Thursday, August 28, 2014

এক বাবুর গল্প শেখা

এক ছিল এক বাবু। তার নাম মুদিয়ানা সাদিয়া। সেই বাবুটার মায়ের নাম মুমতাহিনা। বাবুর বাবার নাম খালেক চৌধুরী। সেই বাড়িতে ওরা একসঙ্গে থাকত। তার বাবা একদিন ভাবল যে, আমরা তো এখন গরীব। এখন কিছু কিনে আনব কি করে? আমরা খাব কি করে? এ বলে তারা কিছু কিছু জিনিস বানিয়ে বেচল। বেচে কিছু পয়সা পেল। পয়সা নিয়ে খাবার কিনতে গেল। চাল নিয়ে এল ভাত রাধার জন্য। চাল কিনতে গিয়ে সে তার বাবুর জন্য একটি গল্পের বই নিয়ে এল। চাল এগুলোর সঙ্গে আরো অনেক কিছু নিয়ে এল। তারপর বাবুটা গল্পের বই পড়ে পড়ে সব শিখল। তারপর ভাত-টাত খেল। আর গল্প শেষ হয়ে গেল।

রাজা

এক ছিল এক রাজা। রাণীর ছিল একটি মেয়ে। রাজা রাজকন্যাকে আদর করত কিন্তু কথা বলত না এবং মিশত না। তার মেয়ে পছন্দ ছিল না। একদিন রাণী রাজাকে নাস্তা দেওয়ার সময় বলে, "রাজা মশাই! আপনি রাজকন্যাকে আদর করেন না কেন?" রাজা বলল, "আমি আদর করি।" তখন রাণী এক কাজ করল। রাজকন্যাকে বলল, "তুমি রাজার সব কাজ করে দাও।" তারপর করে দিল। তখন রাজা রাজকন্যাকে আরো বেশি আদর করল।

Wednesday, August 27, 2014

এক বাবুরা

এক বাবুরা এক বাড়িতে থাকত। সেই বাবুরা খুবই ভাল সংসার করত। বাবুরা একদিন ঘর থেকে বের হয়ে খেলতে লাগল। এক বাবু বলে যে, "এই নাও, বল ধর"- এই বলে আরেক বাবুকে দিত। এরকম করে খেলত। তারপর বাসায় এসে তারা খাবার খেয়েদেয়ে তারা গল্প-টল্প করল, মাঠে বের হয়ে। তখন তারা ঘরে এসে তার মাকে একদিন বলল যে, "মা, আমি রান্না করব তোমার মত।" তার মা বলল, "না, না। রান্না করা যাবে না। আগে পড়ালেখা কর। সব রান্না শেষ। এখন শুধু আমি লাউ রান্না করব। তুমি যাও, পড়তে বস।" তখন সে বলল, "না, না। আমি পড়ব না। আমি এখন বন্ধুদের সঙ্গে খেলব।" "না, তাহলে কালকে খেলা বন্ধ। কালকে তুমি একবার শুধু খেলতে পারবে, এখন যদি খেলতে যাও।" তখন সে মনের দু:খে চলে গেল। সে ঘর থেকে বের হয়ে নিজেদের মাঠে ঘুরে কিছু দেখে টেখে দৌড়াতে দৌড়াতে এক মেলায় গিয়ে পড়ল। তখন মেলাটা একটুখানে দেখে তারপর দৌড়াতে দৌড়াতে সব রাস্তা চিনে টিনে চলে গেল। তারপর মাঠে এসে কিছুক্ষণ মাঠের স্প্রিঙে লাফিয়ে দোলনায় দোল খেয়ে বাসায় চলে এল। তারপর লেখাপড়া করে আরেকটু খাবার খেয়ে ঘুমোতে গেল। ঘুম থেকে উঠে তার মাকে বলল যে, "মা, এখন কি খেলা যাবে?" "না, না। এখন তো বিকেল হয়ে গেছে। এখন তুমি বাইরে যেতে পারবে।" তখন সে দৌড় দিয়ে মাঠে গিয়ে বন্ধুদেরকে এক জোরে বন্ধুেদের বাড়ি থেকে বন্ধুদের ডেকে নিয়ে খেলতে লাগল। তারপর বাড়িতে এসে বলল, "মা, আমি আরেকটু খেলি।"

