Sunday, May 3, 2015

সেই ভালো মেয়ে

আমাদের ঢাকা শহর থেকে অনেক দূরে একটি জেলা। সেই জেলার সবচেয়ে কিনারে উত্তর দিকটায় সব ঘরের থেকে একটু ছোট ঘর। সেই ঘরে একটি মেয়ে থাকত। পরিবারে যারা যারা আছে তারা হল মা, বাবা, মেয়ে, ভাই, দাদা, দাদী ও এক কাজের মহিলা; কিন্তু সে পরিবারে বাস করে না। তার আগে যা আছে তারাই শুধু বাস করে। একদিন কাজের মহিলা শসা কাটতে গিয়ে শসা কাটতে কাটতে ভাল শসাটুকু ময়লার ভাণ্ডে রেখে দিল। সকলে মিলে কাজের মহিলাকে বলে, "কিগো! ছোলা কুড়ালে শসার মধ্যে এতটুকু কেন কাটা? তুমি নিজেই খেয়েছ নাকি?" "না, না। আমি খাব কেন আপনাদের খাবার? যা হয়েছে হয়েছে। আপনি আমাকে অন্য কাজের দায়িত্ব দিন। যা কেটেছি তা খান। আমি খাব কেন আপনাদের খাবারটা?" "কি গো মেয়ে, খাসনি তো? আমরা কিন্তু বুদ্ধি বের করে প্রমাণ একটা করবই। আসলে ঘটনাটা কি হয়েছে। আচ্ছা, আমরা কিছু বলব নাতো। ফ্রিজ থেকে এই শসাটুকু নিজে খাও না। অন্য শসা বের করে আমাদেরকে দাও। কারণটা তো আমাদেরকে বলবে।" তখন কাজের মহিলা বলে, "আপনারা রাগ করবেন না তো? খাবারের প্রতি মায়া রাখতে গিয়ে আমাকে ধ্বংস করবেন না তো? ঐ খাবারের মায়া রাখলে হবে না। আমি কারণটা বলতে পারছি না। নিজেই ভুলে গিয়েছি। এখন আমি আপনাদের কথামত এই শসা খাব, আপনাদের অন্য শসা দেব। তবু কারণ আমি কোনদিনও বলব না।" "কিন্তু কেন, শসী (মহিলাটির নাম)! তুমি আরেকটু চুপ কর। কেন তুমি বলছ না? বললে কিছু হবে না, তুমি বল।" "আচ্ছা আমি বলব, কিন্তু যে কাজ করেছি ভুলই করেছি। ভুলের জন্য কোন সাজা দিতে দেবেন না তো? এটা আমি নিজের ভুল নিজেই মেনে নিচ্ছি, এটা ভুল। তবুও আমি বলব না। আমি শুধু এতটুকু বলব যে, আমার কাজটা খুব ভুলে হয়েছে। আমি তবু আসল কথাটা খুলে বলব না।" "কেন, শসী! একটাও কথা বলবি না। এখন আমার কথামত কাজ কর দেখি। কাজ করলে তোকে সব দিনের খাবারের থেকে একটু বেশি দেব। তাড়াতাড়ি আমার কথামত কাজ করে আন। আর আমাদের শসা ছিলিয়ে দেবার পর তেলের শিশুগলো আর ঐ মধুর শিশিগুলো ধুয়ে বাইরে শুকো দিয়ে আসবি। এখন যা, ফ্রিস থেকে শেসা বের কর।"- এই বলে গেল ঘরের মালিক। "ঠিক আছে, আমি যাই"- বলে সে রওয়ানা দিল। ফ্রিজের কাছে গিয়ে বের করে ভাবল, ইস! বেচে গিয়েছি। আরেকটু হলে আমাকে ধরত। আমাকে একেবারে ঝগড়া করে আমার থেকে কারণটা কেড়ে নিত (বের করে আনত)। কারণ কেড়ে নিয়ে কারণের কথা বুঝে কি যে করত আমি জানি না। ভাগ্যিস, বেচে গিয়েছি। এখন শসা বের করে কেটে নেই।"