Sunday, December 27, 2015

অমিতার গল্প

অমিতা একদিন স্কুলে যেতে চাচ্ছিল না। মা এতো করে বলল, " স্কুলে না গেলে শিখবে কেমন করে?" অমিতা বলল, "প্রতিদিনই তো যাই। আজ একটু বাসায় থাকি না।" মা বলল, " আমার সোনা, আজ পরীক্ষা আছে। আজ না গেলে তো রোল পিছিয়ে যাবে।"  "বাবা এসে বলল, আহ! ঝগড়া করো না। এই অমিতার মা, একটু বুঝিয়ে বল যে, কাল না হয় য্ওে না। আজ যা্ও। আজ তো অংক পরীক্ষা। আজ না গেলে কিন্তু ফেল করে ফেলবে। তুমি ফেল করলে তো সবাই খরাপ বলবে।এই বলে বুঝালে তো সে স্কুলে যাবে।" মা এসব বুঝিয়ে বলল। তারপর অমিতা স্কুলে গেল। তারপর স্কুলে দেখা গেল এক টিচার পাগল হয়ে গেল। অন্য টিচার পরীক্ষা নেয়া বাদ দিয়ে সেই কান্ড দেখতে গেল। অতএব পরীক্ষা আর হল না। পাগল টিচারটি রাস্তার মানুষদের সামনে আবোল তাবোল এই সেই যা পায় তাই নিয়ে পাগলামী শুরু করল। আর ওদিকে পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল দুই ঘন্টা। কিন্তু দশ মিনিটেই তো এই ঘটনা ঘটে গেল। কারও মা বাবাই আসেনি। মা বাবারা তো কিছুই জানে না। সব ক্লাসের বাচ্চারা এক এক করে অফিসের স্যারের কাছে গেল। স্যারের কাছে মা বাবার ফোন নম্বর বলে দিল। তারপর স্যার সবার মা বাবা কাছ ফোন দিল। তারপর মা বাবারা এসে সবাইকে নিয়ে গেল। অমিতার মা বাবা অমিতাকে নিয়ে গেলো। মা বাবা জিজ্ঞাসা করল, তুমি পরীক্ষা ভাল দিয়েছ। এটা কি তাড়াতাড়ি লেখার পরীক্ষা? স্যার আমাকে তাড়াতড়ি আসার জন্য ফোন দিল কেন? অমিতা বলল, "তোমরা এতো বোকা কেন? তাড়াতাড়ি লেখার পরীক্ষা হলে তো আগেই জানাত।" তারপর অমিতা বাবা মাকে সব খুলে বলল। তখন থেকে অমিতা প্রতিদিনই মা বাবার সাথে দুষ্টুমি করে বলত, "আমার কথাই ঠিক। আমি সেদিন তো স্কুলে যেতে চাইনি। তোমরাই তো স্কুলে পাঠিয়ে ছিলে। নাহলে তো  ফাও-ঘুল্লা (বৃথা চক্কর) দিতে হতো না।" এখন সবাই গল্পের ঝুড়ি থেকে চলে গেল। গল্পের ঝুড়ির গল্পও শেষ হয়ে গেল।

No comments:

Post a Comment