Tuesday, August 26, 2014

বাবুর মা

এক দেশে ছিল একটা বাড়ি। সেই বাড়িতে ছোট্ট একটা সংসার। সেই ঘরে মা, বাবা, ছেলে, মেয়ে সবাই একসঙ্গে কষ্টমষ্ট করে সংসার চালাত। আর তার ছেলেমেয়েরা এইটুকু ঘরে অনেক কষ্ট করে থাকত। চিপেচুপে থাকত। আর তখন ভাঙা মেঝে দিয়ে হাটত। তাদের ঘরটা ছিল একটু ভাঙ্গা ভাঙ্গা। আবার মেঝেও একটু ভাঙ্গা ভাঙ্গা ছিল। সবাই কষ্টমষ্ট করেই ছোট্ট একটু সংসারটা চালাত। আর তারা খেত কি জান? গাছে বসে পেয়ারা, ডালিম এসব থাকত সেগুলো নিয়ে খেত। আর একদিন সেই বাড়িতে সেই ছেলেমেয়েরা পড়ালেখাও শিখতে পারল না, আর বড়ও হতে পারছে না। কারণ, কাগজ কলম খাতা এগুলো তাদের নেই। তারাও ছিল গরীব। তাদের কিছুই থাকত না। খাবারও না। তখন তারা বাড়ি থেকে বের হয়ে স্কুলে যাবার চিন্তা করল। আর পাশে পাশে ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগল কোন জায়গায় স্কুল আছে কিনা। কিন্তু আবার মনে মনে ভাবতে লাগল, স্কুলেও তো পড়া মুশকিল। বেতন দিতে হবে। তার মধ্যে মধ্যে গাছেল পেয়ারা একটু একটু পেড়ে একটুখানি বেচে একটু খানি তো টাকা পাব, এটা ভেবে সেরকম গাছের পেয়ারা ছিড়ে আনল। তখন একটু টাকা পেল। তখন সেই টাকা নিয়ে সে ঘরে পৌঁছল। তারপর তার ছেলেমেয়ে এবং বাবুর মাকে সে বলল, এই দেখ একটি টাকা নিযে এসেছি। এখন দুটি বাচ্চাকে স্কুলে ভর্তি কর। আর বেতন দেবার সময় এ টাকাটুকু দিয়ে এক বছর না হয় পড়াও স্কুলে ঢুকিয়ে। তাহলে সে বলল, "এইটা তুমি খুব ভাল কাজ করলে। কিন্তু স্কুল কোথায় বা আছে সেটা তো আমি জানি না। একটু খানি টাকা নিয়ে একটু বইখাতা কিনে আন।" তখন তারা গিয়ে বই-খাতা কিনল। তখন সেই দুটি বাচ্চাকে বলল, "তুমি এই খাতা-বই নিয়ে একটু পড়ালেখা কর। স্কুলে গিয়ে আরো অনেক কিছু শিখতে পারবে।" তখন তারা পড়ল। পড়ে-টড়ে রেখে দিল। তখন তারা দৌড়ে গেল। পড়াশুনা শিখতে। পড়াশুনা শিখতে গিয়ে সে স্কুলের দরজায় ডাক দিল। তখন মিস এসে বলল যে, কি হল? এখনও দুটি বাচ্চা এসেছে। আর কোন বাচ্চা আসেনি। এখন সি ভিতরে ঢুকে বেঞ্চে বসে পড়ল। তখন সেই দুটি বাচ্চা শুধু বেঞ্চে বসে গল্প করতে লাগল আর কথা বলতে লাগল। তখন মিস বলে, "এই এত কথা কিসের? এত কথা বলে, এটা শুনে আমার মনে হয় না যে, এটা আমার ক্লাস।" এরপর সবাই চুপ করে বসল। এখন আরো ৩০ জন প্রবেশ করল স্কুলে। এসে ক্লাসে ঢুকে পড়ল এবং বসল। আর মাত্র দুটি বাচ্চা বাকি। সেই দুটি বাচ্চা অনেক পড়ে দেরিতে এসেছে। তাদেরকে মিস বলছে যে, আগে কি করছিলে? যাও, ক্লাসে গিয়ে বস। তারপর সবাই পড়ালেখা শিখে বাড়িতে চলে গেল। তখন সেই দুটি বাচ্চা ক্লাসে রয়ে গেল। তারা ভাবল, তোমরা কষ্টমষ্ট করে রাস্তা পার হয়ে এসেছে। এখন আমি অনেক জোরে ডাক দিচ্ছি। যেন ওই আমাদের ঘর পর্যন্ত যায়। আবার সেই মেয়েটির নাম ছিল আনিকা। সেই মেয়েটি বলল যে, "মা! আমি আনিকা।"