- বলে সে শসা কেটে নিল। কেটে তেলের শিশি আর মধুর শিশি সাবান দিয়ে কাচতে গেল। ধুয়ে মেজে পরিস্কার করে সেগুলো শুকোতে বাইরে দিয়ে এল। নতুন পাটির উপর করে। যেতে যেতে একজন নতুন মানুষের সাথে দেখা  হল কাজের মহিলার। সে বলল, "কি গো! কাউকেই তো চিনতে পারছি না তোমাদের। আমিও তো সবাইকে চিনি, তোমায় চিনতে পারছি না।" কাজের মহিলা বলচে এগুলো। কিন্তু আগের বাক্যটি বলেনি। এই বার সেই ছোট্ট মেয়ের কাহিনী শুরু হল। ছোট্ট মেয়েটির কাহিনী হল- সেই মেয়েটি খুব ভাল ছিল। তবুও সে ছোট। তার বয়স চার বছর। সে নিজে বিল্ডিং থেকে ওঠানামা করত। বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে বন্ধুর বাড়ির বিছানায় শুতো, বন্ধুর বাড়িতে ঢুকে খেলত, মাঠে এসে খেলত, কিন্তু সে একা একা। বের হয়ে কোন বন্ধুই দেখা করত না, সে সোজহা বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে দেখা করত। খুব সাহস, খুব বুদ্ধিমান, কুকুর দেখলে হাত নিচে ছোয়। প্রতিদিন একটা লাঠি পকেটে করে নিয়ে আসে। হাসনাহেনার পাশ দিয়ে রাত্রেবেলা ঘরে যায় তো, তাই। আর সে এটুকুও জানে যে, তিনবার চলে যেতে বলতে হয় সাপকে মারার সময়। মেয়েটির এত বুদ্ধি কেউই  জানত না। সেই মেয়ের মাত্র চার বছর। কি করে এত কিছু জানে? এগুলো কি সম্ভব হয়? সব ছেলেপেলেরা দুষ্টু। এমনকি একদিন নাচতে নাচতে ঘুরতে গেল। সেদিন সেই মেয়েটি লাঠি নিতে যে ভুলে গেল। সেদিন হাসনাহেনা ফুলের একটু ঘ্রাণ নাকে গিয়েই মনে পড়ল, লাঠি কোথায়। সে আবার দৌড়ে তাড়াহুড়ো করে লাঠি নিয়ে এল। লাঠি নিয়ে সে মারামারি বিদ্যালয়ে পড়ে। আবার এমনি লেখাপড়ার বিদ্যালয়ে পড়ে। সে বিদ্যালয় তার কাছে খুব ভাল লাগত। এমনকি সে সাপ মারাও  জানত। মেয়েটির এত বুদ্ধি। তবুও কত ছোট মেয়ে বল দেখি চার বছরের মেয়ের এরকম বুদ্ধি হয় না। এখন তবে মেয়েটির আসল গল্পটা শুরু করি। সেই মেয়ের কথা জান তো? মেয়েটি কোরআন  শরীফ পারে ভাল, আল্লাহর কথা পারে ভাল, নবীর কথা জানে ভাল। কোন কাজকর্মে সাহায্য করে, সেটাও জানে সে। কিভাবে কি করতে হবে, সব জানে। সেই মেয়েটির বছর কত চার বয়স। মেয়েটি লাঠি নিয়ে এসে দেখল, "হায়! আমার কষ্ট করে উপরে যাওয়াটাই ফাও (বৃথা) গেল। কোন একটা সাপের বিষও তো দেখছি না। যাই, বন্ধু অপেক্ষা করছে। লঠি পকেটে ভরে যাই।" এ বলে সে গেল। বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে দেখে, বন্ধু ঘুমুচ্ছে। সে এটাও জানত, ঘুমের মানুষকে ডাকা উচিত নয়। সে তার মাকে গিয়ে জিজ্ঞেস করল, "আচ্ছা, সে কি গভীর ঘুমে?" "তুমি কে? তুমি আমার মেয়ের কথা কি করে জানলে?" "আমি তোমার মেয়ের বন্ধু। এমনি তো তুমি জান না, কিভাবে বন্ধুদের পরিচয় জানে। এমনিতেই তুমি