহলে বেলুন কিনে এনে ঘরে বসে একটা কেক বানিয়ে মধু বা অন্য কোন ক্রিমের মত কিছু থাকলে সেটা দিয়ে সাইন করে দিলেই তাহলেই কেক হয়ে যাবে। তারপর সেভাবে জন্ম তারিখ না করে জন্মদিন করলে তো মানুষে বোকা বলবে। সেটার কি হবে গো?" বলে, "সেটার কিছু হবে না। মানুষে কিছু বললে বলবা যে, আমার মেয়ে খুব বায়না ধরেছে, সেজন্য জন্মদিনটা হয়েছে। এটা বললেই কেউ আর বোকা বলবে না।" "তাহলে দূর থেকে কোন মানুষ পরে আসলে যদি অন্য মানুষের কাছে থেকে জানতে পারে, তাহলে অন্য মানুষেরা যদি বলে না, যে কথাটা আমরা বলব, সে কথাটা যদি বলে না, তাহলে তো দূর থেকে কেউ এসে তোমার বাবাকে, আমাকে আর তোমাকে বলবে, জন্ম তারিখ না হলে জন্মদিন হতে পারে না। জন্মদিন হলে জন্মদিনের তারিখ ঠিক রাখতে হবে। এ বলে তারা সব সময় খিল খিল করে হাসবে। অার এই কথা বলবে। আর করবে কি জান, আর করবে হচ্ছে আমাদের বেলুন ওরা ফুলাবে। ফুলিয়ে ঠাস ঠাস করে ফুটাবে।" এবার বাচ্চা বলল, "মা, তুমি এসব কথা বলছ কেন? জন্মদিন হলে হবে কি, অ্যাঁ। জন্মদিন হলে মানুষ আরো আনন্দ করবে।" বলে, "আরে বোকা, এত বোকা হলে কিছু হয়? জন্মদিন হলে মানুষে তো অন্য দেশে গেলে অন্য দেশকেও বলবে।" "মা, সেই একই কথা! তুমি এসব কথা বলছ কেন? এসব কথা বললে তো জন্মদিন তো উধাও হয়ে যায়।" [প্র: আসলটাও কি উধাও হয়ে যাবে? উ: আসলটা থাকবে, কিন্তু ওর জেদেরটা যে থাকবে না। এই হল কথা] তারপর বলে, "ঠিক আছে, বলছ যখন, একটা কেক বানাই। কিন্তু কেক বানাতে এক-দুই-তিন ঘন্টা লাগতে পারে। বা ত্রিশ মিনিটও লাগতে পারে। এবার কেক বানাতে তো অনেক কিছু লাগবে।" এবার তার মা গিয়ে কেক চুলায় বসিয়ে দিয়ে আসল। বলল, "কেক বানিয়ে এনেছ?" বলে, "না, কেবল কেক বসিয়ে দিয়ে আসলাম। এতক্ষণে কেক বানানো হবে বলে? এবারে আমি কেকটা বানাতে বসিয়ে দিলাম। এবার তুমি খেল।" মেয়েটি খেলল। কিন্তু মেয়েটির নাম ছিল কি সেটা কি তোমরা জান? মেয়েটির নাম ছিল মিহিদা তাসনীম। সে তার নাম খাতায় লিখল। খাতায় লিখে স্কুলে গিয়ে তার মিসকে দিল। মিস সেটি নিল। নিয়ে মিস তাকে একটা কাগজ দিল। সে কাগজে অনেক কিছু লেখা। লেখা, "খেলার সময় ভালভাবে খেলবে, লেখার সময় ভালভাবে লেখবে। ভালভাবে থাকবে। পড়ার সময় ঠিকভাবে পড়বে। আর সব সময় পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন জামাকাপড় পরবে। আর তোমরা ভালমত কাজ-টাজ করবে।" এটুকু ছিল লেখা। কেক বানিয়ে তার মা ফ্রিজে রেখে দিল। সেটা এখন তারা খাওয়ার জন্য বসল চাকু নিয়ে। চাকু দিয়ে বলল, "একা একা কেক কাটব কেমনে? একা একা কেক কাটলে মানুষ জনকে না দিলে কেক খাবে কে? এত বড় কেকটা মানুষ না থাকলে খেতে পারবে? কেক তো নষ্ট হয়ে যাবে। মা, কাউকে দাওয়াত দাও, দাওয়াত দিয়ে আসতে বলো।" তার মা তো দাওয়াত দেয়ার আগে বলল, "কিন্তু শুনে নিও, আমি কিন্তু আর বলতে পারব না, জন্মদিন। আমি বলব, একটা মজার দিন হয়েছে, তাই একটু কেক বানিয়েছি। এটা বলব। আমি কিন্তু জন্মদিন বলে বলতে পারব না।" এবার তাকে সে কল দিল। দাওয়াত দিয়ে বলল, "তোমরা তাড়াতাড়ি চলে আস।"- এ বলে ফোন রেখে দিল। তখন সাদিয়ারা চলে আসল। সাদিয়াদেরকে এক পিস করে কেক দিল। সাদিয়া তার হাতের উপর হাত রাখল। আর যার উপর হাত রাখল, সে চাকুটা ধরে কেকের উপর দিয়ে কেকটা কেটে ফেলল। আর সেই কেকটা সবাই মিলে খেল। তারপর তারা বেলুন লাগাল, বেলুন নিয়ে তারা কেক কাটার সময় হ্যাপি বার্থডে বলে তারা বেলুন ফুটিয়ে-ফাটিয়ে বেলুন নিয়ে খেলে-ধুলে তারা বাসায় চলে গেল।

No comments:

Post a Comment