Thursday, August 21, 2014

তোতা

তোতা নাচে গাছের ডালে
নাচে বউয়ের তোতা
তোতা বউকে বলে হিন্দিতে
মেহু তোতা।
তার তো বউ বলে কি শোন,
বউ বলে আর তো কিছুই
নানার নানান না।
বউ বলে তুই কি শোনস
তুই বল মেহু তোতা।
মেহু তোতা তো হবেই রে,
কাকে বলে চ্যাংড়া।

এক বাড়ি

এক দেশে ছিল এক ঘর। সেই ঘরে কোন মানুষ ছিল না। আর উত্তর দিকে একটি মেয়ে সে ভাবতে লাগল যে, আমি তো কোন বাড়ি খুঁজে পাই না। আমি থাকব কোথায়? এখন তো আমার বাচ্চা হওয়ার সময় হয়ে গেছে। সে ভাবল যে, আমি যখন কোনই বাড়ি পাচ্ছি না, তখন আমি কিভাবে বাচ্চাটাকে এরকম করে রেখে ঘুরতে পারব না। এরকম করে সারাদিন ধরে আমি কেমনে কোলে রাখব? আবার ভাবছে, টাকা-পয়সা তো কিছু নাই। হাসপাতালে গিয়ে কেমনে একটু বাবু নেব? তাতে এখন আমি কেমনে যে সব কাজ করি? সে এখন যেখানে সেই বাড়িটা ছিল সেই বাড়িটা ছিল আবার পূর্ব দিকে। সে ভাবল যে, এখন আমি অনেক দূর যাব। অনেক দূর গিয়ে আমি খুঁজতেই থাকব, বাড়ি কোথায় পাব। নিশ্চয়ই কোন জায়গায় কোন বাড়ি পড়ে থাকবে। তখন আমি সেই বাড়িতে উঠব। তারপর বাড়িতে থেকে আমি বাড়ি থেকে বের হয়ে কিছু জিনিস-টিনিস নিয়ে-টিয়ে সেগুলো বেচে একটু পয়সা নিয়ে আবার  হাসপাতালে গিয়ে একটা বাবু নিয়ে আসব। এইসব কথা যে আমি ভাবলাম, তবুও তো একটা বাড়িও পেলাম না। যাই, এখন ঐ দিকে যাই। তখন সে দৌড়ে ঐ দিকে গেল। ওদিকে গিযে দেখল যে, একটা ঘর পড়ে আছে। যাই, আমি গিয়ে তার ভিতর ঢুকে পড়ি। ঢুকে সে দিন-রাতটা কাটাল। তারপর সেই বাড়ি থেকে বের করে কিছু নিয়ে কিছু বেচল। বেচে কিছু পয়সা পেল। সেটা দিয়ে হাসপাতালে গিয়ে কিসব করে একটি বাবু নিয়ে আসল। বাবু নিয়ে ঘরের ভিতর গেল। গিয়ে এখন ভাবল যে, কিন্তু এখন খাবার পাব কৈ? কিছু খাবার তো খেতে হবে। ঘরে তো কোন খাবার নেই। খাবার না খেলে বাবু দুধ খাবে কেমনে? খাবার খেলে না দুধ হবে। বাবু তো দুধ খাওয়ার জন্য একেবারে কি হয়ে যাচ্ছে? এখন যাই এই পয়সাগুলো নিয়ে কিছু খাবার কিনে নিয়ে আসি। যদি চাল পাই, তাহলে চাল আনব; যদি লাউ শসা এগুলো পাই নিয়ে আসব; আর যদি দুধের একটা ফিডার পাই। বলে সে দৌড়ে গেল। অনেক খাবার, এসব সে কিনে আনল। বাবুর জন্য একটা পিচ্চি জামা পেল। নিয়ে এল। সে এখন সেই খাবারের মধ্য থেকে একটা শসা খেতে লাগল। তারপর সে খুব আরাম পেল। তারপর বাবুটাকে নিয়ে সে বিছানায় শুয়ে রইল। বাবুটি একটু বড় হলে এই ফিডারটা দিয়ে ওকে দুধ খাওয়ানো যাবে। এখন তো বেশি ছোট। এখন যাই বাবুটাকে একটু আদর করে আসি। তারপর বাবুর কাছে কিছুক্ষণ থাকল। চারপাশ দিয়ে বেড়া দিয়ে দিল, যাতে বাবু গড়িয়ে না পড়ে যায়। তারপর সেই বাবুটা থাকল সেখানে। তারপর সেই মেয়েটা বাবুর কাছে গেল। বাবুকে কিছু খাওয়াল। অনেক অনেক দিন পর বাবুটি একটুখানি বড় হল। তারপর সেই বাবুটিকে