পরিচয় জান না। তাই তুমি আমায় চিনতে পারছ না। আমার নাম পলাশী।" "আচ্ছা পলাশী, তুমি কোন ক্লাসে পড়? মানে কোন শ্রেণীতে?" "আমি পড়ি ক্লাস প্লেতে। এই তো প্লের বার্ষিক পরীক্ষা শেষ। দু'দিন পর নার্সারীতে উঠব।" "ও, তার মানে তুমি নার্সারীতে পড়ছ?" "হ্যা, তবে নার্সারীর ক্লাস করছি না। এমনিতে আমাকে ছুটি দিয়েছে আট দিন। এখন ঘুমের কথা বল, সে কি গভীর ঘুমে?" "না, না, না। বেশি গভীর ঘুমে নয়।" "কেন, সে অসুস্থ কি নয়? সে ভাল? তাকে কি ডাকা যাবে?" "ও, ডাকা তো যেতে পারে, কিন্তু ১৫ সেকেন্ড অপেক্ষা কর। তাতে যেই মিনিট হয়, সেই মিনিটই তুমি অপেক্ষা করো, কিন্তু তুমি এখন এলে কিভাবে? আমাদের বাসা চেন? আমি বিকালেও ঘুমিয়ে থাকি।" "সেই তো, সেজন্যই তো তুমি আমাকে দেখ না। আমি বিকালে এসে আমার বন্ধুকে নিয়ে যাই। আর তুমি দেখ, তোমার মেয়ে আফসানা বাড়িতে নেই?" "হ্যাঁ, আমি তাই দেখি।" "আচ্ছা, ওর জন্য অপেক্ষা যে করতে হবে।" "আমি তো ড্রইং রুম চিনি না। শুধু  আফসানার ঘর চিনি। আমি ওকে দিয়ে খেলতে যাব। আমি সোফায় অপেক্ষা করব। কিন্তু কিছু একটা কাজ দাও।" "আচ্ছা, কাজ দিচ্ছি। তুমি বই পড় বাসায়?" "না, ছুটি পড়েছে। ক্লাস ওয়ার্ক তিন দিন আগে থেকে পড়া শুরু করব। এখন ছুটিতে হুড়োহুড়ি করি।" "কেন, ও তো তোমার ক্লাসে পড়ে। ওর বই আর তোমার বই এক না?" "আমার অংক বইয়ের নাম এসো সবাই অংক শিখি।" "ও, এই বইয়ের নাম তোমাদের? আমারও তো বইয়ের নাম সেই। এখানে ৩৪ পেজে লেখতে হবে বলেছিল মিস। তুমি দেখেছ?" "হ্যা, আমি তো সেটাই দেখিছি।" "তাহলে এই বই পড়। ১ম পৃষ্ঠার লেখা জান?" "হ্যা, জানি। ১ থেকে ২০ পর্যন্ত অনুশীলনী আছে।" "ও, তুমি তো জানি দেখি, এই বইটা একই। তাহলে তুমি এটাই পড়।" বই হাতে নিতে নিতেই ১৫ সেকেন্ড শেষ হয়ে গেল। তবুও তার কথা মনে নই। সে পড়তে থাকল। পড়ার শব্দে সে উঠে গেল সেই আফসানা। "কি বন্ধু! তুমি এসে গেছ? চল খেলতে যাই। দেরী হয়ে যাচ্ছে। যাই ঘড়িটা দেখি।" "ওমা, ৫টা ২০ বেজে গেছে। চল তাড়াতাড়ি খেলা শেষ করি। মা মারবে। বলবে এত দেরি কেন? এত খেলছ কেন? নিশ্চয়ই তুমি ঐ ছুটির তিনদিন আগেও পড়বে না। এরকম খেলবে। তাই মা মারবে। তুমি এখন জলদি একটা রিংগা রিংগা রোজেস খেলে আসি।" দুজনই দৌড় দিল। আরেকজন মানুষ আফসানার বই ফেলে রাখে নিচে। আফসানার মায়ের তো রাগ মনে উঠেই আছে। এই পলাশী মেয়েটা তো খুব পাজি। বই গুছিয়ে রাখে না। তাও আমার অন্য মানুষের । নিজের বংশের না্। এ বই কেন ফেলে রেখে গেল। আমি ওর বন্ধুকে দিয়ে আসতে যখন আসবে, তখনই আমি ওকে অর্ধেক পিটিয়ে দেব। তখন আবার আল্লাহ বুদ্ধি দিল