Monday, December 21, 2015

আয়েশার টুথপেস্ট

আয়েশা ভারি দুষ্টু মেয়ে। ওর বয়স ২০১৬ সালে পাঁচ হবে। এখন সাড়ে চার বছর প্রায় শেষ হয়ে গেছে। আর পরে তো পাঁচ বছর হবেই। সে কিন্তু খুব ভারি দুষ্টু মেয়ে। সে ভাত খেয়ে দাঁত ব্রাশ করতে চাইতই না। তার বাবা তার জন্য একটি পেস্ট কিনল। সেটা দিয়ে কোন দাঁত ভাল পরিস্কার হয়ে যায়। সেটা খুব মিষ্টি পেস্ট। এখন একদিন সকালে পেস্ট দিয়ে জোর করে দাঁত ব্রাশ করালো। ঐ মিষ্টি পেস্টটা দিয়ে। তারপর বাবু আগে তো পেস্ট দিয়ে ব্রাশ করতে চাইতই না, এখন আবার মিষ্টি দেখে তার নেশা হয়ে গেছে। এখন সে প্রতিদিন দাঁত ব্রাশ করে। ২০১৬ সালে তার পাঁচ বছর হয়ে যাওয়ার পর কি হল জান? তখন তো পেস্টটা শেষ হয়ে গিয়েছিল। এখন বাবা আরেকটা পেস্ট কিনে আনল। তখন বাবুটা দুষ্টুমি করে পেস্টের অর্ধেক সে দাঁত ব্রাশ করে শেষ করল, আর বাকি অর্ধেক মা-বাবারা যখন ঘুমায় তখন উঠে জুসের মত চুমুক দিয়ে সমানে খেয়ে ফেলতে থাকে। তারপর বাবা দেখল যে, দুইদিনে পেস্ট কি করে শেষ হল। সে আবার সে কয়দিন দাঁত মুখ ভাল করে ধুয়েছিল না ভাত খেয়ে। পেস্টের মুখে আবার বাবুর মুখের ভাত লেগেছিল। তাই দেখে মা বুঝল যে, সে পেস্টটাকে খেয়েছে। সে বাবাকে বলল, এই জান তোমার মেয়ের কাণ্ড, কত দুষ্টু? এইজন্যই মানুষ তাকে ভারি দুষ্টু বলে। আমি তো জানতামই না, তোমার মেয়ে যে এত দুষ্টু। তখন বাবা বলল, আরে কি হয়েছে সেটা শুনি। মা বলল, "আরে, তোমার মেয়ের কাণ্ড শোন। তোমার মেয়ে পেস্ট চুমুক দিয়েই খেয়ে ফেলেছে। তাই তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেছে। আর তুমি কত আহলাদ কর! ভিডিও দেখতে চাইলেই ভিডিও এনে দাও। তারপর বাচ্চা চকলেট কিনতে বললেই কিনে দাও। আর তোমার মেয়ে পেস্টটাকে চুমুক দিয়ে ভট্টাত করে খেয়ে নিল। আর তোমাকে বললাম, রাতে উঠে একটু মেয়েটাকে দেখে রাখতে, যেন উঠে না যায়। আর তুমি সেকথা মনে না রেখে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়লে। এখন কি করবে? এই পাশের শহর আর এই গ্রামটিতে একটাও দোকান নেই। শুধু আছে একটু কাপড়ের দোকান। পরে তো আবার মুন্সীগঞ্জ গিয়ে পেস্ট এনেছিলে আগে। এখন আবার বাসে করে মুন্সীগঞ্জ যাও, টিকেট কাট।" পরে বাবুটিকে বাবা পেস্ট কিনে দিল। আবারও এমন ঘটনা করেছে। কিন্তু সেইবার পেস্টটা বেশি বড় ছিল, তাই তিনদিন লেগেছে।  

No comments:

Post a Comment