সেই মেয়ে যত্ন করে ঘরে রাখল। একদিন অন্য একটা ছেলে- সেই ছেলেটা খুব ছোট, সেও অনেক ঘর খুঁজছিল। এখন সেই মেয়েটা ভাবল যে, একা একা থাকতেও তো আমার ভাল লাগে না। যাই, দেখি অন্য মানুষ ঘর খোঁজে কিনা। তাদেরকে নিয়ে আসি। তাদেরকে ঘরে রাখি। তখন সেই বাবুটিকে পেল। তখন সেই ছেলেটাকে ঘরে আনল। তারপর বলল যে, তোমার মা-বাবা কই? মা-বাবাকে একটু ডাক তো। তোমার মা-বাবাকে আমি ঘরে রাখব। তখন সে বলল, আমার মা-বাবা তো এক জায়গায় গিযেছিল, সেখান থেকে আর পথ খুজে পাচ্ছিল না। আজকালতো বেশি ঝড় ওঠে, সেজন্য একদিন আমি ঘর থেকে বের হলাম। ঘর থেকে এসে দেখি আমাদের ঘরটা ভেঙ্গে গেছে। আমি এখন খুজতে এসেছি ঘর। মা-বাবা কোথায় গিয়ে হারিয়ে গিয়েছে, পথ খুজে পাচ্ছে না। তখন সে বলল যে, এখন তুমি এখানে থাক। আর কে কে আছে দেখি। তারপর সে দেখল, দুই বন্ধু একটা কাগজ পকেটে রেখে হাটছে। তখন সে বলল, এই, তোমার পকেটে কাগজে কি লেখা? বলল যে, হায়রে, এসব কথা থামাও। আমারে আগে একটা ঘর বানিয়ে দাও। তখন বলল, "আস, আস, আমার ঘরেই থাক।" "ঠিক আছে, আসি।" তখন তাকে ঘরে আসতে বলল। যাক, আর একজন আসলে তাকে আমি ঢুকাব, আর কাউকে ঢুকানোর দরকার নেই। তাহলে বেশি বেশি রান্না করে খাওয়াতে হবে। তখন বলল যে, তোমরা তো দুই বন্ধু। আমিও তোমাদের দুজনের বন্ধু হয়ে তোমাদের সঙ্গে ঘরে থাকব। এবং আমরা এই চার-পাচজন মিলে আমার মেয়েটা বড় হলে আর ঐ ছোট্ট ছেলেটা বড় হলে আমরা একসঙ্গে থাকব। এখন আর একজন পেলে তাকে আমি ঘরে রাখব। তারপর এই চারজন মিলে হাত মিলিয়ে একসঙ্গে থাকব। বুঝলে তো? "হ্যাঁ, এখন চল। গল্প বাদ দাও। এখন তাড়াতাড়ি আগে ঘরে চল। রাত কাটাতে হবে ঘরে বসে।" তখন তারা দু'জন সেই মেয়ের ঘরে গেল। ঘরে গিয়ে থাকল। হাত মিলিয়ে একসঙ্গে বসল। যাক, বাবা! আর যদি একটা মেয়ে পাই, একসঙ্গে ভালভাবে থাকব। তখন তারা বলল যে, আমি কি বললাম? আমি বললাম, এত গল্প করো না। বিছানায় শুতে যেতে হবে। বলে, ঠিক আছে। এখন যাক, তোমরা শুতে যাও। আর আমিও শুতে আসব একটু পর। কিন্তু আমার বাচ্চাকে যে একা ফেলে রেখে এসেছি। এখন আমার বাচ্চা তো অন্য রুমে ভয় পাবে। বাচ্চাটা যদি উঠে কাঁদে, তাহলে তো শোনা যাবে না অন্য রুম থেকে। আচ্ছা, কিন্তু আমার বাচ্চা যে একটু আস্তে আস্তে কাঁদে, আস্তে আস্তে শব্দ করে, আস্তে আস্তে হাসে, সেজন্য এত কিছু শোনা যায় না, আর অন্য রুমে তো অনেক কাঠকোঠ দিয়ে বেড়া দেওয়া। আর বাইরে তো হোন্ডা, গাড়ি-ঘোড়া এসবের শব্দ শোনা যায়, বাবুর ডিস্টার্ব হয়, এজন্য আমি বাবুর রুমে ঘুমাব। "ঠিক আছে, আমরা দু'জন এখানেই ঘুমাই। তুমি যাও, বাবুকে রাখ। আর এই ছোট্ট ছেলেটা আমাদের কাছে থাকবে। ছোট্ট ছেলেটাকে আমরা রাখব।" সে বলল যে, "ঠিক আছে এই নাও, ছোট্ট ছেলে ঘুমাও। আর আমিও যাই।" তখন তারা শুতে গেল। আর গল্পটা শেষ হল। 