তাকে, "না, সে চার বছরের মানুষ। তুমি যখনই বাথরুমে যাবে, তখনই সে এসে বইটি গুছিয়ে রেখে দিয়ে যাবে।" এই কথাটা মনের মধ্যে দিল আল্লাহ। তখনই সে চুপ হয়ে গেল, মারার কথা মন থেকে দূর হয়ে গেল। তখন সে চুপ হয়ে এক জায়গায় বসে রইল। মাথায় ঠাণ্ডা জল মানে পানি ঢালল। মাথা ভিজে গেল। মাথা মুছল। ক্লিপ লাগালো। ব্যান্ড বাধল। সুন্দর শাড়ি পড়ল। কানে ফুল দিল। কানের গয়নাও দিল। নাকে দুল দিল। হাতে চুড়ি দিল। মাথায় টিপ দিল। পায়ে নুপুর দিল। সেন্ট দিল। মেকাপ দিল। মালা দিল। সে ফ্যানের আশেপাশে একধরনের গ্যাসবেলুন ফুলের মত ডিজাইন সেটা ফ্যান বন্ধ করে চারপাশে দিল। ফ্যান তার স্বামীকে ফ্যান ছাড়তে বলল আর ফ্যানের চারপাশে ফুলের মত দিল। সে ফ্যানের নিচে দাড়াল। ফ্যান ছাড়ার পরই ফটাফট ফেটে গেল। সেগুলো হাত দিয়ে আকাবাকা এদিক ওদিক দূরে ছুড়ল। নিজের গায়ে। এরকম ফুলের । ফেটে ফেটে পড়ল। ঠিক যেরকম বিয়ের সময়। যেরকম সাজে, যেরকম নাচে। যেন কোন অনুষ্ঠান। তখন মায়ের রাগ থামল। তখনই এসে দিয়ে গিয়ে বইটা গুছিয়ে সব জায়গা পরিস্কার হয়ে গেল। সে একটা ছোট বাচ্চা চার বছরের, তবুও সে কত ভাল, দেখলে! আর এদিকে কাজের মহিলা তো বোতল শুকো দিয়ে আসল। আর ঐ অচেনা মেয়েটার কথা শুনে বলল, "এই বোকা! সন্ধ্যা গড়িয়ে এল। বোতলগুলো উঠিয়ে আনবে না? এতক্ষণে শুকিয়ে গেছে। মানুষেরা এখন বেশি শুকো দেয় এই দিন। বুঝতে পারবি না কোনটা কার। মানুষেরটা তুই নিবি, মানুষেরা তোরটা নেবে। শেষে অন্য মানুষের লালাওয়ালা বোতল দিয়ে আমাদের পানি খেতে হবে। যা মেয়ে যা, হাসিস না।" এরকম বলে কেন আমাকে? একথা কাজের মহিলা বলল। "কেন আমাকে এরকম বলে। আমি তো ওদের কথামতই কাজ করি। তবু কেন তুই করে বলে? আমি আর থাকবই না"-বলে সে রওনা দিল। সকলে তাকে ধরে টনে রশি দিয়ে বলল, "এক্ষুণি তোকে আমি বেধে রাখব তাড়াতাড়ি পালানোর কথা মাথা থেকে দূর কর। ন্য় কিন্তু দিলাম বেধে। হাতপা বেধে কেমন কষ্ট বুঝবি। তাড়াতাড়ি ওগুলো মাথা থেকে বের কর।" তখন সে জ্বালায় মাথা থেকে বের কর। আর বলল, "আমাকে আর তুই তুই করে বলা চলল না, মালিক মশাই।" দাদা-দাদাী নানা নানী সকেল বল, বাবাও বলল, "কেন, কেন আমরা বলি তোকে? তুই আমাদের বলতে পারিস না, আমাদের পরিবারে কাজ করতে চাস না তুই? তাহলে এখনই তুই বাধনের মধ্যে আটকা পড়। এখন তাড়াতাড়ি তুই মাছ রান্না করে আমার ছেলের বউ আসছে, তার জন্য ইলিশ মাছ রান্না কর। তারা এটা খেতে খুব ভালবাসে। পায়েস খাইয়ে দে। আর বিশুদ্ধ জল ফিল্টার থেকে এনে দে। যেন ঠাণ্ডা হয়, গরম না হয়।" "আবার আপনি আমায় তুই, দিবি, যাবি এরকম