Wednesday, August 20, 2014

বাপের বাড়ি

আমি যাব বাপের বাড়ি।
সবার সাথে ভাত রান্না করিব নাকি?
ভাত খেয়ে-দেয়ে বাপের বাড়ি থেকে চলে আসব।
সবাই ওয়ার্ডের কোণে যাবে।
আমিও ওয়ার্ডের কোণে যাব।
সবাই ওয়ার্ডের কোণে গিয়ে অনেক যাদু দেখবে।
দেখবে সব রংধনু ছড়িয়ে রঙিন একটা মাঠ হয়ে গেছে। তখন আমরা বাপের বাড়ি থেকে বাড়িতে চলে যাব।
সবাই জানবে, সবাই নাচবে, সবাই হো হো করে হৈচৈ করবে, হো হো করে হাসবে, হা-হা-হা-হা করে কাঁদবে, সবাই খুশিতে নাচবে ও ফুল দিয়ে ফুল ছিটিয়ে সারা দেশটা ফুলে ফুলের সুগন্ধ করে দেবে। সবাই অনেক কিছু শিখিবে। সবাই নাচতে বোনের বাড়িতে যাবে। সবাই রিঙ্গা রিঙ্গা রোসেস খেলবে। রিঙ্গা রিঙ্গা খেলা হচ্ছে একটা গাছ থাকবে সেই গাছের পিছন দিয়ে এরকম করে হাত ধরে এরকম করে যাবে। তারপর দুইজন গাছের পিছনে থাকবে আর দুই জন সামনে গিয়ে মিশ্যা মিশ্যা বলবে, ইশ্যা বলবে। তারপর কোন জায়গার উপরে থাকবে। তারপর অল ফোল্ড ডাউন বলেই তারা নিচে নেমে যাবে। এই হল এই খেলা খেলবে। 

বাবুর বন্ধুরা

এক দেশে ছিল একটা বাড়ি। বাড়িতে থাকত এক বউ। সেই বউয়ের ছিল একটা বাচ্চা। বাবুটা সবসময় খালি খেলত আর টিভি দেখত আর মাঠে গিয়ে অন্য বান্ধবীদের সাথে কথা বলত। পড়ালেখা কিছু করত না। তার মা তাকে কত কিছু বলল! তাও সে করে না। আর যে কত বকা দিল তার মা। তবু সে লেখাপড়া করতে বসল না। এখন একদিন তার মা বলে, "তুমি খুব লক্ষী। কিন্তু তোমার সমস্যা হল তুমি পড়ালেখা কর না।" এ বলে খুব আদর টাদর করে ভালমত খাওয়া-দাওয়া করিয়ে সুন্দর মজার পিঠা বানিয়ে তাকে কত আদর-যত্নে থাকতে দিল। তাদের একটা রুম আছে। এক রুমে খুব ভাল। সেই রুমে ওকে রাখল। সেই রুমটা একটু পরিস্কার, রুমটা খুব সুন্দর। সেই রুমে অনেক খেলনা-টেলনা আছে। সেই খানে ওর অন্য বান্ধবীদের নিয়ে সেই রুমে রাখত। তারপর অনেক মায়া দিল। কত আদর করল! যাতে ও মায়ের আদর দেখে যাতে ও শান্ত হয়ে পড়ালেখা করবে আর ওর মায়ের কথা শুনবে। এই জন্য তার মা তাকে আদর করল। তাকে ভাল ভাল খেলনা কিনে এনে দিল, বেলুন কিনে এনে দিল। সেই বাবুর জন্য একটা সুন্দর জামা এনে দিল। বাবুর জন্য মালা কিনে আনল। আরও কত কী করল! সে যখন খেলার সাথী পায় না, তার মা গিয়ে তার সঙ্গে খেলত। এত কিছু অনেক আদরের জিনিস করছে তার মা। তার জন্য একটা সুন্দর একটা জুতা নিয়ে আসল। তারপর একটা জিনিস বানাল। একটা অনেক বড় একটা গামলা তার পর সেইটার মধ্যে পানি দিল। পানি দিয়ে খুব মজার জিনিস করল। তারপর সেই পানির মধ্যে বড় একটা নৌকা বানাইয়া দিল। আর সেটা অনেক বড় ছিল। সেই খান থেকে অনেক রাস্তা পার হয়ে সেই গরু চাষীদের ঐ মালপত্রের ওইখান থেকে আবার সেই ঘরের দিকে সেইটা রাখল, সেরকম বানিয়েছিল। আর হাতে একটা কী-বোর্ড রাখল। সেই কী-বোর্ডে লিখলে সেরকম করে সেই নৌকাটা চলত। তারপর সে তাকে কত কিছু করল! তারপর নৌকা বানিয়ে তাদের বন্ধুদের নিয়ে তাকে সেই নৌকায় চড়াইয়া অনেক সুন্দর জায়গা ঘুরে বেড়াল। আর বাবুরা খুব মজা করল। আর সেই বাবুরা সেই বাবুকে বলল যে, তোমার মা তো খুবই ভাল। সেজন্য তোমার সঙ্গে আমরা বেশিক্ষণ খেলব। "ঠিক আছে, আর আমি আমার মা যখন আমাকে আদর করছে তখন আমি বাসায় যাব। বাসায় গেলে আরো নিশ্ছয়ই আদর করবে।" বাসায় গিয়ে 'মা' বলে ডাক দিল। তারপর মা এসে বলল, "আমি তোমাকে কত আদর করলাম! এখন তুমি একটু আমার কথা শুনে পড়তে বস।" বলে যে, "না, মা।" মা বলে, "তুমি কি ভাবলে যে, আমি তোমাকে আদর করব? আমি এখন জোর করে তোমাকে পড়তে বসাবো। যাও, পড়তে, আর নইলে তোমার খেলা আর কার্টুন দেখা বন্ধ।" তখন বাবুটা দৌড় দিয়ে খালি একটুখানি পড়ে আবার উঠে গেল খেলতে।