বলছেন। আমি তো আপনাকে বলতেছ, যাইতেছ এরকম ভাষায়ও বলি না, আপনি আপনি বলি। তো আপনারা তো আমাকে তোমার, তুমি এরকম করেও বলেন না। দেখেছেন মশাই! আমি আপনাকে এখন থেকে তুই করেই বলব। এখন আর আপনি আপনার বলবই না। একবার যদি মুখে তুলেছি, আমার নামটা আর এই নামে থাকবে না। আমার নামেটা পাল্টে আরো সুন্দর নাম দতে হবে, যেন বোঝা যায় না, যেন মনে করবে এক রাজ্যের রাজকনস্যার নাম। নাম দিতে হবে সুমকন্যা। যুদি একদিনও বলেছি।" "আর বলতে হবে না, এখনই তোমার নাম সুমকন্যা হয়ে যাবে। এখন খুশি? সোনার গয়নাও দিয়ে দেব। সেজন্য তুই, দিলি কেন এসব বলবই বলব। এখন আমি তোমাকে স্বর্ণমুদ্রা দিচ্ছি, স্বর্ণমুদ্রা জামা দেব, একটুও ছেড়াছাড়া জকামা দেব না, সুন্দর কোরআন শরীফ দেব, সুন্দর আলমারি দেব, সুন্দর চশমা দেব ও সুন্দর টুল দেব বসার টুল। এবার আমি তোমাকে তুই, দিবি বলব। এখন তুই যা। এখন তুই গিয়ে সব ঝাড়ু দিয়ে ঐ ইলিশ মাছ পায়েস রান্না কর গিয়ে। আর একদম পরিস্কার থালায়/বাটিতি দিবি খেতে। পোলাও, রোস্ট রান্না করবি। একদম টেস্টিং সল্ট আর সস দিয়ে। একটুও যেন মশলা না পাই সেটা না দেখি। মশলা কিন্তু অনেক বেশি করে দিবি।" শেষ মেষ সে বলল, "মরিচ, আদা এগুলোও তো মশলার মধ্যেই পড়ে।" সে সেটা বুঝে* বেশি ঝাল দিয়ে দিল। ইলিশ মাছ, রোস্‌টঠ। মেহমান এসে সেগুলে াখেয়ে খুক্কুর খুক্কুর কাশি শুরু করল। "কি  গো মশাই, আপনি কি এই বাড়ির মালিক? নাকি আপনি একটা গাধা? কাজের মহিলাকে এত কড়া ঝাল দিতে বলেছেন কেন রে? তাড়াতাড়ি কোরমা দে, মিষ্টি ভাত খেতে দে। আর এইসবঝাল খাবার খেতে পারি না। খুক্কুর খুক্কুর কাশি বানিয়েছে মেহমানের। আমরা কি তোদের অতিথি নাকি? আমরা তোদের শত্রুপক্ষের সৈন্য। কেন আপনি আমাদেরকে এমন খাওয়ালেন? এখন কিন্তু দাঁত ফুটো করে দিব। এখনই কোরমা রান্না করে দে।" কাজের মহিলাকে বলল, "এই দেখছিস না কি হচ্ছে? কাজের মহিলাকে বলল সেই মালিক। দেখিছিস না কিচ্ছু? এখন তাড়াতাড়ি কোরমা নিয়ে আয়। ফ্রিজে রেখেছি, গরম করে দে তাড়াতাড়ি।" সে খাবার গরম খেতে ভালবাসে, কিন্তু পানি ঠাণ্ডা খেতে ভালবাসে। আর এখন কিন্তু কোরমা রান্না কর তে হবে, নয় ফ্রিজ থেকে বের করে গরম করতে হবে। থখন ফ্রিস থেকে বের করে খেতে দিল। তখন প্রাণটা মিষিট হয়ে গেল। তারপর সারাদিন শুধু মিষ্টি কথাই ভাবে। এখন মেহমানের গেছে মাথা খারাপ হয়ে। শুধু মিষ্টি কথাই মনে আষে। মিষ্টি, মিষ্টি আর মিষ্টি। সারা মনেই এই সব কথা থকে। ধুত, আমি আর আসবই না। বলে সে চলে গেল। আর বুদ্ধিমথী মেয়ে সারাক্ষণ শুধু খুশী হয়ে থাকল।

No comments:

Post a Comment