Saturday, August 16, 2014

আমার নতুন রাজা

এক দেশে ছিল এক রাজা। রাজা শুধু মন্ত্রীর সঙ্গে কথাবার্তা বলত। একদিন অন্য এক দেশ থেকে এক রাজা বলে যে, আমি ঐ দেশের রাজা হব। ঐ দেশে বেশির ভাগ মানুষ, এই দেশে কম ভাগ মানুষ। আর আমাদের এইখানে যত মানুষ আছে, তাদেরকে নিয়ে যাব। ওদেশে পাঠিয়ে দেব। তারপর ওদেশের রাজা হব। আবার জান, ঐ দেশ নাকি আর ওদের বন্ধু, কিন্তু ওদেরকে রাজা হতে দেয় না। এখন সেই রাজা এতিম মানুষদেরকে এনে জমা করল। বেশি কম মানুষই হল, কিন্তু যতটুকু মানুষ সেই আসল রাজার কিছু ছিল তার থেকে একটু কম মানুষ পেল। এগুলো এক জায়গায় জড়ো করে রাখল এবং সবাইকে একটি করে পাউরুটি খেতে দিল। তাদেরকে বলল, "তোমরা আমাদের রাজ্যে থাক। আর আমি তোমাদের রাজ্যে থাকি। আমি তোমাদের জন্য অনেক প্রজা রেডি করেছি। আর আমার প্রজারাও তোমাদের দেশে থাকবে। আর আমি তোমার জন্য অনেক প্রজা রেডি করেছি, তাদেরকে তুমি বেশি বেশি আদর করবে এবং বেশি বেশি খাবার দেবে। সেই প্রজারা একটু ক্ষুধার্ত এবং একটু তাদের মনে দু:খ আছে। কারণ, তাদের যদি একটুও মানুষের বাবা-মা না থাকে, তাহলে ওদের মনে একটু দু:খ হয়। এজন্য ওদেরকে বেশি আদর করবে এবং বেশি করে খাওয়াবে। আর আমার কথা শুন। আমি তোমার প্রজাদের নেব আর আমার প্রজাদের সাথে মিল করব। তারপর ওদের সাথে আমি অনেক চেচামেচি করে বন্ধুত্ব করব। তারপর ওরা একসঙ্গে হবে। তারপর আমি তোমার রাজ্যে গিয়ে ওদেরকে বসাব। আর এই মানুষগুলোকে তুমি আমাদের রাজ্যে গিয়ে এদেরকে প্রজা বানিয়ে থাকবে। কিন্তু আমি কোনদিন চুরি করব না। প্লিজ, আমার কথাটা শুনুন। এই কথা আপনি শুনলে আমাদেরকে যদি এরকম করতে দিলে তাহলে আমিই খুব খুশি হব। আমি আপনাকে কিছু দেব। আর দেব কি জান, দেব রানীর জন্য একটু গয়ণা আর তোমার জন্য একটু খাবার জন্য দুধ। বুঝছ, এগুলো দেব।" এখন রাজা তো দুধ খাওয়ার জন্য অনেক আনন্দ। বলল, "কিন্তু আমার প্রজা যেন খুব কম না হয়। একটা দুই টা না হয়। দুইটার বেশি দিতে হবে আমাকে।" কিন্তু সেই রাজা পঞ্চাশটা প্রজা রেডি করে দিল। "এই নাও, এই নাও, তোমার প্রজা। এখন তুমি যাও। কালকে আমি বলেছিলাম তোমাকে। এখন এসে তুমি বদলাবদলি কর।" তারপর সেই রাজা সবকিছু দেখল। কিন্তু তার মুকুটটা পাল্টালো না। মুকুটটা নিয়ে গেল। খুশি হয়ে রাজাকে এক গ্লাস দুধ দিল আর একটু গয়না দিল। বলল, "এই গয়নাটুকু রানিমাকে দিবে এবং এই দুধটুকু খাবে। দেখবে, কত মজা।" তখন রাজা ভাবল যে, "আমি ভাবছিলাম এক জগ দেবে, এখন দেখি এক গ্লাস দিল। তাহলে তো আধাআধি খেতে হবে, আমার বউকে তো একটু ধেয়া লাগবে।" তখন নিজে পুরো টা খেল এবং শেষ একটু রাখল। সেটুকু তার বউকে দিল। তারপর রাণীকে গিয়ে বলল, "এই নাও, তোমার জন্য এই গয়না দিয়েছে। আর আমার জন্য একটু দুধ দিয়েছে। ভেবেছিলাম, এক জগ দিবে। কিন্তু দেখলে তো, আমি কত ভাল। তোমার জন্য শেষে একটু রেখে দিলাম গো!" তারপর রাণী খেয়ে নিল। বলল যে, "আসলেই। কিন্তু এখন চল। আর বেশি দেরি করো না। চল, এখন যাই। সেই রাজার রাজ্যে। আর ওই প্রজাদের নিয়ে।" তারপর তারা গেল। তারপর সেই প্রজাদের নিয়ে রাজপ্রাসাদে ঢুকল। ঢুকে দেখল যে, রাজপ্রাসাদের মেঝেটা একটু নোংরা নোংরা। তারপর সে পরিষ্কার করে সে রাজ্যে থাকল। এখন সেই এতিম ছেলেদেরকে তো খাবার দিতে হবে বেশি বেশি। তার বউ মিষ্টি আনে, তারপর মন্ত্রী পিঠা নিয়ে আসে। রাজা ভাত আনে। আরেকজন ডিমের কুসুম আনে। আরেকজন মাছ আনে। আরেকজন মুরগী আনে। মুরগী কুটে মুরগীর গোস্ত দেয়। তারা খুব মজা করে খায়। আর তাদেরকে রাজারা খুব আদর করে। আর একটা ছোট্ট এতিম মেয়েকে খুব আদর করে, খুব ভালমত খাওয়ায়, ডিম পোছ দেয়, মেয়েটি খুব মজা করে খায়। আর অন্য ছেলেমেয়েরা খুব মজা করে নাচে, আর একজন কলা নিয়ে আসে, বাচ্চারা সবাই কলা খায়। ওরা সবাই তরমুজ পছন্দ করে। তরমুজের মাসে বেশি বেশি তরমুজ দেয়। তারপর আরো কত আদর করে। আর ঐদিকে আরেক রাজা অনেক প্রজাদের নিয়ে সুখে থাকল। একদিন হল কি জান, সবাই মিলে খাবার  চাইল। সবাই একসঙ্গে খাবার খাবে। সব প্রজারা খাবার চাইল। তখন সে বলল যে, "প্রজারা শুনুন। এত খাবার আমি খুজে পাই না। সবাইকে আমি একটা করে ফল দেব। খাবে। এই ফলগুলোতে হবে?" বলল, "হ্যাঁ, হ্যাঁ, মহারাজ। আপনি যে জিনিস দেন, আমি সেই জিনিস খেয়েই চলে যাব। একটা জিনিস আমি খাবই। খেলে আমার বুদ্ধি বাড়বে। এবং খেলে আমরা ভাল করে সবকিছু শিখতে পারব এবং আমরা যখন আরেকটু বড় হব তখন যদি আপনি আমাদেরকে একদিন পচা মনে করে অন্য জায়গায় যান তাহলেও আমরা রাজা হব, আমাদের মধ্য থেকে একজন রাজা হবে, সে আমাদেরকে সবকিছু করে দেবে, বুঝছ?" তারপর হল কি জান? তারপর তারা কিছু ফল খেল। তার পর বলল যে, "মহারাজ, ফল তো পেলাম। কিন্তু একটু মিষ্টির দানা যে খেতে ইচ্ছে করল।" বলল, "ওই আমার ফ্রিজে মিষ্টি আছে।" সকল প্রজারা সেই ফ্রিজ খুলে মনের সুখে মিষ্টি খেল। আর ওদিকে সেই ছেলেরা সুখে থাকল। এবং সবাই খুশীতে থাকল এবং ভালমত জীভন কাটালো। এবং খুশীই থাকল। এবং তারা অনেক শান্তি পেল এবং ওরা মিলেমিশে একদিন একটা জায়গা বানালো এবং সেখানে উঠে ওরা একজন একজন দুজনে মিলে গল্প করত এবং সবাই সেখানে বসে কথা বলতে পারত এবং সেখানে বসে চিনেবাদাম খেত।